নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্ সালামু আলাইকুম্

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)

নীল-দর্পণ

নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।

নীল-দর্পণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাচ্চা কাহিনী-কাচ্চা কাহিনী!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

বাচ্চাদের সাথে আমার সখ্যতা কেমন এটা আমি নিজেও ঠিক ঠাক জানিনা। বাচ্চাদের সাথে মিশতে হলে বাচ্চা হয়ে যেতে হয়, ওদের মত করে ভাবতে হয় এটা সব সময় সবার মুখে মুখে মুখে শুনে আসলেও আমি খুব ভাল ভাবে বুঝেছি আমার তিন মাসের শিক্ষকতা জীবনে।

বাচ্চা কাহিনী-কাচ্চা কাহিনী: ১

বাচ্চাদের আগ্রহ, কৌতুহল থাকে অসীম। বিশেষ করে শিক্ষকদের প্রতি, আর যদি হয় সেই শিক্ষক নতুন তাহলে তো কথাই নেই! শুরুটা বড় বাচ্চাদের দিয়েই করি। আমি নবম শ্রেণীতে একদিন ক্লাস নিচ্ছিলাম, এই ক্লাসটাই শেষ ক্লাস ছুটির আগে। ছুটির কয়েক মিনিট বাকী এমন সময় আম্মা ফোন দিয়েছেন। পড়ানো শেষ, ফোন রিসিভ করলাম। আমার এক বান্ধবী এসেছে সেটা জানাতে ফোন দিয়েছেন। আমি বান্ধবীকে বসাতে বললাম। আম্মা বললেন আমার সাথে টাকা থাকলে যাতে দুধ নিয়ে যাই চা বানাতে। বললাম দুধ তো ফ্রিজে আছে, আমি গতকাল রাতে রেখেছি। মোটামুটি এরকম কয়েকটা কথা বলে ফোন ছেড়ে ছিলাম। সামনের বেন্ঞ্চে বসা দু'জন ছাত্রী এবার আমাকে বলে, "মিস কিছু মনে না করলে একটা কথা জিজ্ঞেস করি ?" । অভয় দিয়ে প্রশ্ন শুনে বুঝলাম আমার ফোনের আলাপ শুনে ওরা অনুমান করে নিয়েছে যে আমার বিয়ে হয়েছে এবং বাচ্চা আছে। বললাম বিয়ে হয়নি, এবার তাদের আবার প্রশ্ন তাহলে কথা কার সাথে বললাম। উল্লেখ্য আমি আম্মার সাথে 'তুমি' করে কথা বলছিলাম। সেটা শুনে ওরা ধরে নিয়েছে হাজবেন্ডের সাথে কথা বলেছি। খুব মজা পেয়েছিলাম ওদের এই অনুমান দেখে। মনে মনে ভাবলাম আমরাও তো এরকম-ই করেছি। টিচারদের বিশেষ করে ম্যাডামদের ব্যক্তি জীবন সম্পর্কে জানার কত আগ্রহ ছিল। কেউ যদি কোন টিচারের বাসায় যেতো তার ভাব-ই ছিল আলাদা!

বাচ্চা কাহিনী-কাচ্চা কাহিনী: ২

তৃতীয় শ্রেণী। আমার চামেলী, আমার মেয়েরা, আমি যেটার ক্লাশ টিচার ছিলাম। সত্যি বলতে স্কুল ছেড়ে আসার সময় আমার খারাপ লেগেছে এই বাচ্চাগুলোর জন্যেই। এখনো মিস করি এদের। একদিন ক্লাসে পড়ানোর পরে এক বাচ্চা খুব আগ্রহ নিয়ে দাড়িয়ে বলছে, "মিস আপনার কয়টা বাচ্চা?" হেসে বললাম আমার বিয়েই হয়নি। বাচ্চাটার মুখটা যা হয়েছিল! ও নিজেও বিব্রত হয়ে গিয়েছিল প্রশ্ন করে।
তো এই বাচ্চারাই আমাকে প্রায়-ই অনুরোধ করতো গল্প, গান বা কবিতা শোনাতে। সময় সুযোগ হয়নি কোন দিন। আমি আবার ওদের বলেছিলাম ওদের ক্লাস পার্টিতে গল্প, গান, কবিতা সব কিছু করবো ক্লাসের সবাই মিলে। এটা নিয়ে খুব উচ্ছসিত ছিল ওরা।
একদিন এক ছাত্রী বলছে আগামী কাল তার জন্মদিন। আমি ভাবলাম এরা যেরকম কাল তো নিশ্চিত কিছু একটা নিয়ে এসে আামাকে দিবেই (এর আগে অন্য দুই ক্লাসে দুই বাচ্চা তাদের জন্মদিনে আমাকে চকলেট দিয়েছিল)। ক্লাসে পারত পক্ষে কোন উপকরণ উপহার দেওয়ায় অনুৎসাহিত করা হয় এটা জানতাম। তাই বাসায় গিয়ে ঠিক করলাম একটা কবিতা শোনাবো। পরদিন স্কুলে গিয়ে দেখলাম ঠিক-ই ক্যান্ডি নিয়ে এসেছে এবং বান্ধবীদের সাথে সাথে আমাকেও দিয়েছি। পড়ানো শেষে বললাম আমি আজ একটা কবিতা শোনাবো যেটা আমার তরফ থেকে লাইসার (যার জন্ম দিন) জন্যে গিফট। বাচ্চারা খুব-ই খুশি হয়েছিল। ছোট খাটো একটা গানের অনুষ্ঠানও হয়েছিল সেদিন। যার জন্মদিন সে ছাড়াও কয়েকজন গান গেয়েছে। খুব উপভোগ করেছিল বাচ্চারা।

এই ক্লাস থেকে প্রায়-ই আমি এটা সেটা গিফট পেতাম, যার জন্ম দিন সে তার পছন্দের টিচারদের কলম বেশি দিত। আমাকেও দিয়েছে অনেক গুলো। একদিন দেখি দুটো কাগজ দিয়েছে। খুলে আমি থ'বনে গেলাম। এত চমৎকার দুটো ছবি! ছবি আঁকা ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই আশ্চর্যের লাগে। আমি ভেবেই পাইনা কিভাবে দাগ টেনে টেনে মানুষ এত সুন্দর জিনিস এঁকে ফেলে!

মুগ্ধতা!


মুগ্ধতা!


আমি যেদিন চলে আসি স্কুল থেকে সেদিন আমিও জানতাম না যে চলে আসবো। হুট করেই সিদ্ধান্ত হয়! আমি কোন ক্লাসেই বলতে পারিনি যে আজ-ই আমার শেষ ক্লাস! কিন্তু ঐদিন ক্লাসে গেলে সকালেই এক বাচ্চা এত্ত সুন্দর এক ফুল দিয়েছিল!
এই সেই চমৎকার ফুল যেটা আমার স্কুলের শেষ দিন দিয়েছিল ছোট্ট এক বাচ্চা!


বাচ্চা কাহিনী-কাচ্চা কাহিনী: ৩

স্কুল থেকে যেদিন চলে আসি ঠিক ঐদিন-ই দুপুরে একটা ফোনকল আসে। বেশ কিছুদিন আগে এক কিন্ডাগার্টেনে সিভি দিয়ে এসেছিলাম। ওরাই ডেকেছে একটা টেস্ট ক্লাস দিতে পারবো কিনা জানতে। আমি পারলে পরদিন-ই যাতে যাই। কিন্ডারগার্টেনে তেমন ইচ্ছে নেই তাও ভাবলাম গিয়ে দেখি কী অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম এতদিন।
অভিজ্ঞতায় যে লবডংকা সেটা পরদিন-ই বুঝেছিলাম!

প্রথমেই দিল চতুর্থ শ্রেণীতে। পরীক্ষা চলছিল তাই সেখানে পড়ানোর কিছু নেই। নাম ডেকে গার্ড দিয়েছি। ছেলে বাচ্চারা যে আসলেই দুষ্টু সেটা সেই দিন-ই প্রথম ক্লাসে গিয়ে বুঝতে পারেছিলাম। যাই হোক পরের ক্লাসেও পরীক্ষা, ক্লাস থ্রীতে গেলাম। এখানে এক হ-জ-ব-র-ল অবস্থা! পরীক্ষায় কোন টাইম নাই, ওদের সবার লেখা শেষ হলে তবেই পরানো শুরু করবো। কারো পরীক্ষা শেষ কারো লেখা এখনো চলছে, কেউ খাতা দিচ্ছে এরকম অবস্থা ক্লাসে। এখানেও পড়াতে আর পারিনি। মনে মনে বললাম যাক বাঁচলাম। একটা বিল্ডিংয়ে খুপড়ির মত ঘরে আমার হাঁপ ধরে যাচ্ছিল। আগের দিন পর্যন্ত আমি ক্লাস করিয়ে এসেছি অক্ষরিক অর্থেই লম্বা বারান্দা ওয়ালা বিল্ডিং যার সামনে বিশাল মাঠ এরকম স্কুলে। পরদিন-ই এই বদ্ধ ঘরে মন না টেকাই স্বাভাবিক।

সময় শেষ হলে অন্য টিচারদের সাথে বসে আছি এমন সময় হেড স্যার এসে নিয়ে গেলেন এক ক্লাসে। কেজি বা নার্সারী ছিল হয়ত সেটা। স্যার বললেন সামনে ওদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আছে তাই সুরা, কবিতা এসব পড়াতে। মনে মনে বললাম খোদা রক্ষা করো! এত ছোট বাচ্চাদের ক্লাস নেইনি কখনো। আসল পরীক্ষা শুরু হল আামার তখন।
আমি আর কী পরিচয় দেবো বাচ্চারাই জিজ্ঞেস করে ফেলেছে , "মিস আপনার নাম কী?" । সুন্দর করে নাম বলে উতরে গেলাম প্রথম পরীক্ষায়। দেখলাম নতুন টিচার বলে ওরা তেমন আন ইজি ফিল করছেনা, বেশ ভাল ভাবেই নিয়েছে।

স্যারের কথা মত সুরা পরানো শুরু করবো এমন সময় এক বাচ্চা মেয়ে জিজ্ঞেস করল, "মিস সুরা কী?" । মনে মনে বললাম বাবারে এইটা আবার কী প্রশ্ন! এর মাঝেই ছেলে বাচ্চাগুলো গন্ডগোল করছে দেখে মনযোগ সেদিকে গেল। মেয়েটিকে সম্ভবত তার পাশের মেয়ে বুঝিয়েছে সুরা কী। আমাকে বলছে, "মিস আমিতো হিন্দু তাহলে আমিও কি পড়বো?" এরকম পরিস্থিতিতে কিভাবে সামাল দিবো বুঝতে পারছিলাম না তাই তাকেও বললাম পড়তে।

এর মাঝেই এক ছেলে পাশের ছেলেকে দেখিয়ে বলছে, "মিস ও বলেছে আমি নাকি ওকে (এক মেয়েকে ইশারা করে) ভালবাসি!!" অনেস্টলি বলছি আমার পরে মনে হয়েছে এটা ছিল আমার খুব খুব বড় একটা পরীক্ষা যেটায় আমি দুঃখজনক ভাবে ফেইল করেছি ! আমি অভিযোগ শুনেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিলাম কী উত্তর দিবো কয়েক মুহুর্ত বুঝতে পারিনি। পরে মনে হয়েছিল আমার হয়ত এভাবে বলা উচিত ছিল যে, "ক্লাসে আমরা সবাই বন্ধু, আর আমরা আমাদের সব বন্ধুকেই ভালবাসি"।
প্রথম বলে নিজেকেই নিজে মাফ করেছি। ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতিতে আর তব্দা খেতে হবেনা।

কারো অভিযোগ, "ও আমাকে বকা দিয়েছে" , কেউ কাঁদ কাঁদ গলায় বলে " ও আমার আম্মুকে মোটা বলেছে" এসব সামলাতে সামলাতে আমার যখন পাগল হবার দশা তখন দেখি এক ছেলে কাঁদছে!! কারন জিজ্ঞেস করতে জানা গেল গার্জেন এক বাচ্চাকে নিয়ে গিয়েছে আগেই। ওর জায়গাটা খালি হলে পাশের ছেলে নিজের সিট টপকে সামনে খালি সিটে বসেছে। অভিযোগকারী বলছে , "আমি ওখানে বসতে চেয়েছিল ও আগে বসে পরেছে"! বললাম যে যার সিটে বসো। কিন্তু কাজ হল না। যে সামনে গিয়েছে সে কিছুতেই ছুটির আগে আর নড়বে না ঐ জায়গা থেকে!
কী আর করা অভিযোগকারীকে বললাম একদম সামনে চলে আসতে কিন্তু সে সামনে আসবে না, ওই সিট-ই চাই তার! অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে শেষে সামনেই বসিয়েছিলাম।

ক্লাস শেষে মনে হল আমার জন্যে এই গুড়াগুড়া বাচ্চা কাচ্চা নয়!

লাস্ট বাট নট লিস্ট

বাচ্চাদের ক্লাসে সবচাইতে চ্যালেন্জ্ঞিং বিষয় হল ওদের অভিযোগ গুলো শোনা এবং ঠিক ঠাক সমাধান করা (ওদের ভাষায় বিচার) । একবার ক্লাস টু-তে এক মেয়ে মাথা নিচু করে কাঁদার ভান করছে, কারন জানতে গিয়ে শুনি এক মেয়ে ওকে হনুমান বলেছে। যে হনুমান বলেছে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে উত্তর দিল "তুমি যে আমাকে চিড়িয়াখানার বাদর বলেছো!" হাসতে হাসতে শেষ আমি। বললাম দু'জন দু'জনকে সরি বলো। বাচ্চাদের বিচার আসলে তা শুনে এই রায়টা দিতাম বেশির ভাগ। এটা দেখতাম বেশ ভাল কাজ করে ঝগড়া বন্ধ করতে।
একবার এক মেয়ে এসেছে তাকে পাশের মেয়ে খারাপ কথা বলেছে, সরি থেরাপী দিয়ে আমি অন্য কাজে মনযোগ দিলাম। কয়েক মুহুর্ত পরেও তার নামে আবার অভিযোগ এসেছে সেই খারাপ কথা বলেছে আবারো। এবার ওর দিকে তাকাতেই আমি কিছু বলার আগেই ভালমানুষী মুখে বলে, "সরি বলবো?" আমার তো হাসতে হাসতে কাঁদার দশা !নিজেকে কোন মতে সামলে মুখ গম্ভীর করে বললাম হ্যাঁ বলো। আর কখনো পঁচা কথা বলবে না।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিক্ষকতার আনন্দ হলো ছাত্রছাত্রীরা

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

নীল-দর্পণ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মজার অভিজ্ঞতাগুলি।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

নীল-দর্পণ বলেছেন: আসলেই। মানুষ স্বেচ্ছায় শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিতে চায় খুব কম-ই। আমি সেই কমদের মাঝে একজন!

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৫

মিথী_মারজান বলেছেন: অনেকদিন পর!:)
কেমন আছেন আপনি?:)

আপনার কয়েকটা গল্প আমার অভিজ্ঞতার সাথে মিলে গেল।
একবার ক্লাস কে.জি. টু এর এক স্টুডেন্ট আমাকে নালিশ করল যে, একজন ওকে আই লাভ ইউ বলেছে।
খুব বিব্রত হলেও নিজেকে সামলে বললাম, ও তো তোমার ফ্রেন্ড। ফ্রেন্ড তো ভালবাসতেই পারে।
আমাকে আরো বিব্রত করে মেয়েটি বলল, কিন্তু মিস্, ও তো হিন্দু। আমাদের তো কখনো বিয়ে হবে না।
এত অবাক হয়েছিলাম যে কি বলব!
কোনরকম বুঝিয়েছিলাম যে, ফ্রেন্ডশীপের ক্ষেত্রে হিন্দু মুসলমান ব্যাপার না। আর ফ্রেন্ডশীপের সাথে বিয়ের কোন সম্পর্ক নাই।
খুব নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম ব্যপারটা হ্যান্ডেল করতে।

তবে এটা ঠিক বাচ্চাদের নির্মল যে ভালবাসা পাওয়া যায় তার কোন তুলনা হয়না।
ভাল লাগল আপনার অভিজ্ঞতা।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: ঠিক অনেক দিন তো না। ইদানিং আসছি মাঝে মাঝে।
আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আপনিও ভাল আছেন নিশ্চই? :)

আপনি তো বেশ সুন্দর করেই ম্যানেজ করেছিলেন আমি তো ফেইল করেছিলাম! =p~

অনেক ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতাটাও শেয়ার করার জন্যে। ভাল থাকবেন অনেক আপু। :)

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৫

জুন বলেছেন: নীল-দর্পন আপনার অভিজ্ঞতার কথা শুনে মজা লাগলো বিশেষ করে বিচার করা। বাচ্চারা একজন আরেকজনের নামে বিচার দিলে আমিও স্যরি থেরাপী প্রয়োগ করি :)
লেখায় অনেক ভালোলাগা
আর ছবিগুলো অদ্ভুত সুন্দর ।
+

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: বাচ্চাদের যা বিচার ! ওগুলো শুনে ঠিক ঠাক রায় দেওয়া খুব-ই কঠিন তার চাইতে স্যরি থেরাপি-ই ভাল ।

ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্যে। ভাল থাকবেন। :)

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২২

দিগন্তের আভা বলেছেন: আমি নিজেও একজন শিক্ষক। তাই আপনার মতো আমার ও দারুণ সব অভিজ্ঞতা আছে। পড়ে খুব ভালো লাগলো। তবে ইদানীং মোবাইল, টিভি ইত্যাদির কারণে ওরা খুব কম বয়সেই শৈশব হারিয়ে ফেলছে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: দিগন্তের আভা, আশা করছি আপনার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করবেন আমাদের সাথে।
স্বাগতম আমার ব্লগ বাড়ীতে। আপনার চতুর্থ মন্তব্যটা আমি পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল। :)

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৪

সুমন কর বলেছেন: আপনার বাচ্চা কাহিনী-কাচ্চা কাহিনী পড়ে খুব ভালো লাগল। +।

আসলে বাচ্চাদের যথেষ্ট সময় দিতে হয়। ধৈর্য লাগে। সামুতে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা আছে। ;)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: সুমন কর, মেলা…দিন পর! আছেন কেমন, ভাল নিশ্চই?
ঠিক বলেছেন। বাচ্চাদের সামলানোর জন্যে ধৈর্যটা সবাচাইতে দরকারী।
আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন :)

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক দিন পর নীল-দর্পণ ।

লেখাটা ভালোলাগল।

বাচ্চাদের মনের খবরগুলো শিক্ষকদের আবিস্কার করা জরুরী। এবং শিক্ষকদের ধৈর্য্য দিয়ে এ কাজটি করতে হয়। বাচ্চা সামলানো সবচেয়ে কঠিন কাজ।
যারা ভালোবেসে এ কাজটি করেন তাদের জন্য ভালোবাসা। কিন্তু আমাদের দেশে বেশীর ভাগ শিক্ষক ভালোবাসার চেয়ে জীবিকার প্রয়োজন এবং সনাতনি বাচ্চাদের শাসন করর ধারনা নিয়ে আছেন এখনও।
সময় পরিবর্তন হচ্ছে মানসিকতা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা পরিপর্তিত হোক বাচ্চারা মন খুলে প্রশ্ন করে কৌতুহল মিটাক।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে যখন আপনার নামটা দেখলাম মনটা চনমন করে উঠল। পুরনো কাউকে দেখলে কী যে ভাল লাগে!

ভালবেসে শিক্ষকতাকে গ্রহন করার মানুষ এখনো অনেক কম।
অনেক অনক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। শুভ কামনা রইল। :)

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪১

জাহিদ হাসান বলেছেন: চুপি চুপি এসে পড়ে গেলাম । :)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২১

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি জোরে-সোরেই একটা ধন্যবাদ দিলাম । B-))

৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাচ্চাদের কর্মকান্ড মাঝে মাঝে আমাদের বড়ই বিব্রত করে।
আমার ছেলে যখন ওয়ানে, একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করে- জোন কি?
বললাম কাজের সুবিদার্থে এক একটা অঞ্চল ভাগ করে নেয়া হয় একে জোন বলে।
ছেলে বলল - দেয়াল এ যে লিখা দেখি জোন রোগ? এলাকার আবার রোগ হয় কেমনে ? B:-)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা আপনার ছেলেতো খুবই বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন করেছিল! তারপর কীভাবে সামলেছিলেন ব্যাপারটা , একটু শেয়ার করেন এখানে।
কাজে লাগতে পারে ভবিষ্যতে।
আদর রইল আপনার ছেলের জন্যে। :)

১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এসব অভিজ্ঞতা আমারো আছে।

মিস করি সেসময় গুলি।

বাচ্চারা খুব ভালোবাসতো আমাকে। এমনকি আমার জন্য আলাদা করে কেউ কেউ টিফিন নিয়ে আসতো।

আপনার পোস্টে ভালোলাগা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমাকে এক বাচ্চা একদিন তার টিফিনে আনা বিস্কুট দিয়েছিল। এত সুন্দর করে, এত আন্তরিকতা দিয়ে দেয় যে ফিরিয়ে দিতেও খারাপ লাগে। কিন্তু নিতে পারিনি। এতে দেখা যাবে সব বাচ্চারা শেষে দেওয়া শুরু করতো।

আমিও খুব মিস করি ।

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপু। ভাল থাকবেন । :)

১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৪

সোহানী বলেছেন: ওরে বাপরে... আমার কিন্তু বাচ্চাদের দারুন লাগে। যদিও আমি টিচার না তবে টিচার হলে ভালো করতাম নি:সন্দেহে কারন আমার আশপাশ, আত্মীয় বা নিজের বাচ্চারা আমার চারপাশে থাকতে পছন্দ করে। তবে এখন আমার মেয়ের (ওয়ান এ পড়ে) ক্লাসে নাইজেরিয়া থেকে একটা বাচ্চা এসেছে, তার দুস্টুমি শুনে আমি হার্টফেইল করার অবস্থা.... তাই তোমারগুলো অনেক ভালো নি:সন্দেহে। আরেকদিন সে গল্প বলবো............

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১

নীল-দর্পণ বলেছেন: যাদের বাচ্চারা খুব পছন্দ করে, আনন্দ করতে পারে বাচ্চাদের সাথে তাদের খুব হিংসা হয় আমার। আমি ভাল কন্ট্যাক্ট করতে পারি না আর পারলেও বেশি সময় ধরে রাখতে পারিনা। :(

দুষ্টু পিচ্চির গল্প একদিন শোনার অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকবেন আপু। :)

১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

ওমেরা বলেছেন: আপুমনি আপনার অভিজ্ঞতা গুলো বেশ মজাই লাগল আর হাসিও পেল ।কিন্ত আপনার যে কতটা ধৈর্য ধরতে হয়েছে সেটা বুঝতে পারলাম। আমার পক্ষে এটা সম্ভব না গো আপুমনি । অনেক ধন্যবাদ আপুমনি ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: কি যে বলেন আপুনি! আমার চাইতে কম ধৈর্যের মানুষ খুব কম-ই আছে (নেই বললেই চলে) । তাইতো কিন্ডারগার্টেনে টেস্ট ক্লাস করিয়ে এসেই আর যাবো না বলে ঠিক করেছি।

নতুন লেখা পাচ্ছিনা কিন্তু, নতুন লেখা চাই আপুনি।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল। :)

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বন্ধু, মন্তব্য করতে পরে এলাম তার মানে কিন্তু এই নয় যে আমি লেখাটাও পড়েছি পড়ে | মন্তব্য করতে দেরি হলো | আমার ধারণা প্রথম কয়েকজন পাঠকের মধ্যেই আমি আছি এই লেখা পড়ার ব্যাপারে | আপনার লেখাটা খুব ভালো লাগলো পড়ে | একটা রিকোয়েস্ট আছে, সেটা হলো স্কুলের অভিজ্ঞতাগুলো সিরিজ করে আরো কয়েকটা পর্বে লিখুন | যে ইচ্ছে করে টিচিং বেছে নিয়েছে প্রফেশন হিসেবে তার কাছে স্কুল নিয়ে আরো লেখার আব্দারটা আমরা করতেই পারি | তাই না বন্ধু ?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

নীল-দর্পণ বলেছেন: গতকাল ভাবছিলাম বন্ধুর দেখা নেই কেন, নতুন পোষ্ট ও নেই!
আবদার করতেই পারেন তবে এই অভিজ্ঞতা গুলো যেখানে সেখান থেকে চলে এসেছি । তবে আরো কিছু মনে পড়লে চেষ্টা করবো লেখার। আজ বরং অন্যরকম মজার কথা শোনাই।
আমি স্কুলে জয়েন করার পরে আমার এক মামাতো বোন (ক্লাস ওয়ানে পড়ুয়া) আমাকে ম্যাডাম বলে ডাকে মজা করে। আমাকে বলছে ম্যাডাম আমাকে পড়াবেন আমাদের বাসায় গিয়ে? আমি বললাম তোমাদের বাসাতো দূরে অনেক আমি ৩দিন পড়াবো আর ৫হাজার টাকা দিবা আমাকে। তোমার আব্বুর সাথে আলাপ করে জানিয়ো।
(কী বুদ্ধি তার আমাদের বাসায় বসে আর কিছু বলে নাই, নিজের বাসায় গিয়ে আমাকে ফোন করে, তার একটু কথোপকথন নিচে দিলাম

বোন: ম্যাডাম আমার আব্বুর সাথে ত আপনার ব্যাপারে আলাপ করছি, আব্বু রাজী। আপনি আমাকে পড়াতে আসবেন।
আমি: আমি তো ছোট বাচ্চাদের পড়াই না, তুমি তো অনেক ছোট। আমি পড়াতে পারবো না।
বোন: আপনি কোন ক্লাসে পড়ান।
আমি: আমি ক্লাস নাইন-টেন পড়াই।
বোন: (তাৎক্ষনিক উত্তর দেয়) তাহলে আমার আপু তো টেন-এ পড়ে, আপুকে পড়াতে আসবেন।
বোন রক্জ্ B-)) আমি শক্জ্ । :|

অনেক ধন্যবাদ বন্ধু আমার ব্লগ বাড়ীতে আসার জন্যে।

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এরজন্যইতো রিকোয়েস্টটা করেছিলাম জানিতো খুঁজে খুঁড়ে মণিমুক্তোগুলো বের করে আনতেই পারবেন মনের ভেতর থেকে | আপনার মন্তব্যের শেষ লাইনতার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাতে এই মন্তব্য | ব্লগ কর্তৃপক্ষ যদি এম্বারগো দেয় আমাকে বন্ধুর ব্লগে না আসবার তবুওতো আমি বন্ধুর ব্লগে আসবো | ওর জন্য ধন্যবাদ জানালে খুবই বিব্রত হই |

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা……ওকে ওকে আর বিব্রত করবো না। :)

১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমি খন্ডকালীন স্কুলের ক্লাশ নিতাম।

৪০ মিনিটের ক্লাশ ২০ মিনিট গল্প। স্কুলে পড়ার সময় মনে কি ধরনের চিন্তা আসে, কেন আসে সেসব বলতাম। তারাও মজা পেত।

রাস্তা ঘাটে প্রচুর সালাম পাইতাম, এটা খুব ভালো লাগতো।।

যাইহোক- একটা প্রশ্ন ছিলো মিস- সুরা কি?

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: রাস্তা ঘাটে এমন মুখ সালাম দেয় যা হয়ত খেয়াল নেই, একজন শিক্ষকের অন্যতম বড় পাওয়া মনে হয় এটাই।

সুরা মানে হল গিয়ে……সূরাহ……যেটা আমি এখন পড়াবো । :P

১৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাচ্চা ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে আপনার মজার মজার কাহিনীগুলো পড়ে খুব মজা পেলাম। মন্তব্যের ঘরে যারা তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কাহিনীগুলো শেয়ার করেছেন, তাদেরগুলোও ভাল লাগল।
পোস্টে এবং একাধিক মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে প্লাস + +

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: এখনো অপেক্ষায় আছি এরকম জীবনের অর্থৎ শিক্ষকতার জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.