নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ বিশ্ব হার্ট দিবস। ১৯৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব হার্ট দিবস। ২০০০ সাল থেকে দিবসটি জাতীয়ভাবে পালন করছে বাংলাদেশ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সর্বত্র সবার জন্য পছন্দ করুন সুস্থ হার্ট।’ হৃদরোগ বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর ঘাতক ব্যাধী। প্রতিবছর ১ কোটি ৭৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়এই রোগেএবং আশংকা করা হচ্ছে ২০৩০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২ কোটি ৩০ লাখে। অথচ হৃদরোগের ভয়াবহতার ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা অনুপস্থিত। নীরব ঘাতক হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলে গোটা জীবনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। হার্ট সুস্থ রাখার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ বছরের বিশ্ব হার্ট দিবসের মূল ফোকাস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর বিশ্বে মোট রোগীর মৃত্যুর মধ্যে ২৯ ভাগ হার্টের রোগে মারা যান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে অসংক্রামক রোগগুলোর ভেতর হৃদরোগকে অন্যতম ভয়াবহ হিসেবে শনাক্ত করে ২০২৫ সালের ভেতর এসব রোগে মৃত্যুর হার ২৫ ভাগ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ১৯৪টি দেশে কর্মসূচি প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। হার্টের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এনজিওপ্লাস্টি আর বাইপাস সার্জারির মাধ্যমে এ রোগের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই দেশের শতকরা ৯০ জনের পক্ষেই চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না। তাছাড়া অধিকাংশ মানুষই থাকেন গ্রামে। সর্বত্র যোগাযোগের ব্যবস্থাও উন্নত নয়। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু ঘটে থাকে। তাই হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগেই অ্যাটাক করুন হার্ট অ্যাটাককেই। অর্থাৎ হার্টকে রাখুন সুস্থ ও সবল।
মানব দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হার্ট (হৃৎপিণ্ড) । আপনি কীভাবে জীবন যাপন করছেন তার ওপর নির্ভর করে হৃদরোগের ঝুঁকির ব্যাপারটি। অতিরিক্ত ধূমপান, শুয়ে-বসে সময় কাটানো, শরীরচর্চাহীন জীবন, চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণের কারণেই চর্বি জমা হয়ে ধমনিগুলো সরু হতে থাকে। আর ধমনির ভেতর রক্ত প্রবেশের পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলেই ঘটতে পারে হার্ট অ্যাটাকের মতো অঘটন। ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ধূমপানমুক্ত পরিবেশ ছাড়া একজন ব্যক্তির পক্ষে হূদরোগের ব্যাপারে ঝুঁকিমুক্ত থাকা কঠিন। তাই সকলে মিলেই সুস্থ হার্টবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যেখানেই বসবাস করি না কেন, আমাদের কর্মক্ষেত্র এবং খেলা বা বিনোদনের স্থান যেখানেই হোক না কেন, তা যেন কোনোভাবেই হৃদরোগের ঝুঁকি না বাড়ায়। সুস্থ হার্টবান্ধব পরিবেশ যেন সর্বক্ষেত্রে বজায় থাকে। তাই সবাই মিলেই সুস্থ হার্টবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শিশু এবং নারীরাই অধিকতর হূদরোগের ঝুঁকির ভেতরে অবস্থান করছে। আর সে কারণেই বারবার শিশু ও নারীর ওপর বিশেষ দৃষ্টি দেয়ার কথা বলা হয়। সুস্থ হার্টবান্ধব এবং স্ট্রোকমুক্ত কমিউনিটি নিশ্চিত করার জন্য আমেরিকায় ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। হ্যান্ডবুক প্রকাশের মধ্য দিয়ে বিস্তারিত করণীয় তুলে ধরা হয়েছে। সমাজে বিরাজমান হেলথ প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তি পর্যায়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তুলে সমাজে মৌলিক পরিবর্তন আনার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্যালরিযুক্ত খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আর নিয়মিত শরীর চর্চাই পারে মানুষকে হার্টের রোগ থেকে মুক্তি দিতে। তাছাড়া হৃদরোগ আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকে সচেতন থাকলেই এর থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। হৃদরোগ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সচেতনভাবেই চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসার পাশাপাশি, মেডিটেশন ও শরীর চর্চাই হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। বিশ্ব হার্ট দিবসে আমরা অবশ্যই হৃদয়ের কথা শুনব। ফিরে তাকাব আমাদের হার্টের সুস্থতার দিকে। 'সুস্থ হার্ট সর্বত্র, সবার পছন্দ' তাই হার্ট সুস্থ রাখার জন্য যা যা করা দরকার তা করতেই সচেষ্ট হবো বিশ্ব হার্ট দিবসে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ কাবিল ভাই
সবার জন্য সুন্দর প্রত্যাশার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২
কাবিল বলেছেন: বিশ্ব হার্ট দিবসে সবার হার্টের সুস্থতা কামনা করি।