নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
ভারতীয় বাঙালি কবি ও স্বদেশপ্রেমিক করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কবিতায় প্রধানত দেশপ্রেমের বাণী প্রকাশ পেত। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বঙ্গমঙ্গল’ প্রকাশিত হয় ১৯০১ সালে। কিন্তু রাজরোষে পতিত হওয়ার আশঙ্কায় কাব্যগ্রন্থটির প্রথম সংস্করণে তাঁর নাম মুদ্রিত হয়নি। করুণানিধান ছিলেন রবীন্দ্র অনুসারী কবিদের মধ্যে অন্যতম। রবীন্দ্রনাথের ধারায়- রোমান্টিক প্রেম, দাম্পত্য জীবনের লীলা-মাধুর্য, প্রকৃতি প্রেম ও আধ্যাত্বিক ব্যাকুলতা তাঁর পরবর্তীকালের কবিতার উপজীব্য। আজ তার ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৫৫ সালের আজকের দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কবির মৃত্যুদিনে তাঁকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধায়।
কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৭৭ সালের ১৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নৃসিংহ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন স্কুল শিক্ষক। ১৮৯৬ সালে শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল স্কুল থেকে এন্ট্রান্স ও ১৮৯৯ সালে কলকাতা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন থেকে এফ.এ. পাস করেন। কলকাতার জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশনে স্নাতক শ্রেণীতে ভর্তি হলেও বি.এ. পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন তিনি। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিক্ষকতাকে পেশা হিসাবে শিক্ষতাকে গ্রহণ করে কর্মজীবনের শুরু করেন করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষকাতা পেশায় তিনি শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল স্কুল, গাইবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয়, কলকাতা শ্রী কৃষ্ণ পাঠশালা, হুগলি সরকারী ব্রাঞ্চ ইস্কুল এবং উত্তরপারা সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষতা করেন।
(সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, যতীন্দ্রমোহন বাগচী, করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়, মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ)
করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্যচর্চা শুরু করেন ছাত্রাবস্থা থেকেই। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ ১। বঙ্গ-মঙ্গল (১৯০১), ২। প্রসাদী (১৩১১), ৩। ঝরাফুল (১৩১৮), ৪। শান্তিজল (১৩২০), ৫। ধানদুর্বা (১৩২৮), ৬।শতনারী (১৩৩৭), ৭। রবীন্দ্র-আরতি (১৩৪৪), ৮। গীতায়ন (১৩৫৬), ৯। গীতারঞ্জন (১৩৫৮) ইত্যাদি। সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৫১ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জগত্তারিণী’ পদকে ভূষিত হন।
১৯৫৫ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারী মৃত্যুবরণ করেন কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তার ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুদিনে কবিকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধায়।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি আরো যে সকল গুণীজনের মৃত্যুৃদিবসঃ
১। ১৫৫৮: ইতালীয় প্রতিকৃতি শিল্পী গিয়ামবাত্তিস্তা মোরোনি।
২। ১৬৭৯: ডাচ কবি ও নাট্যকার ইওস্ট ভ্যান ডন ভনডেল।
৩। ১৭৯০: ইংরেজ চিকিৎসক ও অধ্যাপক উইলিয়াম ক্যালেন।
৪। ১৮৫৯: বাঙালি কবি, লেখক, সাংবাদিক, সমাজ সংস্কারক তর্কবাগীশ গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য।
৫। ১৯২১: বাঙালি বিপ্লবী, বরিশাল যুগান্তর দলের প্রতিষ্ঠাতা সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়।
৬। ১৯৩২: রাজনীতিবিদ ও সামাজ সংস্কারক মওলানা মোহাম্মদ আলী।
৭। ১৯৪১: অষ্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক ও কবি অ্যান্ডু বার্টন প্যাটার্সন।
৮। ১৯৬২: ফরাসি সংগীত স্রষ্টা ভাক ইবার।
৯। ১৯৮৮: ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র কৌতুকাভিনেতা সন্তোষ দত্ত।
১০। ১৯৯৮: ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক অর্ধেন্দু সেন।
বাঙালি কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সকল গুণীজনের মৃত্যুৃদিবসে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
©somewhere in net ltd.