নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের কালজয়ী দেশাত্মকবোধক গানের গীতিকার, স্বাধীনতা পদক বিজয়ী গীতিকবি নয়ীম গহর আর নেই। মঙ্গলবার রাত সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমএসএসইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বরেণ্য এ গীতিকার গত বেশ কিছু দিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। ছয় মাস আগে স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) করার কারণে তার স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। গত মাসে তার উরুতে একটি অস্ত্রোপচারের পর সেখানে পচন ধরে। দীর্ঘদিন বিছানায় থাকায় তার পিঠেও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল। সবমিলিয়ে তার শারিরীক অবস্থা বেশ গুরুতর আকার ধারণ করেছিল। উল্লেখ্য গেল মাসে নয়ীম গহরের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে, ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক সহযোগিতায় নয়ীম গহরের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল। আজ বিকেলে জানাজার পর লাশ মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে যারা মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ দিয়েছেন তাদেরই একজন নয়ীম গহর। জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো, নোঙ্গর তোলো তোলো সময় যে হলো হলো, ‘পূবের ঐ আকাশে সূর্য উঠেছে’ এমন সব কালজয়ী দেশাত্মকবোধক গানের গীতিকার ছিলেন নয়ীম গহর। তিনি ছিলেন একাধারে গীতিকার, ঔপন্যাসিক, গায়ক, নায়ক, নাট্যকার, বিবিসি বাংলার ভাষ্যকার ও সংবাদ পাঠক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে দেশাত্ববোধক গান লিখে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে বিশেষ ভূমিকা ছিল এ গীতিকবির। নয়ীম গহর স্বাধীনতার জন্য শুধু গানই রচনা করে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেননি, তিনি জীবন বাজি রেখে বঙ্গবন্ধুর জরুরি বার্তা অতিগোপনে ২৫ মার্চ রাতে চট্টগ্রামে এম আর সিদ্দিকীর কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশমতো নয়ীম গহর জীবন বাজি রেখে অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সঙ্গে তা পৌঁছে দিয়েছিলেন। এই দেশ ও জাতির জন্য অনেক অবদান রেখেও পরিণত বয়সে নয়ীম গহর আজ নিভৃতচারী। মুক্তিযুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও নয়ীম গহর ইচ্ছে করেই মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র সংগ্রহ করেননি। পারিবারিকভাবে নয়ীম গহর ছিলেন অবস্থাসম্পন্ন। পরোপকারী এই মানুষটি একসময় সহায়সম্বলহীন হয়ে পড়েন। নিজের অর্থ সম্পত্তি যা ছিল সবই মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন। অনেকে তার সরলতার আশ্রয় নিয়ে প্রারণাও করে। শেষ বয়সে তার চিকিৎসা চালাতেও হিমশিম খেতে হয় পরিবারকে। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৩ সালে তাকে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়। কালজয়ী দেশাত্ববোধক গানের গীতিকারের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। উল্লেখ্য প্রখ্যাত নাট্যাভিনেত্রী ইলোরা গহর নয়ীম গহরের কন্যা। মরহুমের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: RIP
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১
কাবিল বলেছেন: প্রখ্যাত গীতিকার নয়ীম গহরের আত্মার শান্তি কামনা করছি। সেই সাথে মরহুমের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়।