নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
যারা বলেন যে, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা সম্ভব নয়,
তারা হয় বাংলা জানেন না, নয়তো বিজ্ঞান জানেন না।
আগামী প্রজন্মের উদ্দেশে এই চিরস্মরণীয় উক্তিটি যিনি করেছিলেন, তিনি বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। বাঙালি জাতি তাঁকে নিয়ে গর্বিত। বিশ্ব বিজ্ঞানসভায় বাঙালি জাতি যে একান্তই বহিরাগত, অযোগ্য ও অপাঙ্ক্তেয় নয়, বরং মর্যাদার আসন লাভ করতেও সক্ষম, তা প্রমাণ করেছেন যে কজন বিজ্ঞানী, সত্যেন বোস তাঁদের প্রধান একজন। তাঁর নাম যুক্ত হয়ে পড়েছে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের সঙ্গে তাঁর আবিষ্কৃত কোয়ান্টাম সংখ্যায়নের জন্য। তবে আলবার্ট আইনস্টাইন আমাদের কাছে যতটা পরিচিত, সত্যেন্দ্রনাথ বসু ততটা নন। কারণ প্রচার মাধ্যমে আইনস্টাইন সুযোগ পেয়েছেন সত্যেন বসুর চেয়ে বেশি। তাছাড়া স্বদেশী বিজ্ঞান সাধকের প্রতি আমাদের উৎসাহ বরাবরই কম। এ আমাদেরই দীনতা। সত্যেন বসু ছিলেন মনে প্রানে প্রচন্ড বাঙালী। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চ্চার ক্ষেত্রে তার অমূল্য অবদান রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে কলকাতায় ১৯৪৮ খৃষ্টাব্দে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ গঠিত হয়। এই পরিষদের মুখপাত্র হিসাবে বাংলা ভাষার বিজ্ঞান পত্রিকা জ্ঞান ও বিজ্ঞান প্রকাশিত হয়। ১৯৬৩ খৃষ্টাব্দে জ্ঞান ও বিজ্ঞান-এ কেবলমাত্র মৌলিক গবেষণা নিবন্ধ নিয়ে রাজশেখর বসু সংখ্যা প্রকাশ করে তিনি দেখান, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানের মৌল নিবন্ধ রচনা সম্ভব। ১৯৭৪ সালের আজকের দিনে এই মহান বিজ্ঞানী মৃত্যুবরণ করেন। আজ তাঁর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
১৮৯৪ সালের ১ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার গোয়াবাগান অঞ্চলে ঈশ্বরমিল লেনের পৈতৃক গৃহে তাঁর জন্মগ্রহণ করেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। যে সময়টাতে জন্মেছিলেন বিজ্ঞানের চার কিংবদন্তি, পরমাণু বিজ্ঞানী লিস মিটনার, অটোহ্যান, আলবার্ট আইনস্টাইন ও ম্যাক্সভন লু-এর মতো প্রতিভাবান বিজ্ঞানীরা। সময়ের সেই সুবর্ণ ধারায় এ উপমহাদেশে রামানুজন, মেঘনাদ সাহা, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এবং রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি জন্মগ্রহণ করেন তাঁদের আরেক যোগ্য উত্তরসূরি সত্যেন্দ্রনাথ বসু। বাবা রেলওয়ের হিসাবরক্ষক সুরেন্দ্রনাথ বসু, মা আমোদিনী দেবী। আর মাতামহ মতিলাল রায় চৌধুরী ছিলেন একজন আইনজীবী। খুব সাধারণ বাঙালি পরিবারের সন্তান সত্যেন্দ্রনাথ নর্মাল স্কুলে প্রাথমিক ও হিন্দু স্কুলে মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন সত্যেন্দ্রনাথ। ১৯০৯ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৫ম স্থান অধিকার করেন তিনি। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯১১ সালে আই-এস-সি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯১৩ সালে গণিতে অনার্স সহ বি-এস-সি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ১৯১৪ সালে এম-এস-সি পরীক্ষার আগে সত্যেন বসু ডাক্তার যোগেন্দ্রনাথ ঘোষের মেয়ে ঊষাবতী দেবীকে বিয়ে করেন। ১৯১৫ সালে এম-এস-সি পরীক্ষায় মিশ্র গণিতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সত্যেন্দ্রনাথ বসু)
বিজ্ঞান বিশ্বের এই অসাধারণ পন্ডিত সত্যেন্দ্রনাথ বসু ব্যক্তিজীবনে ছিলেন নিরলস, কর্মঠ ও মানবদরদী মণীষী। বিজ্ঞানের পাশাপাশি সঙ্গীত ও সাহিত্যেও ছিল তাঁর আন্তরিক আগ্রহ ও বিশেষ প্রীতি। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে নিজের বিশ্বপরিচয় বিজ্ঞানগ্রন্থ, অন্নদাশঙ্কর রায় তাঁর জাপানে ভ্রমণরচনা ও সুধীন্দ্রনাথ দত্ত তাঁর অর্কেস্ট্রা কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেছিলেন।১৯১৪ সালে তিনি বিয়ে করেন ডা. যোগেন্দ্রনাথ ঘোষের কন্যা উষাবতী দেবীকে। ছাত্রজীবনে তার সহপাঠীদের মধ্যে যারা খ্যাতিমান ছিলেন তাদের মধ্যে মেঘনাদ সাহা, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, রঞ্জন সেন ও শৈলেন ঘোষ উল্লেখযোগ্য। তাঁদের অগ্রগামী শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন প্রশান্ত মহলানবিশ, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র, অধ্যাপক ডি.এন. মলি্লক, অধ্যাপক শ্যামদাস মুখোপাধ্যায় প্রমুখ ব্যক্তিত্ব। ১৯১৮-৫৫ সাল পর্যন্ত সময়কালে তার মাত্র ২৯টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। অনেকের কাছ থেকে জানা যায়, তিনি সামান্য ত্রুটিযুক্ত কাজও প্রকাশ করতে চাইতেন না। ফলে তার বেশকিছু গবেষণা প্রবন্ধ বা বক্তৃতামালা হারিয়ে গেছে।
(বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের সাথে সত্যেন্দ্রনাথ বসু)
সত্যেন্দ্রনাথ বসু আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে যৌথভাবে বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান প্রদান করেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে বিবেচিত হয়। বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী, কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিক্সের উদ্ভাবক এবং বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ বসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় তত্ত্বীয় পদার্থ বিজ্ঞান ও এক্সরে ক্রিস্টালোগ্রাফির ওপর গবেষণা কর্মের সূচনা করেন, যা তাঁকে পরবর্তীতে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দেয়। ১৯২৪ সালে তাঁর প্লাস ল অ্যান্ড দি লাইট কোয়ান্টাম হাইপোসিস প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় যেটি বিজ্ঞানী আইনস্টাইন পড়ে চমৎকৃত হন। আইনস্টাইন সত্যেন বসুর মূল গবেষণাপত্রটি ইংরেজি থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন ১৯২৪ সালে এবং প্রকাশের সময় সত্যেন বসুর সাথে নিজের নামটাও যোগ করে দিয়েছিলেন। প্রকাশিত প্রবন্ধটি বোস-আইনস্টাইন তত্ত্ব নামে সারাবিশ্বে সমাদৃত হয়। তাঁর নামানুসারে পরমাণুর একধরণের কণিকার নাম রাখা হয়েছে বোসন কণা। পদার্থবিজ্ঞানে ইতিহাসে বোসের নাম বোসন কণা হিসেবে চিরস্থায়ী আসন নেয়। তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের কিছু কিছু বিষয়ে সত্যেন বসুর অবদান আইনস্টাইনের অবদানের চেয়ে বেশি। বোস-আইনস্টাইন তত্ত্বের আলোচনায় সত্যেন বসুর নামের ঠিক পরেই আইনস্টাইনের নাম উচ্চারিত হয়। কিন্তু বিশ্ব-বিখ্যাত এই তত্ত্বের প্রায় পুরো কৃতিত্বই সত্যেন বসুর।
(‘ঈশ্বর কণা’ বা হিগস-বোসন’ কণা)
সম্প্রতি সার্নের গবেষণাগারে আবিষ্কৃত হয়েছে ‘ঈশ্বর কণা’, যার পারিভাষিক নাম হিগস-বোসন কণা৷ আর সেই বোসন যাঁর নাম অনুসারে হয়েছে তিনি বাঙালি জাতীয় বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। পদার্থবিজ্ঞানে এ বারের নোবেল পুরস্কারের সাথে জড়িয়ে আছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির অতিসূক্ষ্ম কারণ অনুসন্ধানের ফলাফল এবং একজন বাঙালি বিজ্ঞানী। বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির বা পদার্থকে 'ভর'দান করার নেপথ্য কণাটির সাধারণ অনুধাবনযোগ্য নাম 'ঈশ্বরকণা', তত্ত্বগতভাবে 'হিগস-বোসন কণা'। এই কণা নিয়ে গবেষণার জন্য ২০১৩ সালের পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পিটার হিগস ও বেলজিয়ামের ফ্রাঁসোয়া আঁগলার। আর তার সাথে পরোক্ষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছেন বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু, যাঁর পদবীর নামানুসারে কণাটির নামের সাথে রয়েছে 'বোসন' শব্দটি। বসু-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান, বসু-আইনস্টাইন ঘনীভবন, বোসনের উপর গবেষণা করে ১৯৮৪ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন Carlo Rubbia এবং Simon van der Meer, ১৯৯৬ সালে David M. Lee, Douglas D. Osheroff, Robert C. Richardson, ১৯৯৯ সালে Martinus J. G. Veltman ও Gerardus 't Hooft, ২০০১ সালে Eric Allin Cornell, Carl Edwin Wieman এবং Wolfgang Ketterle) নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, কিন্তু দুঃর্ভাগ্যজনকভাবে বোসকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়নি। তাদের নোবেল পুরস্কার দেওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়ঃ for the achievement of Bose-Einstein condensation in dilute gases of alkali atoms, and for early fundamental studies of the properties of the condensates.
নোবেল পুরস্কার না পেলেও সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯২৯ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের পদার্থবিজ্ঞান শাখার সভাপতি এবং ১৯৪৪ সালে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালে তিনি লন্ডনের রয়েল সোসাইটির ফেলো হন। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্স্টিটিউট , কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৫৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক পদে মনোনীত করেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে দেশিকোত্তম এবং ভারত সরকার পদ্মবিভূষণ উপাধিতে ভূষিত করে। এ ছাড়াও ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা শহরে তাঁর নামে সত্যেন্দ্রনাথ বসু জাতীয় মৌলিক বিজ্ঞান কেন্দ্র নামক গবেষণাকেন্দ্র স্থাপিত হয়। বাঙ্গালী হিসেবে আমাদের গৌরব যে, সত্যেন্দ্রনাথ বসু পদার্থবিজ্ঞানের জটিল সব গবেষণা করেছেন তার প্রায় তিন দশকব্যাপী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের একটি কক্ষে বসে। এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বপ্রেক্ষাপটে পরিচিত নাম হয়ে ওঠে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই বসুর নাম মনে রাখেনি। তার বাস করা বাড়িটি ভেঙে ফেলেছে। তাঁর নথিপত্রও সংরক্ষণ করতে পারেনি। আসলে আমাদের দেশের মাটি কৃতজ্ঞতাবোধ জিনিসটা বোঝে না। ইতিহাস জিনিসটা তাদের কাছে অর্থহীন। দ্রুত মন থেকে মুছে ফেলাটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। অবশ্য এটাও ঠিক যে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামের সাথে নোবেল বিজয়ী আইনস্টাইনের নাম যুক্ত না হলে হয়তো সত্যেন বসুকে যতটুকু সম্মান আজ দেয়া হয় তাও দেয়া হতো না। যেমন বেতার-তরঙ্গ সংক্রান্ত গবেষণা ও আবিষ্কারের জন্য জগদীশ বসুর প্রাপ্য সম্মান তাঁকে দেয়া হয়নি।
জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত কাজের মধ্যে অতিবাহিত করেছেন প্রফেসর সত্যেন্দ্রনাথ বসু। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি প্রাইম নাম্বার নিয়ে গবেষণা করেছেন। ১৯৭৪ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ভোর ছয় টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সত্যেন বসু। আশি বছরের একটা কর্মময় জীবন কাটিয়ে গেলেন এই পৃথিবীতে। পেছনে রেখে গেলেন তাঁর অমর কীর্তি। আজ এই এই মহান বিজ্ঞানী ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুদিনে তাঁর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।
আজ আরও যে সকল গুণীজনের মৃত্যুদিবসঃ
১। ১৪৯৮ ইতালীয় চিত্রশিল্পী আন্তেনিও গালাউল।
২। ১৬১৫ ইতালীয় প্রকৃতিবাদী দার্শনিক গিয়াম বাতিস্তা পোর্ত।
৩। ১৭৪৬ স্কটিশ কবি রবার্ট ব্লেয়ার।
৪। ১৭৮৭ ইতালীয় চিত্রশিল্পী পোম্পিও জিরোলামো বাতোনি।
৫। ১৮৮১ স্কটিশ লেখক ও ঐতিহাসিক টমাস কার্লাইল।
৬। ১৯১২ - মনমোহন বসু, বাঙালি কবি, নাট্যকার ও হিন্দুমেলার সংগঠক।
৭। ১৯২৮ নোবেলজয়ী ওলন্দাজ পদার্থবিদ আন্তন লোরেৎস।
৮। ১৯৩৯ মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী ও নৃতাত্তিক এডওয়ার্ড স্যাপি।
৯। ১৯৫৭ মেস্কিকোর শিল্পী ও লেখক মিগেল কোভারুবিয়াস।
১০। ১৯৬৯ কবি ও সমালোচক সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
১১। ১৯৯০ - মৈত্রেয়ী দেবী, ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।
১২। ১৯৯১ চিত্রশিল্পী ও সাহিত্যিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
১৩। ১৯৯৩ কবি সানাউল হক।
১৪। ১৯৯৭ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য আজিজুর রহমান মল্লিক
১৫। ১৯৯৮ - রবি ঘোষ, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র কৌতুকাভিনেতা।
বাঙালি পদার্থবিদ সত্যেন্দ্রনাথ বসু সহ সকল গুণীজনের মৃত্যুদিবসে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
©somewhere in net ltd.