নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপি মানুষকে ভুল স্বপ্ন দেখাচ্ছে।★

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৮


আওয়ামী লীগ সরকার দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে, সে ধরনের পরিস্থিতি যদি বিএনপি ক্ষমতায় থেকে তৈরি করতো তবে বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে নামাতে আওয়ামী লীগের পাঁচ মাসের বেশি সময় লাগতো না। কিন্তু বিএনপি কেনো পারছে না আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামাতে! এর প্রধান কারণ হচ্ছে বিএনপির দিক নির্দেশনা যে নেতা দিচ্ছে তার কোয়ালিটির জন্য। আরেকটি কারণ আছে, বিএনপি'র বেশিরভাগ কর্মী নিজ দলের সমালোচনা করতে পছন্দ করে না। বিশেষ করে নেতাদের ভুল সিদ্ধান্ত গুলিতে তারা কখনোই চ্যালেঞ্জ করে না। তাদের মধ্যে সব সময় এই ধারণা বিরাজ করে, নেতা যখন বলেছে তাহলে ঠিকই বলেছে। এই ধরনের ধারণা দলকে রাজনৈতিক ধারা থেকে কক্ষচ্যুত করে।
এ যেমন ধরুন, বিএনপি'র শীর্ষস্থানীয় নেতা থেকে ভারতীয় পণ্য বর্জন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। রাস্তায় তাদের একজন নেতা নিজের গায়ের ইন্ডিয়ান চাদর খুলে পুড়িয়ে ফেলে সবাইকে সে আহবানে একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য বলেছে। বলুন, এটা কি খুবই ছোট একটি বিষয়! একটি রাজনৈতিক দল তার বৃহৎ একটি প্রতিবেশী দেশ যে কিনা এ দেশের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাব রাখে, তাদেরই পণ্য বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে। অবশ্য এর একদিন পরেই নেতারা বলতে শুরু করেছে এটি দলীয় কোন সিদ্ধান্ত নয়। দেখুন এত বড় একটি সংবেদনশীল ডিসিশন সেটাও তারা সমন্বয় করে নিতে পারেনি। রাজনীতির ক্ষেত্রে এই ধরনের অপরিপক্কতা তাদেরকে পিছিয়ে দিচ্ছে।

এরপর আসুন গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে তারা জোর গলায় বলেছিল ভারত আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য যা যা করার সব করছে। নির্বাচন শেষে আওয়ামী লীগ যখন জয় লাভ করে ক্ষমতায় বসে, তারা বলতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে যা করার দরকার ভারত সবকিছুই করেছে। এই যে স্টেটমেন্ট গুলি তারা দিচ্ছে এগুলো এত সরলীকরণ করে দেওয়া কি ঠিক হচ্ছে? নির্বাচন থেকে যখন বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে তখন পাগল এবং শিশুও নিশ্চিত করে বলতে পারছে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। কারণ আপনি যখন মাঠ খালি করে দিয়ে দিচ্ছেন তখন অবশ্যই আপনার প্রতিপক্ষ আপনাকে গোল খাওয়াবেই। বিএনপি নিজেদেরকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নেওয়ার ফলেই আওয়ামী লীগ নিশ্চিত ভাবে ক্ষমতায় বসতে পেরেছে, এখানে ভারতের আর কোন পদক্ষেপেরই দরকার হয়নি। এখন এটা বলা ঠিক হবে না যে, ভারত আওমীলীগকে নির্বাচনে জিতিয়ে সরকার গঠন করে দিয়েছে।
তবে এটা বলতে পারেন বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরানোর জন্যই হয়তো ভারত কোনো কৌশল অবলম্বন করেছে। ঠিক আছে এ ধরনের স্টেটমেন্ট যখন দিবেন তখন অবশ্যই সেই কৌশলটাও প্রকাশ করে দেওয়া উচিত, যা ভারত বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে নিয়েছিল। আজ পর্যন্ত বিএনপির কোন নেতার মুখে বা আলোচনায় শুনতে পাইনি ভারত ঠিক কি কৌশল করেছে যাতে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি! অথবা অন্তত এইটুকু তারা বলতে পারে, যেই দুইবার বিএনপি দেশের ক্ষমতায় বসে ছিল সেসময় ভারত ঠিক কি কারণে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসায়নি?

আসলে দেশের ক্ষমতায় যেতে হলে সঠিক রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করেই ক্ষমতায় যেতে হবে। মানুষের যৌক্তিক সমর্থন আদায় করে নিতে হবে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে নিজেদের কর্মপরিকল্পনার দিকে আকৃষ্ট করতে হবে। আর সর্বশেষ এই ধরনের কর্মযজ্ঞ করতে সঠিক ও চৌকস নেতৃত্বের প্রয়োজন হবে। দিনশেষে নিজেদের রাজনীতি নিজেদেরই করতে হবে, অন্য দেশের ওপর ভর করে আশা করা যায় কিন্তু ক্ষমতায় বসা যায় না। গাড়ির চাকায় যদি ফুটো থাকে তাহলে বাহির থেকে যতই হাওয়া দিবেন গাড়ি চলবে না। গাড়ি চালাতে হলে চাকার ফুটো আগে সারাতে হবে।
বিএনপিকে দেশের ক্ষমতায় আসতে হলে আগে নিজেদের দলের জন্য সঠিক রাজনীতি করতে হবে। মানুষকে সঠিক স্বপ্ন দেখাতে হবে। বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে, তারেক জিয়া বীরের বেশে দেশে ফিরবে, ক্ষমতায় আসলে জামাত শিবিরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে এ ধরনের স্বপ্ন মানুষ এখন আর দেখতে চাচ্ছে না। কারণ এই গুলো মানুষের কাছে এক সময় দুঃস্বপ্ন ছিল।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১০

সালমান আহমেদ বলেছেন: বি এন পি আর কখনোই মাথা তুলা দাড়াতে পারবেনা

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি অবশ্য কখনোই পারবে না বলবো না। ১৬ বছর ীর্ঘ সময় পারেনি। অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে নিকট ভবিষ্যতেও পারবেনা।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৩

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আপনার কথায় মনে হচ্ছে যে আওয়ামী লীগ দেশে চু*ল ফেলে দেয় একদম। কিন্তু এমন বিষয় আপনি আপনার মতো লোককেই বুঝাতে পারবেন। ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে আওয়ামী লীগ ব্যাপক গোলা উঠায়ছিলো তাই না? গৎবাঁধা কতগুলো কথা বলে দিলেন। দলের নীতির সমালোচনা বিএনপিতে বেশি বলেই এখনো ক্ষমতার বাইরে। নীতির ও সমালোচনার তোয়াক্কা না করলে আওয়ামী লীগের মতো যা তা নিয়ে হুক্কাহুয়া দিলে বহু আগেই বিএনপি ক্ষমতায় আসতো।
আর হ্যাঁ আওয়ামী লীগ একবার ক্ষমতার বাইরে যাক, তারপর দেশ দেখবে, আপনি সহ যে তারা কত চু**ল ছিঁড়তে পারে।
রাজনৈতিক নিয়ে লিখতে গেলে প্রচুর শিখুন ও পড়ুন।
বিএনপিকে নিয়ে জাসদের মতো ভাঙ্গার পরিকল্পনা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও "র" কাজ শুরু করে। সেখানে দলটি নানা কৌশলে টিকে আছে এটাই বড় কথা। আর জনগণের সমর্থনও আছে। আপনি যে দূর্বল স্ক্রিপ্ট নিয়ে ব য় কট ভারতের বিপক্ষে নেমেছেন, ভারত তো আপনাকে টাকা দেবে না। আরো তথ্যবহুল লিখুন, সবজিখোরী লেখা নয়। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পোস্ট না পড়েই মন্তব্য করলে যা হয়। পোস্ট না হয় পড়েন নাই কিন্তু আমার প্রথম লাইন তো পড়ার কথা অন্তত!
আওয়ামী লীগ সরকার দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে, এই যে বললাম আওমীলীগ যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, এটা বুঝার মত যদি মগজ থাকতো, তাহলে এত লম্বা কমেন্ট করার দরকার পড়তো না। শেষের দিকে এই জন্যই বলেছি বিএনপির উচিত দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:






নির্বাচনে জয়লাভ করবেই এইরকম অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ সমর্থক এমনকি অনেক নেতাকর্মীও সাতই জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিতে যাই নাই।
ফলে মোট কাস্টিং ভোটের পরিমাণ হয়েছে অনেক কম।
যেটা একটা লজ্জাজনক ব্যাপার হিসেবে সবার সামনে ধরা পড়েছে।।
এটাই বাস্তবতা।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বড় একটি রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় তাহলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার উৎসাহ পাবে না, এটাই স্বাভাবিক। এই রাজনৈতিক দলটি নির্বাচন না করার কারণে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসতে পেরেছে এটা তো খুবই সহজ লজিক। এখানে ভারত আওয়ামী লীগকে বসিয়ে দিয়েছে এমন ভাবার বড় ধরনের কোন কারণ নেই।

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক ভোটারের মধ্যে বিএনপির ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
কিন্তু বর্তমানে বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্ব খুবই দুর্বল এবং তাদের সিদ্ধান্ত হয় সবগুলোই অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত ।
যদি কোন কারিশমেটিক নেতা বিএনপি'র দায়িত্ব না নেয় তাহলে ধরেই নেওয়া যায় যে আগামীতে বিএনপির ক্ষমতায় ফিরে আসা খুবই কঠিন একটি কাজ হবে।
যেটা বিএনপির বর্তমান লেভেলের কোন নেতাকে দিয়ে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: একজেক্টলি এটা আমারও মন্তব্য।

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



বিএনপি বেআইনীভাবে গঠিত মিলিটারী ও ডাকাতদের দল; সেজন্য সফল হচ্ছে না।

এদিকে শেখ হাসিনা আমলাদের দিয়েছে দেশে ডাকাতী করতে, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে বানায়েছে লfহিয়াল ও ডাকাত। উনি মিলিটারি, বিজিবি ও পুলিশকে নিজের বাহিনী হিসেবে সুযোগ দিচ্ছেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিএনপিকে মানুষ পছন্দ করে তাদের রাজনৈতিক দর্শনের জন্য নয়। তাদেরকে মানুষ অনেকটাই সমর্থন দিচ্ছে আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও অসততার উপর বিরক্ত হয়ে।

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: এত কিছুর পরও বিএনপি বাংলাদেশের প্রধানতম বিরোধী দল। বিএনপি আভ্যন্তরীন কোন্দল কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে তবে সমন্বয়হীনতা প্রকট। তাছারা সরাসরি না বললেও বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী ভেবেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন কিছু একটা করবে যার ফলে আওয়ামী লীগ চাপে পড়ে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে। ব্যাপারটা এতটাই শিশুসুলভ ছিল যে সাধারণ রাজনীতির পাঠ জানা ছাত্ররাও এই ভুল খালি চোখে দেখতে পাচ্ছিল। কিন্তু বিএনপির এত এত হোমরা চোমড়া নেতারা তাদের কর্মীদের ভুল ভাঙেনি বরং এই যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে উদ্ভুত হতাশা সেই হতাশা থেকে দলটি এখনও বের হতে পারেনি।

ভারতীয় পণ্য বর্জন প্রসঙ্গেঃ সকল দলেই অতি উৎসাহী কিছু লোকজন থাকে যাদের কারণে দলটি জনসম্মূখে হাসি ঠাট্টার পাত্র হয়। বিএনপিও এর বাইরে নয়। তবে পরবর্তীতে দলীয়ভাবে তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থাৎ বর্জন আন্দোলনটিকে 'সামাজিক আন্দোলন' হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে রাজনৈতিক রূপ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটাকে আমি সাধুবাদ জানাই। ভারতের গণমাধ্যম এবং সরকারের একটি অংশ অবশ্য শুরু থেকেই চেষ্টা করছিল এটাকে সরকারবিরোধী তথা বিএনপির আন্দোলন হিসেবে দেখাতে। বিএনপি কৌশলে সেই বয়ান থেকে নিজেকে নিরাপদ দুরত্বে রাখায় ধন্যবাদ তারা পেতেই পারে।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিএনপি'র জনপ্রিয়তা আছে আওয়ামী লীগের ভুল রাজনীতির কারণে। সঠিক নেতৃত্ব পেলে বিএনপি অনেক আগে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো।
তবে ভারতীয় পণ্য অর্জনের ঘোষণা দিয়ে পরে সেটাকে চাপের মুখে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে চালিয়ে দেওয়াকে আপনি বিএনপি'র বাহবা দিচ্ছেন। আমি কিন্তু সেটা দিতে পারছি না। কারণ এত বড় একটি ডিসিশন প্রথমেই ভুল করে দিয়ে ফেলা এবং সেটাকে মিনিমাইজ করার জন্য পরে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে ঘোষণা করা। এটা মোটেও দূরদর্শী সম্পূর্ণ রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ নয়।

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:২০

রাসেল বলেছেন: গত জাতীয় নির্বাচনে দেখা যায়, সব রাজনৈতিক দলই কর্তৃত্ব লাভে আগ্রহী। তাই, তারা বিভিন্ন ক্ষমতাধর দেশে ধর্ণা দিতে যান, এটা কি দেশপ্রেম? সদ্য শুরু হয়েছে বয়কটের রাজনীতি, ধর্মীয় সংঘাত, ছাত্র রাজনীতি চলবে কি চলবে না। বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ছাত্র রাজনীতি চলবে কি চলবে না, সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন নয়। যারা ছাত্র রাজনীতিকে সমর্থন করছে, তাদের সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করছে। জাতীয় অগ্রগতিতে ধর্মীয় সংঘাতের প্রভাব কতটা বিজ্ঞ ব্যক্তিরা ভালো করেই জানেন। তাই, সেই তথাকথিত বিজ্ঞ দেশপ্রেমিক(!) ব্যক্তিরা ধর্মীয় সংঘাত অব্যাহত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
আমরা আমাদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করব, আমরা সমাধানে আসব না, কিন্তু দেশপ্রেমিক হিসাবে নিজেকে প্রচার করব। আমাদের জাতীয় সমস্যা থেকে মনোযোগ সরানোই এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য। ইসলামে মোনাফিক নামে একটি শব্দ আছে। তারা দ্বৈত নীতি অনুসরণ করে। মুনাফিক শুধুমাত্র ধর্মীয় একটি বিষয় নয়। এটি জাতীয়, ধর্মীয়, ব্যক্তিগত সকলের বিষয়ের জন্য প্রযোজ্য। আমাদের জাতীয় পর্যায়ে এই ধরনের লোক অনেক পাওয়া যায়। সর্বত্র মুনাফিক থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এটা এই ব্লগেও পাওয়া যায়।
যত সময় পর্যন্ত; আমরা ভাবছি না যে আমরা মারা যাব, আমরা মৃত্যুর সময় কোনও চাক্ষুষ সম্পদ নিয়ে যেতে পারব না এবং আমাদের সমস্ত কার্যকলাপের বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আমরা নিজেকে সংশোধন করব না।
জাতীয় ইস্যুতে আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ছাত্ররা কলেজ ভার্সিটিতে পড়ালেখা করবে। তাদের জাতীয় রাজনীতি নিয়ে এত হইহুল্লার করার দরকার নেই। আসলে মেইন স্ট্রিমের রাজনীতিবিদরা ছাত্রদেরকে লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করছে।
ছাত্রদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য ছাত্রপরিষদ থাকতে পারে, সেটার দরকার আছে। কিন্তু জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হিসেবে থাকার কোন দরকার নেই।
আপনার মন্তব্যটিতে ভাবনার খোরাক আছে, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৭

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: কলা থাকে ছালের ভীতরে সেখানে মাঝি বসার ক্ষমতা আছে
তেমনী এখনকার সময়--------------

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পরিষ্কার বুঝতে পারেনি ভাই!

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনার ১ম প্যারাতেই দ্বিমত পোষণ করছি। বাকীগুলো চর্বিত চর্বন। বিএনপি-কে যতই নসিহত করেন না কেন, শেখ হাসিনার আমলে আর তারা স্বাভাবিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এটা পানির মত স্বচ্ছ ব্যপার। এটা যদি না বুঝে খালি তারেক রহমানের সমালোচনা আর দলের নেতাদের ব্যপারে বলেন লাভ হবে না...

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ২০০৮ সালেও মনে হয়েছিল বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না। ৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেও মনে হয়েছিল বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না কিন্তু আওয়ামী লীগ নামিয়ে দেখিয়েছে। এমনকি ফখরুদ্দিন মইনুদ্দিনেরও থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল কিন্তু পারেনি।
কিছুটা বুঝি বলেই তারেক জিয়া এবং তাদের নীতি নির্ধারকদের সমালোচনা করছি। তারা যেভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেভাবে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না। তারেক জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করার স্বপ্ন, বেগম জিয়াকে মুক্ত করার স্বপ্ন, জামাত শিবিরকে একসাথে নিয়ে চলার অঙ্গীকার, এগুলি করে ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। ইঞ্জিন ঠিক না থাকলে আপনি যতই গাড়িতে তেল ঢালবেন ঘাড়ে কিন্তু চলবে না।

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: বিএনপির কাজ বিএনপি করেছে
কামড় দিয়েছে গায়ে
তাই বলে কি বিএনপি কে কামড়
মানুষের শোভা পায় ।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আওয়ামী লীগের ভুল রাজনীতির কারণে মানুষ বিএনপি নিয়ে কথাবার্তা বলছে। তবে তাদের নেতৃত্বের সমস্যার কারণে তারা সুশিক্ষিত জনগণকে পাশে পাচ্ছে না।

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:২১

ধুলো মেঘ বলেছেন: তেলাপোকাও একটা পাখি, আর বিএনপিও একটা দল

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভুল নেতৃত্বের হাতে দল পড়লে যা হবার তাই হয়েছে। বিএনপির এই সত্যটুকু অনুধাবন করতে না পারলে নিকট ভবিষ্যতেও তাদের মুক্তি নেই।

১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: যখনই বিএনপিকে ভুলতে বসি, তখন আপনি বিএনপিকে নিয়ে পোষ্ট দেন।
আপনিই আমাদের বিএনপিকে ভুলতে দিচ্ছেন না।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আওয়ামী লীগের ভুল রাজনীতি ও ভুল পদক্ষেপের জন্য বিএনপির নাম বারবার চলে আসে।

১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

এম ডি মুসা বলেছেন: সব বেটা কে চেনা আছে, ক্ষমতা লোভে বহু ভালো কথা বলে, পরে আর কিছু হয় না

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের বেশিরভাগ রাজনীতিবিদরা ভালো কাজে দক্ষ নয়, অসৎ কাজে পটু।

১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি নিজেও ভালো জানেন আওয়ামীলীগ বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিএনপির পর এখন জাতির কোমর ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। সঠিক রাজনীতি না করলে আওয়ামী লীগ জাতিকে ভালো বিপদে ফেলে দেবে।

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪৮

বিষাদ সময় বলেছেন: আসলে আমরা ভুল বা সঠিক নির্ণয় করি ব্যর্থতা আর সফলতা দিয়ে। কোন কিছুতে সফল হলে তখন তার ভ্রান্ত দিবগুলো খুব কমই আলোচনায় আসে আবার ব্যর্থ হলে তখন ভুল দিক নিয়ে হাজারো রকম পয়েন্ট আউট করি।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৫১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ব্যর্থতা আর সফলতা যাই হোক রাজনীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের আলোচনা সমালোচনা সব সময় ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে এখন তথ্যের প্রাপ্যতা সহজ হওয়াতে মানুষ বেশি বেশি আলোচনা ও সমালোচনায় অংশ নিচ্ছে।

১৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০৩

নিমো বলেছেন: ভুল স্বপ্ন নয়, বলুন দুঃস্বপ্ন দেখাচ্ছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:০২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হুম, এটাই বেশি প্রযোজ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.