নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ ২৫ নভেম্বর, ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর দ্য এলিমিনেশন অব ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন’ বা আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস। মানবতার বিপর্যয়ে, মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শিকার হয় নারী ও শিশু। এই প্রবণতা শুধু দুঃখজনকই নয়, ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট নারীর ৭ শতাংশের জীবনে যে কোনো সময় পুরুষ কর্তৃক শারীরিক সহিংসতার শিকার হতে হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীরা গৃহ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। সম্প্রতি নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা আর্ত-সামাজিক সাংস্কৃতিক সমস্যায় পরিগণিত হয়েছে। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, পরিবর্তিত হচ্ছে সমাজ কাঠামো, বিকশিত হচ্ছে সভ্যতা। পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে মানুষের জীবনযাত্রায়। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য, বন্ধ হয়নি নারী নির্যাতন। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী এবং সমাজের উন্নয়নে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। উন্নয়নের যে কোনো ধারাকে গতিশীল করতে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ জরুরি। আর এই পরিপ্রেক্ষিতে নারীর শিক্ষা থেকে শুরু করে যাবতীয় নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব। যদি কোনোভাবে নারীর এসব অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়তে থাকে তবে তা যেমন দুঃখজনক, অন্যদিকে জাতীয় জীবনে উন্নতির ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধক। আন্তর্জাতিকভাবেও নারীর প্রতি সহিংসতাকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কেননা এ লঙ্ঘন বারবার মানবতা, অর্থনীতি, সমাজ সর্বোপরি দেশের যাবতীয় উন্নয়নকেই বাধাগ্রস্ত করে। যা কোনো ভাবেই প্রত্যাশিত নয়। নারীর উপর সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ১৯৮১ সালে ল্যাটিন আমেরিকার নারীদের সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর ‘নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস’ ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৩ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলনে এ দিবসটি স্বীকৃতি পায়। তখন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘে নারীর প্রতি সহিংসতা বিলোপ-সংক্রান্ত ঘোষণায় বলা হয়েছে, এমন কোনও কাজ যা নারীর দৈহিক, যৌন কিংবা মানসিক ক্ষতির কারণ হয় কিংবা সামাজিক ও ব্যক্তিজীবনে নারীর স্বাধীনতাকে জোরপূর্বক হরণ করে, তাকেই নারীর প্রতি সহিংসতা বলা যায়। ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের খসড়া অনুমোদন করে প্রতিবছর ২৫ নভেম্বরকে আনুষ্ঠানিকভাবে 'আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন দূরীকরণ দিবস' হিসেবে গ্রহণ করেছে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ব্যক্তি থেকে সমাজ, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। এ ক্ষেত্রে নিজে নির্যাতন থেকে দূরে থাকলেই চলবে না, সেই সঙ্গে আমাদের আশপাশে ঘটে যাওয়া যেকোনো নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। আর এ জন্য পরিবর্তন প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির। ইংরেজীতে একটি প্রবাদ রয়েছে – “ Prevention is better than Cure” প্রবাদটি একেবারেই মিথ্যে নয়। প্রতিকারের আগে প্রতিরোধ করা উত্তম। তাই আসুন, আমরা সহমর্মী ও সমব্যথি হয়ে সহিংসতার শিকার নারীর পাশে দাঁড়াই, নারীর উপর সহিংসতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি, সহিংসতার ঘটনা লুকিয়ে না রেখে দোষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে এবং বিচার পেতে সহিংসতার শিকার নারীকে সহযোগিতা করি। নারী-পুরুষ সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারলে তবেই তা হবে সত্যিকারের অর্জন।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: হুম!! ঠিক থাকারই কথা!!
তবে ব্যতিক্রম যে হয় না তা কিন্তু নয়।
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন:
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: যে নারীর স্বামী পরলোক গমন করিয়াছে
তাহাদের পরিচয় কি হইবে?
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০১
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: যে পুরুষের স্ত্রী মারা গিয়েছে সেই পুরুষের কি নাম হওয়া উচিৎ ছিল ? :SS
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আমার জানা মতে যে পুরুষের স্ত্রৃী মারা গেছে তি্নি "বিপত্নীক"।
অর্থাৎ যার পত্নী বিয়োগ হয়েছে। তেমনি যে নারীর স্বামী
নাই তিনি বিধবা অর্থ্যাৎ যার ধব (স্বামী) না্ই। অভিধান মতে
বিধবা মানে যে নারীর ধব বা স্বামী মৃত, পতিহীনা, মৃতভর্তৃকা।
শব্দটির গঠন হচ্ছে সংস্কৃত বি + ধব + আ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
হোসেন মালিক বলেছেন: ঠিক আছে ইনশা আল্লাহ