নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
অবশেষে স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অনুষ্ঠান দেখার ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে যাচ্ছেন ডিশ গ্রাহকরা। টেলিভিশনে স্যাটেলাইট চেনেল দেখার জন্য আর ডিশের তার টানাটানি করতে হবে না । খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে স্যাটেলাইট টিভি দেখার উন্নত প্রযুক্তি ডাইরেক্ট টু হোম বা ডিটিএইচ সিস্টেম। কেবল বা তার সংযোগ ছাড়াই স্যাটেলাইট টিভি দেখার উন্নত প্রযুক্তি হচ্ছে ডাইরেক্ট টু হোম বা ডিটিএইচ। এই প্রযুক্তিতে গ্রাহক সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে পছন্দের অনুষ্টান নিজের টেলিভিশনে ডাউনলিংক করতে পারবে। ডিটিএইচ পদ্ধতিতে ছবি এবং শব্দ আসবে কেবল সিস্টেম এর চেয়ে দ্রুতগতিতে। প্রতিটি চ্যানেলের ছবি ও শব্দের মান থাকবে একই রকম। এবং সবচেয়ে বড় সুবিধা ,প্রিপেইড কার্ড কিনে ঘরে বসেই রিচার্জ করেই উপভোগ করা যাবে ডিটিএইচ সুবিধা! প্রতিবেশী দেশ ভারতে টাটা স্কাই, সান, বিগটিভি, রিলায়েন্স, ডিশটিভি, এয়ারটেল সহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্টান এই সেবা দিয়ে থাকে, যা ভারতে খুবই জনপ্রিয়। আমাদের দেশে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে এসব প্রতিষ্টানের টপবস্ক পাওয়া যায় । রাজধানীতে এখনও অনেক বাড়িতে এই প্রযুক্তি রয়েছে। ডিটিএইচ চালু হলে তার টানাটানি থেকে রেহাই গ্রাহক সাথে ভালো সার্ভিস। অধিকন্ত ডিস লাইন ওয়ালাদের একচেটিয়া দৌরাত্ত্বের অবসান হবে। উল্লেখ, ডিটিএইচ প্রযুক্তির মাধ্যমে টিভি দর্শক তার বাড়িতে একটি ছোট ডিস ও রিসিভারের মাধ্যমে সরাসরি সিগন্যাল গ্রহণ করতে পারবেন। ডিস লাইন ওয়ালাদের মত আলাদা তারের মাধ্যমে প্রতিটি টিভি সেটে কেবল সংযোগ দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। বাংলাদেশে বর্তমানে কোন বৈধ ডিটিএইচ অপারেটর নেই। টিভি দর্শকদের কয়েকটি ক্যাবল অপারেটর ও টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভির ওপর নির্ভর করতে হয়। ব্যক্তিগত ডিস ব্যাবহারকারিরা অল্প কয়েকটি ফ্রি চ্যানেল দেখতে পারে। ভারতীয় অপারেটররা দর্শকদের কোন স্থানীয় বাংলা টিভি না দিয়ে সরকারকে কোন কর না দিয়ে অবৈধভাবে উচ্চমুল্যে ডিটিএইচ ব্যাবসা করছে। ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে এসব প্রতিষ্ঠানের সেট টপ বক্স পাওয়া যায়। অবৈধ হলেও রাজধানীর অনেক বাড়িতে ডিটিএইচ সংযোগ রয়েছে।
একনজরে টিটিএ্ইচঃ ডিটিএইচ সেবার মাধ্যমে একটি স্যাটেলাইট সিস্টেম ব্যবহার করে সরাসরি গ্রাহকের আঙ্গিনায় টিভি সিগন্যাল পৌঁছে দিয়ে মাল্টি-চ্যানেল টিভি প্রোগ্রাম দেখার সুযোগ করে দেয়া হবে। ডিটিএইচ সংযোগ দিতে ব্রডকাস্টিং কোম্পানি গ্রাহককে একটি ডিশ ও রিসিভার সেট প্রদান করবে যা, ডিশের মাধ্যমে সিগন্যাল গ্রহণ করে রিসিভিং সেটের সাহায্যে দর্শকরা টিভিতে বিভিন্ন চ্যানেল দেখতে পারবেন। ওই সেটের মাধ্যমেই শুধু গ্রাহকেরা কাঙিক্ষত চ্যানেলগুলো দেখার সুযোগ পাবেন। ডিটিএইচ’র অনেকগুলো সুবিধার একটি হচ্ছে গ্রাহকরা নিজেরাই পছন্দনীয় চ্যানেলগুলো বাছাই করতে পারবেন। কেবল অপারেটরের পছন্দে চ্যানেল দেখতে হবে না। কেবল সংযোগের মাধ্যমে এখন গ্রাহকেরা যে মানের ছবি দেখে থাকেন তার চেয়ে এর মান হবে অনেক উন্নত। বর্তমানে আমরা যে কেবলের মাধ্যমে টিভি দেখি তাতে সিগন্যাল ব্রেক হয়। অপরদিকে ডিটিএইচ প্রযুক্তিতে সিগন্যাল ব্রেক হয় না বলে উন্নতমানের সেবা পাওয়া যায়। গ্রাহক শুধু তার পছন্দমতো চ্যানেলগুলো ক্রয় করে মাসিক খরচের পরিমাণও কমিয়ে আনতে পারেন।
তারহীন উচ্চপ্রযুক্তির স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল প্রযুক্তি ডিটিএইচের (ডাইরেক্ট টু হোম) নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে শিগগিরই বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে ডিটিএইচ সেবা দেওয়ার লাইসেন্স পাওয়া দুই প্রতিষ্ঠান। কেবল অপারেটরদের ব্যাপক বাধা সত্ত্বেও দেশের দুটি বড় কম্পানীকে DTH সেবার অনুমতি দেয়। বাংলাদেশে এ সেবা দেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস লিমিটেড। বেক্সিমকোর অংশীদার হয়েছে রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগ ও শিল্প প্রতিষ্ঠান জিএস গ্রুপ। বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স লিমিটেড নামের এ যৌথ প্রকল্প জিএস গ্রুপের সমন্বিত প্রযুক্তি সেবা দেবে বাংলাদেশের গ্রাহকদের। জিএস গ্রুপ একটি বিনিয়োগ ও শিল্প প্রতিষ্ঠান, টেলিযোগাযোগ ও উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে তাদের বিশেষত্ব রয়েছে। তাদের মূল কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক ব্রডকাস্টিং প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন, আর অ্যান্ড ডি ও নেনোটেকনোলজি হিসেবে এসব ক্ষেত্রে পণ্য উৎপাদন, মাইক্রোইলেকট্রনিকস, টেকনোপলিস জিএস ইনোভেশন সেন্টারের নির্মাণ ও উন্নয়ন, কাঠ প্রক্রিয়াজাতকরণ, যৌথ প্রকল্পে বিনিয়োগ, মিডিয়া কন্টেন্ট তৈরি ও ব্যবস্থাপনা, সফটওয়্যার পণ্যের নকশা ও সমন্বয়, বিজ্ঞাপন, লজিস্টিক ও ট্রেড। ২০১৩ সালের ডিসেম্ব তাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়। প্রতিবছর ৪ লাখ নতুন গ্রাহকের কাছে সেবা পৌঁছানোর প্রাথমিক লক্ষ্য ঠিক করেছে কোম্পানিটি। যৌথ উদ্যোগে গৃহীত এই কার্যক্রমের আওতায় স্থানীয় বাংলা ও শীর্ষ আন্তর্জাতিক চ্যানেলগুলো উপভোগের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা। DTH সেবার অনুমতি পাওয়া অন্য প্রতিষ্ঠান বায়ার মিডিয়া লিমিটেড। লাইসেন্স ফি হিসেবে প্রতিষ্ঠান দুটি সরকারকে দুই কোটি করে চার কোটি টাকা দেয়। কিন্তু নীতিমালা না থাকায় এত দিনেও কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠান দুটি। ডিটিএইচ প্রযুক্তির লাইসেন্স অনুমোদন সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় দিলেও নীতিমালা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় বিটিআরসিকে। বিটিআরসি গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিটিএইচ নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু করে। কমিশনের তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা (এসএম) বিভাগ আট মাস সময় নিয়ে এ নীতিমালা তৈরী করেছে। বিটিআরসির সর্বশেষ ১৮৭তম কমিশন বৈঠকে ডিটিএইচ নীতিমালার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এবছর এপ্রিলের মাঝামাঝি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে অনুমোদন পাওয়া দুই প্রতিষ্ঠান।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: নুরু ভাই, এই আশায় ডিএইচ ক্রয় করে বসে আছি এক বছর হলো। টাটাকে টাকা দিতে দিতে জান শেষ কিন্তু টাটা রিসিভারে বাংলাদেশের একটা চ্যানেলও দেখা যায় না। খামাখাই বাংলার পয়সাগুলো নিয়ে যাচ্ছে।
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: সঠিক হবে, ওদের জ্বালায় আর না
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২
আমি মিন্টু বলেছেন: ভালো ব্যবস্থা তবে স্টার জলসা জি বাংলা মোট কথা ভারতের বাংলা কোন চ্যানেল যেন না থাকে ।
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩০
ঢাকাবাসী বলেছেন: খরচ কমবে না বাড়বে!
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৫
রাজীব বলেছেন: বুঝলাম!
আমাদের দেশর সবচেয়ে বড় ঋন খেলাপীর নতুন ব্যবসা।
৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩১
আবু শাকিল বলেছেন: খরচা পাতি কেমন হতে পারে??
৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২২
আহলান বলেছেন: আসুক ..পছন্দ অনুযায়ী অনুষ্ঠান দেখা যাবে ...
৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
প্রামানিক বলেছেন: খরচা পাতি তিন থেকে চার হাজার টাকার মধ্যেই হয়। আমি বত্রিশ শ’ টাকা খরচ করে লাগিয়েছি।
১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: তবে সুবিধা হলো প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলেও এই ডিস ব্যবহার করা যাবে এবং একাই একটি ডিস ব্যবহার করা যাবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: খুবই জরুরী।
অপরেটররা তো খুবই বদমায়েশ.............