নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বাঙালি গবেষক, সংগ্রাহক এবং শিক্ষক ও প্রবন্ধকার ক্ষিতিমোহন সেন। মধ্যযুগের সন্তদের বাণী,বাউল সঙ্গীত এবং সাধনতত্ত্ব সংগ্রহে অসামান্য কৃতিত্ব রয়েছে তার। প্রায় পঞ্চাশ বছরের চেষ্টার ফলে সংগৃহীত বিষয়গুলি কয়েকটি বইতে তিনি প্রকাশ করেন। তিনি সুরসিক, সুবক্তা এবং অভিনেতা হিসাবেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। বিশ্বভারতীর সাথে বহুদিন যুক্ত ছিলেন ক্ষিতিমোহন সেন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথের চিন ভ্রমণের সহযাত্রী ছিলেন ক্ষিতিমোহন সেন। পণ্ডিত ও প্রবন্ধকার ক্ষিতিমোহন সেনের আজ ১৩৪তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৮০ সালের আজকের দিনে তিনি ভারতের কাশিতে জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট পণ্ডিত ও প্রবন্ধকার ক্ষিতিমোহন সেনের ১৩৪তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
ক্ষিতিমোহান সেন ১৮৮০ সালের ২ ডিসেম্বর ভারতের কাশিতে জন্মগ্রহণ করেন। ক্ষিতিমোহন সেনের পিতা ভুবনমোহন পেশায় ছিলেন একজন চিকিৎসক। তাঁর পৈতৃক নিবাস বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেন তাঁর দৌহিত্র। ১৯০২ সালে কাশির কুইনস কলেজ থেকে সংস্কৃতে এমএ পাস করে 'শাস্ত্রী' উপাধি লাভ করেন ক্ষিতিমোহন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথের ডাকে বিশ্বভারতীর ব্রহ্মাচর্যাশ্রমে যোগদান করেন ও বিশ্বভারতী বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষরূপে কর্মজীবন শেষ করেন। কিছুদিন বিশ্বভারতীর অস্থায়ী উপাচার্য পদেও ছিলেন। ব্রহ্মচর্যাশ্রম থেকে বিশ্বভারতী এই দীর্ঘ জটিল পথ পরিক্রমায় ক্ষিতিমোহন ছিলেন রবীন্দ্রনাথের অন্যতম প্রধান সহযোগী, আলাপ আলোচনায় নিত্য সহচর, বিশ্বভারতীর গুণিজনসভায় প্রধান সভাসদ।
প্রবন্ধকার ক্ষিতিমোহন সেনের কয়েকটি প্রকাশিত গ্রন্থঃ
১। কবীর (৪ খণ্ড), ২। ভারতীয় মধ্যযুগের সাধনার ধারা, ৩। দাদু, ৪। ভারতের সংস্কৃতি, ৫। বাংলার সাধনা, ৬। জাতিভেদ, ৭। হিন্দু মুসলমানের যুক্তসাধনা, ৮। প্রাচীন ভারতে নারী, ৯। যুগগুরু রামমোহন, ১০। বলাকা কাব্য পরিক্রমা, ১১। বাংলার বাউল, ১২। চিন্ময় বঙ্গ, ১৩। মেডিভ্যাল মিস্টিসিজম অফ ইন্ডিয়া, ১৪। Hinduism ইত্যাদি। তাঁর রচিত হিন্দুইজম বইটি ফরাসি, জার্মান এবং ডাচ ভাষায় এবং আরো কয়েকটি গ্রন্থ হিন্দি, গুজরাটি এবং অসমিয়া ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের One Hundred Poems of Kabir গ্রন্থটি ক্ষিতিমোহনের কবির -বচন সংগ্রহ অবলম্বনে ১৯৫২ সালে রচিত।
সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতীর প্রথম দেশিকোত্তম উপাধি এবং হিন্দিচর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ সর্বভারতীয় সম্মান লাভ করেন ক্ষিতিমোহন সেন। ১৯৬০ সালের ১২ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন পণ্ডিত ক্ষিতিমোহন সেন। আজ তার ১৩৪তম জন্মবার্ষিকী। বিশিষ্ট পণ্ডিত ও প্রবন্ধকার ক্ষিতিমোহন সেনের জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ জুন
বিশিষ্ট পণ্ডিত ও প্রবন্ধকার
ক্ষিতিমোহন সেনের জন্মদিনে
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
ভিটামিন সি বলেছেন: হেতি কি বাইচ্চ্যা আছেন না মইরা গেছেন? বাইচ্চ্যা থাকলে কোন কথা নাই, মইরা গেলে একখান কথা আছে। কথাডা হইল, উনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা লইব কেডায়? উনার তো অস্তিত্বই নাই।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথা সত্য!!!
তার পক্ষথেকে আপনাকে
শুভেচ্ছার থালা হাতে
দাড়িয়ে থাকতে
বলা হয়েছে।
গেট রেডি.......................
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
জুন বলেছেন: বিশিষ্ট পণ্ডিত ও প্রবন্ধকার ক্ষিতিমোহন সেনের জন্মদিন শুভেচ্ছা রইলো।