নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান সময়ের বাংলা ভাষার শক্তিমান কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায়ের ৭৮তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২২


বর্তমান সময়ের বাংলা ভাষার শক্তিমান ভারতীয় কথাসাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী দেবেশ রায়। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হওয়ার পর এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের পর, অর্থাৎ সুদীর্ঘ ষাট বছরে ইতিহাসের মধ্য দিয়ে যেভাবে দুটি দেশ অগ্রসর হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের শিল্পসাহিত্য পশ্চিমবঙ্গের থেকে আলাদা হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের লেখকেরা মনে করেন তাঁরাই হচ্ছেন বাংলা ভাষার প্রধান দপ্তর। বাংলাদেশের অনেক লেখকও ভাবেন, পশ্চিমবঙ্গের লেখক বা সমালোচকেরা স্বীকৃতি দিলেই তবে তাঁরা আসলে স্বীকৃতি পেলেন। এই দুটো প্রবণতাই ক্ষতিকর। কারণ কোনো রকম নির্ভরশীলতা বা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সাহিত্য তৈরি হয় না। বাঙালির ইতিহাস নতুন পথে বাঁক নেওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের বাংলা কথাসাহিত্যের ভার যাঁরা হাতে তুলে নিয়েছিলেন, দেবেশ রায় ছিলেন সেই দলে। ক্রমশ পাকা হয়ে ওঠা কথাসাহিত্যের রাজপথ ছেড়ে আস্তে আস্তে তিনি সরে আসেন নিজের গড়ে তোলা এক আলপথে এবং বিশিষ্ট হয়ে ওঠেন। ১৯৮০-র দশকের শুরু থেকে তিনি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-প্রতিষ্ঠিত পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। আজ এই কথাসাহিত্যিকের ৭৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩৬ সালের আজকের দিনে তিনি পাবনা জেলার বাগমারাতে জন্মগ্রহণ করেন। শক্তিমান কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায়ের ৭৮তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

দেবেশ রায় ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পাবনা জেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশবের কয়েকটি বছর কাটে উত্তাল যমুনার পারে। দেশভাগের কিছু আগে ১৯৪৩ সালে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে পূর্ববঙ্গ ছেড়ে জলপাইগুড়ি চলে যান। তাঁর প্রথম উপন্যাস যযাতি।বাংলা সাহিত্যে তাঁর নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চারের সূচনা ঘটে ১৯৭০-এর দশকে। বাংলা সাহিত্যে উপনিবেশের প্রভাব ও বাংলা ভাষার নিজস্ব প্রতিভা তাঁর অনুসন্ধানের বিষয়। গত দেড় দশক ধরে দেবেশ রায়ের অন্যতম কৌতূহল বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জনজীবন। লাদেশের নির্মীয়মাণ নাগরিকতা ও বাংলা ভাষার আঞ্চলিক রূপের ঐশ্বর্য এই দুইয়ের মধ্যে দেখতে পান এ দেশের সাহিত্যের এক উর্বর জমি। নদী, মাটি আর মানুষ তার সাহিত্যকর্মের মূল উপজীব্য। তিস্তা নদীর কথা তার লেখায় বারবার ফিরে আসে। এক সময় সরাসরি রাজনীতি করার সুবাদে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হয়েছিলেন নদীটিকে রক্ষার আন্দোলনে। পরবর্তী জীবনে সাহিত্য এখন তার প্রতিবাদের ভাষা।

বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর উপলব্ধির সামান্য আভাস পাওয়া যাবে বাংলাদেশের নাটকনভেল: কিছু আনাড়ি আন্দাজ বইটিতে। বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর উপলব্ধির সামান্য আভাস পাওয়া যাবে বাংলাদেশের নাটকনভেল: কিছু আনাড়ি আন্দাজ বইটিতে। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলি হল: মানুষ খুন করে কেন (১৯৭৬), মফস্বলী বৃত্তান্ত (১৯৮০), সময় অসময়ের বৃত্তান্ত (১৯৯৩), তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্ত (১৯৮৮), লগন গান্ধার (১৯৯৫) ইত্যাদি। তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্ত উপন্যাসটির জন্য ১৯৯০ সালে তিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হন। তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত-এ রূপায়িত ইতিহাস আর মানুষের অচরিতার্থ স্বপ্নের চিরন্তন দ্বন্দ্বের এক মনুষ্যপ্রতিমা তাঁর এ উপন্যাসের চরিত্র বাঘারু।

বাংলাদেশের গল্প-উপন্যাসের নানারূপতা ও বিবিধ মাহাত্মে মুগ্ধ কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায়ের আজ ৭৮তম জন্মবার্ষিকী। শক্তিমান কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায়ের জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.