নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়, প্রধানমন্ত্রী ভালো জানেন, প্রধানমন্ত্রীর আদেশে, প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন সেটাই হবে, প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেটা করা হবে, বিষয়টি একান্তই প্রধানমন্ত্রীর উপর নির্ভর করে, আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছি, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী দেখছেন!
আপনারা সবাই মোটামুটি এই কথাগুলির সাথে পরিচিত। এগুলি হচ্ছে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগকৃত মন্ত্রী, এমপি ও অনেক সময় আমলাদের বলা উক্তি। উনারা সব কাজেই প্রধানমন্ত্রীকে সাক্ষী রেখে করেন। সব সময় প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে বল ঠেলে দেন। প্রধানমন্ত্রী একাই গোল দেন অথবা গোল না দিতে পারলে মাঝেমধ্যে পেনাল্টি কিক দিয়ে গোল করেন! মোটকথা গোল প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েই করাতে হবে।
আপনি যদি কোন অফিসে চাকরি করেন কিংবা নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে আপনি সবসময় চাইবেন আপনার অফিসে কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেস্ট কর্মী নিয়োগ দিতে। যাতে আপনার উপর প্রেসার কম পড়ে। এই যুগে কেউই নিজের উপর অতিরিক্ত প্রেসার নিতে চায় না। সব সময় চেষ্টা করে প্রেসার অন্যের দিকে ঠেলে দিতে। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী যত প্রেসার নেন উনার তো এট প্রেসার নেওয়ার কথা না। সবাই যেকোনো বিষয়ে উনাকে সমাধান করতে বলেন। উনার জায়গায় অন্য কেউ হলে রাগ করতেন, কাজ থেকে ছাঁটাই করতেন। কিন্তু উনি করেন না, সম্ভবত উনি এতে খুশি হন। দেশের বেশিরভাগ খাতেই এখন অরাজকতা চলে। যাকে যে জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সে সে কাজ ঠিকভাবে করতে পারছে না, কিংবা করার চেষ্টা করছে না। শেষমেষ সে ব্যর্থ হলে প্রধানমন্ত্রীকে মেনশন করে। প্রধানমন্ত্রী যতটুকু পারে করার চেষ্টা করে। কিন্তু এটি উনার জন্য ভুল সিস্টেম।
দেশ সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে আশেপাশে খুবই দক্ষ ও টেকনিক্যালি অভিজ্ঞ লোকজনের প্রয়োজন। আধুনিক অর্থনীতি ও প্রযুক্তি এতটাই কমপ্লেক্স হয়ে গেছে সেটা সম্পর্কে যদি ভালো জানাশোনা লোক না থাকে তাহলে ভালোভাবে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। উনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছে কিন্তু উনার আশেপাশের মানুষগুলি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মতো পজিশনে নেই। উনি অহেতুক একটি ঘোষণা দিয়েছেন যেটা উনার সৈন্য সামন্তরা ঠিকভাবে বুঝতে সক্ষম নয়।
প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত বুঝতে পারছেন না উনার নিয়োগকৃত লোকজন উনাকে সঠিকভাবে সহযোগিতা করছে না। নাকি প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের লোকজনই পছন্দ করেন। উনি যদি জনগণের চাকরি করে থাকেন তাহলে এই ধরনের লোকজন উনার পছন্দ করার কথা না। আমার একটি ব্যক্তিগত ধারণা হচ্ছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী হয়তো ভাবেন এদেশে উনার থেকে যোগ্য ও দক্ষ মানুষ আর নেই। যার জন্য উনি সবকিছুই উনার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। অবশ্যই যোগ্য মানুষ আছে কিন্তু উনি যে সিস্টেমে দেশ পরিচালনা করতে চাচ্ছেন সেই সিস্টেমে যোগ্য মানুষ আসলেও অযোগ্য হয়ে যাবে।
একটি কথা প্রচলিত আছে যে, কোনো মানুষ যদি সব কাজ একাই করতে চায় সে কখনো সফল হতে পারেনা। শুধুমাত্র যোগ্য মানুষকে দিয়ে উপযুক্ত কাজ করিয়ে নিতে পারলেই সফল হওয়া যায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী হয়তো ক্ষমতায় টিকে থাকা ও বিএনপি জামাতকে ক্ষমতার বাইরে রাখাটাকেই সফলতা ভাবছেন। আর এটাকেই যদি উনি সফলতা ভাবেন তাহলে উনি অনেক আগেই সফল হয়েছেন। এখন উনার উচিত উনার আশেপাশে যোগ্য ও দক্ষ লোকজনকে নিয়ে আসা এবং তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সুযোগ দেওয়া।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী জেনে বুঝেই তাদের নিয়োগ দেয়।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪৭
সোনাগাজী বলেছেন:
উনি জাতির মুল্যবান সময় নষ্ট করেছেন; দেশ চালনার ব্যাপারে উনার নিজের ২ পয়সার ধারণাও নেই, সেজন্য সঠিক লোক কখনো নেননি।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:০০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইদানিং উনার কথায় আমি বেশ দাম্ভিকতা দেখতে পাই।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:০৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠগ বাছতে গিয়ে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। বাঙালির মতো বদদের সামলানো সহজ কথা নয়। এখানে চোর-পুলিশ খেলা চলে।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি যখন জামাত বিএনপিকে সামলাতে পেরেছেন তখন বাঙ্গালীদেরকেও সামলাতে পারতেন। উনি সঠিক ভাবে চেষ্টা করেননি, করলে অবশ্যই পারতেন। উনি উনার প্রাইম টাইমে আছেন, চেষ্টা করলেই পারতেন।
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: গনতেন্ত্র চর্চা বিকশিত না হওয়ায় যৌথ নেতৃত্ব গড়ে উঠে নাই।আমরা সেই রাজতন্ত্রের পর্যায়েই রয়ে গেছি।আমরা একজন ভালো রাজা চাই গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাই না।সবাই মিলে শাসন করার চেয়ে সবাই মিলে একজনের উপর দায়িত্ব দিয়ে সবাই শাসিত হতে চাই।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে এক হাতে সবকিছু ্যাঁন্ডেল করার কথা নয়। শেখ হাসিনা কোন সুপার ওম্যান নয়।
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০৯
এম ডি মুসা বলেছেন: চেষ্টা করা দুর্নীতি দমন করতে দশজন লাগে না
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এ যুগে একা একা কিছু করা এখনো সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা জামাত বিএনপির ভয়ে ও ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় সবকিছু নিজের কাছে কেন্দ্রীভূত করে রাখতে চাচ্ছেন এটা সঠিক রাজনীতি নয়।
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহমত। চামচামি করতে করতে এমন পর্যায়ে গিয়েছে, যে সাধারণ আইনগত কথা বলতে গিয়েও সচিব বা দায়িত্বশীল কেউ প্রধানমন্ত্রীর নাম নেন। যেমন ধরেন, কোথাও আগুন লাগল। সাংঘাতিকরা মাইক ধরল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। তিনি বললেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন দোষীদের খুঁজে বের করতে। আরে ভাই, এটার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ লাগে নাকি? কোথাও ঘূর্ণিঝড়, বন্যা হল। সচিব বা কেউ বলবে, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষয়ক্ষতির ব্যপারে সজাগ থাকতে। মনে হয় যেন, প্রধানমন্ত্রী না বললে ঐ এলাকার দায়িত্বশীল কেউ সাহায্য করবে না। শুধু তাই না। ছোট খাটো সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নাম মুখে আনা লাগবেই। তাই আমি বার বার বলছি, এই মেরুদন্ডহীন, লোভী, পটেনশিয়াল দুর্নীতিবাজ আমলাদের নিয়ে তথাকথিত গণতন্ত্র চাই না। রাজতন্ত্র বা স্বৈরতন্ত্র চাই...
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এক্সেটলি।
৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: একজন মানুষের জীবদ্দশায় দুই থেকে তিনটির বেশী বিষয়ে অগাধ জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয়।
দেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে না, তবে আমি শেখ হাসিনার সাথেই আছি।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেখ হাসিনার সাথে থাকার অনেক কারন আছে। কিন্তু উনার দেশ পরিচালনার প্যাটার ্ন দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।
৮| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী যোগ্য ও দক্ষ লোক নিয়োগ দেন না।
মমতাজ কি কাজ করেছে? এবার ফেরদৌস এমপি হয়ে কি করবে? মূলত মন্ত্রী এমপিদের জবাবদিহিতা নেই। এজন্য তারা বড় বাঁচা বেচে গেছে।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি যোগ্য লোক নিয়োগ দিতে ভয় পাচ্ছেন মনে হয়।
৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আশাকরি, প্রধানমন্ত্রী আপনার সুপরামর্শকে আমলে নেবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এরা নিজেদের অক্ষমতা সম্পর্কে অবগত। প্রধানমন্ত্রীর করুণায় এরা গুরুত্বপূর্ণ পদে সমাসীন। ভয়ে থাকে তাই প্রধানমন্ত্রীর ওপর সব দায়ভার চাপিয়ে দিয়ে নির্ভার থাকতে চায়।