নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা উপন্যাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী বাঙালি কথাসাহিত্যিক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের ১৪৩তম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫


বাংলা উপন্যাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী বাঙালি কথাসাহিত্যিক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। প্রভাতকুমার বিশেষ সিদ্ধি অর্জন করেছিলেন ছোটোগল্প-রচনায়। এ ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের পরেই তাঁর স্থান স্বীকৃত হয়েছিল। তিনি বাস্তব পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, কিন্তু তার গভীরে প্রবেশ করেননি, এমন কথা বলা হয়ে থাকে। তবে দেশ ও বিদেশের পটভূমিকায় তিনি বহু ঘটনা ও চরিত্র এমনভাবে স্থাপিত করেছেন যাতে তারা প্রাণের স্পর্শ লাভ করেছে।সরল,অনাবিল হাস্যরসের গল্প লেখক রূপেই সমধিক প্রসিদ্ধ | কেরানি থেকে হন ব্যারিস্টার,পরে পত্রিকা সম্পাদক এবং শেষ জীবন কাটে অধ্যাপনায় | সম্পাদিত পত্রিকার নাম মানসী ও মর্মবাণী | চোদ্দো বছর ধরে পত্রিকাটি সুষ্ঠভাবে চালিয়েছেন | আজ এই কথাসাহিত্যিকের জন্মদিন। ১৮৭৩ সালের আজকের দিনে তিনি পশ্চিম বাংলার বর্ধমানের ধাত্রী গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। আজ তাঁর ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী। কথাসাহিত্যিক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যােেয়ের জন্মদিনে আমাদের শুভেচ্ছা।

প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় ১৮৭৩ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমান জেলার ধাত্রী গ্রামে তার মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস পশ্চিম বঙ্গের হুগলী জেলার গুরুপ গ্রামে। তার পিতার নাম জয়গোপাল মুখোপাধ্যায়। প্রভাতকুমারের জন্ম বাংলায় হলেও লেখাপড়া করেণ বিহারে। ১৯৮৮ সালে জামালপুর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন। ১৮৯১ সালে পাটনা কলেজ থেকে এফ.এ.এবং ১৮৯৫ সালে বি,এ, পাস করেন। ১৮৯৫ সালে পাটনা কলেজ থেকে বি এ পাশ করে ভারত সরকারের নানা ধরনের কর্মে বাংলার বাইরে অনেককাল কাটান। এর পর ১৯০১ সালে আইন পড়ার জন্য বিলেত গমন করে ১৯০৩ সালে ব্যারিস্টারি পাস করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। প্রভাতকুমার কিছুকাল দার্জিলিং, রংপুর ও গয়ায় আইনব্যবসা করেন। তারপর নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায়ের উৎসাহে ১৯১৬ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘকাল মানসী ও মর্মবাণী পত্রিকা-সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। একই সাথে ১৯১৬ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-কলেজে শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত থাকেন।

১৮৯৫ সালের দিকে প্রভাতকুমারের লেখালিখির শুরু। প্রথমে কবিতা, পরে রবীন্দ্রনাথের পরামর্শে গদ্য রচনা করেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের সমকাল যাঁরা ছোটগল্প রচনায় পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রভাতকুমার। সরল ও অনাবিল হাস্যরসের গল্পলেখক-রূপেই তাঁর খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা। সাধারণ আটপৌরে জীবনের লঘু ও দুর্বল দিক তাঁর গল্পে হাস্যরসচ্ছটাযোগে উপস্থাপিত। বাংলা ছোটগল্পকারদের মধ্যে তিনিই প্রথম যাঁর গল্প ইংরেজিতে অনুবাদ হয়ে বিদেশে প্রচার লাভ করেছে | তাঁর গল্পগুলি কাহিনীপ্রধান এবং সুখপাঠ্য | তাঁর গল্পের সরসতা অনেক সময়ে প্রকাশলাভ করেছে রঙ্গ ও ব্যঙ্গের মধ্য দিয়ে, তাই বলে গুরুতর ও বেদনাবহ গল্প যে তাঁর নেই, তা নয়। তবে ছোটগল্পে তিনি যতখানি সফল, উপন্যাসে ততটা নন। প্রভাতকুমারের উপন্যাস সম্পর্কে সমালোচকেরা সাধারণত একমত যে, তাঁর ছোটোগল্পের শিল্পচাতুর্য তাঁর উপন্যাসে নেই। তিনি জীবনকে দেখেছেন উপর থেকে, জীবনের গভীরতায় প্রবেশ করেননি। তাই এতে যত ঘটনা আছে বা চরিত্র আছে, তুলনায় তার তাৎপর্য বিশ্লেষণ নেই, অনেক সময়ে ধারাবাহিকতা নেই। তাঁর উপন্যাসে নাটকের গুণ আছে, উপন্যাসের সমগ্রতা অনুপস্থিত। ‘তিনি প্রথম শ্রেণীর ঔপন্যাসিক নহেন’ একথা বলেও শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে বাংলা উপন্যাসে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। প্রভাতকুমারের গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ১২ এবং উপন্যাসের সংখ্যা ১৪। তার উল্লেথযোগ্য গল্প সমূহঃ ১। রসময়ীর রসিকতা, ২। বাস্তুসাপ, ৩। বলবান জামাতা, ৪। দেবী, ৫। আদরিণী, ৬।মাস্টার মশাই, ৭। ফুলের মূল্য ইত্যাদি তাঁর বিখ্যাত ছোটগল্প। তাঁর প্রকাশিত উপন্যাসঃ ১। রত্নদ্বীপ (১৯১৫), গল্প-সংকলনঃ ১। গল্পাঞ্জলি (১৯১৩), ২।গল্পবীথি (১৯১৬) ইত্যাদি এবং ব্যঙ্গকাব্যঃ অভিশাপ (১৯৩০)।

১৮৯৭ সালে রাধামণি দেবী ছদ্মনামে ছোটোগল্প লিখে প্রথমবারের কুন্তলীন পুরস্কার লাভ করেন প্রভাতকুমার। ১৯৩২ সালের ৫ই এপ্রিল কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন বাঙালি কথাসাহিত্যিক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় । জনপ্রিয় ও বাংলা উপন্যাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কথাসাহিত্যিক প্রভাতকুমার মু্খোপাধ্যায়ের ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। কথাসাহিত্যিক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের জন্ম দিনে ফুলেল শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় আমার পছন্দের গল্পকারদের একজন।

গল্পকার ও ঔপন্যাসিক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের ১৪৩ তম জন্মবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আবু হেনা ভাই
গল্প প্রেমীদের কাছে প্রভাত কুমার আদর্শ !!
এই জন্যই তিনি বাংলা উপন্যাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
ভালো থাকবেন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.