নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
প্রথাবিরোধী ধর্মদর্শনের প্রাচীন ধারাবাহিকতার বাংলাদেশী রূপকার হলেন আরজ আলি মাতুব্বর। তিনি মনে করতেন পশু যেমন সামান্য জ্ঞান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে ধর্মবাদী ব্যক্তিগণও তেমনি সামান্য জ্ঞান নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেয়। নিজের প্রান্তিক জীবনের সাধারণ কয়েকটি ঘটনাতেই তিনি বুঝে নিয়েছেন তার ও তার সমাজের আচরিত ধর্মের স্বরূপ। ক্রমাগত গ্রন্থ পাঠে বুঝে নিয়েছেন এর কারণাবলী। এই অন্ধকারাচ্ছন্নতার বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল সুস্পষ্ট। তাই তিনি অনবরত প্রশ্নবাণে দগ্ধ করেছেন তথাকথিত সমাজপিতা ও তাদের আচরিত-প্রচারিত ধর্ম ও দর্শনকে। স্ব-শিক্ষিত দার্শনিক, চিন্তাবিদ এবং বিজ্ঞানমনস্ক লেখক আরজ আলী মাতুব্বরের লেখায় জগত ও জীবন সম্পর্কে নানামুখী জিজ্ঞাসা উঠে এসেছে যা থেকে তার প্রজ্ঞা, মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। তবে শহুরে মধ্যবিত্ত কিংবা গ্রামীণ ক্ষমতাবান কারও কাছেই আরজ আলী মাতুব্বর গ্রহণযোগ্যতা পাননি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ঘাটতি সত্ত্বেও সাহসীকতার সাথে তিনি কতিপয় বই লেখেন। বিশ্ব ও জীবন সম্পর্কে তাঁর দার্শনিক লেখা বিতর্কিত হয়ে পড়ে এবং তিনি ইসলাম-বিরোধী কর্মী হিসেবে সমালোচিত হন। তাঁর বইগুলো প্রকাশে অনেক বাধা পেরোতে হয়েছিলো কারণ তাঁর বইগুলো সর্বদাই সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধের হুমকিতে থাকত, কারণ তাঁর লেখনী রাষ্ট্রের সংখ্যাগুরু লোকদের মতের বিরুদ্ধাচারিত নির্দিষ্ট দাবিকৃত ধর্মীয় মত বা ভাবাদর্শ ধারণ করত। মাতুব্বরকে তাঁর বই - “সত্যের সন্ধানে”র (Sotyer Shondhaney") জন্য বন্দী করা হয় এবং পুলিশ হাজতে নেয়া হয়। দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও লেখক আরজ আলি মাতুব্বরের ১১৫তম জন্ম দিন আজ। ১৯০০ সালের আজকের দিনে তিনি বরিশালো জন্মগ্রহণ করেন। দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও প্রথাবিরোধী লেখক আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ফুলেল শুভেচ্ছা।
আরজ আলী মাতুব্বর ১৯০০ ইংরেজী সালের ১৭ই ডিসেম্বর মোতাবেক বাংলা ১৩০৭ সালের ৩রা পৌষ বরিশাল শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত লামছড়ি গ্রামে এক গরীব কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। স্ব-শিক্ষিত, দার্শনিক এই লেখকের প্রকৃত নাম ছিলো “আরজ আলী”। আঞ্চলিক ভূস্বামী হওয়ার সুবাধে তিনি “মাতুব্বর” নাম ধারণ করেন। তাঁর পিতার নাম এন্তাজ আলী মাতুব্বর। ১২বছর বয়সে তিনি তাঁর বাবাকে হারান। এর পরে দুই একরের (৮১০০ মিটার২) বসতবাড়িটি নিলামে উঠে। জমিজমাহীন বালক আরজ আলী স্থানীয় সুদখোরদের কাছে তখন তাঁদের পরিবারটি দেনার দায়ে পূর্বপুরুষের ভিটামাটি হারিয়ে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় পড়ে যায়। অন্যের দয়া দাক্ষিণ্যে বহু কষ্টে খেত খামারে কাজ করার কারণে আর দরিদ্র আরজ আলী আর স্কুলে পড়ার সুযোগ পান নি। আরজ আলী নিজ গ্রামের মুন্সি আবদুল করিমের মসজিদ দ্বারা পরিচালিত মক্তবে সীতানাথ বসাকের কাছে 'আদর্শলিপি' পড়তেন। দরিদ্রতার কারণে নিয়মানুবর্তিতার অভাবে তাঁকে মক্তব ছাড়তে হয়। এরপর তিনি কৃষিকাজে নিয়োজিত হন। পরে এক সহৃদয় ব্যক্তির সহায়তায় তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। সাথে সাথে তিনি নিজের ঐকান্তিক চেষ্টায় লেখাপড়া শিখতে থাকেন। নিজের জ্ঞানের পিপাসা মেটাতে তিনি বরিশাল লাইব্রেরীর সমস্ত বাংলা বই একজন মনোযোগী ছাত্রের ন্যায় পড়েন। দর্শন ছিলো তাঁর প্রিয় বিষয়। কিন্তু পাঠাগারে পর্যাপ্ত বই ছিলো না। পরে বিএম মহাবিদ্যালয়ের দর্শনের এক শিক্ষক – কাজী গোলাম কাদির তাঁর জ্ঞানগর্ভ বিচার দেখে মোহিত হন এবং তিনি মহাবিদ্যালয়ের পাঠাগার থেকে বই ধার দেয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এভাবেই তাঁর মানসিক আকৃতি গঠিত হয়। তিনি নিজ চেষ্টায় বিজ্ঞান ও দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করেন। জগত ও জীবন সম্পর্কে নানামুখী জিজ্ঞাসা তাঁর লেখায় উঠে এসেছে যা থেকে তাঁর প্রজ্ঞা, মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। আর্থিক সঙ্কটের কারণে, মাতুব্বর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কোর্স বা ডিগ্রী লাভ করতে পারেন নি। কৃষিকাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি জমি জরিপ বা আমিনের কাজ শিখে নেন। এরপর জমি জরিপের কাজকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। কৃষি ক্ষেতের জন্য এভাবে কিছু পুঁজি জমা করেন। একসময় মানুষ ও জীবন সম্পর্কে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগলে তিনি এ বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে নিজস্ব ধরনের চিন্তাভাবনা শুরু করেন। আরজ আলী মাতুব্বর সাম্যবাদী ঢঙের, অনেক অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেন। তাঁর লেখার জন্য তাঁকে ধর্মীয় ভাবমূর্তির প্রতিমাধ্বংসকারী হিসেবে বিবেচিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, তিনি ইসলামের বংশগতির ধারা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেন এবং স্বকীয় মত-বৈশিষ্ট্য একমতে আনতে ব্যর্থ হন।
লেখনীর কারণে আরজ আলী মাতুব্বর যতবার ধর্মীয় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ততবারই তাঁকে হুমকি ও হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। বাংলাদেশে, তাঁর লেখা যে সব বইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ (সেন্সর) করা হয় সেগুলো হলঃ
১। সত্যের সন্ধানে, (The Quest for Truth) (১৯৭৩), ২। সৃষ্টির রহস্য, (The Mystery of Creation) (1১৯৭৭), ৩। অনুমান, (Estimation) (১৯৮৩), ৪। মুক্তমন (Free Mind) (১৯৮৮)
১৩৯২ সালে বাংলা একাডেমী আরজ আলী মাতুব্বরকে আজীবন সদস্য পদ প্রদান এবং বাংলা ১৩৯২ সালের ১লা বৈশাখ নববর্ষ সংবর্ধনা জ্ঞাপন করে। ১৩৮৫ বঙ্গাব্দে হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন, ১৩৯২ বঙ্গাব্দে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী কর্তৃক বরণীয় মনীষী হিসেবে সম্মাননা লাভ করেন। এছাড়াও বিজ্ঞানচেতনা পরিষদ প্রতি বছর তার স্মরনে আরজ আলী মাতুব্বর স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে থাকে। মৃত্যুর পরে তাঁর কিছু অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি আরজ আলী মাতুব্বরের রচনাবলী শিরোনামে প্রকাশিত হয়। তাঁর কিছু লেখা ইংরেজীতে ভাষান্তর করা হয় এবং পাঠক সমাবেশ কর্তৃক সেগুলো খন্ডাকারে আবদ্ধ করা হয়। এছাড়া তার আরো কতিপয় প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে। সেগুলো হচ্ছেঃ ১। ম্যাকগ্লেসান চুলা (১৯৫০), ২। স্মরণিকা (১৯৮২)
১৯৮৫ সালের ১৫ মার্চ মোতাবেক বাংলা ১৩৯২ সালের ১লা চৈত্র বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরলোকগমন করেন দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর মানবতার সেবায় মরণোত্তর চক্ষুদান এবং মেডিকেলের ছাত্রদের শিক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ-এর এনাটমি বিভাগে মরণোত্তর দেহদান করেন আরজ আলি মাতুব্বর। দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও লেখক আরজ আলি মাতুব্বরের ১১৫তম জন্ম দিন আজ। প্রথাবিরোধী লেখক আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: না জা্না দোষের নয়
তবে জানতে না চাওয়া অপরাধ!!
জানাতে এবং চানতে চাই গুণীজনদের।
সাথে থাকুন রবার, শুভেচ্ছা জানবেন।
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রথাবিরোধী লেখক আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ সাধু ভাইয়া
মন্তব্যের জন্য।
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বাংলাদেশের প্রথম স্বশিক্ষিত দার্শনিক এবং আলোকিত ব্যক্তিত্ব।
ধন্যবাদ, নূরু ভাই
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: মাইনুল ভাই শুভেচ্ছা জানবেন
অনেকদিন পরে আপনা্র মন্তব্যে
প্রাপ্তির পাল্লা ভারী হলো।
৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুবই কঠোর বাস্তবতার মাঝ দিয়েই উঠে এসেছেন একজন আরজ আলী মাতুব্বর!
হালকা ধারনা ছিল । আপনার লেখায় উনার পুরো জীবন চরিত্রের সাংসংক্ষেপ জানতে পারলাম।
প্রথা বিরোধীতা সব-সময়ই নিন্দিত হয় মানুষৈর স্বার্থের প্রতিমা পূজার কারণে। যেই প্রতিমা ধ্বংস করতে ইসলাম বারবরা তাগিদ দিয়েছে। মাটির পুতুলের বেশী বেশী ক্ষতিকর এই অন্তর্গত ভুত!
উনার আত্মার মুক্তি কামনা করছি এই স্মরণদিনে।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ভৃগু'দা চমৎকার মন্তব্যে প্রথাবিরোধী লেখক,
স্ব-শিক্ষিত দার্শনিক আরজ আলী মুতুব্বরের
জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ।
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২
মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: অারজ অালী মাতুব্বর এর সত্যের সন্ধানে (১৯৭৩ প্রকাশিত) বইটা পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। রীতিমতো ভাষাহীন আমি। তাঁর তথ্যানুসন্ধান, যুক্তি, বৈজ্ঞানিক সমাধান এক কথায় অভিভূত হওয়ার মতো। ভাবতে অবাক লাগে আজ থেকে প্রায় ৪২ বছর আগে কতোটা মেধাবী হলে এরকম একটা বই লিখা যায়!
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ রাহীম উদ্দিন ভাই,
চমৎকার ভাবে মূল্যায়িত হলো
অবহেলিত আরজ আলী মাতুব্বর
আপনার মন্তব্যে।
৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
গরল বলেছেন: উনার লেখা পড়ার সুযোগ হয়েছিল আমার, দূর্ভাগ্য উনার মত মনিষীদের কেউ আমরা চিনি না। আপনাকে ধন্যবাদ উনার জন্মদিনে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য। উনার লেখা বাকি বইগুলো কোথায় পাব জানলে কৃতজ্ঞ থাকব।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ গড়ল
মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো
উপেক্ষিত দার্শনিক আরজস আলী মাতুব্বরের বই কোথায় পাওয়া যাবে জানিনা্,
তবে এই লিংকে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
আপনি উপরের লিংক এ ভিজিট করলে আশা করি
আরজ আলী মাতুব্বরের বই ফ্রি ডাউন লোড করতে পারবেন।
সফল হলে জানাবেন। ধন্যবাদ আবারো আপনাকে সাথে থাকার জন্য।
৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২১
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: ওনাকে নিয়ে এই প্রথম কোনো লেখা পড়লাম ।লেখার জন্য ধন্যবাদ ।আর আরজ আলী
মাতুব্বরের
জন্মবার্ষিকীর শুভেচ্ছা ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে shahadath hossain
ভালো লাগলো আপনার সরলউক্তি!!
ধন্যবাদ আপনাকে, শুভেচ্ছা জানবেন।
৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
নেক্সাস বলেছেন: আরজ আলি মাতব্বরের জন্মদিনে শুভেচ্ছা
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাস
আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মদিনে
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
নিয়ার বলেছেন: আরজ আলী মাতুব্বরের প্রতি শ্রদ্ধা। তিনি দেখিয়ে গেছেন কিভাবে অযৌক্তিক বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে হয়।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ নিয়ার
যথার্থই বলেছেন।
শুভেচ্ছা রইলো।
১০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
সরদার হারুন বলেছেন: Personally he was known to me.Some of his questins to know the truth can be found in my blog.
/
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: Thanks Harun Bhai,
You are lucky!!
১১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১
গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: আরুজ আলী মাতুব্বরের প্রতি শ্রদ্ধা।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ গোল্ডেন গ্লাইডার
আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মদিনে
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
১২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আরজ আলী মাতুব্বর সাহেব বাংলাদেশের অন্যতম একজন কৃতিসন্তান। উনার লেখার ভক্ত আমিও। এই গুণী'র জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার দেরীতে হলেও
আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মদিনে
শুভেচ্ছা জানানো্র জন্য।
১৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাস্কর্যের ছাত্র মুজিবর ভাই ও আরও কিছু বরিশালের ছাত্রদের সাথে একজন লুঙ্গি পরা কালো রঙের মুখ, সাদা দাড়ি , ময়লা পাঞ্জাবি পরিহিত লোক হলের রাস্তা দিয়ে বেরুচ্ছেন সকালে। আমি বারান্দায় আমার পাশের জনকে জিজ্ঞাসা করলাম কে ইনি যাকে এরা বেশ সমীহ করে হাঁটছে ? সে বলল ইনি আরজ আলি মাতুব্বর। তার সম্পরকে কিছু শুনলাম কিন্তু তাকে জানিনা বলেই খুব আগ্রহের সাথে নিলাম না। বিদেশে প্রায় দশক বাদে বাংলা পত্রিকায় তাকে নিয়ে আলোচনা দেখলাম। দেশে ফিরে কোথাও তার লেখা পেয়ে পড়লাম। ২০০০ সালের দিকে একুশের মেলায় তার বই কিনে পড়লাম। তার নাস্তিক্যবাদ খুব ভাল লাগেনি আবার তার যৌক্তিক কথার জবাব দিতে পারিনি। একটা দন্ধ আর দ্বিধাচলে তাকে রেখেছি মনের মাঝে। ভাল লাগলো মাতুব্বরকে নিয়ে আলাপ আলোচনা ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যেমন তার যুক্তি খণ্ডন করা যায়না
তেমনি তার নাস্তিকতাবাদ মেনেও নেওয়া যায়না।
ধন্যবাদ আজিজ ভাই
চমৎকার মূল্যায়ন!!
১৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২
লিও কোড়াইয়া বলেছেন: আরজ আলি মাতুব্বর- নামটা আজই প্রথম শুনলাম।
বিশ্ব ও জীবন সম্পর্কে তাঁর দার্শনিক লেখা বিতর্কিত হয়ে পড়ে এবং তিনি ইসলাম-বিরোধী কর্মী হিসেবে সমালোচিত হন।
উনি স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন শুনে ভালো লাগলো। এই যুগে জন্ম নিলে চাপাতির আঘাতেও মৃত্যু বরণ করতে পারতেন। এই রকম একজন গুণী লেখকের জীবন বৃত্তান্ত পড়ে ভালো লাগলো। উপরের কমেন্টে আপনার লিংক পেয়েছি। উনার বই ডাউনলোড দিয়ে পড়বো।
ধন্যবাদ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লিও কোড়াইয়া,
সম্ভব হলে তাঁর লেখাগুলো পড়বেন
আরো বেশী জানার জন্য।
১৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ফুলেল শুভেচ্ছা
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ মেঘনা পাড়ের ছেলে
মন্তব্যের জন্য।
১৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮
আরব বেদুঈন বলেছেন: ১ আল্লাহর রূপ কি?
জগতের প্রায় সকল ধর্মই এ কথা স্বীকার করে যে,ঈশ্বর অদ্বিতীয় নিরাকার ও সর্বব্যাপী। কথা কয়টি অতীব সহজ ও সরল। কিন্তু যখন হিন্দুদের মুখে শোনা যায় যে,সৃষ্টি পালনের উদ্দেশ্যে ভগবান মাঝে মাঝে সাকারও হইয়া থাকেন ও যুগে যুগে “অবতার” রূপে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়া লীলা প্রকাশ করেন এবং যখন খৃষ্টানদের নিকট শোনা যায় যে,পরম সত্তা “ভগবান,মশীহ্,পরমাত্মা”-এই ত্রিত্বে প্রকাশ পাইতেছে; আবার
সত্যের সন্ধান পৃ ১৩
যখন মুসলিম ধর্মযাজকদের নিকট শোনা যায় যে,আল্লাহতা’লা আরশে “কুরছির” উপর বসিয়া রেজওয়ান নামক ফেরেস্তার সাহায্যে বেহেস্ত,মালেক নামক ফেরেস্তার সাহায্যে দোজখ,জেব্রাইলের সাহায্যে সংবাদ এবং মেকাইলকে দিয়া খাদ্য বণ্টন ও আবহাওয়া পরিচালনা করেন — তখনই মন ধাধাঁয় পড়ে,বৃদ্ধি বিগড়াইয়া যায়। মনে প্রশ্ন জাগিতে থাকে — নিরাকার সর্বশক্তিমান ভগবানের সৃষ্টি পালনে সাকার হইতে হইবে কেন? অদ্বিতীয় ঈশ্বরের মহত্ত্ব প্রকাশে ত্রিত্বের আবশ্যক কি? সর্বব্যাপী আল্লাহ্তা’লার স্থায়ী আসনে অবস্থান কিরূপ এবং বিশ্বজগতের কার্য পরিচালনার জন্য ফেরেস্তার সাহায্যের আবশ্যক কি?
২ খোদাতাআ’লা কি মনুষ্য ভাবাপন্ন?
আল্লাহ্তা’লা দেখেন,শোনেন,বলেন ইত্যাদি শুনিয়া সাধারণ মানুষের মনে স্বতঃই প্রশ্ন জাগে — তবে কি আল্লাহ্ র চোখ,কান ও মুখ আছে? কেহ কেহ বলিয়া থাকেন যে আছে। তবে তাহা মানুষের মত নয়, কুদরতি। কিন্তু “কুদরতি” বলিতে কিরূপ বুঝায়,তাহা তাঁহারা ব্যাখ্যা করেন না। আবার যখন শোনা যায় যে,খোদাতা’লা অন্যায় দেখিলে ক্রুদ্ধ হন,পাপীদের ঘৃণা করেন,কোন কোন কাজে খুশী হ’ন ও কোন কোন কাজে হ’ন বেজার। তখন মানুষ ভাবে খোদার কি মানুষের মতই মন আছে? আর খোদার মনেবৃত্তিগুলি কি মানুষেরই অনুরূপ? ইহারও উত্তর আসে যে,উহা বুঝিবার ক্ষমতা মানুষের নাই। আবার যখন চিন্তা করা যায় যে, খোদাতা’লার জগত-শাসন প্রণালী বহুলাংশে একজন সম্রাটের মত কেন এবং তাঁর এত আমলা-কর্মচারীর বাহুল্য কেন? উহার উত্তর পাওয়া যায় যে,সম্রাট হইলে তিনি অদ্বিতীয় সম্রাট, বাদশাহের বাদশাহ্,ক্ষমতার অসীম।
উত্তর যাহা পাওয়া গেল,তাহাতে অসাধারণ যাহাদের মনীষা তাঁহারা হয়ত বুঝিলেন,কিন্তু সাধারণ মানুষ ইহাতে কিছু বুঝিতে পাইল কি?
৩ স্রষ্টা কি সৃষ্ট হইতে ভিন্ন?
ঈশ্বর যদি তাঁহার সৃষ্ট পদার্থ হইতে ভিন্ন হন, তাহা হলে তাঁহার সর্বব্যাপিত্ব থাকিতে পারে না এবং ঈশ্বরের সর্বব্যাপিত্ব অক্ষুণ্ন থাকিলে কোন সৃষ্ট-পদার্থ এমন কি পদার্থের অণু-পরমাণুও ঈশ্বর-শূন্য হইতে পারে না। অর্থাৎ বিশ্বের যাবতীয় পদার্থই ঈশ্বরময়। মূল কথা — বিশ্ব ঈশ্বরময়, ঈশ্বর বিশ্বময়।
ধর্ম যদিও ঈশ্বরের সর্বব্যাপিত্বে সন্দেহ করে না, কিন্তু একথাও নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করে না যে, জগতের যাবতীয় জৈব-অজৈব পাক এবং নাপাক সকল বস্তুই ঈশ্বরে ভরপুর। বিশ্বাস যদি করিত, তবে নাপাক বস্তুকে ঘৃণা করিবার কারণ কি?
এখন এই উভয় সংকট হইতে ধর্মে বিশ্বাস বাঁচাইয়া রাখার উপায় কি?
৪ ঈশ্বর কি স্বেচ্ছাচারী না নিয়মতান্ত্রিক?
‘নিয়মতন্ত্র’ হইল কোন নির্ধারিত বিধান মানিয়া চলা এবং উহা উপেক্ষা করাই হইল ‘স্বেচ্ছাচারিতা’। ঈশ্বর স্বেচ্ছাচারী হইলে তাহার মহত্ত্বের লাঘব হয় এবং নিয়মতান্ত্রিক হইলে তিনি তাঁর ভক্তদের অনুরোধ রক্ষা করেন কিরূপে?
সুপারিশ রক্ষার অর্থই হইল,আপন ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ করা। অর্থাৎ স্বয়ং যাহা করিতেন না,তাহাই করা। ঈশ্বর কোন ব্যক্তি বিশেষের অনুরোধ বা সুপারিশে আপন ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ করিবেন না?
৫ আল্লাহ ন্যায়বান না দয়ালু?
অন্যান্য ক্ষেত্রে যাহাই হউক না কেন,বিচার-ক্ষেত্রে ‘ন্যায়’ ও ‘দয়া’-এর একত্র সমাবেশ অসম্ভব। কেননা দয়া করিলে ন্যায়কে উপেক্ষা করিতে হইবে এবং ন্যায়কে বজায় রাখিতে হইলে দয়া-মায়া বিসর্জন দিতে হইবে।
বলা হয় যে,আল্লাহ্ ন্যায়বান এবং দয়ালু। ইহা কিরূপে সম্ভব? তবে কি তিনি কোন ক্ষেত্রে ন্যায়বান আর কেন ক্ষেত্রে দয়ালু?
সত্যের সন্ধান পৃ ১৪
৬ আল্লাহর অনিচ্ছায় কোন ঘটনা ঘটে কি?
বলা হয় যে,আল্লাহ্র অনিচ্ছায় কোন ঘটনা ঘটে না। এমনকি গাছের পাতাটিও নড়ে না। বিশেষত তাঁর অনিচ্ছায় যদি কোন ঘটনা ঘটতে পারে তাহা হইলে তাঁহার ‘সর্বশক্তিমান’ নামের সার্থকতা কোথায়? আর যদি আল্লাহর ইচ্ছায়ই সকল ঘটনা ঘটে তবে জীবের দোষ বা পাপ কি?
৭ নিরাকারের সাথে নিরাকারের পার্থক্য কি?
‘আল্লাহ্’ নিরাকার এবং জীবের ‘প্রাণ’ও নিরাকার। যদি উভয়ই নিরাকার হয়, তবে ‘আল্লাহ’ এবং ‘প্রাণ’ — এই দুইটি নিরাকারের মধ্যে পার্থক্য কি?
৮ নিরাকার পদার্থ দৃষ্টিগোচর হয় কিরূপে?
ধর্মযাজকদের নিকট শোনা যায় যে, বেহেস্তে বিশ্বাসীগণকে আল্লাহ (নূর ও আলোরূপে) দর্শন দান করিবেন। যিনি চির অনন্ত,চির অসীম,তিনি কি চির-নিরাকার নহেন?
বিজ্ঞানীদের মতে — স্থূল অথবা সূক্ষ্ম, যে রূপেই হউক না কেন,কোন রকম পদার্থ না হইলে তাহা দৃষ্টিগোচর হয় না। আলো একটি পদার্থ। উহার গতি আছে এবং ওজনও আছে। নিরাকার আল্লাহ যদি তাঁর ভক্তদের মনোরঞ্জেনের জন্য নূর বা আলো রূপ গ্রহণ করিতে পারেন,তা হলে হিন্দুদের ভগবানের ভিন্ন ভিন্ন রূপে আত্মপ্রকাশে অর্থাৎ অবতারে দোষ কি?
৯ স্থান,কাল ও শক্তি — সৃষ্ট না অসৃষ্ট?
এ কথা সত্য যে,‘সৃষ্টিকর্তা’ বলিয়া যদি কেহ থাকেন,তবে তিনি হইবেন এক ও অদ্বিতীয়। কিন্তু ধর্মজগতে তাঁহাকে চিত্রিত করা হইয়াছে বিবিধ রূপে এবং তাঁহার সংজ্ঞা ও সংখ্যা সব ক্ষেত্রে এক রকম নহে। বিশেষত ধর্মরাজ্যে তাঁহার পরিচয় পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রেই ‘ব্যক্তি’ রূপে। বলা হয় যে,ঈশ্বর অনাদি,অনন্ত,অসীম ও নিরাকার; অথচ প্রত্যক্ষে না হইলেও পরোক্ষে তাঁহার চোখ,মুখ ও কান আছে — তাহার আভাস পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রে। এমন কি তাঁহার পুত্র-কন্যা-পরিবারেরও বর্ণনা পাওয়া যায় কোন কোন ক্ষেত্রে।
সৃষ্টিকর্তা হইলেন — যিনি সৃষ্টি করেন বা করিয়াছেন। কোন সৃষ্ট পদার্থ স্রষ্টার চেয়ে বয়সে অধিক হইতে পারে না, এমন কি সমবয়সীও না। কোন কুমার একটি হাঁড়ি তৈয়ার করিল, এক্ষেত্রে হাঁড়ি কখনও কুমারের বয়োঃজ্যেষ্ঠ বা সমবয়সী হইতে পারে না। অর্থাৎ কর্তার আগে কর্ম অথবা কর্তা ও কর্ম একই মুহূর্তে জন্মিতে পারে না, ইহাই স্বতঃসিদ্ধ নিয়ম।
কোন পদার্থের সৃষ্টিকাল যতই অতীত বা মহাতীত হউক না কেন, উহা কখনও অনাদি হইতে পারে না। যাহা ‘সৃষ্টি’ তাহা নিশ্চয়ই কোন এক সময়ে উৎপত্তি হইয়া থাকিবে। কিন্তু বিশ্বে এমন কোন কোন বিষয় আছে,আমরা যাহার আদি,অন্ত,সীমা ও আকার কল্পনা করিতে পারি না। যেমন,স্থান,কাল ও শক্তি। বলা হইয়া থাকে যে,ঈশ্বর অনাদি,অনন্ত,অসীম ও নিরাকার। পক্ষান্তরে স্থান,কাল এবং শক্তিও অনাদি, অনন্ত,অসীম ও নিরাকার। যথা ক্রমে এ বিষয় আলোচনা করিতেছি।
এইগুলি কি ঘোড়ার ডীম??/আপনি বইয়ের কথা বললেন না ঐ বইয়ের ইই লেখা???এগুলিতে আল্লাহ কে আনেক আনেক বড় কররা হয়েছে তাই তো/
১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০
আরব বেদুঈন বলেছেন: আল্লাহ কে নিয়ে কুটুক্তি করছে আর মানুষ সেই কাফেরের প্রসংসাই পঞ্চমুখ!!!
১৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আরজ আলী মাতুব্বরের সব গুলো বই আমি একাধিকবার পড়েছি --- প্রথমবার পড়ার সময় আমি তার লেখনীর প্রতি দুর্বল হয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু যতবার পড়েছি ততবারই মনে হয়েছে যে তার কথা বলার ক্ষেত্রে যুক্তির দেয়ার একটা প্রখরতা ছিল বটে - কিন্তু অতি খোড়া যুক্তি দিয়ে সত্য উদঘাটন করতে গেলে তাকে আরো বেশি বেশি যুক্তির পেছনেই দৌড়াতে হবে, কারণের কারণ খুঁজে রুট কজে গেলে একসময় তিনি আস্তিকতার রূপ দেখতে পেত !!!!!! যাইহোক তার লেখার আসল বিষয় বস্তু নাস্তিক্যবাদ -------
১৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
সুখী পৃথিবীর পথে বলেছেন: প্রথমত দার্শনিক জনাব আরজ আলী মাতুব্বর এর জন্ম দিনে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। লেখককে ও বিষয়টি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আমরা অনেকেই বিষয়ের গভীরতায় না গিয়ে উত্তেজিত হয়ে যাই। যেমনটি দার্শনিক জনাব আরজ আলী মাতুব্বর এর বেলায় হয়েছিল। অতীতে ও সকল দার্শনিক ও ধর্ম প্রচারকদের বেলায় এরকম উদাহরন পাওয়া যায়।
২০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৩
উল্টা দূরবীন বলেছেন: আরুজ আলী মাতুব্বরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সুন্দর লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩০
এম মিজানুর রহমান বলেছেন: নুরু ভাইকে ধন্যবাদ " একজন " আরজ আলী সম্মন্ধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার জন্য । তিনি সত্যিই ক্ষণজন্মা সাধক পুরুষ ছিলেন । উনার সম্মন্ধ্যে আমি যত টুকু জেনেছি তা খুবই সামান্য । তবে এটা সত্য যে তাঁর তুলনা একমাত্র তিনি নিজেই । তাঁর নাস্তিক্যবাদের জন্য তাঁকে দোষারোপ না করে তাঁকে আরও জানা দরকার । স্যার ইকবাল-কে নাস্তিক উপাধি দেয়া হয়েছিল । জবাবে শিকওয়া লেখার পর স্যার ইকবাল ও আলিম সমাজের কাছে আত্মিক মহা গুরু বলে বিবেচিত হয়ে ছিলেন । আমরা শুধু নিজেকে জাহির করার জন্য ওপরের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করি । তাঁকে বুঝতে পারিনি এটা বলায় দোষ নেই । না জেনে তাঁকে ভুল বোঝা অবশ্যই দোষের । এরকম অনেক কথা বলা যাবে তাঁকে নিয়ে । আমি জানি না একথা বলার চেয়ে আমি জানতে চাই না বলা খুবই অযৌক্তিক এবং দোষের বটে । ------------------------- আরও-------------- আরও------------- ।
২২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
ধমনী বলেছেন: লাইলী আরজুমান খান লায়লা আপুর সাথে সহমত।
২৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০১
প্রামানিক বলেছেন: আমি তার লেখা সব পড়েছি। তিনি নাস্তিকতা নিয়ে যে সমস্ত প্রশ্ন করে গেছেন তার উত্তরও ইচ্ছা করলে তিনি দিতে পারতেন।
২৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩
নরাধম বলেছেন: একজন অল্পশিক্ষিত হয়েও যুক্তির চর্চা করেছেন সেটা প্রশংসনীয়। তবে আরো বেশি দার্শনিক যুক্তির চর্চা করার মত বিদ্যা থাকলে তিনি নিজের প্রশ্নের জবাব নিজেই পেয়ে যেতেন, কেননা তাঁর অনেকগুলো প্রশ্ন নিতান্তই বালখিল্য এবং হাজার বছর আগেই বেশিরভাগ প্রশ্নের জবাব ইসলামী স্কলাররা দিয়ে গেছেন।
২৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২০
একাত্তরের বাংলাদেশ বলেছেন: তার অধিকাংশ রচনাই পড়েছি। তার যুক্তিগুলোর অধিকাংশই শিশুসুলভ ও আবেগজাত! তবে যুগের থেকে এগিয়ে ছিলেন তিনি। ধন্যবাদ।
২৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৬
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
যেমন তার যুক্তি খণ্ডন করা যায়না
তেমনি তার নাস্তিকতাবাদ মেনেও নেওয়া যায়না।
(অাপনার লেখা নবীজির মেরাজ পড়েছি, অাপনি এক আশ্চর্য মানুষরে ভাই!) সারাজীবন জীবনী লিখেই কাটাবেন?
২৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
blackant বলেছেন: নাস্তিকতা , যৌনতা , নগ্নতা , বিশেষ করে ইসলাম বিরধিতা নিয়ে লিখলে সহজেই বিখ্যত হওয়া যায় । যখন কেও বলে স্রস্টা নাই তখন সবাই খুশি , কেও প্রশ্ন তুলে না কেন থাকবে না? অপর পক্ষে স্রস্টা আছে শুনলেই নানা প্রশ্ন ! আমার প্রশ্ন ঃ আমরা মানব এত বুঝি যে ,এত কল্পনা করতে পারি যে. তবে শিশু কালের (2বছর ) পর্যন্ত এক্তি বাক্য মনে নেই কেন?
আমাদের মেধা , ভাবার শক্তি কি আসলেই পর্যাপ্ত?
দ্য হলি কোরআন এর ৬৬৬৬ আয়েতের প্রায় ১০০০ টি আয়াত সরাসরি বিজ্ঞান নিয়ে অভুতপুর্ব বানী দিয়েছে । আমরা সেগুলো পড়েছি কি ?
কোরআনের এই চমক জাগানো কথাগুলো কেন প্রভুর হবে না ? সেই প্রশ্ন কেই মনের কছে তুলেছেন কি? মানুষের কাছে তুলেছেন কি ? তুলেন নি । কারন এতে আপ্নার খ্যতি বাড়বে না । আপ্নি পরিচিত হবেন খ্যত মউলবাদি হিসেবে ।
হা হা হা ...।।পৃথিবীর কি অদ্ভুত নিওম ।
শেষ বিচারের দিন অন্যতম একটা প্রশ্ন হবে তা হল ঃ
তুমি যা সত্য বলে জেনেছ তা কতটা পালন করেছ ???
২৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
মিতক্ষরা বলেছেন: আরজ আলী মাতুব্বর প্রমান করে গিয়েছেন বাংগালী মুসলিম সমাজ এক উদার সমাজ, যে সমাজে বসে ইসলামকে অবিশ্বাস করে সত্যের সন্ধানে বই লেখা যায়। আমি একজন ধর্মপ্রান মুসলিম এবং আরজ আলী মাতুব্বরের এই সব প্রশ্ন স্বভাবতই প্রত্যাখ্যান করি। এই সব প্রশ্নের কখনও অনুসন্ধানও করিনা কেননা আমি কিংবা আমার মত বিশ্বাসীরা আল্লাহ প্রদত্ত স্বল্প জ্ঞান নিয়ে সন্তুষ্ট। কিন্তু বাংগালী মুসলিম সমাজের মাঝে বসে লেখা আরজ আলী মাতুব্বরের এই বই প্রমান করে মসজিদের ভারে আক্রান্ত বাংলাদেশের মানুষ নাস্তিকতাকে উপেক্ষা করার মানসিকতা রাখে।
২৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৫
উইশবার্ড বলেছেন: BHALO LAGLO
৩০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
কমরেড নীল বলেছেন: স্ব-শিক্ষিত দার্শনিক আরজ আলী মুতুব্বরের
জন্মদিনে শুভেচ্ছা
৩১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩
তানিয়া হাসান খান বলেছেন: আরব বেদুঈন বলেছেন: আল্লাহ কে নিয়ে কুটুক্তি করছে আর মানুষ সেই কাফেরের প্রসংসাই পঞ্চমুখ!!!
নরাধম বলেছেন: একজন অল্পশিক্ষিত হয়েও যুক্তির চর্চা করেছেন সেটা প্রশংসনীয়। তবে আরো বেশি দার্শনিক যুক্তির চর্চা করার মত বিদ্যা থাকলে তিনি নিজের প্রশ্নের জবাব নিজেই পেয়ে যেতেন, কেননা তাঁর অনেকগুলো প্রশ্ন নিতান্তই বালখিল্য এবং হাজার বছর আগেই বেশিরভাগ প্রশ্নের জবাব ইসলামী স্কলাররা দিয়ে গেছেন।
সহমত ..জানাই দুজনকে.।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪
রাবার বলেছেন: উনার নাম শুনি নাই আগে