নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ নারী ভারতের প্রথম ও আজ পর্যন্ত একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭


ভারতের তৃতীয় এবং প্রথম ও আজ পর্যন্ত একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী। ডাক নাম ইন্দিরা। ইন্দিরা গান্ধী নামেই যিনি সমধিক পরিচিত। গন্ধী পরিবারে তিন প্রজন্ম ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকৃত করে ছিলেন। তাঁর পিতা জওহরলাল নেহরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর ছেলে রাজীব গান্ধীও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী রেকর্ড সংখ্যক চারবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিনি ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত (১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টবর পর্যন্ত) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ইন্দিরা গান্ধীর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আর কোন নারী এখনো আসেননি। বিশ্বের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ই তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রিতে সম্মানিত করেছে। তাঁর উজ্জ্বল ছাত্র জীবনের সুবাদে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও তাঁকে বিশেষভাবে সম্মান জানিয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। শৈশবে তিনি ‘বাল চড়কা সঙ্ঘ’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে, ১৯৩০ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় কংগ্রেসকে সাহায্য করার জন্য ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে তিনি গড়ে তোলেন ‘বানর সেনা’। তাঁকে কারাবন্দী করা হয় ১৯৪২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ১৯৪৭ সালে মহাত্মা গান্ধীর নির্দেশে তিনি দিল্লির দাঙ্গা বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে কাজ করেছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর রয়েছে অসামান্য অবদান। তিনি শুধু এক কোটি বাংলাদেশীকে আশ্রয় ও খাওয়া-পরার ব্যবস্থাই করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেন। আর বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছেন। এমনকি মার্কিন রক্তচক্ষুর বিপরীতে এক অনন্য অবস্থানও নেন তিনি। ১৯৯৯ সালে বিবিসি আয়োজিত এক জনমত জরিপে ইন্দিরা গান্ধী শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ নারী নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালের আজকের দিনে ভারতের রাজধানী দিল্লীতে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। আজ তাঁর ৩১তম মৃত্যুবার্ষীকী। ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষীকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের এলাহাবাদে প্রভাবশালী নেহরু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে এক রাজনৈতিক পরিমন্ডলে বেড়ে উঠেন। নেহেরু পরিবার সবসময়ই জড়িত ছিল রাজনীতিতে ৷ তার দাদা মতিলাল নেহরু একজন প্রথম সারির কংগ্রেসী নেতা ছিলেন। যার কারণে ছোটবেলা থেকেই বাপ-দাদার রাজনৈতিক মতাদর্শের দিকে ঝুঁকে পড়েন ইন্দিরা গান্ধী। ইন্দিরা গান্ধী তার শক্তির পরিচয়ের বহিপ্রকাশের সাহস প্রথম জীবনেই সঞ্চয় করেছিলেন ৷ তার বয়স যখন মাত্র চার তখনই তাঁর বাবা এবং তাঁর দাদা কারাবন্দি হন ৷ কারণ তারা ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী ৷ ১৯৩৬ সালে ইন্দিরার মা কমলা নেহেরু পরলোক গমন করেন ৷ ইন্দিরা হয়ে পড়েন ভীষণভাবে একা ৷ ইন্দিরা গুটিয়ে যান নিজের মধ্যে ৷ একা থাকতেন, বেশির ভাগ সময়ই একা কাটাতেন। ১৯৪১ সালে অক্সফোর্ড থেকে ফিরে এসে ইন্দিরা গান্ধী পিতার সাথে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার সময়ই ইন্দিরার পরিচয় পার্সি ফিরোজ গান্ধীর সঙ্গে। ১৯৩৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন ৷১৯৪২ সালে তিনি বিয়ে করেন সাংবাদিক ফিরোজ গান্ধীকে৷ বিয়ের কিছুদিন পরই তাঁরা কারাবন্দী হন। এলাহাবাদের নৈনি কারাগারে তাঁরা ৮ মাস বন্দী থাকেন ৷ ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে ব্রিটিশ শাসন থেকে ৷সে বছরই ইন্দিরার বাবা জওহরলাল নেহেরু স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন। তখন থেকেই ইন্দিরা প্রায় ছায়ার মত বাবার পাশে পাশে থাকতেন ৷১৯৫০ সাল থেকে অপেশাগত ভাবে জওহরলাল নেহরুর অফিস সহকারীর কাজ করে আসছিলেন তিনি। ১৯৫৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন ৷১৯৬৪ সালের জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর ভারতের রাষ্ট্রপতি তাকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। তখন ইন্দিরা লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মন্ত্রীসভায় তথ্য ও প্রচার মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালে প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বচিত হন ৷

১৯৭১ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে ইন্দিরা গান্ধী দ্বিতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ৷১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিবাদী অথচ নিরস্ত্র বাঙালিকে সাহস জোগান তিনি। ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, যুবকদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় ভারতে। এর ফলেই অনেকটা ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হয় বাংলাদেশীদের। মুক্তিযোদ্ধারা ভারত থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে সশস্ত্র অবস্থায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে একের পর এক গেরিলা যুদ্ধে পরাস্ত করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে। বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য ভারতের বিরুদ্ধেও পাকিস্তান যুদ্ধ ঘোষণা করলে সেখানেও এক হয়ে পকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধের নির্দেশ দেন। বাংলাদেশের লাখ লাখ শরণার্থীকে সেবাযত্ন করায় ইন্দিরা গান্ধীর এ কাজকে যীশু খৃষ্টের কাজের সঙ্গে তুলনা করেছেন নোবেলজয়ী মাদার তেরেসা। 'তারা সবাই ঈশ্বরের সন্তান' শীর্ষক একটি বইয়ে তেরেসা এ বিষয়টি উল্লেখ করেন। কর্মজীবনে বহু কৃতিত্ব ও সাফল্যের নজির রেখে গেছেন শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭২ সালে তাঁকে ভারতরত্ন ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে তাঁর বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিতে তিনি লাভ করেন মেক্সিকান অ্যাকাডেমি পুরস্কার (১৯৭২)। ১৯৭৩ সালে তাঁকে দেওয়া হয় এফ .এ.ও.-র দ্বিতীয় বার্ষিক পদক। ১৯৭৬ সালে লাভ করেন নাগরী প্রচারিনী সভার সাহিত্য বাচস্পতি (হিন্দি) পুরস্কার। ১৯৫৩ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাদার্স অ্যাওয়ার্ড-এ সম্মানিত হন। কূটনীতিতে বিচক্ষণতার জন্য ইতালির আইবেলা ডি এস্ট পুরস্কারে তিনি সম্মানিত হন পরবর্তীকালে। এছাড়াও লাভ করেন ইয়েল ইউনিভার্সিটির হোল্যান্ড মেমোরিয়াল প্রাইজ। ফ্রেঞ্চ ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ওপিনিয়ন-এর এক জনমত সমীক্ষার নিরিখে ১৯৬৭ এবং ১৯৬৮ সালে পরপর দু’বার ‘বিশ্বের সেরা মহিলা’ খেতাবে সম্মানিত হন। একইভাবে ১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্যালাপ পোল সার্ভের বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত ব্যক্তি হিসেবে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। এছাড়াও একই বছর প্রাণী ও জীবজন্তুর প্রতি তাঁর বিশেষ যত্নের স্বীকৃতিতে আর্জেন্টাইন সোসাইটি তাঁকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন।

একটানা ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইন্দিরা গান্ধী ৷ ১৯৭৫ সালে তিনি দেশে শান্তি এবং শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ জরুরী আইন জারী করেন ৷ এ জন্য সমালোচিত হন ইন্দিরা গান্ধী এরপর ১৯৮০ সালে চতুর্থবারের মত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রধান মন্ত্রী হন ইন্দিরা গান্ধী ৷ সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ বছর ভারত শাসন করেছেন ইন্দিরা গান্ধী। তুখোর রাজনীতিবিদ ইন্দিরা গান্ধী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন ভারতে ৷ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ততশৌখিন মানুষ ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ইন্দিরা গান্ধী জন্ম দেন দুটি পুত্র সন্তানের ৷ সঞ্জয় এবং রাজীব ৷তার ছেলে রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পুত্র সঞ্জয় গান্ধী বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান এবং পুত্র রাজিব গান্ধী এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় মারা যান। দুই পুত্র বধু মানেকা গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী বেঁচে আছেন।

(ইন্দিরা গান্ধী স্মৃতিস্থল; ১, সফদরজঙ্গ রোড, নতুন দিল্লি। এখানেই নিহত হয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী)
১৯৮০ সালে ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখদের একটি আন্দোলন দানা বাঁধে। গান্ধী তা দমন করার চেষ্টা করেন। ১৯৮৪ সালের জুন মাসে ইন্দিরা গান্ধীর আদেশে শিখদের পবিত্র ধর্মাশালা স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সেনা হানা দেয়। তার খেসারত ইন্দিরা গান্ধী দেন সে বছরই ৩১শে অক্টোবর। অপারেশন ব্লু স্টার না্মে এই অপারেশন চলাকালীন স্বর্ণমন্দির নামে পরিচিত শিখদের সর্বোচ্চ তীর্থ হরমন্দির সাহিবে সেনা অভিযানের প্রতিশোধকল্পে শ্রীমতী গান্ধীর নিজের দুই শিখ দেহরক্ষী সৎবন্ত সিংহ ও বিয়ন্ত সিংহ তাঁর জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয় ৷ এই ঘটনা ভারতের ইতিহাসে ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত। মৃত্যুর ঠিক এক দিন আগে ওড়িশায় শেষ ভাষণে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, আজ আমি বেঁচে আছি, কালকে নাও থাকতে পারি। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমি দেশের জন্য কাজ করব এবং আমি মারা গেলে আমার রক্তের প্রতিটি ফোঁটা ভারতকে শক্তিশালী করবে ও একটি অখণ্ড ভারতকে বাঁচিয়ে রাখবে।

শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর আগ্রহ ছিল বিভিন্ন বিষয়ে। জীবনকে তিনি দেখতেন একটি সুসংহত চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে যেখানে সমস্ত দিক এবং বিষয় পৃথক পৃথকভাবে না থেকে সামগ্রিক হয়ে উঠত। জীবনকে তিনি কখনই বিচ্ছিন্ন কোন কিছু হিসেবে কল্পনা করতেন না, বরং তিনি জীবনকে দেখতেন বহুবিধ বিষয়ের এক সমষ্টি হিসেবে। হাজারো কর্মব্যস্ততার মধ্যেও শ্রীমতী গান্ধী লিখে গেছেন বেশ কিছু গ্রন্থ। ‘দ্য ইয়ার্স অফ চ্যালেঞ্জ’ (১৯৬৬-৬৯), ‘দ্য ইয়ার্স অফ এনডেভার’ (১৯৬৯-৭২), ‘ইন্ডিয়া (লন্ডন)’ (১৯৭৫) এবং ‘ইন্ডে (লুসানে)’ (১৯৭৯) – হল এমনই কয়েকটি সঙ্কলন গ্রন্থ যেখানে তাঁর বহু লেখা ও বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত ভাষণ স্থান পেয়েছে। আজ এই মহিয়সী না্রীর ৩১তম মৃত্যুবার্ষীকী। মৃত্যু দিনে ভারত তথা বিশ্বের রাজনৈতিক অঙ্গন শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে স্মরণ করছে গভীর শ্রদ্ধায়।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: বিশ্ব শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে স্মরণ করছে গভীর শ্রদ্ধায়।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই
চমৎকার মন্তব্যে ভারতের
প্রায়াত প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি
ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে
শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

মানবী বলেছেন: শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ নারী?

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: দ্বিধান্বিত হবার কিছু না্ই
১৯৯৯ সালে বিবিসি আয়োজিত এক জনমত জরিপে
ইন্দিরা গান্ধী শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ নারী নির্বাচিত হন।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

মানবী বলেছেন: বিবিসির জরিপে পাওয়া এমনটা উল্লেখ নেই বলেই প্রশ্নবোধক মন্তব্য, দ্বিধান্বিত এতোউকু নই.... কারন আমার কাছে তাকে কোনভাবে শ্রেষ্ঠনারী মনে হয়না। ভারতের বিশাল শিখ জনগোষ্ঠীও আমার সাথে পুরপুরি সহমত তা নিশ্চিত ১০০% আর তাদের বর্তমান কট্টরপন্থী সরকারের সমর্থকরাও হয়তো রাজনৈতিক বিরোধিতার কারনে এমন করে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আপনার জন্য এই পেপার কাটিং:

প্রকাশিত হয়েছিলে দৈনিক কালের কাণ্ঠে
২০১৩ সালের গত ১১ ফেব্রুয়ারী সোমবারে।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

মানবী বলেছেন: নূর মোহাম্মাদ নূরু, পেপার কাটিং এর প্রয়োজন নেই। আপনার জবাব পড়েই বিশ্বাস করেছি এমনটা বিবিসি জরীপের ফল।

আমার বক্তব্যের অর্থ," বিবিসির জরীপ অনুযায়ী" একথা পোস্টে উল্লেখ থাকলে সুবিধা হতো। কারন বিবিসির জরীপ কোন ধ্রুব সত্য বা বাস্তবতা নয়। ক'জন মানুষ এই জরীপ সম্পর্কে অবহিত ছিলো, তা একটি বড় প্রশ্ন। আর জরীপের ফলাফল যেমনই হোক, ইন্দিরা গান্ধী আমার কাছে শ্রেষ্ঠ নারী নয়। তবে, তিনি ভারতের অন্যতম সেরা নেতৃবৃন্দ অবশ্যই।

ভালো থাকুন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। তবে আমার মনে হয় আপনি আমার লেখাটি শুধুমাত্র শিরোণাম দেখেই মন্তব্য করেছেন। বিস্তারিত পাঠ করেন নাই বলেই হয়তো এই মতিভ্রম। আমি অদ্যকার লেখার প্রথম প্যারার ভূমিকায় ১৫ নম্বর লাইনে উল্লেখ করেছি, "১৯৯৯ সালে বিবিসি আয়োজিত এক জনমত জরিপে ইন্দিরা গান্ধী শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ নারী নির্বাচিত হন"। যা আপনার দৃষ্টিগোচর হয়নি। যা হোক, বিবিসির জরীপ আপনার কাছে মূল্যায়িত না্ হলেও অনেকে তার স্মরণে রেখেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে অনেক...................

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

রাহি ওসমানী বলেছেন: খুব সম্ভবত বিজেপি সমর্থকরা ওনাকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ নারী হিসেবে মানতে চায় না।তারা মহাত্না গান্ধী কেও দেশদ্রোহী মনে করে।ইন্দারা গান্ধী যা করেছেন ভারতের ভালর জন্যই করেছেন।না হলে হয়ত খালিস্তান নামে নতুন একটি দেশ ভারত থেকে আলাদা হয়ে যেত।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: সম্ভবত তাই!! ধন্যবাদ রাহি ওসমানী
চমৎকার মন্তব্য করা্র জন্য। তবে এ কথা
অনস্বীকার্য যে ইন্দিরা গান্ধী আমাদের
স্বাধীনতা যুদ্ধে সমর্থ্ন ও সহযোগীতা
দিয়ে স্বাধীনতা তরান্বিত করেছেন শুধুৃমাত্র
সে কারণেই তিনি শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ নারী হিসেবে
ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অামাদের স্বাধীনতায় ধাত্রীর ভূমিকা পালনকারী মহিয়সী নারী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি । উনি বেঁচে থাকবেন উনার কীর্তিতে ।
(সবাই যে তাঁকে পছন্দ করবে, এমন কোন কথা নেই । অামাদের বঙ্গবন্ধৃকেও অনেকে অপছন্দ করেন, তাতে কি তিনি ম্লান হয়ে গেছেন?)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু
ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি বাঙ্গালী
জাতির হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য।

৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

কলাবাগান১ বলেছেন: যারা উনার অবদান কে স্বীকার করে না, তারা যে কেন করে না তা বুঝতে কোন কস্ট হয় না। পাকিস্হান দুভাগ হয়ে গেল!!!!!!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: যথার্থ বলেছেন কলাবাগান১,
তাঁর অবদানকে স্বীকার করে
আমরাই গর্বিত জাতি হিসেবে
প্রমান দিতে পারছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.