নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এমন এক সময়ে অবস্থান করছে যেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে বাংলাদেশের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আমরা সেই সব ব্যবস্থার দিকে নজর দেব, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে এবং একটি স্থায়ী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে পারে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো হলোঃ
১. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা
গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে আইনের শাসন, যা সকল নাগরিকের জন্য সমান ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, শক্তিশালী বিচার বিভাগ এবং আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এই ব্যবস্থায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে:
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা: বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। বিচারক নিয়োগ এবং পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
আইনের প্রয়োগ: আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে রাজনৈতিক শক্তি বা সামাজিক অবস্থান আইনের প্রয়োগকে প্রভাবিত করতে না পারে।
২. মুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা
একটি স্থায়ী গণতন্ত্রের জন্য মুক্ত, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
স্বাধীন নির্বাচন কমিশন: নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাখতে হবে, যাতে তারা রাজনৈতিক চাপ বা প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করতে পারে।
সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তবে তার পূর্বে অবশ্যই প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদী, কূটিল সকল কর্মকান্ড প্রত্যাহার করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পরিবারভিত্তিক রাজনীতির পলিসি বাতিল করে প্রতিটি দলেই সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রয়োগ করতে হবে।
৩. রাজনৈতিক সংস্কার
বাংলাদেশের রাজনীতি প্রায়শই ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও দলীয় প্রভাবের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সংস্কার:
দলীয় শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা: রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। দলীয় প্রধানদের ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ কমিয়ে দলীয় কাঠামোতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।
রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতা: রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। দেশের স্বার্থে দলীয় স্বার্থকে পাশ কাটিয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য উপযুক্ত যোগ্য ব্যক্তিকে দলের প্রধানের দায়িত্বে থাকতে হবে। এবং প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে জনগণের নিকট জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা
সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যম একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং জনগণের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে সহায়তা করতে পারে:
স্বাধীন গণমাধ্যম: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করতে পারে এবং সরকারের কার্যকলাপের উপর নজর রাখতে পারে।
সুশীল সমাজের সক্রিয় ভূমিকা: সুশীল সমাজকে আরও সক্রিয় হতে হবে, এবং সামাজিক ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রচারে কাজ করতে হবে।
৫. শিক্ষা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের সচেতনতা ও শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:
গণতান্ত্রিক শিক্ষা: শিক্ষাব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নাগরিক অধিকার সম্পর্কে শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিকভাবে গণতন্ত্রের মূল্য বুঝতে পারে।
জনসচেতনতা বৃদ্ধি: গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নীতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
৬. দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
দুর্নীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। এজন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি:
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার ক্ষমতা বৃদ্ধি: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে তারা স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে এবং দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দিতে পারে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠা: প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে দুর্নীতির সুযোগ কমে যায়। সকল সরকারি দপ্তর ও অফিস আদালত থেকে রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। কোন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের কর্মস্থলে কোনরূপ রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না। অথবা কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনৈতিক ছত্রছায়া কোনরূপ প্রাত্ষ্ঠিানিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। আর এই সু-শাসন ব্যবস্থা এমন হবে যে, যে কোন সাধারণ নাগরিক এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত যেকোন কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলে আইনের দৃষ্টিতে সমান থাকবে। এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রি সহ অন্যান্য মন্ত্রিগণের ক্ষেত্রেও এ আইন সমানভাবে কার্যকর করতে হবে।
উপসংহার
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, যা ধাপে ধাপে অর্জন করতে হবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, আইনের শাসন, সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা, রাজনৈতিক সংস্কার, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা, শিক্ষা ও জনসচেতনতা, এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণই পারে একটি স্থায়ী গণতন্ত্রের ভিত্তি গড়ে তুলতে। এইসব উদ্যোগ সফল হলে, বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে, যা দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হবে।
এসকল প্রস্তাবনার বাইরে যদি কারো কোন প্রস্তাব থাকে, তবে তা কমেন্টে যোগ করে দিতে পারেন।
ছবিসূত্রঃ Click
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫৮
নয়া পাঠক বলেছেন: অবশ্যই প্রতিটি অন্যায়ের সঠিক ন্যায় বিচার হবে। এটি প্রতিটি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, তবে এটি করতে হলে প্রচলিত আইনেই করা যাবে, কিন্তু কয়েকটি দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে হয়। কারণ প্রশাসন এখনও সুস্থির হয়ে বসতে পারেনি। তবুও আজকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তার সঙ্গে আরও কয়েক ব্যক্তির নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এভাবে প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তার আগে আইন ও বিচার বিভাগ মনে হয় কিছুটা সংস্কার করে নিতে হবে। এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় স্বাক্ষী যোগাড় করতে হবে।
২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নির্বাচন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার বিচার বিভাগের সংস্কার প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন দূর্ণীতিবাজ মুক্ত করা ও সংস্কার, স্বৈরাচার ও গণখুনিদের নিষিদ্ধ করা সময়ের দাবী। আন্দেলনে অংশগ্রহণকারীদের প্রশংসাপত্র দেয়া যেতে পারে যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে তারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক তাদের উপর দেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি নির্ভর করছে অনেক খানি । আন্দোলনে যারা হতাহত হয়েছেন , যারা জীবন দিয়েছে তাদের তালিকা করে ক্ষতিপূরণ এবং পুরস্কারের করা উচিৎ। মনে রাখতে তারা স্বৈরাচারের পতন ঘটিনে দেশকে রাহুমুক্ত করার পথ উন্মুচন করেছেন দেশের উন্নতির পখ খুলে দিয়েছেন দূর্ণীতি কঠোর হস্তে দমনের ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছেন এবং গণ খুনির বিচারে পথ সুগম করেছেন ।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩
নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাইয়া, অনেক ভালো একটি মন্তব্য করেছেন। যাদের রক্ত ও ঘামের বিনিময়ে আমাদের এই মুক্তি তাদের অবশ্যই সম্মান ও পুরষ্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সাথে আপনার আরো যা যা প্রস্তাবনা তা অবশ্যই করতে হবে। তবে তার আগে আমাদের আম-জনতাকে এক থাকতে হবে, দল-মত নির্বিশেষে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত করতে হবে। ব্যাক্তি স্বার্থ সিদ্ধির জন্য যে সরকারই ক্ষমতায় গিয়েছে, সেই সংবিধানসহ অন্যান্য সকল সেক্টরে তার কালো থাবায় সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। তাই এমনটা যেন আর না হয়, তার জন্য আমাদেরকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। তবেই আসবে আমাদের
৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫
মেঘনা বলেছেন: যেকোনো দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রথম শর্ত ধর্মনিরপেক্ষতা। এখন প্রশ্ন বাংলাদেশে সেটা সম্ভব কিনা?
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০
নয়া পাঠক বলেছেন: আমরা যদি চাই তাহলেই সম্ভব, দেশে সু-শিক্ষার হার বাড়াতে হবে, প্রতিটি মানুষের জীবন-মান উন্নত করতে হবে, সরকারী লুটপাটের অর্থ এনে হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। বেকারত্বের অভিশাপ থেমে মুক্ত করতে হবে। অন্ধ দলকানা, স্বার্থান্বেষী না হয়ে সবার উপরে দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে, অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। একে অপরের প্রতি সহনশীল থাকতে হবে, দেশ থেকে সন্ত্রাস, অরাজকতা, আর পেশি শক্তি নির্মূল করতে হবে। আর এসব যদি আমরা ৬০-৭০ ভাগও ঠিকভাবে করতে পারি, তাহলেই এই দেশে আসবে সত্যিকারের গণতন্ত্র।
তবে আমার মনে হয় এর জন্য সবার আগে আমাদের এই পরিবারকেন্দ্রীক সকল রাজনীতি বয়কট করে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক নেতা নির্বাচিত করতে হবে। কোন চেতনার দোহাই দিয়ে, মুখে এক কথা বলে কাজে তার উল্টো যারা করে, বাকস্বাধীনতা সহ জনগণের মৌলিক অধিকার যারা নিশ্চিত করতে পারেনি, শুধুমাত্র তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি সবকিছু উদার করে দেয়ার নাম রাজনীতি নয়।
৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪
রানার ব্লগ বলেছেন: গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে গেলে সবা আগে ধর্মনিরপেক্ষতা কে সুনিদৃষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবেই হবে ।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩
নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ সাহেব আপনার সুিচন্তিত মতামত প্রদান করার জন্য। তবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্যে আমার মনে হয় এর সাথে আরও অন্যান্য বিষয়গুলির প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। নিজেদের সচেতন থাকতে হবে, দশে আইনের শাসন কায়েম করতে হবে, বিচার বিভাগ পৃথক করতে হবে। যেন ঘটে যাওয়া যেকোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা আইনের কাছে ন্যায় বিচার পাই, তা নিশ্চিত করতে হবে। ন্যায় বিচারের নামে প্রহসন বা যে দোষী নয় তাকে দোষী বানিয়ে তার বিরুদ্ধে হামলা-মামলা পরিহার করতে হবে।
৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৮
কামাল১৮ বলেছেন: যত তাড়াতারি নির্বাচন হবে ততই জাতির জন্য মঙ্গল।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৫
নয়া পাঠক বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: যত তাড়াতারি নির্বাচন হবে ততই জাতির জন্য মঙ্গল। -কোন জাতির? নিশ্চয় আওয়ামী লুটেরা জাতির? যারা ১৯ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে দেশটাকে একটা গার্বেজে পরিণত করে রেখে চোরের মত ভেগেছে?
তাহলে এদেশের কোটি জনতার সত্যিকারের গণতন্ত্রের কি হবে? এত তাড়াতাড়ি কি এতদিনের এত সব অন্যায় অবিচার, দূর্ণীতি, অরাজকতা, চাঁদাবাজী এসব বন্ধ করে একটা সুস্থ্য রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে। নাকি পুনরায় দেশ আবার লুটেরাদের দখলে গেলেই সবার মঙ্গল হবে ? না, মঙ্গলের নামে এবার লক্ষ জনতার রক্ত বইবে, অথচ পরিবারতন্ত্রের রাজনৈতিক নেতাগণ দেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়ে মায়াকান্না করবে আর সেগুলো মেরামতের নামে এ কয়েক দিয়ের ক্ষতি পুষিয়ে নেবে। এটাই তো আপনারা চান।
৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২৬
কামাল১৮ বলেছেন: যতক্ষন পর্যন্ত আপনি জনগনের দ্বারা নির্চিত না হবেন ততক্ষন পর্যন্ত আপনার সবকিছুই হবে অস্থায়ী।এটা গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।জনগনের রায়ই চুড়ান্ত।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪৩
নয়া পাঠক বলেছেন: অবশ্যই আপনার কথা ঠিক। কিন্তু কিছু কিছু বিকল্পও নিশ্চয় রয়েছে, একজন নির্বাচিত সরকার যখন দিনের পর দিন জনগণের সকল অধিকার খর্ব করে ক্ষমতা দখলের জন্য জনগণের উপর নির্যাতন নিষ্পেশন চালায়, আর অন্যান্য অপকর্মের কথা উল্লেখ নাই বা করলাম, সেটা কোন সংবিধানে লেখা আেছে দয়া করে একটু বলবেন কি? আমি যতদুর জানি গণতান্ত্রিক দেশে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস, আর বর্তমানে যে পরিস্থিতিতে উনি ক্ষমতায় বসেছেন. তাতে মনে হয় দেশের অন্তত ১০ কোটি মানুষের সমর্থন উনি পাবেন।
যাহোক মনে কষ্ট নিয়েন না, শুধুমাত্র গত জুলাই ১৫ তারিখের পর থেকে আগষ্টের ৫ তারিখ এই ২০ দিনে বিগত সরকার যা করেছে, তা চোখের সামনে দেখে নিজের ক্ষোভ সংবরন করতে পারি না। শুধু এটা আমার দোষ নয়, অনেক মুক্তিযোদ্ধা যারা ৭১ দেখেছে তারাও এ সময়টাকে ঐ সময়ের সাথে তুলণা করেছেন।
আমরা একটা গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্রের নামে কেন দিনের পর দিন পরিবারতন্ত্রের নিকট নির্যাতন, নিষ্পেষন সহ্য করব, কেন কেবলমাত্র আওয়ামলীগ যারা করবে তারাই এ দেশে ভালো থাকবে? এটাই তো বৈষম্য, আর এ বৈষম্য ঘুচাতেই এ আন্দোলনের সূত্রপাত। আমরা চাই দেশে সকল প্রকার পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। আর আইন সকলের জন্য সমান করে প্রতিটি নাগরিককে ন্যায় বিচার পাওয়ার ব্যবস্থা করতে। বিচার বিভাগ স্বাধীন সহ আরও অনেক পরিবর্তন প্রত্যাশা আমাদের। দেখা যাক তা কতটুকু পূরণ করতে পারেন উনারা, না পারলে অন্য কেউ আসবে কিন্তু অবশ্যই পরিবারতন্ত্র আসবে না।
৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫৬
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রস্তাবনা খারাপ না।
কিন্তু বাস্তবায়ন করবে কে?
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১২
নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল ভাই, বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমার, আপনার, আমাদের সবার। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের স্থানে সচেষ্ট থাকতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪
কাঁউটাল বলেছেন: ছাত্র জনতার উপর ছোড়া প্রতিটি গুলির হিসাব চাই, আয়না ঘরের প্রতিটি নির্যাতনের হিসাব চাই, না দিলে আমাদের কর দেওয়া উচিৎ হবে না।