নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ববরেন্য বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী, এশিয়ার কণ্ঠস্বর এস এম সুলতানের ৯২তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৫


বিশ্ববরেন্য বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী শেখ মোহাম্মদ সুলতান সংক্ষেপে এস এম সুলতান, পিতৃ প্রদত্ত নাম তার লাল মিয়া। যাঁর ছবিতে গ্রামীণ জীবনের পরিপূর্ণতা, প্রাণপ্রাচুর্যের পাশাপাশি শ্রেণীর দ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির হালও অনেকটা ফুটে উঠেছে। গুণী এ শিল্পসত্তা ওয়েস্টার্ন আর্ট ফর্মে না ঝুঁকে নিজেই একটি স্বতন্ত্র ফর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর ছবির অঙ্কন পদ্ধতি বলি কিংবা আঙ্গিক সবই তার নিজস্ব। তিনি তাঁর জীবনের মূল সুর-ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, কৃষক এবং কৃষিকাজের মধ্যে। ক্যানভাসে খেটে খাওয়া মানুষের দীপ্ত জীবনের গল্প বলতেই ভালোবাসতেন তিনি। ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয কর্তৃপক্ষ ১৯৮২ সালে তাঁকে এশিয়ার ব্যক্তিত্ব হিসেবে ঘোষণা করে। তাঁর ছবিগুলোতে বিশ্বসভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে গ্রামের মহিমা উঠে এসেছে এবং কৃষককে এই কেন্দ্রের রূপকার হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আবহমান বাংলার সেই ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার ইতিহাস তাঁর শিল্পকর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। এস এম সুলতানের উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্মঃ জমি কর্ষণ-১, জমি কর্ষণ-২ (তেল রং ১৯৮৬, ১৯৮৭), হত্যাযজ্ঞ (তেল রং ১৯৮৭), মাছ কাটা (তেল রং ১৯৮৭), জমি কর্ষণে যাত্রা-১ এবং ২ (তেল রং ১৯৮৭, ১৯৮৯), যাত্রা (তেল রং ১৯৮৭), ধান মাড়াই (তেল রং ১৯৯২), গাঁতায় কৃষক (তেল রং ১৯৭৫), প্রথম বৃক্ষ রোপন (তেল রং ১৯৭৬ ), চর দখল (তেল রং ১৯৭৬) পৃথিবীর মানচিত্র (তেল রং) ইত্যাদি ৷১৯২৩ সালের আজকের দিনে তিনি নড়াইলের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এস এম সুলতান। বিশ্ববরেন্য বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯২তম জন্মবার্ষিকী আজ। এশিয়ার কণ্ঠস্বর চিত্রশিল্পি লাল মিয়ার জন্মদিনে আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা।

শেখ মোহাম্মদ সুলতান ১৯২৩ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের চিত্রা নদীর পাড়ে মাছিমদিয়া গ্রামের একটি অভাবী সংসারে জন্মগ্রহণ করেন ৷ তার পিতার নাম মেছের আলী ও মা মাজু বিবি। লালমিয়া ও ফুলমণিকে রেখে মেছেরের স্ত্রী হঠাত্‍ মারা গেলে অভাবের সংসারে দেখা দেয় নতুন সংকট ৷ ছেলেমেয়ে ও সংসারের কথা চিন্তা করে মেছের আবার বিয়ে করেন নড়াইল থানার দুর্গাপুর গ্রামের আয়াতুন্নেসাকে ৷ স্ত্রী, ছেলে লালমিয়া ও মেয়ে ফুলমণিকে নিয়ে তাঁর চারজনের সংসার ৷ পরিবারের আভাব-অনটন তখনো তাঁদের নিত্যসঙ্গী, অভাব অনটন লেগেই আছে এ সংসারে। লালমিয়ার বয়স পাঁচ, মেছের ছেলের ভবিষ্যত্‍ চিন্তা করে তাঁকে স্কুলে পাঠালেন ৷ ১৯২৮ সালে লালমিয়াকে ভর্তি করালেন নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে। কিন্তু অন্য সব ছেলেমেয়ের মতো শুধু লেখাপড়া আর খেলাধূলা করবে তেমন কপাল লালমিয়ার ছিল না। তাঁকে বাবার কাজে সহযোগিতা করতে হত ৷ যদিও লালমিয়ার বাবার ইচ্ছে ছিল তাঁকে ভালোভাবেই পড়াশোনা করাবেন, কিন্তু সামর্থ হয়নি তাঁর৷ সংসারের অভাবের যন্ত্রণার সাথে যোগ হয় লালমিয়ার উপর সত্‍ মায়ের অত্যাচার৷ এভাবেই চলছিল লালমিয়ার পড়াশোনা, বাবার কাজে সহযোগিতা আর বাঁশি বাজানো ৷ অদ্ভুত সুন্দর বাঁশি বাজাতেন লালমিয়া ৷ তাঁর এই বিশেষ গুণটির কথা স্কুলের সহপাঠীসহ এলাকার সব মানুষরা জানত৷ নড়াইলের জমিদার বাড়ির পুকুর ঘাট, স্কুলের অনুষ্ঠান ছাড়াও বনবাদারে ঘুরে ঘুরে বাঁশি বাজাতেন তিনি৷ সে কারণে বংশীবাদক হিসাবে লালমিয়াকে অনেক মানুষ চিনত ৷এমন কথাও শোনা গেছে, জমিদার বাড়ির পুকুর ঘাটে লালমিয়া বাঁশি বাজানোর সময় কলো কেউটে সাপ দুই পাশে নাচত।

ছবির প্রতি ছিল লালমিয়ার ভীষণ টান ৷ কোনোকিছু ভাল লাগলেই ছবি আঁকতেন ৷ আঁকতেন চকখড়ি, কাঠকয়লা, হলুদ আর পুঁই ফলের রস দিয়ে ৷ ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাশ করার পর তাঁর বাবার ইচ্ছাতেই লালমিয়া নাকানি এ. বি. এস. জুনিয়র মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন ৷ এখানে সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় লালমিয়া সত্‍ মায়ের সাথে ঝগড়া করে তিন আনা বারো পয়সা, একটি ছাতা, গুটিকয় জামা-কাপড় আর একটি ঠিকানা নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান ৷ বোন ফুলমণি মা হারা ভাইয়ের পিছু নেয়৷ ‘ফিরে আয়, ফিরে আয়’ বলে কাঁদতে কাঁদতে ডেকে আকুল হয়৷ লালমিয়া ফেরেননি ৷ যেতে যেতে বোনকে বলেছিলেন, ‘তুই ফিরে যা, আমি আবার আসব ৷’ হাঁটতে হাঁটতে সেদিন হাটবাড়িয়া লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত আসেন ৷ লঞ্চ ঘাট থেকে সোজা গিয়ে উঠলেন কোলকাতায় নড়াইলের জমিদার ধীরেন্দ্রনাথ রায়বাহাদুরের বাড়িতে ৷ এখান থেকেই মাছিমদিয়ার লালমিয়ার জীবনের আরেক অধ্যায়ের শুরু। লালমিয়া বাবার কাজে সহযোগিতা করার জন্য প্রায়ই তাঁর বাবার সাথে নড়াইলের জমিদার বাড়ি যেতেন ৷ কাজের ফাঁকে জমিদারদের বাড়ির দেয়ালে কাঠ কয়লা কিংবা হলুদ দিয়ে ছবি আঁকতেন ৷ সে কারণে জমিদার ধীরেন্দ্রনাথ রায়বাহাদুর ও তাঁর শিল্পরসিক ছোট ভাই লালমিয়ার ছবি আঁকার নেশার কথা জানতেন ৷ তাই নড়াইল থেকে কলকাতায় জমিদার ধীরেন্দ্রনাথ রায়বাহাদুরের বাড়ি গিয়ে উঠার পর একদিন তিনি লালমিয়াকে বিলেত থেকে ছবি আঁকার উপর বিভিন্ন স্কেচের দুটো বই এনে দিয়ে বললেন ‘লালমিয়া, যদি ভালো করে ছবি আঁকা শিখতে চাস, তাহলে তোকে এই প্রাথমিক বিদ্যেগুলো শিখতে হবে। ’ বই দুটো হাতে পাওয়ার পর ধীরে ধীরে ছবি আঁকায় আরো দক্ষ হয়ে ওঠেন লালমিয়া ৷ জমিদারের ছোট ভাই একদিন লালমিয়াকে ডেকে নিয়ে বললেন, ‘দেখো লালমিয়া, তুমি যদি বড় শিল্পী হতে চাও, তাহলে তোমাকে ভালো শিক্ষকের কাছে ছবি আঁকা শিখতে হবে ৷ তার মানে, তোমাকে আর্ট স্কুলে বা কলেজে ভর্তি হতে হবে ৷ তার আগে তোমাকে ইন্টারভিউ দিতে হবে এবং ইন্টারভিউ দিয়ে পাশও করতে হবে ৷’ সে সময় কলকাতা আর্ট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অন্তত অ্যান্ট্রান্স (মেট্রিক) পাশের যোগ্যতা প্রয়োজন হতো ৷ সে যোগ্যতা লালমিয়ার ছিল না ৷ কারণ পাঠ অসমাপ্ত রেখেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসেছিলেন তিনি ৷ এ নিয়ে যখন লালমিয়ার আর্ট কলেজে পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তখন জমিদার বাবু বললেন, ‘একটা উপায় অবশ্য আছে৷ শাহেদ সোহরাওয়ার্দীকে ধরতে হবে ৷ তিনি এই কলেজের ভর্তি কমিটির সদস্য৷ তিনি বলে দিলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না ৷’ ঠিকানা নিয়ে শাহেদ সোহরাওয়ার্দীর বাসার খোঁজে জমিদার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন লালমিয়া ৷ লালমিয়া যে মুহুর্তে বাড়িটি খুঁজে পেলেন ঠিক সেই মুহূর্তে সোহরাওয়ার্দী গাড়িতে করে বাইরে বেরুচ্ছিলেন ৷ বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন লালমিয়া ৷ তাঁকে দেখতে পেয়ে সোহরাওয়ার্দী ইশারায় ডাকলেন ৷ লালমিয়া সোহরাওয়ার্দীর কাছে গিয়ে বিয়য়টা খুলে বললেন এবং সেই সাথে একটা মিথ্যা কথাও বললেন ৷ বললেন, তাঁর কেউ নেই৷ সোহরাওয়ার্দী সব কথা শুনে গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভেতর নিয়ে গেলেন তাঁকে৷ একটি ঘর দেখিয়ে বললেন, 'ঐ ঘরের খাটে যিনি বসে আছেন তাঁকে তুই মা বলে ডাকবি' ৷ ঐ মহিলা সোহরাওয়ার্দীর চাচার স্ত্রী, নিঃসন্তান ৷ লালমিয়া ঘরে ঢুকে দেখলেন, বিশাল খাটের ধবধবে বিছানার উপর সোনার গহনা পরা প্রৌঢ়া এক সুন্দরী মহিলা বসে আছেন ৷ লালমিয়া সোহরাওয়ার্দীর কথামতো মহিলাকে ‘মা’ বলে ডাকলেন ৷ খাট থেকে নেমে এসে লালমিয়াকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি ৷ সেই থেকে লালমিয়া হয়ে উঠলেন সোহরাওয়ার্দীর পরিবারের সদস্য ৷

এর পর আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে আর কোনো সমস্যাই হয়নি লালমিয়ার। আর্ট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে প্রথম হলেন তিনি ৷ ১৯৪১ সালে আর্ট কলেজে ভর্তি হলেন ৷ আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার পর শাহেদ সোহরাওয়ার্দীর বাড়িতে থেকেই কলেজে যেতেন লালমিয়া ৷ সোহরাওয়ার্দী লালমিয়ার নতুন নাম রাখেন শেখ মোহম্মদ সুলতান ৷ এই বাড়িতে থাকার সময় আর্টের অসাধারণ সমঝদার ও সমালোচক শাহেদ সোহরাওয়ার্দীর বিশাল লাইব্রেরির তত্ত্বাবধায়ক হলেন তিনি ৷ এ সময় থেকেই সুলতানের বিজয়ের শুরু৷ সুলতানকে নিজের ছেলের মতোই ভালবাসতেন শাহেদ সোহরাওয়ার্দী ৷ সে বাড়িতে কোনোকিছুরই অভাব ছিল না তাঁর ৷ বাড়ির দুতলায় বিশাল লাইব্রেরিতে ছিল বিশ্ববিখ্যাত সব চিত্রকরদের শিল্পকর্ম আর সেরা সেরা সমালোচকদের বই পুস্তক ৷ সুলতান নিজের চর্চা দিয়েই মন ও মগজে গেঁথে নিলেন সেই বৈভব ৷ পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী পরিবারে থাকার কারণেই আরবি, ফারসি ও ইংরেজিতে বেশ দক্ষ হয়ে উঠলেন তিনি ৷ সে সময় আর্ট কলেজের পুরু কোর্সের মেয়াদ ছিল ছয় বছর৷ সুলতান প্রথম বছরের পরীক্ষায় দ্বিতীয় এবং পরের দুই বছর পর পর প্রথম হলেন ৷ ভালোই চলছিল সবকিছু, কিন্তু সুলতান ছয় বছরের কোর্সে চার বছরের মাথায় এসে হাঁপিয়ে ওঠেন ৷ ১৯৪৪ সালে শেখ মোহম্মদ সুলতানের মাঝে হঠাত্‍ই জেগে ওঠে মাছিমদিয়ার দুরন্ত লালমিয়া ৷ টান পড়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার৷ কলেজ, কলেজের সহপাঠী, প্রিয় শিক্ষকদের ভালবাসা, সোহরাওয়ার্দী পরিবারের স্নেহ-মমতা, সোনালি সাফল্যের হাতছানি- কোনোকিছুই সুলতানকে আর আটকাতে পারল না ৷ সব পেছনে ফেলে একদিন সত্যি সত্যি কলকাতা ছেড়ে ভারতবর্ষ দেখতে বেরিয়ে পড়েন তিনি ৷ প্রথমে গেলেন দিলি্ল, দিলি্ল থেকে লক্ষ্ণৌ, সেখান থেকে হিমালয়ের পাদদেশ। এভাবেই তাঁর ভবঘুরে শিল্পী জীবনের শুরু৷ কন্যাকুমারিকা থেকে হিমালয় পর্যন্ত গোটা ভারতবর্ষ চষে বেড়ান তিনি ৷তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাল ৷ সুলতান ভারতের শহর থেকে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর পাঁচ দশ টাকার বিনিময়ে গোরা সৈন্যদের ছবি আঁকছেন ৷ ভয় নেই, ভাবনা নেই, নেই কোনো দায়-দায়িত্ব, আছে শুধু সুন্দরের প্রতি সুতীব্র টান আর ছুটে চলার গতি ৷ এরপর কাশ্মীরের উপজাতীয়দের সাথে বসবাস শুরু করেন আর তাদের নিয়ে ছবি আঁকেন তিনি ৷ প্রকৃতি, নিসর্গ ও মানুষকে নিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য ছবি এঁকেছেন সুলতান ৷ এরই মধ্যে শিল্পী হিসেবে এস এম সুলতান কিছুটা খ্যাতিও অর্জন করেছেন৷ মিসেস হাডসন নামে কানাডীয় এক মহিলার উদ্যোগে ১৯৪৫ সালে ভারতের সিমলাতে সুলতানের প্রথম চিত্র প্রদর্শনী হয় ৷ সেখানকার মহারাজা প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন ৷ প্রদর্শনীতে বেশিরভাগই ছিল বাংলা ও কাশ্মীরের নয়নাভিরাম ল্যান্ডস্কেপ৷ মানুষের অবয়ব নিয়ে কিছু কাজও ছিল। এরপর সুলতান চলে যান পশ্চিম পাকিস্তানে। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের করাচিতে এবং ১৯৪৯ সালে লাহোর ও করাচিতে সুলতানের চিত্র প্রদর্শনী হয় ৷ তারপর আরো কয়েক বছর কাশ্মীর ও ভারতে কাটান তিনি ৷ ১৯৫১ সালে চিত্রশিল্পীদের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিতে তিনি আমেরিকায় যান ৷

এরপর সুলতান আবার নড়াইলের মাটিতে ফিরে আসেন ৷ কিন্তু পৈত্রিক ভিটেয় তাঁর ঠাঁই মিলল না ৷ পৈত্রিক ভিটেয় ঠাঁই না পেয়ে সুলতান ঢাকায় থাকতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ঢাকায় সে সময় খ্যাতিমান শিল্পীদের পাশে তিনি কোনো স্থান পেলেন না ৷ আবার ফিরে গেলেন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে ৷ সেখানে তিনি একটি আর্ট স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করলেন৷ আর পাশাপাশি চলছিল তাঁর ছবি আঁকা। পঞ্চাশের দশকেই সুলতান যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচটি ও লন্ডনে চারটি প্রদর্শনী করেন। এর মধ্যে পাভলো পিকাসো, সালভাদর দালি, মাতিস, ব্রাক ও ক্লীর মতো বিশ্বনন্দিত শিল্পীদের সঙ্গে ছিল শেখ মোহম্মদ সুলতানের চিত্রকর্মের যৌথ প্রদর্শনী ৷ ১৯৪৬ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে তাঁর মোট বিশটি একক প্রদর্শনী হয় ৷ এসব একক ও সম্মিলিত প্রদর্শনীর মাধ্যমে সুলতান প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের চিত্রকলার জগতে আলোড়ন তুলেছিলেন ৷ শুরু থেকে এস এম সুলতানের ছবির মূল বিষয় ছিল নিসর্গ৷ পঞ্চাশের দশকের শেষদিকে তাঁর শিল্পবোধে পরিবর্তন আসে ৷ ল্যান্ডস্কেপে আসে ফসলের জমি, বাংলার কৃষি জীবন ও মানুষ৷ ষাটের দশকের শেষ দিকে এসে তাঁর চিত্রকর্মে উপজীব্য হয়ে উঠল মানুষের দেহাবয়ব ৷ ল্যান্ডস্কেপের পরিবর্তে মানুষই হয়ে উঠল তাঁর ছবির অধিপতি। ১৯৫৩ সালে আজীবন ভবঘুরে সুলতান বিশ্ব ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে আসেন ৷ বসতি গড়েন জন্মভূমি নড়াইলে৷ তবে সেটা তাঁর বাবার ভিটেয় নয়, নড়াইলের জমিদার বাড়ির পরিত্যক্ত শিবমন্দিরে ৷ এই মন্দিরের চারদিকে ঘন জঙ্গল, আর বটগাছের শেকড় অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে রেখেছে শিবমন্দিরটিকে ৷ গোটা মন্দিরকেই যেন গিলে খাচ্ছে সেই বটগাছ৷ চুন, সুড়কির গাঁথুনি খসে পড়ছে৷ ফাঁক-ফোঁকরে বাস করে বিষাক্ত সাপ ৷ সুলতান সাপের ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাননি৷ পরম মমতায় এসব সাপকে লালন পালন করছেন, রোজ এদের দুধ কলা খাওয়ান৷ এ যেন এক অন্য সুলতান। একজন অসম্ভব প্রাণীপ্রেমী মানুষ৷ জীব-জন্তু নিয়েই যেন তাঁর জীবন৷ লম্বা ছিপছিপে গড়ন, পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ছাই রংয়ের পাঞ্জাবি আর কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুল ৷ কোলে সব সময়ই কোনো না কোনো প্রাণী থাকে ৷ সারাদিন এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আড্ডা দিচ্ছেন, না হয় কোথাও বসে বাঁশি বাজাচ্ছেন ৷ তিন কুলে তাঁর তখন কেউই নেই, বিয়েও করেননি ৷ দিনে যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়াতেন, বাঁশি বাজাতেন আর রাত হলে শিবমন্দিরে ঘুমাতেন ৷ এর কিছুদিন পর শিবমন্দির ত্যাগ করে সুলতান এসে উঠলেন মাছিমদিয়া গ্রামে জমিদারদের আরেকটি পরিত্যক্ত দুতলা বাড়িতে ৷ এখানে এসে তিনি আরো সংসারী হয়ে উঠলেন ৷দিন দিন সুলতানের সংসারে সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকল ৷ তাঁর সংসারে সদস্য হচ্ছে কয়েক ডজন গিনিপিগ, ইঁদুর, বিড়াল, কুকুর, বাঁদর ও নানারকম পাখি ৷ এরা তাঁর সন্তানের মতো ৷ রোজ এদের খাবারের জন্য প্রয়োজন হয় পাঁচ সের দুধ, কয়েক ডজন কলা, মাছ, মাংস- আরো কত কী৷ সেই দিনগুলোতে এদের আহার জোগাড় করতে গিয়ে অর্থকষ্টে দিনযাপন করেছেন তিনি ৷ কখনো কারো বাড়িতে আশ্রিত হয়ে থেকেছেন ৷ আবার কখনো দশজনের সহযোগিতায় চলেছেন৷ শুধু জীবজন্তু নয়, সখ্যতা গড়ে উঠেছিল গ্রামের সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষ ও শিশুদের সাথেও৷ সুলতান ছিলেন শিশুদের অকৃত্রিম বন্ধু৷ এদের নিয়ে এমনি করেই সুলতানের কেটে গেল দেড় যুগ ৷ এই দীর্ঘ সময়ে তুলিতে কখনো রং লাগাননি সুলতান ৷ ১৯৫১ থেকে ১৯৭৬ এর মাঝে সুলতানের কোনো প্রদর্শনী হয়নি ৷

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বরে শিল্পকলা অ্যাকাডেমির গ্যালারিতে পঁচাত্তরটিরও বেশি চিত্রকর্ম নিয়ে সুলতানের প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী হয় ৷ ততদিনে বাংলাদেশে সুলতানের ছবির সমঝদার অনেক বেড়েছে ৷ সুলতান সে সময় ভাঙা বাড়ির সংসার রেখে ঢাকায় চলে এসেছিলেন। কিন্তু থাকতে পারেননি ৷ নাগরিক জীবনের সাথে একেবারেই মানাতে পারেননি নিজেকে ৷ চিত্রার পাড়ের গুল্মঘেরা পরিত্যক্ত বাড়িতেই ফিরে গেলেন আবার ৷ পাখি, মানুষ আর শিশুদের নিয়ে সারা দিন ঘুরে বেড়ান, শিশুদের ছবি অাঁকা শেখান, আড্ডা দেন ৷ এমনি করেই কাটান কয়েক বছর ৷ সুলতান বাংলাদেশে ততদিনে চিত্রশিল্পী হিসেবে বিরাট সম্মানের আসনে আসীন ৷ শিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে পেয়েছেন ‘একুশে পদক’। এর দু’ বছর পরেই ১৯৮৪ সালে সরকার সুলতানকে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির আবাসিক শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সরকার আর্থিক ভাতায় ও সরকারি খরচে তাঁর ঢাকায় স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করেন ৷ এর বিনিময়ে বছরে ছয়টি ছবি তিনি অ্যাকাডেমিকে দেবেন ৷ এ ছাড়া চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পকলার উপর বছরে একটি করে বক্তৃতা দেবেন এর উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থাভাবে সুলতান যেন ছবি আঁকা বন্ধ করে না দেন। প্রথমত এ চুক্তি দু’ বছরের জন্য হলেও পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্তই তা বহাল ছিল। ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ শিল্পী এস এম সুলতানকে সম্মাননা প্রদান করে। ১৯৯৩ সালে তিনি ‘স্বাধীনতা পদক’ ছাড়াও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউ ইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে পান ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার লাভ করেন।১৯৮৭ সালে এপ্রিল-মে মাসে গ্যেটে ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে জার্মান কালচারাল ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয়বারের মতো একশটিরও বেশি ছবি নিয়ে সুলতানের আরেকটি একক চিত্র প্রদর্শনী হয় ৷ এ প্রদর্শনী পরিদর্শন করে ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা জেভিটস বলেছিলেন, ‘এই উপমহাদেশের গুটিকয় অসামান্য শিল্পীর মাঝে সবচাইতে জমকালো সুলতান। তিনি এশিয়ার কন্ঠস্বর৷ সুলতানের শক্তির উৎস তাঁর টিকে থাকার ক্ষমতায় ৷ যেসব মানবমূর্তি তিনি রচনা করেছেন, তারা জীবনযুদ্ধে মানুষের টিকে থাকার বার্তাবহ ৷ বাংলাদেশ আর বাংলাদেশিদের টিকে থাকার ক্ষমতা ছাড়া তেমন আর কিছু নেই ৷ তাঁর ছবিতে এ জাতির স্বকীয়তার প্রতীক সনাক্ত করা যায়। এই প্রদর্শনীর কিছুদিন পরেই একাডেমির সাথে সকল চুক্তি সাঙ্গ করে প্রকৃতি ও তাঁর সন্তানদের মাঝে আবার ফিরে গেলেন সুলতান ৷ ঢাকা থেকে ফিরেই শিশুদের পড়াশোনা, ছবি আঁকা, গান, নৃত্য ইত্যাদি মিলিয়ে ‘শিশুস্বর্গ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি ৷ প্রাকৃতিক পরিবেশে শিশুদের জন্য এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর আগে এই দেশে আর কোথাও ছিল না ৷ জীর্ণ দুতলা বাড়িটি হয়ে উঠল শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র ৷ পরবর্তীকালে যশোর সেনানিবাসের জিওসি সুলতানকে সুন্দর ছিমছাম তিন কামরার একটি বাসগৃহ, ছবি আঁকার জন্য বড় আকারের একটা কামরা, তার সঙ্গে ছোট্ট আরো একটি কামরা বানিয়ে দেন ৷ কিছুদিন পর সুলতান সরকারি অনুদানে বাড়িটিকে আরো মনোরম করে তোলেন এবং এখানে ছোট্ট একটি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলেন।

হঠাৎ একদিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সুলতান ৷ নড়াইল হাসপাতালে ভর্তি করানো হল তাঁকে৷ পূর্বপরিচিতা নিহারবালা নামে এক মহিলার সাথে সেখানে দেখা হল তাঁর। নিহারবালা হাসপাতালে সেবিকার কাজ করেন ৷তাঁর দুই মেয়ে, পদ্ম ও বাসনা ৷স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই মেয়েকে নিয়ে নিহারবালা তখন অথৈ জলে ৷ সুলতানকে নিহারবালা আগে থেকেই কাকু ডাকতেন ৷ ফলে হাসপাতালে কাকুর সেবায় এতটুকু ত্রুটি রাখেননি তিনি ৷কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর সুলতান যখন ফিরলেন তখন তিনি আর একা ফিরলেন না ৷ সাথে নিহারবালা ও তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে এলেন ৷নিহারবালা হাসপাতালের সেবিকার কাজ ছেড়ে দিয়ে অসুস্থ সুলতানের দেখাশোনার দায়িত্ব সেচ্ছায় কাঁধে তুলে নিলেন। তখন সুলতানের সংসারের মাসিক খরচ ত্রিশ হাজার টাকা ৷ আয়ের উৎস ছিল শিল্পকলা একাডেমি থেকে পাওয়া মাসিক নয় হাজার টাকা আর ছবি বিক্রির টাকা ৷সেই সময় সুলতানের ছবির কদর অনেক বেশি থাকলেও অনেকেই ছবি। নিয়ে অথবা বিক্রি করে টাকা দিত না ৷সে কারণে সংসারে দিন দিন সংকট বাড়তে থাকে সুলতান দিনরাত উত্‍কন্ঠায় থাকেন ৷ বিশেষ করে ‘শিশুস্বর্গ’ ও শিশুদের নিয়ে ৷ইচ্ছে থাকলেও তখন আর ভবঘুরে হতে পারেননি তিনি ৷ কারণ বিশাল এক সংসারের দায় তখন তাঁর কাঁধে৷ তাছাড়া শরীরের ভারেও অনেকটা নত হয়ে পড়েছেন ৷নব্বইয়ের দশকের শুরুতেই সুলতানের শরীর অনেক ভেঙে পড়েছিল ৷শেষের দিকে এসে তাঁর শরীর আরো দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে এই সময় ১৯৯৪ সালে ঢাকার গ্যালারি ‘টোনে’ সুলতানের স্কেচ নিয়ে একক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়৷ এই প্রদর্শনীটি ছিল সুলতানের জীবনের শেষ প্রদর্শনী ৷

১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মহান এই শিল্পী শিল্প ও জীবনের দায় থেকে মুক্তি লাভ করেন। মৃত্যুর পর তাকে প্রিয় জন্মভূমি নড়াইলের কুড়িগ্রামে দাফন করা হয়। আজ বিশ্ববরেন্য বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯২তম জন্মবার্ষিকী। এশিয়ার কণ্ঠস্বর চিত্রশিল্পি লাল মিয়ার জন্মদিনে আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম৷ তবে এস এম সুলতানের আঁকা কিছু ছবি দিলে আরও ভাল লাগত৷

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রবাসী ভাবুক, চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আমি দুঃখিত কিংবদন্তি এই শিল্পীর একাধিক ছবি
সংযোজন করতে পারিনাই বলে। তবে আপনি্
যদি আগ্রহ প্রকাশ করেন তা হলে আপনার মেইলে
ছবিগুলো প্রেরণ করতে পারি। এখানে একাধিক ছবি
সংযোজন কারো কারো ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে পারে।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: এশিয়ার কণ্ঠস্বর চিত্রশিল্পি লাল মিয়ার জন্মদিনে আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদ নুরু ভাই।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই
সবচেয়ে বেশী খুশী হলাম আপনার নামের বানানটি
সংশোধন দেখতে পেয়ে। ভালো থাকবেন।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ নিজের গুণীদের স হজে গ্রহন করে না; এখানে সবার একটা বলয় আছে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: যে দেশে গুণীদের কদর নাই
সে দেশে গুণীরা জন্মায় না।
আমরা ব্যক্তি এবং দলীয়
স্বার্থে অন্ধ হয়েই গুনীদের
করদ করিনা।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫১

দূরের পথযাত্রী বলেছেন: শিল্পী এস. এম. সুলতানের সম্পর্কে প্রথম জেনেছি আহমদ ছফার সাৎক্ষাতকার থেকে।তখন তার একটা ডায়ালগ আমি মাঝেমধ্যে ব্যবহার করতাম ফ্রেন্ডদের সাথে।সেটা ছিল,"ম্যায় সুলতান হু।ম্যায় কিছি কা হুকুম নেহি মানতা"।কোন একটা ব্যাপারে তিনি এই কথাটা বলেছিলেন।এই গুণীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা।বেটার লেইট দ্যান নেভার।

৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:২৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: চিত্রকর্ম ধাতে নেই তেমনটা।। কিন্তু আপনি যে ধারাটা বায় রেখেছেন,তাতেই মগ্ন থেকে আমাদেরও জানান-এই কামনায়।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.