নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।
আবারো হাজির হয়েছি রেসিপ্পো অর্থাৎ রেসিপির সাথে গপ্পো নিয়ে। আগেই বলেছিলাম আব্বা আম্মার অনুপস্থিতিতে রান্না ঘরের একচ্ছত্র আধিপত্য আমার। কিন্তু এই আধিপত্য আর ভাল লাগছে না। আমি আস্থির হয়ে দিনগুনি করে কবে আসবে আম্মা আব্বা। ভাইয়া এক কাজে বাড়ীতে গিয়েছিল একদিনের জন্যে আম্মা অনেক গুলো মাছ পাঠিয়ে দিয়েছেন। বাসায় মাছ কেনা, কাটা-ধোয়ার সমস্যা তাই এই ব্যবস্থা। যাই হোক আম্মার পাঠানো মাছের মাঝে রুই মাছও ছিল যা রান্না করে খেতে ভাল লাগেনা। ভাবলাম অন্য কিছু করি। যেই ভাবা সেই কাজ।
বড় ৩টুকরা মাছ সামান্য হলুদ, লবন, এক চা চামচ পরিমান জিরা বাটা, এক চা চামচ পরিমান রসুন বাটা, এক চা চামচ পরিমান আদা বাটা দিয়ে পানি শুকিয়ে সেদ্ধ করে এক পাশে রেখে এটার কথা ভুলে গেলাম। কারন তখন আমাকে দুপুরের রান্না করতে হয়েছে। দুপুরে খেয়ে দেয়ে বেশিরভাগ দিন ঘুমালেও সেদিন আর ঘুম আসে না! ঘুম আসবে কী করে খাবারের চিন্তা যে ঘুরছে মাথায়!
যাই হোক আল্লাহ আল্লাহ করে বিকেল হলে মাছের কাঁটা বেছে ১/৪ কাপের মত পেঁয়াজ কুচি, দুই টেবিল চামচের মত ধনে পাতা কুচি, স্বাদ মত কাঁচামরিচ কুচি, ১/৪ কাপের মত পুদিনা পাতা কুচি, দিয়ে একসাথে করে ভাল মত একটা মাখানি দিলাম। একদম আলু ভর্তার মত ভর্তা আরকি। এবার একটু টেস্ট করে দেখবেন স্বাদ ঠিক আছে কিনা। আমি আর্ধেকটা লেবুর রস আর আধা চামচের মত চিনি দিয়ে আবার মাখালাম । আম্মার সেই জড়িবুটি মশলা দেই দেই করেও দিলাম না। ভাবলাম থাক পুদিনার ঘ্রান নষ্ট করার দরকার নাই। ওহ ভাল কথা, আমার বারান্দার টবে পুদিনা পাতা ছিল বলে দিয়েছি আমি, আপনাদের না থাকলে ধনেপাতা-ই বেশি করে দিবেন। ধনেপাতা এখন সস্তা, দশ টাকায় অ্যাত্ত গুলো দেয়। সুতরাং কার্পণ্য করবেন না। তবে আবার ধনেপাতা দিতে দিতে শাক বানিয়ে ফেলবেন না।
খুব জরুরী একটা উপকরণের কথা ভুলে গেছি , কিছু মনে করবেন না রান্না বান্নায় আমার এটা খুবই সাধারন ব্যাপার। আমি কিছু রান্না করতে গেলে আম্মা তাই আস পাশে ঘুর ঘুর করে মনে করিয়ে দিতে (যদিও আমি বলি এটা খবরদারি করতে করে ) ।
যাইহোক, বেছে রাখা মাছ, পেঁয়াজ এবং অন্য সব মাখানোর সময় চালের গুড়া দিবেন। পরিমানটা ঠিক ঠাক বলা যাচ্ছে না কারন আমি ডীপ ফ্রীজে রাখা চালের গুড়া নিয়েছি এবং একটু মাখিয়েছি একটু দিয়েছি। অল্প অল্প করে মেশাবেন আর যখন দেখবেন মুঠো করে চপের আকারে গড়া যাচ্ছে এবং ফেটে যাচ্ছে না তখন চালের গুড়া দেওয়া বন্ধ করবেন। আর এসব উপকরন একটু চটকে চটকেই মাখবেন, আলতো হাতে ঢং করে মাখবেন না।
মাখা হয়ে গেলে ইচ্ছা মত শেপ দিয়ে রাখবেন। এবার একটা প্যানে ভাল মত তেল গরম করে মাঝারি আঁচে চপ ভেজে নিন।
শেষ হয়ে গেল আমার রুই মাছের চপ ভাজা।
আমার বিশ্বাস যে রুই মাছ পছন্দ করেন না সেও খুব মজা করে খাবেন এই জিনিস। আমি ঠিক করেছি আমার আব্বা বাড়ী থেকে আসলে উনাকে খাওয়াবো (যদিও আব্বার কাছে তার মেয়ের হাতের প্রায় সব খাবার-ই অমৃত মনে হয়) !
এটা তো গেল মাছের চপ। যারা এই জিনিস খেতেই চাচ্ছেন না তাদের জন্যে আছে চিকেন ফ্রাই।
আগেই কয়েক টুকরা মাংস রেখেছিলাম চিকেন ফ্রাই খেতে, দুপুরে রান্নার সময় ভাবলাম সেটা নামিয়ে মশলা দিয়ে মেখে রাখি। মাংস পানিতে ভিজিয়ে এই সেই কাজ করলাম। এখনো দেখি মাংস ছুটে না! কী মুশকিল! একটু জোর করে ছুটাতে গিয়ে মাংসের গায়ে যে চামড়া ছিল সেটা গেল ছিড়ে! কেমনটা লাগে ! যাক বেশি রাগ-টাগ না করে মাংস রেডি করায় মন দিলাম। আমাদের রান্না ঘরের জানলার সামনে একটা কাক মোটামুটি নিয়মিত আসে। কোন কা কা শব্দ করেনা, চুপচাপ বসে থাকে। খাবার দিলে কোন দিন খায় কোন দিন আবার খায় না। আবার কেউ না থাকলে জানলা দিয়ে এসে সিংকের উপর রাখা মাছ মাংস ঠোঁটে নেওয়ার সুযোগ ছাড়ে না! যাই হোক আমি সেই জন্যে কাকের উপর নাখোশ নই। ওর রিজিক এভাবেই নিতে বলেছেন আল্লাহ। আর কাক পাখিটাকে বেশির ভাগ মানুষ অপছন্দ করলেও আমার কেন যেন বেশ ভাল-ই লাগে। সুন্দর একটা পাখি। কালোর সাথে ছাই রংয়ের মিশেল, খুব ভাল লাগে। মাংস ধুতে ধুতে ভাবলাম ছিঁড়ে যাওয়া চামড়াটা কাককে দিয়ে দিই। চামড়ার সাথে আরো ছোট দু'এক টুকরা দিলাম।
এবার মাংস মাখানোর পালা। বড় তিন টুকরা মাংস এবং দুইটা পাখনা নিয়েছি আমি। এখানে কিন্তু আমি জড়িবুটি মশলা দিয়েছিলাম। মাংসে আধা চা চামচ পরিমান আদা, এক চা চামচ রসুন, এক চা চামচ জিরা বাটা, পরিমান মত মরিচ গুড়া, আধা চা চামচ জড়িবুটি মশলা দিয়ে মাখালাম। সয়া সস দিয়েছিলাম সসের বোতলের ছিপির এক ছিপি। আরো দিয়েছিলাম ধনে গুড়া। একটা কথা আছে না "সোজা আংগুলে ঘি ওঠে না" আংগুল বাঁকা করতে হয়। আমিও সেরকম চামচ হাতের কাছে না পেয়ে ধনের গুড়ার ডিব্বায় আংগুল চালান করে দিয়েছিলাম! দেখলাম উঠছে না, শেষে আংগুল বাঁকা করলে উঠে আসলো। এক আংগুল দিয়ে দুই বার নিয়ে ছিলাম। তাতে সম্ভবত আধা চা চামচের কম উঠেছে। যাই হোক আপনারা আপনাদের আন্দাজেই দিবেন, সোজা আঙ্গুলে ঘি তোলার চেষ্টা করার দরকার নেই।
সব মেখে-টেখে ঢেকে নরমাল ফ্রিজে রেখে দিলাম। চপের মতই দুপুরের খাবারের পর আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে বিকেল হলে ভাজতে গেলাম। দেখি ভাইয়া বাইরে যাচ্ছে। বললাম আমি এখন চিকেন ফ্রাই ভাজবো (চিকেন ফ্রাই কিন্তু ভাজবো ) খেয়ে যাইস। ভাইয়া বলে চিকেন ফ্রাই আবার ভাজে কেমনে! আচ্ছা আপনারাই বলেন না হয় একটু ভুল বলেছি তাতে চিকেন ফ্রাই ত আর হাংগর ফ্রাই হয়ে যায় নাই তাই না? যাই হোক ভাইয়া চলেই গেল কার ফোন পেয়ে। আমি আমার চিকেন ফ্রাই ভাজায় মন দিলাম।
চিকেনকে কোট পড়ানোর জন্যে চালের গুড়ার অর্ধেক পরিমান কর্নফ্লাওয়ার নিয়ে সামান্য লবন দিয়ে সব ভাল মত মেশালাম। ধরেন চালের গুড়া এক কাপ হলে কর্ন ফ্লাওয়ার আধা কাপ , এই পরিমাপে নিতে হবে। এতে খুব মচমচে হয় এবং অনেক সময় থাকে মচমচে ভাবটা। চিকেনকে ভাল মত কোট পড়িয়ে মানে শুকনো চালের গুড়ায় গড়িয়ে ডুবো তেলে (আসলে মিথ্যা কথা, কম তেলেই ভেজেছি) ভেজে নিলাম। প্রথমে ঢেকে দিয়েছি, ঢাকনা থেকে পানি পড়ে কড়াইয়ে যেই হারে ঠাশ, ঠুশ করে বোমা ফাটল আমি ভেবেছিলাম আজ বুঝি যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল আর এই যুদ্ধ আর থামবে না সহসা! আল্লাহ'র রহমতে বোমা ফাটা বন্ধ হলে শেষে ঢাকনা তুলে আল্প আঁচে ভেজে তুললাম।
এই হচ্ছে আমার চিকেন ফ্রাই ভাজা
নটে গাছটি মুড়লো, আামার রেসিপ্পো ফুরলো, তবে কেউ যাবেন না। সব শেষে পায়েশ আছে কিন্তু। এটা আজ সন্ধ্যায় বানানো।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ ধন্যবাদ। আপনি চুপি চুপি একবাটি পায়েশ বেশি খেয়ে নিতে পারেন।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: বন্ধু, আপনার রুই মাছের চপ বানানোর কৌশল জেনে আর তার ফটো দেখে জিভে জল আসার চেয়ে একজন মানুষের পক্ষে যতটুকু দীর্ঘশ্বাস ফেলা যায় তার চেয়েও অনেক অনেক বেশি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো এই অতৃপ্ত হৃদয়ে | "সে ঢাকা মেল্ নেইতো আর" ... আরো নেই বাংলাদেশের রুই মাছ খাবার/কেনার সে সুযোগ নেই সবসময় এই বিদেশ বিভুয়ে | রন্ধন শিল্পে আপনার অসাধারণ দখল এবং রান্না ঘরের সাম্রাজ্যে আপনার একছত্র আধিপত্যের কারণে জানি মধ্য প্রাচ্যে আরো কঠিন যুদ্ধ হবেনা, রোহিঙ্গাদের আরো অবস্থা খারাপ হবেনা | আমি নিশ্চিত কেউ কেউ এই মুখরোচক খাবারগুলো বানাতে উদ্দীপ্ত হবে আর তাতে রসনাও তাদের তৃপ্ত হবে | কিন্তু ঐ যে কথায় আছে না কারো পৌষ মাস আর কারো সর্বনাশ |আমি মনে হয় আপনার রুইমাছের চপের চাপে সর্বনাশীতো হয়ে যাওয়া কবলে পড়া মানুষের দলেই জায়গা নিলাম অতৃপ্ত আত্মা নিয়ে | তবুও জিন্দাবাদ আপনার রান্নায় | চির জয় হোক আপনার রন্ধন সাম্রাজ্যের | সেখানে সবসময় সম্রাজ্ঞী থাকুন রসরাজ খাবার দাবার পরিবেশনে | অতৃপ্ত আত্মার শোকগাথা শুনে আর কাজ নেই | ভালো থাকুন |
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: বন্ধুর দীর্ঘশ্বাস আর কষ্টে আমিও সমান ভাবে না হলেও অনেকটাই কষ্ট পেলাম ।
কোন এক উইকেন্ডে, কোন এক অবসরে রুই মাছের না হোক এই রেসিপি দিয়ে অন্য কোন মাছের চপ খাওয়া হোক বন্ধুর সেই শুভকামনা জানাচ্ছি।
ভাল থাকবেন বন্ধু, নিজের খেয়াল রাখবেন।
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: যেমন রান্না তেমন মজা।
ছবি দেখেই খেয়ে নিলাম।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা...থ্যাংক্যু আপু থ্যাংক্যু আপু ।
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দাওয়াত দিয়া খাওয়াইলে তবেই না কইতাম 'কইন্যার পাক ভাল'
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: আল্লাহ! একী কথা ! দাওয়াত নামা পাঠিয়ে দাওয়াত দিলাম এখন বলছেন এই কথা।
পায়েশটা যে কী মজা হয়েছে ! আহা, আধা বাটি শেষ করে কমেন্টের রিপ্লাই দিতে বসেছি।
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
টেস্ট না করে কোন মন্তব্য
করতে পারছিনা, দুঃখিত!!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫১
নীল-দর্পণ বলেছেন: এটা কোন কথা! রেসিপি, দিলাম, খাবার দিলাম।
এটা হবে না, এটা হবে না, মন্তব্য করতেই হবে....হু...
৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এহ বাটির যে সাইজ, তার আবার আধা!!!
এ যেন 'আদ্দেক ডিমের পুরোটাই খেয়ে ফেললাম' অবস্থা।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: দুই বারে আদ্দেক করে পুরো বাটিই খেয়েছি
৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১
জাহিদ অনিক বলেছেন:
পাঠকদের নজর পায়েসের দিকেই বেশি।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: যে কোন অনুষ্ঠানে দেখেন না ডেজার্টের দিকে নজর বেশি থাকে সবার, এখানেও সেরকম হয়েছে আরকি।
৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৬
কালীদাস বলেছেন: এই কর্ণ ফ্লাওয়ার জিনিষটার অভাব ইজ্জত মেরে দিয়েছে গত সপ্তাহে। নর্মাল আটা দিয়ে ভাজলে এরকম ক্রিস্পি হয়না। আধা কেজি ময়দা খরচ করে এই জিনিষ শিখেছি
রুই মাছের ভর্তাটা দেখতে তো সুবিধার না ট্রাই করব সুযোগ পেলে, আমি রুই মাছ পছন্দ করি খুব আহ কতদিন খাই না
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনার তো আধা কেজির উপর দিয়ে গেছে আমি যে এই জীবনে ময়দা আর কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে মিশিয়েই কাজ করলাম আর বলে গেলাম, "কী ব্যাপার একটু পরেই কেন ন্যাতায় যায়!" এত দিনে শিখলাম নো আটা ময়দা সুজি, অনলি চালের গুড়া & কর্নক্লাওয়ার ইজ রিয়েল!
আমি তো রুই মাছের ভর্তাটা দেখাইনি
চপটা ট্রাই করে দেখেন, আশা করি ভাল লাগবে।
৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কতদিন থেকে কিমা কিনে রাখছি মুইঠ্ঠা বানানোর জন্য এখন একসাথে মাছের টাও বানাবো !!
লেবু দিলেও আমি চিনি দেই না কিন্তু এই গাতী থুক্কু জাতী কি আমাকে মেনে নেবে ফ্রান্স !!!!!
গাল গপ্পো মুখরোচক হইছে নীলু ..
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: গাতী মেনে না নিয়ে গাবে কোথা্য়?
চিনি না দিলেও সমস্যা নাই যদি নিজের কাছে ভাল লাগে ।
১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৭
ওমেরা বলেছেন: গাল গপ্পো ভালই লাগল আপুমনি ,কিন্ত আমারও যে এখন একটা রেসিপি পোষ্ট দিতে ইচ্ছা করছে কিন্ত রান্না তো পারি না।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: আপুনি আপনি যে সুন্দর মিষ্টি বানাতে পারেন আর কী লাগে! আমি আপনার থেকে মিষ্টি বানানো শিখবো।
১১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭
ওমেরা বলেছেন: ওকে আপুমনি তাহলে আমি মিষ্টি রেসিপি পোষ্ট দিব ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: আই অ্যাম ওয়েটিংটিংটিং আপুনি
১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১
সাহসী সন্তান বলেছেন: খাওয়ার সময় কথা কম কইতে হয়, এইটা মুরুব্বিগো মুখের অলিখিত সংবিধান! খাইতে বসাইয়া এত ফাও আলাপ জুড়ে দিলে মেহমান খায় ক্যামনে একটু শুনি? আমি কিন্তু রেসিপি পড়ি নাই, আপনি দাওয়াত দিবেন সেই আশায়...
আর সবাই হয়তো লোভে পইড়া পায়েশের দিকে তাদের ইন্টেনশানটা একটু বেশি ঘুরাইছে। তবে আমি কিন্তু সেরকম কিছু করি নাই। একচুয়ালি আমার একটুও লোভ নাই, কেবল খাওয়ার পরে মিষ্টি জাতীয় একটা কিছু খাওয়া সুন্নত তাই আরকি...
বাসায় আর আছে নাকি? ঠিকানা দিলে কুরিয়ার কইরা পাঠাইয়া দিতে পারবেন না?
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি কিন্তু খাওয়ার সময় কথা একদম-ই কম বলি আর খাই বেশি। তাই দ্রুত খাওয়া শেষ! এই জন্যে বান্ধবীরা বিরক্ত আমার উপর।
কুরিয়ারের লোকজনের উপর ভরসা করা যায় না। কত্ত কিছু হতে পারে। তারা খেয়ে ফেলতে পারে, সেই খাবার দিয়ে নিজেরাই মেহমানদারী করতে পারে বাসায় নিয়ে অথবা নষ্ট করে ফেলতে পারে। আমি চাই আপনারা ফ্রেশ খাবার মজা করে খান। তাইতো রেসিপি দিয়েছি।
১৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২০
সাহসী সন্তান বলেছেন: ছাই দিয়া ধরার চেষ্টা করছিলাম, তারপরেও পিছলাইয়া গেলেন? বুঝছি, এরপর থিকা জাপানী আঠা ব্যবহার করতে হইবেক! একচুয়ালি আমি উদ্ভাবনকারী ব্যক্তির কাছ থেকেই তার উদ্ভাবিত জিনিসের স্বাদ গ্রহণ করতে চাইতেছিলাম, তাই এত গেজাগেজি...
তবে কথা সেইটা না, আপনি নিজে খাওয়ার সময় বেশি খাওয়ার জন্য কথা কম বলতেই পারেন (আমি বলতে চাই নাই আপনি বেশি খান। আসলে থিওরী সেটাই বলছে- 'যারা কম কথা বলে তারা বেশি খায়!' এইটা আমার তৈরি থিওরী। কেমন হইছে বলবেন কিন্তু?)। তবে মেহমানদের খাওয়ার সময় কথা কেমন বলেন, সেইটাই হইলো মূল বিষয়...
যাহোক, আমি কিন্তু ঠিকানা লেইখা বইসা আছি। এতটা নিষ্ঠুর হইয়েন না, আপনার পিলিজ লাগে! ছোট ভাইগো মুখের দিকে তাকাইয়া এতটুকু সেক্রিফাইজ অন্তত জাতি আপনার কাছ থেকে আশা করতেই পারে...
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: উদ্ভাবনকারী-ই তো আদি ও আসল স্বাদ ঠিক ঠাক পৌছে দেওয়ার জন্যে রেসিপি একদম রন্ধন প্রণালী সহ দিল। আর অমত কইরেন না, এইবার সুন্দর কইরা বানা্ইয়া মজা করে খান। আর খাওয়ার পরে ছবি দেন (আগে দিলে কেউ চাইলে বিপদে পরবেন)।
আপনের থিওরিডা বড়ই স্বাদের হইছে।
মেহমানদের খাওয়ার সময়ও আমি কথা বলি না, তবে তারা বললে শুনি আর মাঝে মাঝে তাড়া দেই যাতে এত কথা না বলে খাওয়ার সময়।
ছোট ভাইগো মুখের দিকে তাকাইয়াই তো আমারে কষ্ট কইরা রেসিপি, রন্ধন প্রণালী রসাইয়া রসাইয়া লিখতে হইল! আমি কী পারিনা ভাই-বেরাদারগো খাওয়াইতে? আমার কী মনে চায় না? কিন্তু আমি চাইনা আমার রান্না তরতাজা খাবার নস্ট হইয়া পৌছাক, আর তা খাইরা ভাই-বেরাদাররা অসুস্থ হোক। তাই তো এই রেসিপির আয়োজন।
১৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৮
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মজার সব খাবার নিলুআপা
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা...থ্যাংক্যু আপু
১৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩১
ভারসাম্য বলেছেন: পায়েসের উপরে কি কাঁচামরিচ কুচি?
+++
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: ওহ! আজকাল ওসব-ই খাওয়া হচ্ছে বুঝি?
১৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯
জুন বলেছেন: এরকম চলবে না নীল দর্পন । গল্প কম খাবার বেশী হৈতে হবে
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা...রান্নায় ফাঁকিবাজি ধরে ফেললেন আপনি! অন্যরাতো কেউ বুঝতে পারেনি। কাউকে বলবেন না যেন প্লিজ।
১৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কি মজা করে লিখেছেন । খুব ভালো লাগল পড়তে ।
আমাদের বাসার কমন আইটেম ফ্রাইড চিকেন । সব সময় রেডি রাখা লাগে কেউ চাইলে ভেজে দেওয়া যায় ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: তাহলে তো আপনার বাসায় যেতে হবে মাঝে মাঝেই,চিকেন ফ্রাই খুব ভাল লাগে আমার খেতে ।
১৮| ২০ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পে গল্পে রেসিপি বলতে গিয়ে কাকের কথাটাও কিন্তু খুব সুন্দর বলেছেন! কাককে আমিও ভাল পাই, বিশেষ করে পাতিকাককে।
রেসিপি'র বর্ণনায় অনুমান করতে পারি, নিশ্চয়ই খাবারগুলো খুব মজার হয়েছিল।
২১ শে মে, ২০২২ রাত ১২:০০
নীল-দর্পণ বলেছেন: ২০১৭ সালের লেখা! পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল কত কী রান্নাবাটি করতাম তখন! এখন অনেক অলস হয়ে গেছি।
আমাদের জানালায় কোরবানীর সময় দুইটা কাক আসতো, আম্মা মাংস দিতেন, কিছুদিন পর দেখা গেল রুটি দিলে নেয় না, মাংস বা মাছ খাবে তারা।
আপনার মন্তব্যের ফলে আমার এই লেখা আবার পড়লাম। আন্তরিক ধন্যবাদ খুঁজে খুঁজে এত আগের লেখা পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন সেই জন্যে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১০
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সবগুলোই মজা হয়েছে। পায়েসটা সবচেয়ে বেশি মজা লাগল।