নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ হাসিনাকে কবে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য ভারত?

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৮

শেখ হাসিনাকে কবে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত?

শেখ হাসিনাকে কখনই ফেরত পাঠাতে বাধ্য নয় ভারত। শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় পেয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাঁর নিরাপত্তার আশংকার কারণে। তিনি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর বিমানে করে ভারত গিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাকর্তাদের নিয়ে। এটাকে তাই অফিসিয়াল সফরও বলা যায়। অন্তত কাগজে-কলমে এটাই জানানো হয়েছে। যারা বলছেন আগের রাতেই তাঁকে এসে তুলে নিয়ে গেছে, পরেরদিন হেলিকপ্টার ছিলো শো, তাদের কথা ভারত আপাতত স্বীকার করবে না। তবে গাড়ি থেকে নেমে হেলিকপ্টারে ওঠার সময় ঘোমটা দেওয়া যে মহিলাকে দেখা যায়, শেখ হাসিনা কি তার মতো অতোটা চিকন? হেলিকপটারে উঠতে দেখা গেলেও শেখ হাসিনা নাকি ভারত গেছেন অন্য একটি 'সি' টাইপ বিমানে। তাহলে?

শেখ হাসিনা দাবি করতেই পারেন এটা তাঁর আত্মরক্ষার্থে সাময়িক নির্বাসন। তিনি বেড়াতে গেছেন পাশের বন্ধুরাষ্ট্রে। হতে পারে তিনিই চাইছেন এই সুযোগে দল ও প্রশাসনে একটা শুদ্ধাভিযান হয়ে যাক, কে আপন আর কে পর তাও হিসেব মিলিয়ে নেওয়া যাক! প্রশ্ন হচ্ছে, সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনও দেশের প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করে কি ভারত? আমার ধারণা তা-ই করে। সেই মর্যাদাতেই তাঁকে সেখানে রাখা হচ্ছে। যদি করে, তাহলে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভারত কিছু করবে না। তাঁর পদত্যাগপত্র কেউ দেখেনি, ভারতও না। ডোনাল্ড ট্রাম্পও নির্বাচিত হয়ে এক টক শোতে নাকি বলেছেন, তিনি এখনও শেখ হাসিনাকেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন। কারণ তিনি পদত্যাগপত্র ছাড়া দায়িত্ব হস্তান্তর মানেন না।

যেদিন শেখ হাসিনা মনে করবেন তিনি দেশে ফিরতে চান বা দেশে তাঁর আর নিরাপত্তার হুমকি নেই, সেদিন তিনি দেশে ফিরবেন। তার আগ পর্যন্ত তিনি ভারতেই থাকবেন। পিতা-মাতাসহ পরিবারের ১৭ জনকে হারিয়েও তিনি ইউরোপ থেকে এসে ভারতের আতিথেয়তায় ছিলেন। ভারত বাংলাদেশের পরিক্ষিত বন্ধু। সেখানে থেকেই তিনি শুদ্ধাভিযান চালান ও নিজের ভুলগুলো খুঁজতে থাকুন। কাদেরকে বিশ্বাস করে কাদেরকে দূরে রেখে কী ভুল তিনি করেছেন, যার ফলে এই দিন দেখতে হলো, তাও উপলব্ধি করতে থাকুন। এই সুযোগে জনগণও উপলব্ধি করতে থাকুক তারা কী চায়, কেমন দেশ চায় আর কেমন নেতৃত্ব চায়।

যেহেতু শেখ হাসিনা ভারতে বন্দী নন, তাই তাঁর আমলেই হওয়া বন্দী বিনিময় চুক্তিতে তাঁকে ফেরানো অসম্ভব। বর্তমান সরকারের সাথে যে ভারতের সুসম্পর্ক আছে খুব একটা তাও মনে হচ্ছে না। ভারত বয়কটের ডাক দিয়েই আন্দোলনের হাত ধরে এই সরকার এসেছেন। সংবিধান মেনে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়নি বিধায় এই সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। সেই প্রশ্ন মুছে দিতে অধ্যাদেশ জারি করা হচ্ছে। কিন্তু তা করা হলেও, দেশে কেউ প্রশ্ন করার সাহস না পেলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই সরকার কতটা বৈধতা পাবে সে প্রশ্ন থেকেই যাবে। কারণ ভারত সবার আগে প্রশ্ন তুলতে পারে। তারপর ডেমোক্র্যাটদের ভরাডুবির পর ট্রাম্প ক্ষমতা নিয়েই এই বিষয়ে আপত্তি তুলতে পারেন। কেননা তিনি ক্ষমতা নিলে সম্পর্ক আর আগের মতো থাকবে না। স্যাংশান আর চাপ আসতে থাকবে। ভারতের উপরেই এই অঞ্চল ছেড়ে দেবে আমেরিকা আবার।

যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নিই, শেখ হাসিনাকে বন্দী রাখা হতে পারে এই সরকারের সাথে নানাবিধ আমদানি-রপ্তানি সম্পর্কের বিশাল বাণিজ্য ও নানাবিধ সম্পর্ক রক্ষার খাতিরে, তবুও শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না ভারত। কেননা চুক্তিতে স্পষ্টত উল্লেখ আছে-- ফিরিয়ে দিলে যদি কারো জীবননাশের আশংকা বা হুমকি থাকে, তবে ফেরত দিতে বাধ্য নয় আশ্র‍য়দানকারী দেশ। ঠিক এই কারণেই আমেরিকা বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদেরকে ফেরত দিচ্ছে না। সুতরাং, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ভারতেই থাকছেন বলেই ধরে নেওয়া যায়, যদি না আগেই ফিরে আসার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।

আর ইন্টারপোলও এখন আর এতটা চাপ ভারতকে দিতে পারবে না যাতে বিশ্বের তৃতীয় পরাশক্তি ভারত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন সংগঠিত হওয়ার পর নতুন যিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগ পর্যন্ত বর্তমান প্রেসিডেন্ট কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আর এটা আমরা সবাই জানি যে ডোনাল্ড ট্রাম্প শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এমন কিছু করবেন না এবং ইন্টারপোলে আমেরিকার আধিপত্য কতটা, তাও আমরা জানি। দেব দুলাল গুহ।

এমন ধারাবাহিক আরও এনালাইসিস পড়ুন এই লিংক ও আমার ফেসবুক টাইমলাইনে--
https://www.somewhereinblog.net/blog/nipun_kothon

What is #BMW ?

The companies automobiles are marketed under the BMW, Mini and Rolls-Royce brands, and motorcycles are marketed under the BMW Motorrad brand. Also in 2023, BMW was the world's ninth-largest producer of motor vehicles, with 2,555,341 vehicles produced[3] and in 2023 the 6th largest by revenue.[4] In 2023, the company was ranked 46th in the Forbes Global 2000.[5] The company has significant motor-sport history, especially in touring cars, sports cars, and the Isle of Man TT.

BMW is headquartered in Munich and produces motor vehicles in Germany, the United Kingdom, the Netherlands (ceased in 2023),[6] the United States, Brazil, Mexico, South Africa, India and China. The Quandt family [de] is a long-term shareholder of the company, following investments by the brothers Herbert and Harald Quandt in 1959 that saved BMW from bankruptcy, with the remaining shares owned by the public.

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:২০

নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:

না । বাধ্য না।
কেউ রাজনৈতিক আশ্রয় নিলে ফেরত দেয় না।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৪

ক্লোন রাফা বলেছেন: জানলাম ‼️শেখ হাসিনা বন্দি নয়,এটা সরল অংকের মত পরিস্কার । কাজেই বন্দি বিনিময় চুক্তি এপ্লিকেবল না এখানে !
আপনার পোষ্ট পড়ে পরিস্কার ধারনা পাবে সবাই ।
ধন্যবাদ, নি. কথন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.