নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।
"একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না"- আমরা কম বেশি প্রায় সবাই এই কথাটির সাথে পরিচিত। দুর্ঘটনা যে কেবল সড়ক পথেই হবে এমনটি তো নয়। যে কোন জায়গায় যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে। আবার ক্ষয়-ক্ষতির তীব্রতা বুঝে সেখান থেকে উঠেও আসতে হবে আমাদের তাই না? ব্যাপারটা এমন হল আপনি ছোট খাটো কোন দুর্ঘটনায় পতিত হলেন, সেখান থেকে উঠে আসার পথ না খুজে হাউ মাউ কাউ করে কান্না কাটি করতেই থাকলেন.... করতেই থাকলেন....করতেই...এটি কি খুব একটা ভাল দেখায় বলেন? মোটেও না।
যা বলছিলাম দুর্ঘটনার স্থান, কাল ভেদে রকমফের আছে। আজ আমি রান্না ঘরের দুর্ঘটনা নিয়ে আলাপ করবো এবং সেটা থেকে কিভাবে কিভাবে উতরেও যাওয়া যায় সেই রেসিপিও দেব।
আমি নিজেকে একজন আনাড়ী রন্ধনশিল্পী বলে দাবী করি, আমার সমালোচক বন্ধুগণ যদিও আমার রান্নার ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রাখেন তবুও আমি তো দমে যাবার পাত্রী নই। কিভাবে কিভাবে আমি দুর্ঘটনায় পতিত হই এবং সেখান থেকে কিভাবে কিভাবে উতরে যাই সেটার সামান্য একটা স্যাম্পল আজ উপস্থাপন করবো।
আমার সব চাইতে পছন্দের খাবারের তালিকায় একদম প্রথম দিকের একটি হচ্ছে কেক! আমি মন চাইলো কাঁটা চামচ দিয়ে একটা ডিম ঘুটে-টুটে এক খাবলা আটা , একটু চিনি দিয়ে চুলায় বসিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে মজা করে কেক বানিয়ে খেয়ে ফেলতে পারি। টং দোকান থেকে ব্রান্ড শপ যে কোন জায়গায় কেক দেখলেই আমার হৃদমাঝারে ভালবাসার সানাই বাজে! তো যাই হোক বাসায় আম্মা ডায়াবেটিস, ভাইয়া কেক তেমন পছন্দ করে না আবার নিজেরও ভাল লাগেনা বানাতে এসব মিলিয়ে অনেক দিন কেক বানানো হয় না। মাঝে একদিন কেকের দোকানের সামনে দিয়ে যাবার সময় প্রায় কিনতে গিয়েও কিনিনি, কারন তখন ঠান্ডা, সর্দিতে নাকে কোন প্রকার ঘ্রান পাচ্ছিলাম না, ঐসময়ে কেক খাওয়া আর চিনি খাওয়া সমান। গত কাল মেসেন্জ্ঞারে এক বান্ধবী তার নিজের বানানো কেকের ছবি দিলে নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না। ইউটিউব ঘেটে-ঘুটে বের করলাম প্রথমে ক্রিম বানানোর রেসিপি। আগে কখনো বানাইনি "সুইস মেরিন্জ বাটার ক্রিম", ভাবলাম এটাই চেষ্টা করি। প্রথম স্টেপেই করে ফেললাম গড়বড়! ডিম চিনিতে কোন ভাবে পানি ঢুকে গেল! পানিতো ডিমে পড়ল না পড়ল আমার ইজ্জতের উপর! আমার মাথায় এল না যে এটা সাইডে রেখে দিই কেক বানানোর জন্যে, ক্রিমের জন্যে আবার নিই। এটা মাথায় এলে তো আর একটা দুর্ঘটনা ঘটত না, আর আপনারাও এই পোস্ট পেতেন না! সব-ই উপরওয়ালার ইচ্ছা, আমরা তো উছিলা মাত্র।
যাই হোক আমি চিন্তা করলাম বাটার দিয়ে যেহেতু বিট করবো পানিতে সমস্যা করবে না, পানি একসময় আলাদা হয়ে যাবে। এটা যে অন্য জিনিস, এবং একদম-ই নতুন আমার কাছে সেটা আমার মাথায় একবারের জন্যেও আসেনি! ১০০ গ্রাম বাটার শেষ করার পরে যখন বাটার আর ক্রিম হয় না তখন মাথায় হাত! দুর্ঘটনার ষোল কলা পূর্ণ করলাম নিজ হাতে!
পাঠক দূর্ঘটনা যা ঘটে গেছে তাতো গেছেই। এখন আমি যদি হাউ মাউ কাউ করে কান্নাকাটি করি তাহলে কি লাভ হবে? আমার তরল বাটার আবার আগের মত জমে আলাদা হয়ে যাবে অথবা পানিটা ডিম থেকে লাফ দিয়ে বের হয়ে যাবে? যাবে না। বরং এখন আমাকে ভাবতে হবে কী করে এই অবস্থা থেকে আমাকে উতরে যেতে হবে কেবল গেলেই হবে না মান-ইজ্জত সব আমার সাথে করে নিয়েই বের হতে হবে। কী করি আজ ভেবে না পাই...ভাবতে ভাবতে সেই মিশ্রনে কিছু আইসিং সুগার, এক কাপ আটা, এক চা চামচ বেকিং পাউডার আর কয়েক ফোঁটা লেমন ফ্লেভার দিয়ে ঘেটে ঘুটে এক মোল্ডে ঢেলে দিলাম ঢুকিয়ে ওভেনে। এবার হয়েছে আরেক জ্বালা। অনেক দিন ওভেন ব্যাবহার না করায় কোনটা বেকিং মোড আর কোনটা বয়েল আর কোনটা গ্রিল সেটা ভুলে গেছি ! ম্যানুয়াল টা খুজে পেলাম না! মডেল লিখে নেটে সার্চ দিয়েও পেলাম না। যাক, সব-ই কপাল। কথায় আছে না "কপালের নাম গোপাল, যেইখানেই যাও না কেন সঙ্গে যাবে কপাল" অথবা "যেথায় মন চায় হেথায় যাও, কপাল ছেড়ে কোথায় যাও!"
বানাতে চেয়েছিলাম 'সুইস মেরিন্জ বাটার ক্রিম' বানিয়ে ফেললাম 'বাটার কেক' ।
কেক দেখতে কোন প্রকার বদখত হয়নি, অনেকটাই পাউন্ড কেকের মত হয়েছে। স্বাদও মোটামুটি খারাপ হয়নি। সন্ধ্যায় সেই কেক খেয়ে রেখে দিলাম বাকিগুলো বাটিতে ঢেকে। সকালে পাউরুটি ভেজে সেই তাওয়ায় কেকের টুকরো গুলো অল্প আঁচে রেখে দিলাম। এবার হয়ে গেল ড্রাই কেক। খেতে দোকানেরটার থেকে কোন অংশে কম নয়।
আমার মিষ্টি সমালোচক বন্ধুগণ, আপনারাই বলুন একজন রন্ধন শিল্পী (হোক না সে আনাড়ী) না হলে কী তার পক্ষে সম্ভব দুর্ঘটনা কবলিত 'সুইস মেরিন্জ বাটার ক্রিম'কে অনলি 'বাটার কেক'-এ রুপান্তর করা, এবং সেটাকে আবার ড্রাই কেকে রুপ দেওয়া? বিচারের ভার আপনাদের তথা জাতির বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম।
তবে কথা হচ্ছে সব সময় যে ইজ্জতের সাথেই উতরে যেতে পারবেন সব দুর্ঘটনা থেকে এমনটি কিন্তু নয়। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমানের উপর নির্ভর করবে উতরে যাওয়াটা। এমনও দুর্ঘটনা আছে যা কেউ টের পাওয়ার আগেই সব ঠিক ঠাক করে ভাল মানুষটি সেজে বসে থাকতে হয়। সুতরাং আমি আপনাকে একটা রেসিপি দিলাম, এটাকে মডেল ধরে আরো অনেক অনেক ফিউশন আপনি নিজেই করতে পারবেন।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনি হেসেছেন জেনে আমিও হাসছি।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০
ওমেরা বলেছেন: আছাড় না পরে কেউ হাঁটতে শিখে না। ভুল না হলে কেন কাজই পুরোপুরি পারফেক্ট হবে না !কাজেই আপুমনি আমরা বার বার ট্রাই করব ।
আমার আপুমনি তো অনেক (Duktig) বুদ্ধিমান একেবারে একের ভিতরে তিন হি হি হি হি হু ——
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা ঠিক আপুনি বার বার ট্রাই করবো। ভুল হলে মেজাজ খারাপ করে রেখে দিয়ে আবার করবো। আশা ছাড়ি না। আশায় আছি কোন একদিন পাক্কা রন্ধন শিল্পী হবো।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮
চানাচুর বলেছেন: খেতে ভাল হলেই হল বান্ধবী। তারপর নিজের রান্না করা জিনিসের নিজেই ঢোল পিটাবা একবার আমার এক ফ্রেন্ড সাধারন ডিমের তরকারি আর ভাত দিয়ে লাঞ্চ করে এমন করে গল্প করেছিল ডিমের তরকারির যে তার কথা শুনে ক্লাস করে অনেকেই গেছিল ডিমের তরকারি খেতে ছোট খাট দুর্ঘটনার কথা লজ্জা করবা না
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০২
নীল-দর্পণ বলেছেন: সাধারন জিনিসের অসাধরন নাম দেওয়ার অন্যরকম একটা মজা আছে। মানুষকে কিছু সময়ের জন্যে তাক লাগানো যায়। একবার ব্লগেই রেসিপি দিছিলাম "সিজলিং পামকিন উইথ প্রন" আসলে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে চিংড়ির ঘন্টা (পঁচা কুমড়া না কিন্তু আবার)
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩
অপ্সরা বলেছেন: আমি তো একদিন বার্বিডল কেক বানানো এত সোজা!!!!!!!!!!!! এট জেনেই লাফ দিয়ে বাটার থেকে শুরু করে সব নিয়ে বসলাম। নিশ্চিন্ত নির্ভাবনায় কেউ যেন ডিস্টার্ব না করতে পারে এটা ভেবে বসলাম একদম রাত বারোটায়। সেই রাত বারোটায় বানাতে বসা ক্রিমের যখন বারোটা বাঁজলো তখন আমার চোখ ফেটে কান্না এলো। কিন্তু হায়! সেই কান্না দেখার কেউ ছিলোনা !
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: এসবে যে কষ্ট সেটা কিন্তু আসলেই কাউকে বোঝানো যায় না আপু। কিছু বানাতে বসলে এরকম হলে খুব্বি কষ্ট লাগে।
তবে একটু ভাল লাগছে এটা জেনে যে তোমার মত পাক্কা রাঁধুনীর ও এরকম হয় কখনো সখনো।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২
অপ্সরা বলেছেন: তখন কি আর পাক্কা ছিলাম!
অনেক অনেক কাচ্চা ছিলাম তো!!!!!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১১
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি কবে তোমার মত পাক্কা হবো আপুনি!
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
কালীদাস বলেছেন:
হালার কেক। পয়লাবার বানানোর চেষ্টা করতে যায়া ১ ফুট রেডিয়াসের একটা বিস্কুট বানায়া ফালাইছিলাম
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা কেক বস্তুটা আসলেই অনেক বদ! তবে যদি একবার বশে চলে আসে যেভাবেই বানান, একদম ফুলে তুলতুলে হয়ে যাবে।
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কেক দেখতে কোন প্রকার বদখত হয়নি, ছবি না দেয়ায় বুঝা জাচ্ছে দাবী সঠিক নয়
স্বাদও মোটামুটি খারাপ হয়নি। নানি যদি বলে ''আমার নাতনী রূপসী'' বিয়ের বাজারে এই সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১০
নীল-দর্পণ বলেছেন: বাজারের যা অবস্থা নিজের ঢোল নিজেকেই পেটাতে হয়। অন্যের কাছে দিলে হয়ত এতই আস্তে বাজাবে যে শোনা-ই যাবে না অথবা এত্ত জোরে বাজাবে যে ফাটিয়েই ফেলবে!
তাই আমি নিজের ঢোল নিজে পেটানোর থিওরীটে চলি।
৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
সুমন কর বলেছেন: হাহাহাহা.......জাতিকে সে কেকের একটা ছবি দেখালেন না !!!
পোস্ট পড়ে বুঝলাম, আপনার দুর্ঘটনার কাহিনী। মজার ছিল।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: নেন , কেক,ড্রাই কেক দুই-ই দিলাম আপনাকে। কাউকে বইলেন না যেন আবার।
৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কবি সুমন কর;রে এইটা কি দিলেন!! অর্ধেক ইন্দুরে খাওয়া !!!
আমার জন্যও যদি ইন্দুরের খাওয়া পাঠান তাইলে আমার খিদা নাই !!!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: অক্কে আপনার জন্যে তাহলে বান্দরে খাওয়াটা কুরিয়ার করে দিলাম। হাতে পেয়ে জানাবেন কিন্তু।
১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল-দর্পণ ,
দুর্ঘটনা দেখে ঢুকলুম । বাঙালী স্বভাব, যায় না ম'লে ! হুমড়ি খেয়ে দেখি, তেমন কিছু দুর্ঘটনা না । কিন্তু স্ক্রল করে মন্তব্যের ঘরে আসতেই দেখি, মর জ্বালা................ আসল দুর্ঘটনা তো এইখানে । আকারে ইঙ্গিতে গিয়াস উদ্দিন লিটন খেতে চাইলেন কেক অথচ দেড়খানা কেক খেতে দিলেন সুমন কর কে । তাতে আবার গিয়াস উদ্দিন লিটন "আঙুর ফল টক" ষ্টাইলে বললেন -" অর্ধেক ইন্দুরে খাওয়া !!! আমার জন্যও যদি ইন্দুরের খাওয়া পাঠান তাইলে আমার খিদা নাই !!! "
এখন সারা জীবন কাঁদবে কে ???????
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০
নীল-দর্পণ বলেছেন: সুমন করকে চুপি চুপি দিয়ে বললাম কাউকে না বলতে, উনি একদম রাষ্ট্র করে দিলেন! এটা একটা কাজ করছেন বলেন আপনারাই?
লিটন ভাইয়াকে দিতে চাচ্ছিলাম না। উনার বয়স হয়েছে, ডাক্তার এসব খাবার খেতে বারন করেছেন। কিন্তু কী আর করা উনার তেব্র বায়নার মুখে পড়ে পার্সেল করতে হল! উনি আবার ইন্দুরে খাওটা খাবেন না, তাই বান্দরে খাওটাই পাঠালাম ।
বাই দ্যা রাস্তা আপনার জন্যে কি তেলাপোকায় খাওয়া দু'টো পাঠাবো?
১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি একবার চক্কলেট কেক বানাইতে যাইয়া চক্লেট ফারজ বানাইয়া বাচ্চাদের ভুং ভাং খাওয়াইয়া দিছি ।
এখন তো এই ডিপার্টমেন্ট আমার মেয়ে ই সামলায় ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: মায়েদের কোন কোন ডিপার্টমেন্ট মেয়েরা সামলাতে পারলে মেয়েরা খুব খুশি হয়। যেমন আম্মা যখন তার নিজের রান্না পোলাও নিজের কাছে ভাল লাগে না বলে আমাকে রান্না করতে বলেন তখন যে কী ভাল লাগে (টেনশন ও লাগে) !
১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: এখানেতো বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকদের, নির্মাতাদের জটিল কথাবার্তা হচ্ছে (ওভেন ইত্যাদি সবই বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি এবং এগুলো দিয়ে সম্পাদিত কার্যদিও তাই ...) | খাবার দাবারের লেখায় সেই ফ্লেভারটি প্রায় নেই নেই | বন্ধু, ওই কেকটা তাড়াতড়ি পাঠানতো কয়েক স্লাইস | ঠান্ডায় করা এক কাপ কফির সাথে আপনার বাটার কেক খেতে ভালোই লাগবে আমি শিওর | জমে যাচ্ছি ঠান্ডায় | তাড়াতাড়ি প্লিজ |
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: বন্ধু আমি চাই না আমার বাসী কেকটা খেয়ে বিদেশ বিভুইয়ে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই ভাবছি আপনার জন্যে তরতাজা এক কেক বানিয়েই তবে পাঠাবো। আপাতত খালি কফিই খেয়ে নিন কষ্ট করে।
১৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
হা হা হা । অতঃপর কেক তো হলোই সেটা যেই কেকই হোকনা কেন !!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩১
নীল-দর্পণ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। কেবল কেক নয়, ড্রাই কেক ও হয়েছে! একের ভেতর দুই!
১৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আমি কি আর কেক ডরাই,
ভাংতে পারি লোহার কড়াই !
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২
নীল-দর্পণ বলেছেন: দেখান তো ভেংগে
১৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৪
মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্! আপু।
কি দারুণভাবে সামলে নিয়েছেন।
রান্না করার এক চরম সিক্রেট হল হাল- ঘাবড়ে গেলে চলবে না।
আমি আগে রান্নাবান্না অসম্ভব ভয় পেতাম।
কত যে অঘটন ঘটিয়ে সেগুলো লুকিয়ে ফেলে ধামাচাপা দিয়েছি, মনে পড়লে নিজেরই হাসি পায়।
শাশুড়ি মা একবার উৎসাহ দিয়ে বলেছিলেন, খাবার ঠিকমত সেদ্ধ আর লবন ঠিক হলেই নাকি রান্না হয়ে যায়।বকী সব মশলারর কাজ শুধু স্বাদ বাড়ানো ব্যাপারটা নাকি এমন সহজ।
সত্যিই, সেই যে ভয় কাটল, এখন আর কিছুই মনে হয় না।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমার এক ধাপাচাপার কাহিনী বলি চুপি চুপি, প্রথমবার মেয়নেজ বানাতে গিয়ে ব্লেন্ডারে আগে তেল দিয়েছি দেখি তেল সুন্দর ক্রিম হয়ে গেছে। এর পর যেই ডিম দিলাম তেল একদম ট্যালট্যালা পানি? বাসায় কেউ ছিল না। চুপচাপ বাথরুমে ঢেলে পানি ঢেলে সব কিছু সুন্দর করে ধুয়ে ভাল মানুষটি সেজে বসে ছিলাম।
আপনার শাশুড়ী মা তো খুব সুন্দর কথা বলেছেন।
১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:১১
নীল-দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
১৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা................ তোমার সাথে দেখি আমার দারুন মিল....চিমটি।
বানাই একটা হয় আরেকটা। তোমারটা তো ভুজং ভাজং দিয়া খাওয়াও আর আমারটা কেউই খায় না। শেষমেষ নিজেরেই খেতে হয়। এখনো ফ্রিজে ৩/৪টা আইটেম আছে আমার বানানো যা কবে খাবো বুঝতে পারছি না । ফেলতে ও মায়া লাগে, খাওয়া ও স্বাস্থ্যকর না, তাই ফ্রিজে পড়ে আছে।
অসাধারন বর্ননায় রেসিপি কিন্তু ছবি কই????????
আমারে ইন্দুর বান্দর খাওয়াটা মোটেও পোস্ট করতে পারবা না তাহলে আমি আমারগুলা পোস্ট করে দিমু...... তখন বুঝবা কত গমে কত আটা.........হাহাহাহাহাহাহা
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: ভুজুং ভাজুং দিয়ে কম-ই খাওয়াতে পারি আপু খেতে তো হয় বেশিরভাগ আমাকেই।
ইন্দুর বান্দর খাওয়া ছবি দিলে আবার বিদ্রোহ শুরু হতে পারে তাই আর ছবির দিকে না যাই। বরং আপনার গুলা-ই পোস্ট করেন। দেখে গম-আটার হিসেব করে রুটি-কেক বানাই।
১৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: কেক হোক যেমন তেমন, লেখাটা চমৎকার হয়েছে। লেখার স্টাইলটা ভাল লেগেছে। + +
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫০
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা...অনেক ধন্যবাদ জানবেন মন্তব্যের জন্যে।
১৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮
আটলান্টিক বলেছেন:
প্লাস দিসি পোষ্টে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: যত্ন সহকারে নিলাম প্লাসটা।
ধন্যবাদ জানবেন।
২০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: বেশ মজার পোস্ট । পোস্টে প্লাস ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: চেষ্টা করি মজা করে লিখতে , কতটুকু পারি সেটা বিচারের ভার আপনাদের উপর। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:২৯
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি কি আর এখন ব্লগীং করেন না?
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১১
নীল-দর্পণ বলেছেন: ওরে এই পাড়ায় এখনো আপনার যাতায়াত! আপনাদের মত প্রাচীন বটবৃক্ষদের দেখলে ভালো লাগে। আসা হয় না , আবার আসলেও এমনি ঘুরে চলে যাই। লেখা হয় না খুব একটা। ভালই আছেন আশা করি।
২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১২
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি বটবৃক্ষ????
নাহ.... দুঃখে কচুগাছ খুজতেছি। খেজুর গাছ আম জাম গাছের মতো জুয়ান গাছ হইলেও একটা কথা আছিলো। কচু গাছে দড়ি দিয়া ঝুলিমালা খাওয়ার টাইম হইছে
৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: আহা আগে জানলে বাড়ীর কচু গাছগুলান কাটতাম না! কয় দিন অপেক্ষা করেন গাছ গুলান আবার হোক, ততদিনে আপনে কিছু এডভান্স দিয়া রাখেন। সামু কোটা & জেলা কোটায় আপনের লিগা ইশপিশাল ডিস-কাউন্ট আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫
ওবায়দুল হক মাহমুদ বলেছেন: অনেক্ষন যাবৎ হাসছি।