নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
নতুন ৩ উপদেষ্টাদের কাউকে দেখেই অবাক হইনি। আরও একবার প্রমাণিত হলো সবই মিটিকুলাসলি ডিজাইনড। কেন?
১. আকিজ গ্রুপের কর্ণাধার শেখ বশির উদ্দিন উপদেষ্টা হয়েছেন। বেশ বছরখানেক ধরে পিনাকী ভাট্টাচার্য গংদের আহবানে চলমান কোকাকোলা বয়কট আন্দোলন। কোকাকোলা বয়কটের পিছের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করা ইসরায়েলের মাটিতে কোকাকোলার ফ্যাক্টরির কথা। এর বদলে দেশের একটি শ্রেণি ধুমছে মোজো খেয়েছে। এতটাই খেয়েছে যে স্বাদ তুলনা করে দেখেনি কোকের সাথে, সাপ্লাইয়ে টানাটানি লেগে গেছে ডিমান্ডের ঠেলায়। এমনকি প্রতি বোতল থেকে ১ টাকা করে ফিলিস্তিনে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিলো। তবে সবকিছু এতটা বড় পরিকল্পনার যে অংশ, তা বুঝিনি। আবার গাজায় ফিলিস্তিনের নাগরিকদের উপর হামলা বা চলমান যুদ্ধটাও থেমে যায়নি। সেখানে বলা হচ্ছে নাগিরিকরা ৭০ বছরের আগের জীবনে নাকি ফিরে গেছে!
২. মোস্তফা সরওয়ার ফারুকি দীর্ঘদিন ধরেই প্রথম আলো গোষ্ঠির ঘনিষ্ট, মূলত প্রথম আলোর নীতিনির্ধারক, সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের অতি ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রশংসা করে, শাহবাগের গণজাগরণের পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষেও অনেক লেখালেখি করেছেন, করেছেন "থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার" এর মতো উদারমনা ছবিও। তাঁর স্ত্রী আমার প্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী তিশাকেও সবাই প্রথম আলো ঘরাণার বলেই চেনে। শেখ হাসিনা হয়তো ভাবতেন আনিসুল হক যেমন তাঁর বোন শেখ রেহানার প্রিয় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লেখক হিসেবে পরিচিত, তিনি আওয়ামী লীগের ক্ষতির কারণ হবেন না। শুনেছি প্রতিটা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ পেতেন আনিস ভাই, যেখানে প্রথম আলোকে "দু'চোখে দেখতে পারতেন না" শেখ হাসিনা, প্রকাশ্যে সমালোচনা করতেন। শুরু থেকেই প্রথম আলো এই আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে এসেছে, আবার সরকার পতনের পর হুমকিও খেয়েছে, এসেছে তাদের বিরুদ্ধেও কথিত বয়কটের ডাক। আনিসুল হককে এখনও উপদেষ্টা বানানো হয়নি। তবে প্রথম আলোর বুদ্ধিজীবী আসিফ নজরুল হয়েছেন। বলতে গেলে তিনি এই সরকারের একটা মেরুদন্ড। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও প্রথম আলোর সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত। আরও দুই ছাত্র থেকে উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফও তাঁর কাছের বলে পরিচিত।
৩. মাহফুজ আলমকে আমেরিকা নিয়ে বিল ক্লিন্টনের সামনে 'জুলাই বিপ্লব' এর মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা। তাই প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর চেয়েও বড় পদ তার জন্য প্রাপ্য ছিলো। যার মাথা থেকে টানা চার মেয়াদে সরকারে থাকা দলটির ও সরকার পতনের মতো প্ল্যান বের হয়েছে, তাকে সর্বোচ্চ পদগুলোর একটি তো দেওয়াই উচিত। নাহলে তার অবদানকে অস্বীকার করা হয়। এক্ষেত্রে বয়স না দেখার বিষয়টিও ঠিক আছে। ২৫ বছর হলেই যথেষ্ট। অনেকে তাকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীররের কর্মী বললেও ও প্রমাণাদি দিলেও "তিনি মূলত কবি ফরহাদ মজহার ও প্রথম আলো সম্পাদক ও মালিক মতিউর রহমানের শিষ্য" বলে প্রচার করেছে কোনো কোনো মিডিয়া। সত্য-মিথ্যা জানি না। আবার মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা ম্যাম ফরহাদ মজহারের স্ত্রী, আবার কেউ কেউ বলেন বান্ধবি। তবে এই জেন-জি প্রজন্মের তরুণদের জন্য সারা বিশ্বের জেন-প্রজন্ম গর্ব করতেই পারে। এত অল্প বয়সে এত অসাধ্য সাধন যে তারা করেছেন!
নতুন ৩ উপদেষ্টা মহোদয়ের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো। আশা করি এই অসুস্থ সময়ে দেশকে আবার সঠিক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে তাঁরা কার্যকর ভূমিকা রাখবেন। দেশটাকে এখন সবাই মিলে গড়তে হবে। দেশ ভালো চললে, দেশের জনগণ ভালো থাকলে হয়তো কেউ আর অতীতকে টানতে চাইবে না। পাশাপাশি ফ্রান্স থেকে কোনো পলাতক আসামীকে জায়গা না দেওয়ার জন্যও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অতি বিতর্কিত লোকদের দূরে রাখাই মঙ্গল।
©somewhere in net ltd.