নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
‘কিং অফ পপ’ মাইকেল জ্যাকসন পুরো নাম মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন। জনপ্রিয়তায় যিনি নিজেই পূর্ণাঙ্গ একটা আকাশ। তাকে বলা হয় তারকাদের তারকা। সঙ্গীত, নৃত্য, অভিনয়, মানবতা ও ভালোবাসার ভুবনে মাইকেল একজন মুগ্ধ জাদুকরের নাম। খুব বেশি দিনের জীবন নয় তার। অথচ রেখে গিয়েছেন অবিশ্বাস্য সাফল্যের গল্পকথা। যা হার মানায় রূপকথাকেও। ১৯৮০র দশকে সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যেমাইকেল জ্যাকসন জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছান। তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী যিনি এমটিভিতে দর্শক শ্রোতাদের মাঝে জনপ্রিয়তা পান। বলা হয়, তাঁর গাওয়া গানের ভিডিওর মাধ্যমেই এমটিভির প্রসার ঘটেছিলো। গানের তালে তালে মাইকেলের নাচের কৌশলগুলোও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। মাইকেলের জনপ্রিয় নাচের মধ্যে রবোট, ও মুনওয়াক (চাঁদে হাঁটা) রয়েছে। মুনওয়াক আসলে হলো সামনের দিকে হাঁটার দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টি করে পিছনে যাবার ভঙ্গিমা। আজ কিংবদন্তি এই সঙ্গীত শিল্পীর ৫৭তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৫৮ সালের আজকের দিনে তিনি আমেরিকার ইন্ডিয়ানা প্রদেশে জন্মগ্রণ করেন। বিখ্যাত সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক এবং বিশিষ্ট দানবীর মাইকেল জ্যাকসনের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট আমেরিকার ইন্ডিয়ানা প্রদেশের গ্যারে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। জ্যাকসন পরিবারের ৭ম সন্তান মাইকেল মাত্র ৫ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে পেশাদার সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি তখন জ্যাকসন ফাইভ নামের সঙ্গীত গোষ্ঠীর সদস্য হিসাবে গান গাইতেন। ১৯৭১ সাল থেকে মাইকেল একক শিল্পী হিসাবে গান গাইতে শুরু করেন। মাইকেলের গাওয়া ৫টি সঙ্গীত অ্যালবাম বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে - অফ দ্য ওয়াল (১৯৭৯), থ্রিলার (১৯৮২), ব্যাড (১৯৮৭), ডেঞ্জারাস (১৯৯১) এবং হিস্টরি (১৯৯৫)। প্রায়শই তাঁকে পপ সঙ্গীতের রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় অথবা, সংক্ষেপে তাঁকে এমজে নামে অভিহিত করা হয়। সঙ্গীত, নৃত্য এবং ফ্যাশন জগতসহ ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে চার দশকেরও অধিককাল ধরে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। এখন সারাবিশ্বের সকল নৃত্যশিল্পীরা মাইকেল জ্যাকসনকে প্রায়ই শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন। জীবদ্দশায়ই মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তার অসাধারণ প্রতিভা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অসামান্য অবদানের জন্য মাইকেল জ্যাকসন দু’বার ‘রক অ্যান্ড রোল, হল অফ ফেইম’-এ নির্বাচিত হন। শিল্পী হিসেবে পুরো বিশ্বে তাঁর খ্যাতি ছিলো। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে মাইকেল সর্বকালের সবচেয়ে সফল শিল্পী - ১৩টি গ্র্যামি পুরস্কার, ১৩টি ১নম্বর একক সঙ্গীত, এবং ৭৫ কোটি অ্যালবাম বিক্রয়ের রেকর্ড মাইকেলের রয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নানা কেলেঙ্কারিতে জড়ালেও প্রায় ৪০ বছর ধরে সারাবিশ্বে বিখ্যাত হয়ে ছিলেন।
২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে জুন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল কনসার্টের আয়োজনে ব্যস্ত মাইকেল আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া প্রদেশের লস অ্যাঞ্জেলেসে ২৫ জুন সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুতে শোকে ভাসলো সারা বিশ্বের সংগীতাঙ্গন। কোটি কোটি ভক্তদের প্রাণ কাঁদিয়ে মাটির শয্যায় চিরদিনের মতো জায়গা করে নিলেন মাইকেল জ্যাকসন। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, মার্কিন মুল্লুকের এমন চাঞ্চল্যকর একটি মৃত্যুকে ঘিরে ধোঁয়াশাটা আজ অব্দি রয়েই গেছে। প্রতিনিয়ত কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে প্রতিটি পক্ষের মধ্যে। একদিকে জ্যাকসন পরিবার বিশেষ করে মাইকেল মাতা ক্যাথরিন জ্যাকসন, যার দাবি কনসার্ট আয়োজক, এইজি লাইভের নিযুক্ত ডক্টর ম্যুরের হাতেই মারা পড়েছেন জ্যাকসন। তবে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী মার্কিন চিকিৎসক ডঃ কনরাড মারেকে ৪ বছরের জন্য কারারূদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর মৃত্যুদিনেই নিজের ব্লগে অমিতাভ জানিয়েছেন মাইকেল জ্যাকসনকে নিয়ে তাঁর মুগ্ধতার কথা। তাঁকে ‘এ ট্রু ফেনোমেনা’ হিসেবে উল্লেখ করে অমিতাভ জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কে একবার দেখা হয়েছিল তাঁদের। ভুল করে নাকি বিগ বি’র দরজায় টোকা মেরেছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। আসলে একই হোটেলে ছিলেন মাইকেল জ্যাকসন আর বিগ বি। অমিতাভের ঘরকে ভুল করে নিজের ঘর ভেবে নক করেন মাইকেল জ্যাকসন। সেই সাক্ষাতের বিষয়ে আর কিছু না জানালেও বিগ বি অকপটে জানিয়েছেন মাইকেল জ্যাকসন-কে নিয়ে তাঁর বিস্ময়ের কথা। এমনকি এও তিনি বলেছেন একসময় জ্যাকসন ভিলে-তে দেখা মাইকেল জ্যাকসন কনসার্ট তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। সেদিন কোনো টিকেট, পাস তাঁর কাছে না থাকলেও কোনোরকমে সেই কনসার্টে ঢুকে পরেন বিগ বি। বিশাল স্টেডিয়ামের শেষ সারিতে দাঁড়িয়ে মাইকেল-কে স্টেজে পারফর্ম করতে দেখেছিলেন তিনি। আজও সেই সোনার স্মৃতি উজ্জ্বল বিগ বি’র মনে।
জনপ্রিয়তার শুরু থেকেই এই মানুষটি লড়াই করে গেছেন বিশাল এক ক্ষমতার বিপক্ষে। জীবনে কারও ভালোবাসা বা সদয় আচরণ পাননি সংগীতের এই রাজা। না তাঁর বাবা-মা, না মার্কিন মিডিয়া, না মার্কিন বিচারব্যবস্থা; কেউ তাঁকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। এমনকি তাঁর মৃত্যুর পরও অনেকে তাকে নিয়ে সমালোচনায় মেতেছেন! নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিশ্ববাসীর কাছে ছোট করার ঘৃনিত প্রয়াস চালিয়েছে। কিন্তু কথায় বলে সত্যের জয় অনিবার্য। তেমনি জয় হয়েছে মাইকেলের, জয় হয়েছে তার কোটি কোটি ভক্তের ভালোবাসা আর বিশ্বাসের। মানবতার অগ্রদুত হয়েই তার ভক্তদের কাছে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। তার গান দিয়ে, গানে গানে প্রতিবাদ আর আন্দোলনের সাহসে। তিনি অমর, অবিনশ্বর। যুগে যুগে মানুষের কাছে হয়ে থাকবেন অনুপ্রেরণার মহাসমুদ্র। আজ বিখ্যাত এ শিল্পীর ৫৭তম জন্মবার্ষিকী। মানবতার অগ্রদুত পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ কাবিল ভাই,
কিংবদন্তি ট্রাজেডি কিং অব পপ
মাইকেল জ্যাকসনের জন্মবার্ষিকীতে
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৩
টুইংকল বলেছেন: মাইকেল জ্যাকসনের ৫৭তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ টুইংকল
মন্তব্যের জন্য।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৪
Apu DB বলেছেন: ভাই সাইটের বেকলিংকের জন্য এটা দিলাম। ডিলিট করবেন না দয়া করে। http://tunertune.com
২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ডিলিট করলাম না,
তবে অপ্রসাঙ্গিক ভাবে কিছুর
লিংকে কেউ আপত্তি করতেও পারে।
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৪
Apu DB বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ব্যপারটা বোঝার জন্য
৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জয় হয়েছে মাইকেলের, জয় হয়েছে তার কোটি কোটি ভক্তের ভালোবাসা আর বিশ্বাসের। মানবতার অগ্রদুত হয়েই তার ভক্তদের কাছে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। তার গান দিয়ে, গানে গানে প্রতিবাদ আর আন্দোলনের সাহসে। তিনি অমর, অবিনশ্বর। যুগে যুগে মানুষের কাছে হয়ে থাকবেন অনুপ্রেরণার মহাসমুদ্র। ++++++++++++++++++
৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃুগু,
কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী ‘কিং অফ পপ’
মাইকেল জোসেফ জ্যাকসনের জন্মবার্ষিকীতে
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। শুভকামনা আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
কাবিল বলেছেন: মাইকেল জ্যাকসনের earth song গুলো আমার খুব ভালো লাগে।
মাইকেল জ্যাকসনের ৫৭তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।