নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
রাজধনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দু’দফা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইউএস জিএস’র তথ্য বলছে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৭.৫। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় নেপালের পোখারার কাছে। নিমিষেই তা ভারত ও বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে যায়। ভূমিকম্প একযোগে কাঁপিয়েছে ভারত-নেপাল ও বাংলাদেশকে। প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে দুপুর ১.১৫ মিনিটে। কয়েক মিনিট ধরে চলতে থাকা এই ভূমিকম্প সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় ধরণের ভূমিকম্প বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১২.৫০ মিনিটে অনুভূত হয় দ্বিতীয় দফা ভূমিকম্প। এ সময় পুকুরের পানিতে ঢেউ খেলে যায়। বাড়িঘর কেঁপে উঠে। ভূমিকম্প অনুভূত হবার সাথে সাথে অফিস ও বসত বাড়ির মানুষ ভবন ছেড়ে বাইরে নেমে আসে। এখনো ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি বহুতল ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা ফোন করে জানিয়েছেন।
ভূমিকম্পের সময় করণীয়ঃ
নিচের পরামর্শগুলো বেশি কার্যকরী যদি ভবনে ভূমিকম্পরোধক ব্যবস্থা থাকেঃ
১। ভূমিকম্পের সময় বেশি নড়াচড়া, বাইরে বের হবার চেষ্টা করা, জানালা দিয়ে লাফ দেবার চেষ্টা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা উচিত। একটা সাধারণ নিয়ম হল- এ সময় যত বেশি মুভমেন্ট করবেন, তত বেশি আহত হবার সম্ভাবনা থাকবে। আপনার ভবনে যদি ভূমিকম্পরোধক ব্যবস্থা থাকে বা রেট্রোফিটিং করা থাকে তবে ভূমিকম্পের সময় বাসায় থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ।
২। আমেরিকান রেডক্রসের পরামর্শ অনুযায়ী- ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ বা ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ কম্পন শুরু হলে মেঝেতে বসে পড়ুন, তারপর কোন শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নীচে ঢুকে কাভার নিন, এমন ডেস্ক বেছে নিন বা এমনভাবে কাভার নিন যেন প্রয়োজনে আপনি কাভারসহ মুভ করতে পারেন।
কোনো ভবন ভূমিকম্পরোধক হলে তা খুব কমই ধসে পড়ে; যেটা হয় তা হল আশেপাশের বিভিন্ন জিনিস বা ফার্নিচার গায়ের উপর পড়ে আহত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এগুলো থেকে বাঁচার জন্য এ সময় কোন শক্ত ডেস্ক বা টেবিলের নিচে ঢুকে আশ্রয় নেয়া জরুরী।
৩। ভূমিকম্পের সময় এলিভেটর/লিফট ব্যবহার পরিহার করুন।
৪। ভূমিকম্পের সময় যদি গাড়িতে থাকেন তবে গাড়ি বন্ধ করে ভেতরে বসে থাকুন। গাড়ির বাইরে থাকলে আহত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৫। ‘মেইন শক’ বা মূল ভূমিকম্পের আগে এবং পরে মৃদু থেকে মাঝারি আরো কিছু ভূমিকম্প হতে পারে যেগুলো ‘ফোরশক’ এবং ‘আফটার শক’ নামে পরিচিত। সতর্ক না থাকলে এগুলো থেকেও বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। সাধারণত কোনো বড় ভূমিকম্পে ‘আফটার শক’ প্রথম ঘণ্টার মধ্য থেকে শুরু করে কয়েক দিনের মধ্যে হতে পারে।
৬। প্রথম ভূমিকম্পের পর ইউটিলিটি লাইনগুলো (গ্যাস, বিদ্যুত ইত্যাদি) একনজর দেখে নিন। কোথাও কোন লিক বা ড্যামেজ দেখলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন।
ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়লে করণীয়
১। ধুলাবালি থেকে বাঁচার জন্য আগেই সাথে রুমাল বা তোয়ালে বা চাদরের ব্যবস্থা করে রাখুন।
২। ম্যাচ জ্বালাবেন না। দালান ধ্বসে পড়লে গ্যাস লিক হয়ে থাকতে পারে।
৩। চিৎকার করে ডাকাডাকি শেষ অপশন হিসেবে বিবেচনা করুন। কারণ, চিৎকারের সময় মুখে ক্ষতিকারক ধুলাবালি ঢুকে যেতে পারে। পাইপে বা ওয়ালে বাড়ি দিয়ে বা মুখে শিস বাজিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে পারেন। তবে ভাল হয় সাথে যদি একটা রেফারির বাঁশি বা হুইসেল থাকে, তার প্রিপারেশন নিয়ে রাখুন আগেই। সতর্ক থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ জুন মন্তব্য করার জন্য.
সতর্ক থাকবেন, আর নিরাপদে থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩
জুন বলেছেন: Goto kaal mayanmar er saan province er inle tey sokal 8am y vumikompo hoi . jaar tibro jhaki tey voi peye jai. Aj okhan thekey yangon firey ekhon net y dekhi dhk y o vumikompo