নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
খসড়ার শিরোনাম করা হয়েছে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪'। এতে বলা হয়েছে, সরকারের সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না বা অবৈধ ঘোষণা করা যাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা টুপ করে এসে যদি বলেন আমিই প্রধানমন্ত্রী, সংবিধান মতে আমাকে ক্ষমতা ছেড়ে দিন, ভারত ও নতুন আমেরিকা যদি তাঁকে সমর্থন দেন, তখন? অধ্যাদেশে যদি মহামান্য সাইন না করেন? এই অধ্যাদেশ কি বিএনপিসহ অন্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলো মানবে? তারা কি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনন্তকাল ধরে সংস্কার করতে দিতে চাইবে? ছাত্র-জনতার নাগরিক ঐক্যকে সুসংগঠিত করে পরের সরকারে আনার সময় ও সুযোগ কি তারা দিতে চাইবে? তাহলে এই সরকারকে কি পরের সরকার বৈধতা দেবে? নাকি অধ্যাদেশ পাশ হলে আর বৈধতা দেয়া লাগে না? জানতে চাই।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তার পর সমীকরণ নাকি সব পালটে যেতে শুরু করেছে। যে সেনাবাহিনী পুলিশের গায়ে অ্যাসিড মারা দুর্বৃত্ত (হিন্দু)--দের পেটালো, বলা হচ্ছে অনেকেই আহত-নিহত, এটা ইস্কনকে নিষিদ্ধের চক্রান্ত-- এমনটা অনেকের পক্ষ থেকে দাবি করা হলে ও ইস্কনের এক সাধুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা হওয়ার পরে ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে হাসিমুখে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর এবং ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের "হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন" বলার পর সেই সেনাপ্রধান আজ বৌদ্ধ ভিক্ষুবেষ্টিত এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সর্বধর্মের মানুষের সহাবস্থানে জোড় দিয়ে বলেছেন সনাতনরাই এখানে আগে এসেছেন, এরপর বৌদ্ধরা, এরপর খৃস্টান আর সবশেষে মুসলিমরা। এ নিয়ে না আবার সেনাপ্রধানের পদত্যাগের দাবিতে পিলখানা ঘেরাও হয়! সেই সাহস মনে হয় কারো হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প আসছেন, এটা ভবিষ্যযদ্বাণী করেছিলাম অনেকবার। গতবার হেরে যাওয়ার পর বলেছি, তাঁর মামলা ও গুলি খাওয়ার দিনদুটিতেও বলেছি, আগস্টের পটপরিবর্তনের পর বলেছি, সেপ্টেম্বরেও বলেছি (কমেন্টে কিছু প্রমাণ দিলাম)। তাছড়া ট্রাম্পের আসা নিশ্চিত হওয়ার দিনেই বলেছিলাম--
যেকোনো মুহূর্তে ইরানে ব্যাপক হামলা করে বসতে পারে ইসরায়েল। খামেনির মৃ*ত্যু হলেও অবাক হবো না। জো বাইডেনের নিষেধ শুনে এতোদিন আক্রমণের ধাঁচ কিছুটা কম থাকলেও ট্রাম্প নেতানিয়াহুর আরও ঘনিষ্ট এবং ইরানকে ট্রাম্প দেখতে পারেন না। গত মেয়াদের ইরানের উপর অনেক স্যাংশান জারি করেছিলেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধটা থেমে যাবে। ইসরায়েলের আয়তন বাড়বে আরেক দফা। মধ্যপ্রাচ্যের সকল ইরানি প্রক্সিগুলো (হামাস, হুতি, হিজবুল্লাহ) নির্মূল হবে।
ট্রাম্প এসে আরও একটা যুদ্ধ থামাবেন। সেটা হলো ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ট্রাম্পের পরিক্ষিত বন্ধু। ইউক্রেনে অস্ত্র-অর্থ সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন ট্রাম্প। তখন যুদ্ধ থেমে যাবে এবং যে যেটুকু ভূমিতে নিজের দখল বজায় রেখেছে, সেটুকু নিয়েই থাকতে হবে। অর্থাৎ বিশ্বের সর্বাধিক আয়তনের দেশ রাশিয়ার আয়তনও আরও বাড়বে।
যুদ্ধগুলো থামার সাথে সাথে গ্যাস-তেলের দাম কমে যাবে। আবার খাদ্যশস্যের দামও কমবে। ফলে বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার ব্যায় কমবে। বিশ্বজুড়ে আর শান্তি বা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন আপাতত আর থাকবে না আমেরিকার। ট্রাম্প আগে নজর দিবেন দেশের অবৈধ অধিবাসীদেরকে ফেরত পাঠানোয় এবং দেশের অর্থনীতিকে আবার চাঙ্গা করে "Make America Great Again" করায়।
ভারতের পিএম নরেন্দ্র মোদি আর ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনই 'রিপাবলিকান'। আশা করা যায় ট্রাম্প দক্ষিণ এশিয়ায় তাই চাইবেন, যা মোদি চাইবেন। মোদি যদি চান, শেখ হাসিনার "টুপ করে ঢুকে পড়া" মুহূর্তের ব্যাপার মাত্র। গর্তে লুকিয়ে থাকা কর্মীরা একটা ডাকের অপেক্ষায় আছেন শুধু। শেখ হাসিনা ঢুকে পড়লে ব্যালিস্টিক মিসাইলে নিজেকে টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে পালানো ছাড়া আর উপায় থাকবে না অনেকের। কেননা ভারত তাদেরকে জায়গা দেবে না, চিনতে পারলে গু*লি করে মা*রবে। মায়ানমারে আগে থেকেই মর্টার শেল নিক্ষিপ্ত হয়। সেখানে গেলে এমনিতেই বাঁচার সম্ভাবনা নাই। বাকি রইলো সাগরপথ। সেটারও নাম ভারত মহাসাগর আর তাও যেতে হবে ভারতের জলসীমার পাশ দিয়ে। আকাশ পথই একমাত্র পথ, তাও ঐভাবে। কেননা বিমান বা হেলিকপ্টারযোগে যেতে গেলে ধরে ফেলার সম্ভাবনাই বেশি। কেননা সংবিধান যতদিন আছে, ততদিন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ দাবি করে যাবেন। তিনি ফিরে এসে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে বসলে সকল স্তরের কর্তারা ও সেনাবাহিনী কি তাঁকে অস্বীকার করে সংবিধানকে অবমাননা করবেন? সেটা সময় বলে দেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নাকি অসুস্থ। তিনি ফ্রান্স থেকে এসে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। এখন আবার সেখানেই নাকি মেয়ের কাছে অবস্থান করছেন (পরে জানা যায় এই দাবি ভূয়া)। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। কেননা এখনও অনেক সংস্কার বাকি। সুস্থ হয়ে দ্রুত যেন তিনি অন্য মাননীয়দের নিয়ে দেশে ফিরতে পারেন। এখনও অনেক কাজ করার ও অনেক ইতিহাস লেখার বাকি। রিসেট বাটনে চাপ দিয়ে ছাত্ররা অতীত মুছে দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমরা সবাই জানি, রিসেট বাটনটা বারবার চাপা যায়।
https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/a73213e2d0e5
©somewhere in net ltd.