নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
কিছু মানুষ সূর্যের মতো উদিত হয়, যাদের মেধা, মনন আর সৃষ্টির কল্যাণে আলোকিত হয়ে ওঠে জগৎ সংসার। তারা পৃথিবী থেকে চলে গেলেও তাদের কর্ম, সততা, জনপ্রিয়তা ও অধ্যবসায়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন যুগ যুগ ধরে। তেমনি আলোকিত মানুষদের প্রতিনিয়তই আমরা হারিয়ে চলেছি সময়ের পরিক্রমায়। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া নিয়তির এক অমোঘ নিয়ম। মৃত্যুজনিত শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। তবুও চিরাচরিত নিয়মে ২০১৪ সালেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে এসব ব্যক্তি রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। যাদের মনন-প্রজ্ঞা, সৃষ্টি-সোচ্চারে জাতি পেয়েছে নির্দেশনা, তরুণরা দিশা। প্রখর ও প্রজ্ঞাবান এ মহারথীরা আমাদের ছেড়ে গেলেও শিল্প-সাহিত্য, শিক্ষা-রাজনীতি, গবেষণায় তাদের অবদান সবসময় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সারথি হয়ে থাকবে। ২০১৪ সালে প্রয়াত গুণীজনদের স্মরণেঃ
(বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান)
মৃত্যুঃ ১১ জানুয়ারি, ২০১৪
আস্থা ও আলোর দিশারি বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক অবিশ্বাসের কালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে জাতির আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। তিনি একাধারে গবেষক, লেখক, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, ভাষাসৈনিক, অনুবাদক ও অভিধানপ্রণেতা।
(সাংবাদিক এ বি এম মুসা)
মৃত্যুঃ ৯ এপ্রিল ২০১৪
দেশের প্রতিথযশা সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম পথিকৃত এবিএম মুসা ৯ এপ্রিল বুধবার রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ক্লাবের আজীবন সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক এবিএম মুসা ১৯৩১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তার নানার বাড়ি ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার ধর্মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে ৬৪ বছর ধরে সাংবাদিকতা করেছেন। ১৯৫০ সালে দৈনিক ইনসাফে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু হয়। ওই বছর তিনি ইংরেজী দৈনিক পাকিস্তান অবজারভারে যোগ দেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রতিবেদক, ক্রীড়া প্রতিবেদক ও বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে রণাঙ্গন থেকে সংবাদ পাঠাতেন। স্বাধীনতার পর এবিএম মুসা বিটিভির মহাব্যবস্থাপক ও মর্নিং নিউজের সম্পাদক ছিলেন।
(সাংবাদিক মাহবুবুল আলম)
মৃত্যুঃ ৬ জুন ১৯১৪
৬ জুন রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মৃত্যুবণ করেন সাংবাদিক মাহবুবুল আলম। ইংরেজি দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্টের সাবেক সম্পাদক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহবুবুল আলম। তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মাহবুবুল আলম ১৯৩৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন।
(সরদার ফজলুল করিম)
মৃত্যুঃ ১৫ জুন, ২০১৪
১৫ জুন, ২০১৪ না ফেরার দেশে চলে গেছেন মননের মূর্ত প্রতীক সরদার ফজলুল করিম। সরদার ফজলুল করিম ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও প্রবন্ধকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকাবস্থায় আদর্শিক রাজনীতির টানে প্রতিবাদী ফেরার হয়েছিলেন। সহজ জীবনাচার ও মহতী আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক ছিলেন। আমৃত্যু চিন্তক এ জ্ঞানতাপস সবার কাছে বাংলাদেশের প্লেটো।
(ভাষা সৈনিক আব্দুস সামাদ)
মৃত্যুঃ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪
ভাষা সৈনিক আলহাজ অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ ১৩ সেপ্টেম্বর ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেল রোডস্থ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। প্রবীণ এই আইনজীবী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রবীণ সংগঠক, জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি ছিলেন।
(মিসেস আয়েশা ফয়েজ)
মৃত্যুঃ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজ ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। আয়েশা ফয়েজের জন্ম ১৯৩০ সালের ২৩ মার্চ, নানাবাড়ি বারহাট্টার কৈলাটি গ্রামে। বাবা শেখ আবুল হোসেন এবং মা খায়রুন নেসা। ১৯৪৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি পরিচয় সূত্রে আবদ্ধ হন ফয়জুর রহমানের সঙ্গে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি তার স্বামীকে হারান। আয়েশা ফয়েজের তিন ছেলে হুমায়ূন আহমেদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আহসান হাবীব এবং তিন মেয়ে শেকু, শেফু ও মণি।
(ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিন)
মৃত্যুঃ ৮ অক্টোবর, ২০১৪
সোচ্চার প্রতিবাদের প্রতিশব্দ ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিন। ভাষা আন্দোলনসহ পরবর্তী সব আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন একজন অগ্রসৈনিক। পাকিস্তানের প্রতাপশালী গভর্নর জেনারেলের মুখের সামনে স্বৈরাচারী মনোভাবের সরব প্রতিবাদ করেন তিনি। মাতৃভাষার সে আন্দোলনে দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণে তার আরেক নাম ভাষা মতিন।
(বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ড. পিয়াস করিম)
মৃত্যুঃ ১৩ অক্টোবর ২০১৪
১৩ অক্টোবর সোমবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন বরেণ্য বুদ্ধিজীবী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম। পিয়াস করিমের জন্ম ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার রামপুর গ্রামে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. পিয়াস করিম। আসল নাম ড. মঞ্জুরুল করিম। বাবা এ্যাডভোকেট এমএ করিম। তার ডাক নাম পিয়াস। তবে তিনি পিয়াস করিম নামেই বেশি পরিচিত।
স্ত্রী ড. আমেনা মহসিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যাপনা করছেন।
(এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহমদ)
মুত্যুঃ ১৯ অক্টোবর, ২০১৪
প্রজ্ঞাবান পুরুষ এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহমদ উপমহাদেশের খ্যাতিমান ঐতিহাসিক। ১৯ অক্টোবর রোববার ভোরে বনানীতে নিজের বাসায় মারা গেছেন জাতীয় অধ্যাপক সালাহউদ্দীন আহমেদ। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ইতিহাস চর্চায় বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক এবং স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ করেন সালাহউদ্দীন আহমদ।
(স্মৃতিসৌধের স্থপতি মঈনুল হোসেন)
মৃত্যুঃ ১০ নভেম্বর, ২০১৪
স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন ১০ নভেম্বর সোমবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তার জন্ম ১৯৫২ সালের ৫ মে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ীর দামপাড়া গ্রামে। স্থাপত্যের কবি সৈয়দ মাইনুল হোসেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোত্সর্গকারী মহান শহীদদের স্মৃতিকে এক শিল্পিত সৌধের মাধ্যমে রূপায়ণের পাশাপাশি জীবন্ত রেখেছেন। অপরিমেয় প্রতিভাবান এ স্থপতি জাতীয় স্মৃতিসৌধের নকশায় কেবল কুশলতার প্রমাণ রাখেননি, বাঙালির নান্দনিক বোধকেও যেন চাক্ষুষ রূপ দিয়েছেন।
(জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী)
মৃত্যুঃ ১১ নভেম্বর, ২০১৪
জ্ঞানরাজ্যে পরিব্রাজক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী যিনি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় সপ্রতিভ বিচরণের পাশাপাশি লিখেছেন অজস্র প্রবন্ধ ও ভ্রমণ কাহিনী। অনুবাদ করেছেন ইংরেজি সাহিত্যের অনেক বই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ উপাচার্য ১৯৯১ সালে দেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
(সাংবাদিক জগলুল আহমদ চৌধুরী)
মৃত্যুঃ ২৯ নভেম্বর ২০১৪
সিনিয়র সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক জগলুল আহমেদ চৌধুরী এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন গত বছর ২৯ নভেম্বর। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে ইংরেজি দৈনিক ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসে কর্মরত ছিলেন তিনি। এর আগে তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৫বছর।
(শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী)
মৃত্যুঃ ৩০ নভেম্বর, ২০১৪
অবিনাশী শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। দেশজ উপাদান পুতুল, পাখা, হাঁড়ি, শীতলপাটি, কাঁথা ব্যবহার করে বর্গাকার ক্যানভাসে তিনি জীবন্ত করে রেখেছেন দেশের লোকশিল্প মাধ্যমকে। গ্রাফিক ডিজাইনেও নান্দনিকতার অন্য মাত্রা যোগ করেছেন অমর এ শিল্পী। চিত্রকলায় তার স্বকীয় শৈলী স্বতন্ত্র ঘরানা হিসেবে পরিচিত হয়েছে। চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ৩০ নভেম্বর রোববার রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। কাইয়ুম চৌধুরী ১৯৩৪ সালের ৯ মার্চ ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী ছিলেন। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে তাকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
(অভিনেতা খলিলুল্লাহ খান)
মৃত্যুঃ ৮ ডিসেম্বর ২০১৪
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা খলিলুল্লাহ খান ৮ ডিসেম্বর স্কয়ার হাসপাতালে ইন্তিকাল করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০। ২০১২ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন। জীবদ্দশায় অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা। ‘প্রীত না জানে রীত’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন খলিলুল্লাহ খান। তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সংগম, সোনার কাজল, অশান্ত ঢেউ, হাওর সন্নাসী, বেগানা, পুনম কি রাত, নদের চাঁদ, মাটির ঘর, পাগলা রাজা, ফকির মজনু শাহ, বেঈমান প্রভৃতি।
(মাকসুদুল আলম)
মৃত্যুঃ ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪
মাকসুদুল আলম ছিলেন জিনতত্ত্ববিদ। প্রাণের সূত্রসন্ধানী মাকসুদুল আলম যিনি রাবার ও পেঁপেসহ অসংখ্য উদ্ভিদের জিন আবিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের মেধাউৎকর্ষের বার্তা দিয়েছেন বহির্বিশ্বে। বাংলাদেশের সোনালি আঁশ খ্যাত পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন এই বিজ্ঞানী। ২১ ডিসেম্বর শনিবার রাত দুইটায় যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোনালি আঁশের সুদিন ফেরানোর স্বপ্ন দেখানো বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। মাকসুদুল আলম কয়েক বছর ধরে কিডনির জটিল রোগে ভুগছিলেন।
(নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগম)
মৃত্যুঃ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪
এছাড়াও গতবছর আমরা হারিয়েছি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিরাজুল ইসলাম, স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দ সৈনিক বাবুয়া বোস, আলোকচিত্রী আজিজুর রহীম পিউ, অধ্যাপক লতিফা আকন্দ, কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, ধারাভাষ্যকার মঞ্জুর হোসেন মিন্টু, প্রবীণ সাংবাদিক ফওজুল করিম, বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগমকে। কীর্তি মানের কখনোই মৃত্যু নেই। তারা আমাদের মাঝে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। নতুন বছরের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে আমরা তাদেরকে স্মরণ করছি এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ২য় ভাললাগা
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৫
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: উনারা প্রত্যেকেই আমাদের মাঝে বেচে থাকবেন তাদের মহৎ কাজের মাধ্যমে। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি তাদের।
৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৮
আরজু পনি বলেছেন:
অসাধারণ শেয়ার ।
উনাদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রইল ।
প্রিয়তে নিলাম ।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন ।।
৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রতিটি মৃত্যু আমাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করে....
উপরে উল্লেখিত অধিকাংশ মৃত্যুই কেমন যেন অপ্রত্যাশিতভাবে এসেছে...
আবার শোকগ্রস্ত করে.... জাতি হারালো কিছু গুণী প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিত্বকে....
নূর ভাই, আপনাকে বলছি.... উপরোক্ত পোস্টটি কেবল আপনার পক্ষ থেকেই আশা করা যায়। অশেষ ধন্যবাদ....
৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫০
আরজু মুন জারিন বলেছেন: কিছু মানুষ সূর্যের মতো উদিত হয়, যাদের মেধা, মনন আর সৃষ্টির কল্যাণে আলোকিত হয়ে ওঠে জগৎ সংসার।
নুরু ভাই যেমন।আপনার জন্য অনেকদিন সামহোয়্যার, প্রথম আলো .এখন অফ যদিও ,ঘুড়ি,নক্ষত্র সব ব্লগ আলোকিত থাকবে বহুদিন।কেমন আছেন
অনেক ধন্যবাদ চমৎকার পোষ্টটির জন্য।শুভেচ্ছা রইল।.
৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট। এক পোষ্টে অনেক তথ্য। +
ভালো থাকবেন ভ্রাতা।
৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ++++++
৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট+++++++++
উনাদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা।
১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫২
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর পোষ্ট । +++++++
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: প্রথম ভাল লাগা।
তবে ক্ষনিকটা নষ্টালজিক হয়ে গেলাম।