নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত সাতজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধার অন্যতম হচ্ছেন শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান। ১৯৭১ সালের মার্চ-ডিসেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ চলে দেশব্যাপী। ১৬ ডিসেম্বর নতুন পতাকা উড়ে দেশের মাটিতে। বিশ্বের এই ভূ-খন্ডে জন্ম নেয় বাংলা নামক দেশ। স্বাধীনতান জন্য ৩০ লাখ মানুষের জীবন দিতে হয়। ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে একজন ছিলেন মতিউর রহমান। তিনি ছিলেন অসমসাহসী এবং প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী এক বীরযোদ্ধা এবং সামরিক অফিসার। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার পরিচয় দেয়ার জন্য সরকার তাকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করে। ১৯৭১সালের ২০শে আাগস্ট করাচির মসরুর বিমানঘাঁটি থেকে টি-থার্টি থ্রি জঙ্গি বিমান হাইজ্যাক করেন এবং দেশে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে থাট্রা নামক স্থানে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরন করেন। মতিউরের মৃতদেহ পাওয়া যায় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধামাইল দূরে। পাকিস্তানের মসরুর বিমানঘাঁটির চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কবরস্থানে দাফন করা হয় মতিউর রহমানকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরে ২০০৬ সালের ২৫ জুন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরের দেহাবশেষ সরকারি উদ্যোগে ঢাকায় এনে মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্তানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আবার দাফন করা হয়। মিলি রহমান বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের স্ত্রী, তাঁদের কন্যা ও পুত্র যথাক্রমে মাহিন রহমান ও তুহিন রহমান। ঘটনার সময় মাহিন ও তুহিন নিতান্তই শিশু। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান শহীদ হবার সময় তাঁরা পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন। পাকিস্তানিরা তাঁদেরকে এক অন্ধকার কক্ষে তাঁদের গৃহকর্মীসহ দীর্ঘদিন বন্দী করে রাখে ও অত্যাচার করে। মুক্তি পাবার পর তাঁরা বাংলাদেশে ফিরে আসলে মিলি রহমান মুক্তিযুদ্ধের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। আজ এই মহান বীরের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪১ সালের আজকের দিনে তিনি ঢাকার আগা সাদেক রোডের বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন। জন্মদিনে তাঁর প্রতি আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা।
(১৯৫৬ সালে কিশোর মতিউর রহমান)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলের মাঝে ১৯৪১ সালের ২৯ অক্টোবর মধ্যরাত্রিতে পুরান ঢাকার ১০৯ আগা সাদেক রোডের পৈত্রিক বাড়ি “মোবারক লজ”-এ জন্মগ্রহণ করেন মতিউর রহমান। তাঁর পিতা মৌলভী আব্দুস সামাদ ছিলেন সরকারী চাকুরে এবং মা মোবারকুন্নেসা ছিলেন গৃহিণী। মৌলভী আব্দুস সালাম পেশায় ছিলেন ঢাকা কালেক্টর অফিসের সুপার। নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার রামনগর গ্রামে ছিল তাঁদের পৈত্রিক নিবাস। নয় ছেলে দুই মেয়ের পরিবারে জন্ম নেয়া মতিউর ছিলেন অষ্টম। ছেলেবেলা থেকেই তিনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, দুরন্ত, ডানপিটে। ১৯৫২ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীতে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। ছেলেবেলা থেকেই তাঁর মাঝে ছিল প্রতিভার দ্যুতি। মতিউরের বাবা মৌলবি আব্দুস সামাদ ছিলেন ছেলের উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে সচেতন। তিনি তাঁকে পশ্চিম পাকিস্তানের সারগোদা পি. এ. এফ স্কুলে ভর্তি করাতে চাইলেন। পশ্চিম পাকিস্তানীদের বৈষম্যের কারণে বাঙালীদের সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনীতে ভর্তি হওয়া ছিল খুবই কঠিন। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বাছাই করা স্কুলের বাছাই করা ছাত্রদের মাঝে পরীক্ষা হলো ইংরেজি মাধ্যমে। ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে মেধাবী মতিউর ১৯৫৬ সালে সারগোদা পি. এ. এফ একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন। দিনটি ছিল ৫ই এপ্রিল। মতিউর থাকতে শুরু করলেন টেমপেস্ট হলে। নতুন জায়গায়, অচেনা পরিবেশে পাকিস্তানী সহপাঠীদের অসহযোগিতার মাঝে মতিউরের সময় কাটতে লাগল। তিনি কখনোই উর্দু ব্যবহার করতেন না। ডাইনিং হলে খাবার খাওয়া নিয়েও অনেক ব্যঙ্গ বিদ্রূপ সহ্য করতে হতো তাঁকে। কিন্তু তিনি তাঁর মেধা দিয়ে, সীমাহীন সহ্যশক্তি আর প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার দুর্বার আকাঙ্ক্ষা দিয়ে সকল প্রতিকূলতা জয় করার চেষ্টা করেন। প্রথম পরীক্ষাতেই সবার জবাব দিয়ে দিলেন তিনি। খেলাধুলায় প্রথম স্থান অধিকার করলেন। ফুটবল, হকি, বাস্কেটবল ও সাঁতারে সবাইকে অবাক করে দিলেন তাঁর ক্রীড়ানৈপুণ্যে। ১৯৬০ সালের মে মাসে মতিউর কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে মেট্রিক পাস করলেন ডিস্টিংশনসহ। এরপর দিলেন ISSB exam. এরপর ১৯৬১ সালের আগস্টের ১৫ তারিখে তিনি রিসালপুরে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর একাডেমিতে ফ্লাইট ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন জিডি পাইলট কোর্সে। পাকিস্তানীরা সবসময়ই তাঁকে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছে। বিমান নিয়ে পাকিস্তানী পাইলটের সাথে ডগ ফাইট করতে গিয়ে সাজাও ভোগ করেছেন মতিউর। কিন্তু তবুও মতিউর ছিলেন একজন চৌকস ক্যাডেট। তাঁর একাগ্রতা, ইচ্ছা আর মেধার কাছে প্রতিহত হলো সকল বিপত্তি। এগিয়ে গেলেন তিনি। ১৯৬৭ সালে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হয়ে পদোন্নতি হয় মতিউর রহমানের।
(১৯৬৮ সালে স্ত্রী মিলি খানের সাথে মহিউর রহমান)
১৯৬৮ সালের ১৯ এপ্রিল বিয়ে করেন এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে মিলি খানকে। বিয়ের কয়েকদিন পরেই মতিউর চলে যান পাকিস্তানের চাকলালা বিমান ঘাঁটিতে। ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েও সরকার গঠনের অধিকার না পাওয়ায় এবার ফুঁসে ওঠে বাঙালী। শুরু হয় অসহযোগ। আর বাঙালীদের সকল অধিকার আদায়ের দাবিকে গুঁড়িয়ে দিতে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী চালিয়েছিল ২৫ মার্চের হত্যাযজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় বাঙালীদের প্রতিরোধ এবং মুক্তির জন্য সংগ্রাম। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের শুরুতে সারাদেশ যখন উত্তাল, তখন জানুয়ারীর শেষ সপ্তাহে মতিউর সপরিবারে দুই মাসের ছুটিতে আসেন ঢাকা। ২৫ মার্চের কালরাতে মতিউর ছিলেন রায়পুরের রামনগর গ্রামে। তিনি আর স্থির থাকতে পারলেন না। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একজন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হয়েও অসীম ঝুঁকি ও সাহসিকতার সাথে ভৈরবে একটি ট্রেনিং ক্যাম্প খুললেন। যুদ্ধ করতে আসা বাঙালী যুবকদের প্রশিক্ষণ দিতে থাকলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা অস্ত্র দিয়ে গড়ে তুললেন একটি প্রতিরোধ বাহিনী। ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল পাকিস্তানী বিমান বাহিনী 'সেভর জেড' বিমান থেকে তাঁদের ঘাঁটির উপর বোমাবর্ষণ করে। মতিউর রহমান পূর্বেই এটি আশঙ্কা করে ঘাটি পরিবর্তন করেন। ঘাঁটি পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পান তিনি ও তাঁর বাহিনী। বিমান আক্রমণ শেষে মতিউর সবার উদ্দেশে বলেছিলেন, 'বিমান থেকে ভৈরবে বোমাবর্ষণ হয়েছে। পাইলটদের মাঝে এমনও হতে পারে কেউ আমার ছাত্র। আমারই ছাত্র আজ আমার মাথায় বোমা ফেলছে। আমার দেশকে রক্তাক্ত করছে। মতিউর বাংলা মায়ের পবিত্র মাটি হাতে নিয়ে বলেছিলেন, 'আমার নিজের মাটির মর্যাদা আমি রাখবোই। এরপর মতিউর ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল ঢাকা আসেন ও ৯ মে সপরিবারে করাচি ফিরে যান। যদিও দুই মাসের ছুটিতে এসে চারমাস পেরিয়ে গেছে ততদিনে। করাচি পৌঁছে মতিউর লক্ষ্য করেন বাঙালী অফিসারদের সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। তাঁকেও তাঁর নিজের দায়িত্ব না দিয়ে দেয়া হলো ফ্লাইট সেফটি অফিসারের দায়িত্ব। মতিউরের চিন্তা তখন কেবল একটি বিমানের। মতিউর তখন করাচির মশরুর বিমান ঘাঁটির বেস ফ্লাইট সেফটি অফিসার। এর আগে মতিউর ছিলেন ফ্লাইট ইন্সট্রাকটর। ছাত্রদের বিমান চালনার প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। তাঁর অনেক পাকিস্তানী ছাত্রের একজন রশিদ মিনহাজ। সে পুরাতন ছাত্র। মতিউর জানতেন, সে একা আকাশে উড্ডয়নের অনুমতি পাবে। তাই তিনি তাকে টার্গেট করেন।
(সহকর্মীদের সাথে মতিউর রহমান)
১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট শুক্রবার। ফ্লাইট শিডিউল অনুযায়ী মিনহাজের উড্ডয়নের দিন ধার্য ছিলো। মতিউর পূর্ব পরিকল্পনা মতো অফিসে এসে শিডিউল টাইমে গাড়ি নিয়ে চলে যান রানওয়ের পূর্ব পাশে। রশিদ মিনহাজ টি-থার্টি থ্রি জঙ্গি বিমান ব্লু বার্ড ১৬৬ বিমানের সামনের সিটে বসে স্টার্ট দিয়ে এগিয়ে নিয়ে আসছে। মতিউর তখন হাত তুলে বিমান থামালেন। হাতের ইশারায় বোঝানোর চেষ্টা করলেন, বিমানের পাখায় সমস্যা। রশিদ মিনহাজ বিমানের 'ক্যানোপি' খুলতেই মতিউর তাকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে লাফিয়ে বিমানের পেছনের সিটে উঠে বসলেন। তবে জ্ঞান হারাবার আগে মিনহাজ বলে ফেললেন, 'আই হ্যাভ বিন হাইজ্যাক্ড।' ছোট পাহাড়ের আড়ালে থাকায় কেউ দেখতে না পেলেও কন্ট্রোল টাওয়ার শুনতে পেল তা। বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মতিউর বিমান নিয়ে ছুটে চললেন। রাডারকে ফাঁকি দেবার জন্য নির্ধারিত উচ্চতার চেয়ে অনেক নিচ দিয়ে বিমান চালাচ্ছিলেন তিনি। যদিও ততক্ষণে এফ ৮৬ ও একটি হেলিকপ্টার তাঁকে ধাওয়া করা শুরু করে কন্ট্রোল টাওয়ারের নির্দেশে। বিমানটি যখন ভারতীয় সীমান্তের দিকে যাচ্ছে তখন মিনহাজের জ্ঞান ফিরে আসে এবং সে বাধা দিতে চেষ্টা করে। সীমান্ত থেকে মাত্র দুই মিনিট দূরত্বে সিন্ধু প্রদেশের জিন্দা গ্রামে বালির ঢিবির উপর আছড়ে পড়ে ব্লু বার্ড ১৬৬। হারিয়ে যান মতিউর চিরদিনের জন্য। মতিউরের বিমান হাইজ্যাকের স্বপ্ন সফল হলো না। এরপর মতিউর ও মিনহাজের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় এবং কোন প্রকার ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া মসরুর বিমান ঘাঁটিতে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত স্থানে মতিউরের মৃতদেহ দাফন করা হয়। তাঁর কবরে লেখা হয় গাদ্দার বা বিশ্বাসঘাতক। তবে সবচেয়ে কৌতূহল উদ্দীপক ব্যাপার হচ্ছে পাকিস্তান সরকার রশিদ মিনহাজকে শহীদের মর্যাদা দেয়। তাকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব 'নিশান-ই-হায়দার' এ ভূষিত করা হয়। তার নামে পাকি বিমান বাহিনীর একটা ঘাঁটির নামকরন করা হয়, করাচীর একাধিক রাস্তার নামকরন হয়। ২০০৫ সালে তার ছবি সংবলিত দুই টাকার একটি ষ্ট্যাম্পও বের হয়।তবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের জন্য মতিউর রহমানকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেটের একটি অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অন্যান্য ছয়জনের সাথে তাকে বীরশ্রেষ্ঠ ঘোষণা করা হয়।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ২০০৬ সালের ২৫ জুন মসরুর বিমান ঘাঁটি থেকে তাঁর দেহাবশেষ বাংলাদেশে আনা হয়। দীর্ঘ ৩৫ বছর অবহেলায় থাকলেও মতিউর ফিরে আসেন তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন দেশে। ২৬ জুন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঠাঁই পান এদেশের মাটিতে। কোটি মানুষের মতো তাঁর চোখেও ছিল স্বপ্নের স্বাধীন দেশ স্থাপনের প্রত্যাশা৷ কিন্তু তিনি তা দেখে যেতে পারেননি৷ তাঁর ছোট্ট ব্লু বার্ড ১৬৬ বিমান ভূপতিত হলেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাঁর স্বপ্ন। আর মৃত্যুর পূর্বে বাঙালিদের স্বাধীনতা লাভের স্পৃহার সর্বোচ্চ পরিমাণটি দেখিয়ে; কাঁপন ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছেন পাকিস্তানিদের মনে। তিনি আমাদের দৃঢ়তা, বীরত্ব ও স্বাধীন চেতনার প্রতীক হয়ে থাকবেন, বাংলাদেশের সমান্তরালে। এই মহান বীরের আজ ৭৪তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর জন্মদিনে স্বাধীন এদেশের মানুষ তাঁকে ধারণ করে হৃদয়ের উচ্চাসনে, স্মরণ করে শ্রদ্ধায়৷
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রানিক ভাই
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা্ইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের
জন্মবার্ষিকীতে প্রথমেই শুভেচ্ছা জা্নানোর জন্য।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: মহান এই বীরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন
মহান বীরকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬
দরবেশমুসাফির বলেছেন: জানি অনেকেই দ্বিমত করবেন তবে আমার মতে মতিউর রহমান হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ বীরশ্রেষ্ঠ। এই বক্তব্যর মাধ্যমে আমি অন্য বীরশ্রেষ্ঠদের ছোট করতে চাচ্ছি না। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
অন্য সকল বীরশ্রেষ্ঠগণ যুদ্ধের মাঠে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বীরত্বর পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু মতিউর রহমান কোন উত্তেজিত অবস্থায় নয় বরং ঠাণ্ডা মাথায় নিজের স্ত্রী সন্তান এবং অবশ্যই নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুঃসাহসিক একটি কাজ করেছেন। তাঁর দুঃসাহসিকতা যে কোন হার্ডকোর হলিউড মুভিকেও হার মানায়।
সারা পৃথিবীর সকল শ্রেষ্ঠ বীরদের একটি লিস্ট আছে ( ওয়ার্ল্ড হিরোস লিস্ট )। বাংলাদেশের বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে মতিউর রহমানই ওই লিস্তে জায়গা করে নিয়েছেন।
সর্বশ্রেষ্ঠ বীরশ্রেষ্ঠর জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ওয়ার্ল্ড হিরোস লিস্টে বাংলাদেশের বীরশ্রেষ্ঠদের অন্যতম
ফ্লা্ইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমা্ন স্থান করে নিয়েছেন,
এই তথ্যটি জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই মহান বীরের আজ ৭৪তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর জন্মদিনে স্বাধীন এদেশের মানুষ তাঁকে ধারণ করে হৃদয়ের উচ্চাসনে, স্মরণ করি শ্রদ্ধায়!
জাতীয় দৈনত্যা আমাদের হীনতারই প্রকাশ। মিডিয়াগুলো এই দিনে বিশেষ বিশৈস অনুষ্ঠান রাখা উচিত ছিল নাকি???ৎ
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু আমি আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি,
কত অখ্যাত দিনে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হলেও
এই মহান বীরকে স্মরণ না করা আমাদের দৈন্যতাই বটে।
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অনেক বিস্তারিত লিখেছেন উনার সম্পর্কে। খুব ভালো পোস্ট।
তথ্যগত ছোট সংশোধন করতে পারেন। টি-৩৩ জঙ্গী বিমান নয়, এটা জেট ট্রেনার কিংবা প্রশিক্ষন বিমান। আবার স্যাবর জেড নামের কোন বিমান নেই, এফ-৮৬ জঙ্গী বিমানকেই স্যাবর জেট বলা হয়।
উনার প্রতি শ্রদ্ধ্যা রইলো।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ শতদ্রু একটি নদী
চমৎকার ভাবে সংশোধনী দেবার জন্য।
ভালো থাকবেন।
৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
কাবিল বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ফ্লা্ইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ কাবি'ল ভাই
বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ফ্লা্ইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের
জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের জন্য।
৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
সৌরভ দাস ১৯৯৫ বলেছেন: বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ৭৪ তম জন্মবার্ষিকীতে রইল শুভেচ্ছা
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ সৌরভ দাস
মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২
ধমনী বলেছেন: মতিউরের জন্য শুভকামনা।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ধমনী
শু্ভকামনার জন্য।
৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০
কিরমানী লিটন বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা- বীরের জন্ম দিবসে...।
শুভকামনা প্রিয় নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই...
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ কিরমানী লিটন
জাতীয় বীরকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য।
১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
রাবার বলেছেন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর আপনারে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা্ইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের
জন্মবার্ষিকীতে প্রথমেই শুভেচ্ছা জা্নানোর জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ রাবার ।
১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: সারা পৃথিবীর সকল শ্রেষ্ঠ বীরদের একটি লিস্ট আছে ( ওয়ার্ল্ড হিরোস লিস্ট )। বাংলাদেশের বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে মতিউর রহমানই ওই লিস্তে জায়গা করে নিয়েছেন।
দরবেশ ভাইকে অনেক শুভকামনা এই তথ্যটি শেয়ার করার জন্য। নুরু ভাই'র জন্য শুভেচ্ছা।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার,
আমারও জানা ছিলোনা তথ্যটি,
ধন্যবাদ দরবেশ ভাইকে।
১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই
মন্তব্য প্রদানের জন্য
১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২৪
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ৭৪ তম জন্মবার্ষিকীতে রইল শুভেচ্ছা এবং শ্রদ্ধা।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: প্রবাসী পাঠক সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালোলাগলো আপনার মন্তব্য। ভালো থাকবেন
১৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ৭৪ তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী । তাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের বিজয় ।সুন্দর শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আনোয়ার ভাই অনেকদিন পরে
আপনার মন্তব্য পেয়ে উৎসাহিত হলাম।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩
সাথিয়া বলেছেন: বীর যোদ্ধার জন্মদিনে সালাম জানাই উনাকে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সাথিয়া বীর যোদ্ধাকে
শ্রদ্ধা জানানোর জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯
প্রামানিক বলেছেন: এই মহান বীরের আজ ৭৪তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর জন্মদিনে স্বাধীন এদেশের মানুষ তাঁকে ধারণ করে হৃদয়ের উচ্চাসনে, স্মরণ করে শ্রদ্ধায়৷
ধন্যবাদ নুরু ভাই।