নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড়, পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী দল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই দলটির প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে। মানুষ এই দলের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছে। ৭০ এর নির্বাচনে এই দলটিকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে সরকার গঠনের জন্য ভোট দিয়েছে। ৭৫ এর নৃশংসতার পরে এই দলটি তার কক্ষপথ থেকে হারিয়ে যায়। বহু চড়াই উৎরাই পার হয়ে শেখ সাহেবের কন্যা এই দলটির সভাপতি হয়েছে। সরকার গঠন করে শেখ সাহেব মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করার বেশি সময় পায়নি এই অজুহাতে শেখ সাহেবকে কিছুটা দায় মুক্তি দেওয়া যায়। কিন্তু উনার মেয়ে বাঙ্গালীদের এই বড় দলটির দায়িত্ব আজকে প্রায় ৪৩ বছর ধরে নিজের কাছে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী হয়েছে ২০ বছর! উনি সময় পাননি এমনটা তো বলা যায় না।
যে সময় উনি পেয়েছে এ সময় উনি অনেক কিছুই পরিবর্তন করে দিতে পারতেন, উনি তা করেননি। এই সময়টুকু উনার বাবা পেলে দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতো। উনি বাঙ্গালীদের এই পুরনো দলটিকে শক্তিশালী করেননি, ভিতর থেকে দুর্বল করে দিয়েছেন। অনেক কিছুই উনার অজান্তে হয়েছে, আবার অনেক কিছুই উনি জেনে বুঝেই করেছেন।
দলে উনি উনার অবস্থানকে এমন জায়গা নিয়েছেন উনার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলার মত কেউই নেই! আওয়ামী লীগ বলতে এখন কোনো দল আছে বলে মনে হয় না! তবে শেখ হাসিনার নাম নিলে আওয়ামী লীগের নাম না নিলেও চলে। উনি নিজেই এখন একটি দল হয়ে গেছেন। উনার নির্দেশ ছাড়া কিছুই হয় না। এত বড় দলে শুধুমাত্র একটি পদ, সেটা সভাপতির পদ! সহজভাবে বলতে গেলে উনি একটি কাল্ট তৈরি করেছেন, যেখানে সবাই উনার কথা মত উঠেবসে। ভালো মন্দ দেখিয়ে দেওয়ার মত সাহস কারো মধ্যে নেই।
দলীয় ও মন্ত্রিসভার বৈঠকগুলি যেগুলি মিডিয়াতে প্রচার হয় সেগুলিতে দেখা যায় উনি অনর্গল বলে যেতে থাকেন। উনার আশপাশ থেকে কারো কোন কথাই শোনা যায় না। উনার সামনে, আশেপাশে যারা থাকে তারা চিংড়ি মাছের মতোই নিশ্চুপভাবে বসে থাকে। এইসব বৈঠকে উনার কথাগুলি শুনলে মনে হয় একজন কাল্ট প্রধান তার বক্তব্য রাখছে, আর সবাই মুগ্ধ হয়ে সে কথাগুলি উপভোগ করছে!
বাঙ্গালীদের এই সর্ববৃহৎ দল থেকে উনি বদি, পাপুল, আনার, মানার এবং উহাদের বউকেও উনি সংসদে নিয়ে গেছেন। এসব লোক সংসদে গিয়ে জাতির জন্য কি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন উনি ভালো বলতে পারবেন। সংসদে উনার ৩০০ এমপি কোন বিল আনতে পারছে না, বিল এনে সেটাকে আইনের রূপ দিতেও পারছে না। উনি এবং আমলারা মিলে সংসদে বিল আনেন। ঐসব বিলের বিরোধিতা করতেও কাউকে দেখা যায় না। দেশে জনগুরুত্বপূর্ণ অনেক বিল আনার প্রয়োজন আছে, সেগুলি নিয়ে কেউ কথা বলছে না। সংসদেও উনার কথা সবাই মনমুগ্ধ হয়ে শুনেন, টেবিল চাপড়ান এবং নাস্তা, পানি খেয়ে বের হয়ে যায়।
উনার উপর যে আশা বাঙালিরা রেখেছিল সে আশা উনি সঠিকভাবে পূরণ করতে পারেনি। সম্ভবত উনার কাজ করার সময়ও আর নেই। বিশ্ব এমন কমপ্লেক্স অর্থনীতি ও টেকনোলজির দিকে প্রবেশ করছে সে তুলনায় উনার কোনো প্রস্তুতি নেই। উনি শুধু মাত্র জাতির পিতার হত্যা এবং বিএনপি জামাতকে থামাতে পেরেছেন। এই ভিন্ন উনার খুব বেশি আর সাফল্য নেই। জাতিকে উনি এমন এক জায়গায় রেখে যাচ্ছেন সে বৃত্ত থেকে আর বের হওয়ার উপায় নেই। উনি যখন থাকবে না, বাঙ্গালীদের এই সর্ববৃহৎ দলটি ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে পড়বে এবং উনার ভুলত্রুটিগুলি তখন আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠবে!
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:০৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে উনি অনেক হাকডাক দিয়েছেন। গত দুই নির্বাচনের আগে উনি জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন, উহা কাজ করেনি। উনি বলার জন্য বলেছেন মনে হয়।
২| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ক্ষমতার ৫% ও উনি ব্যবহার করছেন না। উনি ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন অপ্রয়োজনীয় জায়গায়। যেখানে ওনার রাজনৈতিক লাভ থাকলেও দেশের মানুষের কোন লাভ নাই। উনি যদি এখন ঘোষণা করেন যে তার সরকার দুর্নীতি দমনে বদ্ধ পরিকর তাহলে দেশের অন্তত ৫০% দুর্নীতি ১ বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।
এই রকম ক্ষমতা পেয়েও উনি গত দেড়দশকেও উল্লেখযোগ্য কোনো প্রয়োগ দেখাতে পারেন নাই। এই ক্ষমতার বলে দেশকে সর্বচ্চস্থানে তুলে নেয়া যায়। অথচ উনার এই ক্ষমতার প্রতাপ দেখিয়ে অনেকেই দেশটিকে আবারও তলাহীন ঝুড়ি বানিয়ে ফেলেছে।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি উনার ক্ষমতা সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়েছেন মনে হয়। উনাকে বোঝানো হয়েছে আমলাদের এবং দলের পান্ডাদের রশি টান দিয়ে ধরলে উনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
৩| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮
কামাল১৮ বলেছেন: আপনি কি আপনার দায়িত্ব পালন করছেন?আমি কি আমার দায়িত্ব পালন করছি।আমরা শুধু অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াই।তার কথার উপর কেই কথা বলতে পারে না,এটা কি তার দোষ না কি এটা অন্যের অক্ষমতা।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:০৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সরকারের নীতি গাইডলাইন গুলি সঠিকভাবে প্রয়োগ হলে জনগণ তার দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী হবে। সরকারের ভিতর হযবরল অবস্থা হলে জনগণও ডাবল হযবরল হয়ে যায়।
৪| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৮
জ্যাকেল বলেছেন: আওয়ামীলীগ এখন ভারতের গোলামীর জিন্জিরে পরিণত হইয়াছে। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগের মেরুদন্ড ছিল, এখন সেটা নেই।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:২৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঐতিহ্যগতভাবেই ভারত আওয়ামী লীগের সাথে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ হিসেবে কাঁচা হওয়ার কারণে ভারত অনেক অন্যায্য আচরণ করে।
৫| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৮
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
সাথে হাজার খানেক সহ-সভাপতির পদ আছে!!!
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি বাঙ্গালীদের এই সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী দলটিকে এক ব্যক্তির দলে পরিণত করেছেন।
৬| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এই দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্হান
বিভিন্ন কারনে দিনদিনই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ।
...........................................................................
আমেরিকা , রাশিয়া, চীন আর ভারতের টানা পোড়নে
যে কোন রাষ্ট্রপ্রধানের দেশকে নিরাপদ রেখে এগিয়ে
চলা খুবই কঠিন ।
আর্ন্তজাতিক প্রশ্নে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অনেক সিদ্ধান্ত বিজ্ঞোচিত
তবে নিজ দল ও দেশের বিভিন্ন প্রশ্নে ব্যর্থ হয়েছেন ।
এই ব্যর্থতার কারন উনার অথর্ব দুর্ণীতিবাজ আমলা ও কর্মকর্তারাই দায়ী।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাঙ্গালীদের ঋণ দেওয়ার জন্য সবাই উহার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে।
৭| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
নাহল তরকারি বলেছেন: ২০০৯ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর বিজয়ে স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি খুসি হয়েছে।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশের নামের সাথে আওয়ামী লীগের নামটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত হওয়ার কারণে এই দলটির কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি। এখন মানুষ দলটির কাছে প্রত্যাশা না করে ব্যক্তির কাছে বেশি প্রত্যাশা করে।
৮| ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:১১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে যদি কোন নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্র মানা কোন রাজনৈতিক দল থেকে থাকে সেটা একমাত্র আওয়ামী লীগ।
বিএনপি এবং জাতীয় পার্টিকে কোন রাজনৈতিক দল বলা যায় না। কারণ এসব দল তৃণমূল থেকে হয়নি, হত্যা করে জোর করে ক্ষমতা দখলের পর গঠিত হয়েছে। কোন কাউন্সিল অধিবেশন হয় না
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:২৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ কাউন্সিল হয়, প্রার্থী থাকে একজন, তাকে ৮হাজার জন কাউন্সিলর মিলে ভোট দেয়!
সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাইরে আওয়ামী লীগ নেতা উহা কোন দলীয় গণতন্ত্রের অংশ?
৯| ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৫০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে যদি কোন নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্র মানা কোন রাজনৈতিক দল থেকে থাকে সেটা একমাত্র আওয়ামী লীগ।
বিএনপি এবং জাতীয় পার্টিকে কোন রাজনৈতিক দল বলা যায় না। কারণ এসব দল তৃণমূল থেকে হয়নি, হত্যা করে জোর করে ক্ষমতা দখলের পর গঠিত হয়েছে। কোন কাউন্সিল অধিবেশন হয় না।
সহমত।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:২৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিএনপি, জামাত শিবিরকে শেখ হাসিনা থামিয়েছেন সেটা প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু উনি তাদেরকে থামাতে গিয়ে এখনো ওদের পিছনে অনর্থক শক্তি ব্যয় করছে।
১০| ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দেশ স্বাধীন হয়েছে অর্ধ-শত বছর, সে অর্থে দেশের তেমন কোন অভাবনীয় অগ্রগতি হয় নি। বাঙালী, লো-সেল্ফ এস্টিমে ভোগা এক জাতি, মূলত অলস ও অসৎ। মালয়েশিয়া ১৯৬৫ সালে মূলত তাদের বর্তমান আকার নিয়ে স্বাধীন যাত্রা শুরু করে। আজ কোথায় মালয়েশিয়া আর কোথায় বাংলাদেশ। সে দেশে কামলা খাটতে যাওয়া অভাগা বাঙালীরা ভালো করেই দেশ দু'টো পার্থক্য জানেন। আর সিঙ্গাপুরতো অনেক দূরের ইস্যু। তাপরেও বাংলাদেশের তথাকথিত "উন্নয়ন"! নিয়ে এদেশের কিছু মানুষ বেশ উচ্ছ্বসিত, কারণ ঐ যে "লো সেল্ফ এস্টিম", এ জাতি নিজের ভালোটাও বোঝে না। বুঝলেও নীতি-নৈতিকতার মত বিষয়গুলো এখন অনুধাবন করে তা বাস্তবায়ন করার মতো প্রজ্ঞা বা জ্ঞাণের অধিকারী নয়। যারা সেটা কম-বেশী অর্জণ করতে পারেন, তারা দেশ ছাড়েন সবার আগে।
জনৈক ইন্টারমিডিয়েট পাশ(!) চোরাকারবারী যখন এম.পি. হয়ে এ দেশের কোটি মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে তখন আক্ষেপ করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। দেশের নীতি যারা নির্ধারণ করেন তাদেরই যদি নীতি না থাকে তাহলে দেশের কি হবে? গণতন্ত্রের নামে পরিবারতন্ত্রের অভিশাপে এ জাতি অভিশপ্ত, এসব থেকে বের হতে হলে সবার আগে দেশকে ভালোবাসতে জানতে হবে, কিভাবে ভালোবাসতে হয় বুঝতে হবে। সবার আগে দেশ, দলকানা হলে সেখানে দেশপ্রেম থাকে না।
লিখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সঠিক মন্তব্য করেছেন।
১১| ২৫ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:১৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আজ কোথায় মালয়েশিয়া আর কোথায় বাংলাদেশ।
বেশ কয়েক বছর আগেই বাংলাদেশ মালয়েশীয়াকে পিছে ফেলেছে।
মোট দেশজ উৎপাদন সম্পদের ভিত্তিতে বাংলাদেশের ইকনমি মালয়েশীয়ার চেয়ে বড় এবং সিঙ্গাপুরের প্রায় সমান।
২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:২০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশে যে বাজার ও চাহিদা সেখানে বাংলাদেশের দেশীয় উৎপাদন হওয়ার দরকার এক ট্রিলিয়ন ডলার। যার কারণে আপনি দেখবেন দেশীয় উৎপাদনের সাইজ ৪০০ বিলিয়নের বেশি হওয়ার পরেও মাথাপিছু আয় কম, মূল্যস্ফীতি বেশি।
১২| ২৫ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:৪১
ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: সবাই পয়সাওয়ালা হতে চায় ভাই।
রাজনীতির চেয়ে বড় ব্যবসা আর নাই।
এর পরের ব্যবসা হল আমলা-পুলিশগিরি।
তিন নম্বরে আছে ঋনখেলাপীর ব্যবসা।
সমাজ পচে গলে দুর্গন্ধ বের হয়ে গেছে বহু আগেই। নাক চেপে দুর্গন্ধ সইতে সইতে, সেটাকে এখন সবাই সুগন্ধ মনে করে। তাই আমাদের চোখে উন্নয়নের রঙ্গিন চশমা পরিয়ে রাখা যায়, কানের কাছে অনবরত টেপরেকর্ডার বাজে। আমরা উন্নয়নের বায়োস্কোপ দেখি!!
২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:২১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এগুলি সবই নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা শেখ হাসিনার হাতে আছে। উনি মনে হয় বুঝতে পারছেন না।
১৩| ২৫ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:৫৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের তথ্য (২০২২) অনুযায়ী কিছু বাস্তবতা তুলে ধরি।
জি.ডি.পি - ডলার (ইউ.এস.)
বাংলাদেশ - ৪৬০.২০ বিলিয়ন
মালয়েশিয়া - ৪০৭.০৩ বিলিয়ন
সিঙ্গাপুর - ৪৬৬.৭৯ বিলিয়ন
(তথ্যসূত্র)
বাৎসরিক মাথা পিছু আয় - ডলার (ইউ.এস.)
বাংলাদেশে - ২,৬৮৮
মালয়েশিয়া - ১১,৯৯৩
সিঙ্গাপুর - ৮২,৮০৭
(তথ্যসূত্র)
২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: মাথাপিছু আয়, মূল্যস্মৃতি, মুদ্রাস্ফীতি, ক্রয় ক্ষমতা এগুলি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দেশের চাহিদা ও বাজার অনুযায়ী দেশীয় উৎপাদন এখন দ্বিগুণ হওয়ার প্রয়োজন।
১৪| ২৫ শে মে, ২০২৪ ভোর ৬:৫০
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: আপনি কি আপনার দায়িত্ব পালন করছেন?আমি কি আমার দায়িত্ব পালন করছি।আমরা শুধু অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াই।তার কথার উপর কেই কথা বলতে পারে না,এটা কি তার দোষ না কি এটা অন্যের অক্ষমতা।[/sb
আপনারা ব্লগে না থাকলে বুঝতামই না যে আওয়ামী বন্দনা এখনো আছে। আপনারা হাসিনার সমান পাপী।
১৫| ২৫ শে মে, ২০২৪ ভোর ৬:৫৫
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: যার ভেতর যা নেই তার কাছে তা আশা করা ভুল। হাসিনার ভেতরে সেই নীতিবোধ এবং সদিচ্ছা নেই যে সে দেশের ভালো করবে। সেই মৌলিক বিষয়ে তার কোন জ্ঞান নেই। থাকলে বের হয়ে আসতো। আমি সব সময় দোয়া করি মহান আল্লাহ এই মহিলা-কে অনেক হায়াত দিক। জীবনের পরাজয় যেন তিলে তিলে নিতে পারে।
সে নষ্টদের পসরা সাজিয়ে বসেছে। সকল নষ্ট তার দখলে আর নষ্টদের চূড়ায় বসে আছে তিনি।
২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি যতটুকু করেছেন বাঙ্গালীদের জন্য, এতোটুকু আর কেউ করেনি। তবে উনার যে ক্ষমতা এবং পজিশন ছিল উনি আরো অনেক অনেক ভালো করতে পারতেন সে বিষয়টি বলতে চেয়েছি।
১৬| ২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:১৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মন্দের ভালো হিসেবে চলে যাচ্ছে। অধিকতর ভালো জুটছে না।
২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাজনৈতিক নেতৃত্বের শূন্যতার কারণেই উনাকে মন্দের ভালো হিসেবে বলতে হচ্ছে। এটা ঠিক, বিকল্প যারা আছে তারা ওনার চেয়ে আরও অদক্ষ।
১৭| ২৫ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: "শেখ হাসিনা কিছু বুঝতে পারছেন না।" এই ধরনের আজগুবি কথা আপনি নিজে বিশ্বাস করেন ভাই??
একজন ঝানু, বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, একজন দীর্ঘসময় ধরে অধিষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী, যাকে দেশ বিদেশের সব ষড়যন্ত্র ম্যানেজ করে টিকে থাকতে হচ্ছে, তাকে আপনি কি মনে করছেন আমি ঠিক নিশ্চিত হতে পারলাম না।
১৮| ২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ২:২৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে যে বাজার ও চাহিদা সেখানে বাংলাদেশের দেশীয় উৎপাদন হওয়ার দরকার এক ট্রিলিয়ন ডলার।
ট্রিলিয়ন ডলার সেটা খুব দ্রুতই হয়ে যাবে।
এই সরকার ক্ষমতায় এসে খুব কম সময়ে ৫০ বিলিয়ন থেকে ৪৬০ বিলিয়নে পরিণত করে। তখন পাকিস্তানেরও জিডিপি 50 বিলিয়নের মত ছিল। পাকিস্তানের উৎপাদন ও বিএনপি আমলের মত পিছিয়ে আছে। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম অন্যান্য প্রতিবেশী দের চেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে গেছে। এবং মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে সিঙ্গাপুরকে ছুঁয়ে ফেলেছে। আর পাকিস্তান তলানিতে পড়ে আছে।
কিন্তু বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পিছিয়ে আছে। সঙ্গত কারণেই পিছিয়ে গেছে কারণটা জনসংখ্যা। কারণ বাংলাদেশের জনসংখ্যা মালয়েশিয়ার চেয়ে ৮-৯ গুণ বেশি যে কারণে জিডিপি ডিস্ট্রিবিউশন হয়ে মাথাপিছু আয় কমে গেছে।
১৯| ২৬ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:১১
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: হাসান কালোবৈশাখী সাহেব, বাংলাদেশের যতটুকু টেনে নেয়া সম্ভব হইছে হাসিনা দ্বারা তার ভিত্তি করেছে খালেদা জিয়া। এখানে হাসিনার কোন কৃতিত্ব নাই। বরং অনেকটুকু নষ্ট করেছে। সে যদি কোন ভিত্তি গড়তে পারতো তাহলে এখন তার সুবিধা পেতো। তিনি সচেতন ভাবে একটা গুড ফর নাথিং।
২০| ২৬ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খালেদার কোন চালানই নেই। ভিত্তি তো দুরের কথা খালেদা দেশের সর্বনাশে লিপ্ত ছিল।
এক ছটাক বিদ্যুতও বাড়াতে পারেনি ৫ বছরে। কোন পরিকল্পনাই ছিল না (সাইফুর রহমানের ৫ বছরের বাজেট বক্তৃতা দেখলেই বুঝবেন উলফাকে সাহায্য বাদে আর কিছুই নাই।) উলটো বিবিয়ানা ও মৌলভিবাজারের সমুদয় গ্যাস ভারতের কাছে শ্রেফ পানির দরে বিক্রির ব্যাবস্থা ফাইনাল করেছিলেন,
শুধু খালেদা কেন? জিয়া এরশাদ খালেদা সম্মিলিত ভাবেও হাসিনার কাছাকাছিও না।
মুজিব হত্যাকারি জয়বাংলা বিরোধী পাকিপন্থিরা ক্ষমতায় ছিল ৩৩ বছর।
কিন্তু দেশ হতদরিদ্রই ছিল, আর দুর্নিতিতে ৫ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ান
জয়বাংলা পন্থি মুক্তিযুদ্ধ পক্ষ ভেঙ্গে ভেঙ্গে ক্ষমতায় ছিল সব মিলিয়ে মাত্র ১৮ বছর।
কিন্তু অপেক্ষাকৃত কম সময়ে দেশকে উন্নত করে আর দুর্নিতিকে ধাপে ধাপে ১৬ ধাপ হ্রাস করতে সক্ষম হয়।
পদ্মা সেতুর ব্যায় ৩ গুন বেড়ে যাওয়ার পরও আরো ডজন ডজন মেগা প্রকল্প। বিপুল অপচয় ডজন ডজন বৃহৎ পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ৩ হাজার মেগাওয়াট থেকে ২৫ হাজার মেগাওয়াট হয়ে, বিপুল ব্যয় হয়ে দেশের শতভাগ বাড়ীতে বিদ্যুৎ পৌছে গেল। ২০ লাখ রহিংগা ৯ বছর জাবত বিনামুল্যে খাওয়ানো হচ্ছে। এরপরে দেশের মোট সম্পদ (মোট জিডিপি) বাড়ছেই। ১০ গুন বেড়ে গেল। বিএনপির ৬০হাজার কোটি বাজেট বর্তমানে ৭ লাখ কোটি, এবার বাজেট হবে ৮ লাখ কোটি।
২১| ২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ৩:০৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জনগণ নামক ভ্যারিয়েবলটাকে দায় থেকে সম্পদে রূপান্তর করাই রাষ্ট্রের কাজ। রাষ্ট্র তার সম্ভাব্য সম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করবে বলেই তাকে প্রশাসনিক ক্ষমতা ও জনগণের অর্থ তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। অযোগ্য লোকজনই কেবল সেটাকে নিজের ব্যক্তিগত ক্ষমতা আর জনগণের অর্থ প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের করে নিতে চেষ্টা করে। জনগণের টাকা মেরে দেশের ব্যাকিং ব্যবস্থা ধ্বসিয়ে দেয়ার পরেও তারা বেঁচে যায় প্রশাসনের ব্যর্থতায়। উন্নয়নের নামে একটি প্রজেক্ট যখন প্রস্তাবিত খরচের চেয়ে ৩ গুণ বেশীতে গিয়ে দাঁড়ায় তখন সেটা নিয়ে কম-বেশী প্রশ্ন থেকেই যায়। অলাভজনক অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রজেক্ট বানিয়ে জনগণকে উন্নয়নের মূলো দেখানো গেলেও তা আদতে দেশের কোন কাজে আসে না বরং দেশের জন্য নতুন বোঝা তৈরী হয়। যা বাংলাদেশও কম-বেশী টের পাচ্ছে ও আরো পাবে আগামীতে।
যাইহোক, বলছিলাম জনগণ নিয়ে। ভারত আর চীনের জনসংখ্যা প্রায়ই সমান (উভয় দেশ ১.৪২ বিলিয়ন) যদিও ভারত সামান্য কিছুটা এগিয়ে আছে (সূত্র)। তদুপরি চীন ও ভারতের জিডিপির আকারগত পার্থক্য চোখে পড়ার মত। প্রশ্ন হলো কেন?
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের তথ্য (২০২২) অনুযায়ী চীন ও ভারত।
জি.ডি.পি - ডলার (ইউ.এস.)
চীন - ১৭.৯৬ ট্রিলিয়ন
ভারত - ৩.৪২ ট্রিলিয়ন
(তথ্যসূত্র)
বাৎসরিক মাথা পিছু আয় - ডলার (ইউ.এস.)
চীন - ১২,৭০০+
ভারত - ২,৪০০+
(তথ্যসূত্র)
কারন চীন তুলনামূলকভাবে ভারতের চেয়ে তার দেশের জনগণকে ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে জনসম্পদে রূপান্তর করতে পেরেছে। জনসংখ্যা স্বাভাবিকভাবে দেশের সম্পদ, সেটাকে কাজে না লাগাতে পারলে সেই সম্পদ-ই দায়ে পরিণত হবে আর সেটার দায় একটি দেশ তার জনগণ ও প্রশাসনের উপরই বর্তায়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এবং দলের প্রধান হিসাবে এখন অকল্পনীয় ক্ষমতার অধিকারী। ওনার গদি নিয়ে এখন কোন ভয় নাই। এটা উনিও বোঝেন এবং দেশের মানুষও বোঝে। উনি কোন নির্দেশ দিলে সেই নির্দেশ অমান্য করার মত বুকের পাটা কারও নেই। কিন্তু এই প্রচণ্ড ক্ষমতা উনি মনে হয় ঠিকভাবে অনুধাবন করতে পাড়ছেন না। এই ক্ষমতার ৫% ও উনি ব্যবহার করছেন না। উনি ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন অপ্রয়োজনীয় জায়গায়। যেখানে ওনার রাজনৈতিক লাভ থাকলেও দেশের মানুষের কোন লাভ নাই। উনি যদি এখন ঘোষণা করেন যে তার সরকার দুর্নীতি দমনে বদ্ধ পরিকর তাহলে দেশের অন্তত ৫০% দুর্নীতি ১ বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।