নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখের বেটি হিসেবে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে অনেক কিছুই দেওয়ার ছিল।

২৪ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০


গতকাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। উনার বক্তব্য শুনেছি, দরকারী তেমন কোনো কথা উনি বলেননি। এই দলটি বাঙ্গালীদের সবচেয়ে পুরানো ও জনপ্রিয় দল। দলটির সভানেত্রীর পদ উনি ৪৩ বছর নিজের কাছে রেখেছেন। আগামীর নেতৃত্বের সম্পর্কে উনার স্পষ্ট কোন বার্তা পাওয়া যায়নি। বুঝা যাচ্ছে উনি আমৃত্যু এই পদে থাকছেন। কিন্তু উনি যখন থাকবেন না তখন দলটির নেতৃত্ব কিভাবে নির্ধারিত হবে, কিংবা এই নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা সে আভাসও তিনি দেননি।
তিনি আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস বলেছেন যেগুলি শত সহস্রবার বলা হয়েছে, মানুষ ইহা জানে। এছাড়া উনি সরকারের সফলতা ও উন্নয়ন নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। সরকারের সফলতা ও উন্নয়ন নিয়ে উনি ও উনার দলের অনেকেই প্রতিনিয়ত বলে যাচ্ছে। দলীয় প্রধান হিসেবে উনি আমন্ত্রিত ছিলেন তাই ভাবছিলাম দল নিয়ে, দলের ভবিষ্যত নিয়ে উনি কথা বেশি বলবেন।

এদেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন করেছিল ৭০ নির্বাচনে। মানুষের সমর্থন পেয়েও সে সময় সরকার গঠন করতে পারেনি দলটি। এরপরে অনেক কিছুই জাতির ইতিহাসে ঘটে গেছে। শেখ হাসিনা এ দলটির সভাপতি পদে আসীন হয়েছেন। মানুষ শেখের বেটি হিসেবে তাকে ভালোবেসেছে, তার কাছে অনেক আশা রেখেছিল, উনিও সেই পথে এগিয়েছিলেন। কিন্তু যখনই উনার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ হয়েছে উনি তখন অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় বেশি নষ্ট করেছেন।ওয়ান ইলেভেন সরকারের পরে উনি নিজেকে টিকিয়ে রাখতে নিজ দলে অনেক দুষ্ট লোকের সমাগম ঘটিয়েছেন। তার দলের অনেকেই জাতির বিপক্ষে কাজ করতে দেখেও উনি চুপ করে ছিলেন। এখন দলকে এরা এক প্রকার গিলে খাচ্ছে। সম্ভবত ইদানিং উনি একটু নাড়া দিয়ে দেখতে চাচ্ছেন, তবে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন ঠগ বাঁচতেই গাঁ উজাড় হবার অবস্থা হচ্ছে!

১৯৪৯ সাল থেকে আজকের এই দিন পর্যন্ত এই দলটি বাংলাদেশের সকল বড় বড় কর্মযজ্ঞ ও ঘটনা প্রবাহের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাধারণ মানুষ এই দলটিকে সবসময় ভালবেসেছিল, মানুষ বিশ্বাস করতো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য এই দলটিকে দেশ শাসনের ভার দেওয়া দরকার। মানুষ সুযোগও দিয়েছিল, কিন্তু আশানুরূপ কোন ফল পাওয়া যায়নি। চার মেয়াদ ধরে টানা এই দলটি দেশ চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ যেভাবে হওয়ার কথা ছিল তার কন্যা দেশকে ঠিক সে পথে নিয়ে যেতে পারেনি। পারিপার্শ্বিক অনেক প্রতিকূলতা ছিল কিন্তু তিনি সেগুলিকে ম্যানেজ করতে গিয়ে অনেক অসৎ ও দুষ্ট লোকের সাথে কম্প্রোমাইজ করতে হয়েছে। এখন উনি চাইলেও অনেক কিছু করতে পারবেন না। তাই উনার উচিত ছিল দল এবং সরকারের মধ্যে একটি লাইন তৈরি করা। বাঙ্গালীদের এই পুরনো দলটিকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তোলা এবং সরকারকে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। উনি উনার প্রাইম টাইমে আছেন, সরকারে অনেক কিছু করতে না পারলেও দলের মধ্যে উনি অনেক কিছুই করতে পারবেন। আগামী নেতৃত্ব উনি যদি সঠিকভাবে ঠিক করে না দিয়ে যেতে পারেন, উনি যখন থাকবে না উনার বদনাম করবে সকলেই।যাইহোক ৭৫ বছরের পুরনো এই দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উনি যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে ন্যূনতম কোন সম্ভাবনা উঁকি দেয়নি।
তবে সবকিছুর মধ্যে সবচেয়ে ভালো দিক হলো এ দলটি এখনো তার সম্মেলন গুলি ঠিকভাবে করে আসছে। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের ট্রাজেডির পরেও শেখ হাসিনা দেশে আসা পর্যন্ত তিনবার দলটির জাতীয় সম্মেলন করা হয়েছে। এমন দুর্দিনেও দলটির জাতীয় সম্মেলন করাটা সত্যিকার অর্থে একটি ভালো দিক। যারা বলছেন বিএনপির জাতীয় সম্মেলন করতে পারেনা সরকারের জন্য, তারা অন্তত ৭৫ এর পরে আওয়ামী লীগের যে সম্মেলন গুলি হয়েছে সেগুলো নিয়ে রিসার্চ করতে পারে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: বিএনপি বহু আগেই অতীত হয়ে গেছে। দেশে যদি কোনদিন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ হয় , নিশ্চিত থাকতে পারেন যে নতুন মুখের দেখা পাবেন।

২৫ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৬:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেখ হাসিনা না থাকলে অন্য আরেকজন অবশ্যই আসবে। নতুন মুখের চেয়ে দেশ পরিচালনায় দক্ষ লোকজনের দরকার। দল এবং সরকারের মাঝে ব্যারিয়ার রাখবে এমন নেতৃত্ব দরকার।

২| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এজাবৎ যা কিছু ভাল অর্জিত হয়েছে তার সবটাই হয়েছে আওয়ামীলীগের হাত ধরে। কিন্তু সামরিক শাসররা ও তাদের দোসোররা বেশী দিন ক্ষমতায় থেকেও কিছু অর্জন করতে পারেনি।
অতচ পিনাকি চামচারা আমাদের জয়বাংলা বলে গালি দেয়।

মুজিব হত্যার পর জয়বাংলা বিরোধী পাকিপন্থিরা ক্ষমতায় ছিল ৩৩ বছর।
কিন্তু দেশ হতদরিদ্রই ছিল, আর দুর্নিতিতে ৫ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ান
জয়বাংলা পন্থি মুক্তিযুদ্ধ পক্ষ ভেঙ্গে ভেঙ্গে ক্ষমতায় ছিল সব মিলিয়ে মাত্র ২১ বছর। এখনো আছে
কিন্তু অপেক্ষাকৃত কম সময়ে দেশকে উন্নত করে আর দুর্নিতিকে ধাপে ধাপে ১৬ ধাপ হ্রাস করতে সক্ষম হয়।
পদ্মা সেতুর ব্যায় ৩ গুন বেড়ে যাওয়ার পরও আরো ডজন ডজন মেগা প্রকল্প। বিপুল অপচয় ডজন ডজন বৃহৎ পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ৩ হাজার মেগাওয়াট থেকে ২৫ হাজার মেগাওয়াট হয়ে, বিপুল ব্যয় হয়ে দেশের ৪০% থেকে উন্নিত হয়ে শতভাগ বাড়ীতে বিদ্যুৎ পৌছে গেল। ২০ লাখ রহিংগা ১০ বছর জাবত বিনামুল্যে খাওয়ানো হচ্ছে। এরপরে দেশের মোট সম্পদ (মোট জিডিপি) বাড়ছেই। ১০ গুন বেড়ে গেল। বিএনপির ৬০হাজার কোটি বাজেট বর্তমানে ৮ লাখ কোটি, ক্ষমতায় এসে খুব কম সময়ে মোট জিডিপি ৫০ বিলিয়ন থেকে ৪৬০ বিলিয়নে পরিণত করে। তখন ২০০৬ এ পাকিস্তানেরও জিডিপি বাংলাদেশের চেয়ে বেশী ছিল। বর্তমানে পাকিস্তানের উৎপাদন তথা জিডিপি বিএনপি আমলের মতই পিছিয়ে আছে। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশীয়া অন্যান্য প্রতিবেশী দের চেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে গেছে। এবং বাংলাদেশ মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে সিঙ্গাপুরকে ছুঁয়ে ফেলেছে, টোটাল জিডিপির ভিত্তিতে। আর পাকিস্তান এখনো তলানিতে পড়ে আছে। জয়বাংলা বিরোধীরা ক্ষমতায় থাকলে পাকিস্তানের মতই তলানিতে থাকতো।

কিন্তু বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ে পিছিয়ে আছে। সঙ্গত কারণেই পিছিয়ে গেছে কারণটা জনসংখ্যা। কারণ বাংলাদেশের জনসংখ্যা মালয়েশিয়ার চেয়ে ৮-৯ গুণ বেশি যে কারণে জিডিপি ডিস্ট্রিবিউশন হয়ে মাথাপিছু আয় কমে গেছে।
জয়বাংলা বিরোধী জিন্দাবাদিদের নেতা খালেদার কোন চালানই নেই। ভিত্তি তো দুরের কথা খালেদা দেশের সর্বনাশে লিপ্ত ছিল।
এক ছটাক বিদ্যুতও বাড়াতে পারেনি ৫ বছরে। কোন পরিকল্পনাই ছিল না (সাইফুর রহমানের ৫ বছরের বাজেট বক্তৃতা দেখলেই বুঝবেন খাল কাটা উলফাকে সাহায্য বাদে আর কিছুই নাই।) উলটো বিবিয়ানা ও মৌলভিবাজারের সমুদয় গ্যাস ভারতের কাছে শ্রেফ পানির দরে বিক্রির ব্যাবস্থা ফাইনাল করেছিলেন।
শুধু খালেদা কেন? জিয়া এরশাদ খালেদা ইত্যাদি জিন্দাবাদিরা সম্মিলিত ভাবেও জয়বাংলা পন্থি হাসিনার কাছাকাছিও না। নখের যোগ্যতাও রাখে না। আবার নির্লজ্জ বেহায়ার মত জয়বাংলা বলে গালি দেয়।

২৫ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৬:১৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতায় শেখ হাসিনা বেগম জিয়া থেকে অনেক এগিয়ে। কিন্তু উনি উনাকে টিকিয়ে রাখতে আমলা ও দুষ্টুদের এমনভাবে ব্যবহার করেছেন যেখান থেকে উনি আর বেরিয়ে আসতে পারছেন না। উনার জীবদ্দশায় আর সম্ভাবও না।
উনি যেটা করতে পারেন, দলকে এমন ভাবে সাজিয়ে যেতে পারেন, যাতে উনি না থাকলে দুষ্টুদের ও আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন লোকজন দলের নেতৃত্বে থাকবে।
উনার সময় উনার চোখের সামনে দিয়ে মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যাবসা হচ্ছে। উনি তেমন কিছু করতে পারছেন না, জোড়া তালি দিয়ে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এভাবে উনি পারবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.