নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা ও স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:২৩


ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, আদর্শবাদী, পন্ডিত এবং কূটনীতিবিদ জওহরলাল নেহেরু। তিনি মোট পাঁচবার ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। বৃটিশ সরকারের নীতির বিরোধিতা করায় এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদান করায় তিনি বহুবার কারারুদ্ধ হন এবং প্রায় ১৭ বছর জেল খাটেন।পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করলে তিনি প্রথম সে-দেশের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন এবং মৃত্যু পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সর্বাবস্থায় গান্ধীজীর সহযোগী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৬৪ সালের আজকের দিনে ভারতের এই মহান নেতা তার নিজ কার্যালয়ে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুদিনে তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা।

১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর ভারতের গঙ্গা নদীর তীরে এলাহাবাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মতিলাল নেহেরু এবং মা স্বরুপ রানি। মতিলাল নেহেরু একজন ধনী ব্রিটিশ ভারতের নামজাদা ব্যারিস্টার ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। আইন ব্যবসার কারণে মতিলাল নেহেরু এলাহবাদে বসবাস শুরু করেন এবং সেখানে একজন আইনজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। জওহরলাল নেহেরু ও তার দুই বোন বিজয়া লক্ষ্মী ও কৃষ্ণা আনন্দ ভবন নামক বিশাল বাড়িতে পশ্চাত্য সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বড় হযে উঠেন। ইংরেজির সাথে সাথে তাদের হিন্দী ও সংস্কৃতি শিক্ষা দেওয়া হয়। তৎকালীন ভারতের সব থেকে আধুনিক স্কুলে পড়ার পর প্রায় ১৫ বছর বয়সে নেহেরু ইংল্যান্ডের হ্যারোতে চলে যান। এরপর তিনি কেমব্রীজেই ব্যারিস্টারি পড়া শুরু করেন। ইংল্যান্ডে পড়ার সময় নেহেরু ভারতীয় ছাত্র সংসদের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। এই সময়েই তিনি সমাজতন্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হন।

(নেহেরু পত্নী কমলা কাউল)
ভারতে ফিরে আসবার পরে ১৯১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জওহরলাল নেহেরু কমলা কাউলের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৭ বছর আর তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১৬ বছর। পরের বছরেই কমলা কাউলের গর্ভে তাদের একমাত্র কন্যা ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনির জন্ম হয়। মেয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে তিনি ভারতের সুযোগ্য ভাবী নেত্রী হিসেবে গড়ে তোলেন। তাঁঁর মৃত্যুর কয়েক বছর পর ইন্দিরা গান্ধীও ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কালীন সময়ে একজন আইনজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সাথে সাথে নেহেরু ভারতীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। জাতীয়তাবাদী কর্মকান্ড স্থগিত রেখে সামাজিক সমস্যা ও স্থানীয় সরকারের প্রতি নজর দেন। তিনি ১৯২৪ সালে এলাহবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি দুই বছর এই পদে আসীন থাকেন। ১৯২০ সালে নেহেরু নিখিল ভারত শ্রমিক ইউনিয়ন কংগেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ঐ সময় সুভাষ চন্দ্র বসু যথেষ্ট প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। ১৯২৮ সালে মতিলাল নেহেরুর "নেহেরু রিপোর্ট" প্রকাশিত হয়। ১৯২৯ সালের লাহোর সম্মেলনে গান্ধীর পরামর্শে নেহেরুকে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৯২৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর কংগ্রেস সভাপতি নেহেরু রাভি নদীর তীরে এক জনসভায় ভারতের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজ আন্দোলনের ডাক দেয়। লবণের উপর করারোপ করায় নেহেরু গুজরাট সহ দেশের অন্যান্য অংশে সফর করে গণআন্দোলনের ডাক দেন। তিনি এসময় গ্রেফতার হন। ১৯৩১ থেকে ১৯৩৫ সালের মাঝে মাত্র চার মাস ছাড়া বাকি সময় তিনি, তাঁর বোন ও স্ত্রীসহ কারাগারে ছিলেন।

১৯৩৫ সালে জেল থেকে মুক্ত হয়ে নেহেরু সপরিবারে ইউরোপ যান। সেখানে কমলা,নেহেরু চিকিৎসা নেন। তবে স্বাস্থ্যের অবনিত হলে ১৯৩৮ সালে কমলা নেহেরু মৃত্যু মুখে পতিত হন। ১৯৩৬ সালে নেহেরু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং এর লক্ষ্মৌ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। সে সম্মেলনে ভবিষ্যত ভারতের জাতীয় অর্থনৈতিক নীতি হিসেবে সমাজতন্ত্রকে গ্রহণ করার পক্ষে নেহেরু বক্তব্য রাখেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ সরকার ১৯৪২ সালের ৯ আগস্ট নেহেরু ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করে। তারা প্রায় সকলেই ১৯৪৫ এর জুন মাস নাগাদ কারাবন্দি রাখেন। নেহেরুর মেয়ে ইন্দিরা গান্ধী এবং তার স্বামী ফিরোজ গান্ধীও কয়েক মাসের জন্য গ্রেফতার হন। ১৯৪৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর পুত্র রাজীব গান্ধীর জন্ম হয়। ১৯৪৫ সালে জেল থেকে বের হয়ে তিনি ১৯৪৬-এ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। নির্বাচনের আগে থেকেই নিখিল ভারত মুসলিম লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র পাকিস্তানের দাবি জানাচ্ছিলেন। নেহেরু ভারত বিভাগকে সমর্থন করেন। অবশেষে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন হয়। ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর শাসনামলে ভারতে ব্যাপক শিল্পায়ন হয়। এই সময়ে একটি ভারত-পাকিস্তান ও একটি ভারত-চীন যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ভারত-পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেহেরু ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি করেন। ২৭ মে, ১৯৬৪ পর্যন্ত তিনি ভারতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিজীবনে অত্যান্ত রূচিবান পুরুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন জওহরলাল নেহ্‌রু। তাঁর পরিধেয় বহুল ব্যবহৃত প্রিয় কোটটি "নেহেরু কোট"নামে পরিচিত। নেহেরু ফ্যাশনের সবচেয়ে চমকপ্রদ অধ্যায়টি হচ্ছে যে-কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্রধর্মী এই কোটটি পরতেন তিনি।

নিউইয়র্কের জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড টাইম ম্যাগাজিনের নতুন ফ্যাশন তালিকায় কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো'র ট্র্যাকস্যুট এবং চীনের অবিসংবাদিত নেতা মাও সেতুংয়ের ব্যবহৃত চার পকেটবিশিষ্ট মাও স্যুটের পাশাপাশি স্থান পায় জওহরলাল নেহ্‌রুর কোটটি। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, আদর্শবাদী, পন্ডিত এবং কূটনীতিবিদ নেহরু ছিলেন একজন আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। লেখক হিসেবেও নেহরু বিশেষ দক্ষ ছিলেন। জেলে বসেই তিনি কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। ইংরেজীতে লেখা তাঁর তিনটি বিখ্যাত বই- 'একটি আত্মজীবনী'(An Autobiography), 'বিশ্ব ইতিহাসের কিছু চিত্র'(Glimpses of World History), এবং 'ভারত আবিষ্কার'(The Discovery of India) চিরায়ত সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করেছে।

১৯৬২ সালের ১ম ভারত-চীন যুদ্ধের পরে নেহেরু অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কাশ্মীরে কিছুদিন বিশ্রাম নেন। ১৯৬৪ সালের মে মাসে কাশ্মীর থেকে ফেরার পরে নেহেরু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। অবশেষে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে নেহেরু তার কার্যালয়ে মৃত্যু বরণ করেন। আজ এই মহান নেতার ৫১তম মৃত্যুবার্ষিূকী। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, আদর্শবাদী, পন্ডিত এবং কূটনীতিবিদ জওহরলাল নেহেরুর মৃত্যুদিনে আমাদের শুভেচ্ছা

কৌফিয়তঃ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কোন কালেই সকল মানুষের প্রিয় ভাজন হতে পারেনাই। এক পক্ষে তার সব কিছুর অন্ধ সমর্থক হলেও বিপক্ষে থাকে বৃহৎ একটা দল। সকলের মন যুগিয়ে চলা রাজনীতিবীদদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বলে ইতিহাসকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই। কারণ সাগর আর ইতিহাস বিশাল ও উদার বলেই তার বুকে ধারণ করে ভালো মন্দ উভয়কেই। সমুদ্রের অতলে যেমন আছে বিশাল রত্ন ভাণ্ডার তেমনি তার বুকে আশ্রয় দিতে কুণ্ঠিত হয়না কোন উচ্ছিষ্ট নোংরা আবর্জনা। তেমনি ইতিহাসও তার হৃদয়ে ধারণ করে নিন্দিত নন্দিত সবাইকে। ইতিহাস বড়ই নির্মম, কেউ তাকে পছন্দ করুক আর নাই করুক সে চলে তার নিজস্ব গতিতে। জওহরলাল নেহেরুও একজন রাজনীতিবীদ সুতরাং তার পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য থাকবে, কেউ শ্রদ্ধা আবার কেউ নিন্দাও জানাবে তাকে এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে ইতিহাসকে অস্বীকার করার দ্বায় প্রত্যেকের নিজের।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন, ধন্যবাদ

২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ মঞ্জু আপু,
উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য করার জন্য।
সাথে থাকবেন আগামীতেও সেই
প্রত্যাশায় শুভকামনা।

২| ২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

অনিকেত১ বলেছেন: আপনার 'কৈফিয়ত' এর সাথে সহমত পোষণ করে বলতে চাই , রাজনীতিকদের জীবনচরিত যখন লিখতেই হবে তখন তার বা তাদের নেতিবাচক বা সমালোচিত অধ্যায়গুলিও প্রাসংগিকভাবেই পাঠকদের জানতে দিতে হবে। আমাদের উপমহাদেশের নাগরিকদের সমস্যা হচ্ছে, মৃত অথবা জীবিত নেতাদেরকে আমরা একেবারে পীর-পয়গম্বর বানিয়ে ফেলি,মানুষ ভাবতে আমাদের কেন যে কষ্ট হয়। মোহনচাঁদ করমচাঁদ গান্ধী থেকে শেখ মুজিব পর্যন্ত এর কোনো বাত্যয় ঘটেনি।
লুই মাউন্টব্যাটন এর স্ত্রী এডউইনা মাউন্টব্যাটন এর সাথে নেহেরুর 'এক্সট্রা ্ম্যারিটাল এফেয়ার' সর্বজনবিদিত। নেতাজী সুভাস বোসকে কংগ্রেস ছাড়তে বাধ্য করা এবং নেতাজীর অন্তর্ধান নিয়ে তার ভূমিকা এখনো রহস্যাবৃত এবং সন্দেহের উর্ধে নয় - এসব জানালে আপনার লেখাটা অনেক সমৃদ্ধ হত বলে মনে করি।
আপনার চমতকার গোছানো লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যথার্থ বলেছেন অনিকেত ভাই। আপ নার মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি। তবে সবার প্রকাশের ধরণ এক নাও হতে পারে। দোষত্রুটি নিয়েই মানুষ। মানুষের দোষ না থাকলে সে হতো দেবতা বা ফেরেশতা! ফেরেশতাদের দোষ করার ক্ষমতা থাকেনা। তাদের সৃষ্টি করাই হয়েছে সৃষ্টিকর্তার গুণগান করার জন্য। সৃষ্টিকর্তা ক্ষমা করতে ভালোবাসেন বলেই মানুষকে দোষ করার ক্ষমতা দিয়েছেন যাতে সে অনুতপ্ত হয়ে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে দোষ মুক্ত হতে পারেন। যা পরচর্চা ও পরনিন্দার সামিল। পবিত্র কোরান স্পষ্ট আয়াত দ্বারা পরিষ্কার ভাবে পরচর্চা ও পরনিন্দার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
আয়াতটি –
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।( ৪৯:১২)
সুতরাং গোপন কথাটি নাহয় থাক গোপনে!

৩| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: অনিকেত১ ভাই কে বলছি, প্রত্যেক মানুষের একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে। তার প্রায়োরিটি আগে । আরযদি সেই ব্যক্তিগত জীবন সমাজের কোন ক্ষতি না করে তবে থাক না আলোচনার বাইরে।

২৭ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ রানী আপু, যথার্থই বলেছেন যে
প্রতিটি মানুষেরই থাকে দু'টো দিক যার একটা আলোকিত
আর একটি অন্ধকার। তবে ততক্ষন পর্যন্ত সে নিরাপদ যতক্ষন
না অন্ধাকার দিকটি আলোকিত অংশকে অন্ধকারে ঢেকে দেয়।
আমার বিশ্বাস আমাদের আজকের আলোচিত গুণী মানুষটি অন্ধকারকে
জয় করে আলোকিত করেছিল তার সময়কে। তাই তার অন্ধকার অংশটি
আলোচনায় আসে নাই তার জীবদ্দশায়। তা হলে আমরা কেন এত দিন পরে
সেই তমাসাচ্ছন্ন দিকে দৃষ্টিপাত করতে যাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.