নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দুরা সবাই ইসকন না। হিন্দুবিদ্বেষ পরিত্যাগ করুন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬

চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে সমাবেশ করেছে হিন্দুরা। অনেকে বলছেন তাদেরকে পালটা শক্তি প্রদর্শন করতে আজ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করছে মুসলিমরা। এই শক্তি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে আমরা কী অর্জন করছি? দেশের এত সমস্যা রেখে কেন এই উগ্রতা প্রদর্শন?

চট্টগ্রামে ও ঢাকায় হিন্দুরা তথা সংখ্যালঘুরা সমাবেশ করতে বাধ্য হয়েছে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে, শক্তি প্রদর্শন সেখানে মূল উদ্দেশ্য নয়। সরকার পরিবর্তন হলেই তাদের উপর যে নির্মম নির্যাতন চলে, তার প্রতিবাদেই তারা জড়ো হয়েছেন। মাত্র দেড় কোটি হিন্দুর সামর্থ্য নেই ১৭ কোটি মতান্তরে ৩৮ কোটি মুসলিমের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের। ইচ্ছাও নেই।

তাহলে তারা এভাবে সমাবেশ করার ও প্রতিবাদী শ্লোগান তোলার সাহস পেলেন কোথা থেকে? হ্যাঁ, এটাই যাদের মনে প্রশ্ন, অনেকের মতে তারাই শক্তির জানান দিতে জড়ো হয়েছেন আজ। শোনা যাচ্ছে, সেখান থেকে হিন্দুবিদ্বেষী বক্তব্য প্রদান করা হচ্ছে, ইসকন আর হিন্দুকে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। আসলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে হিন্দুদের। মাত্র ৭-৮% এ এসে ঠেকেছে। তাই এই প্রতিবাদ। চতুর্দিক দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় পরাশক্তি ভারতের অবস্থান এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির থাকার বিষয়টি তাদেরকে আওয়াজ তুলতে হয়তো কিছুটা সাহস জুগিয়ে থাকলেও থাকতে পারে।

ঢাকা ও চট্টগ্রামে হিন্দুদের যে সমাবেশ হয়েছে, সেখানে ইসকন মূল শক্তি ছিলো না, অনেকগুলো শক্তির মাঝে একটি ছিলো। সেখানে সবাই গিয়েছিলো আত্মরক্ষার্থে সরকার ও দুনিয়ার কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরতে। তারা কোনো বিশেষ ধর্ম বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক শ্লোগান তোলেনি। তারা বলেছে, "আমার মাটি আমার মা, এই দেশ ছাড়বো না"। অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে দোষের কিছু নেই।

ইসকন হিন্দুদের একটি ধর্মীয় অরাজনৈতিক সংগঠন। কিন্তু এই সংগঠনই শুধু হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করে না। ইসকনের সাধু ও অনুসারীরা নিরামিষভোজী। কিন্তু সব হিন্দু নিরামিষভোজী নন। আবার ইসকনের বাইরেও অনেক হিন্দু নিরামিষভোজী আছেন। তবে এই শাকপাতা খাওয়া হিন্দুদের সংগঠন ইসকনকে হালকা করে দেখারও সুযোগ নেই। কেননা, সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে আছে ইসকন।

বর্ডার পেরিয়ে নদিয়ার মায়াপুরে গেলেই দেখতে পাবেন কত বিদেশী নর-নারী দিনরাত একসাথে "হরেকৃষ্ণ" মন্ত্র জপছেন পার্মানেন্টলি ঐ মন্দিরে থেকে, খাচ্ছেন নিরামিষ, সপরিবারে পড়ে আছেন কৃষ্ণের চরণে। আপনি ইস্কনের বিরুদ্ধে ঢাকায় সমাবেশ করে তাদের বিরুদ্ধে কী বলছেন, তা তারাও পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা বিশ্বের সবকটি দেশে সমাবেশ করার ও সর্বোচ্চ মহলে প্রতিবাদ জানানোর সক্ষমতা রাখে। হিন্দুদের "যত মত তত পথ" মতাদর্শে বিশ্বাসী রামকৃষ্ণ মিশন এখনও এসব আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়নি। আপনাদের এমন সমাবেশ তাদেরকেও না পথে নামায়! তাছাড়া আজ যদি ট্রাম্প জিতেই যান, তাহলে? জানেন তো, সারা বিশ্ব বিশেষত বিশ্বমোড়ল আমেরিকাসহ উন্নত পশ্চিমা বিশ্ব কাদেরকে জ*ঙ্গী বলে জানে? ইসকনকে নয় কিন্তু!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.