নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্ সালামু আলাইকুম্

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)

নীল-দর্পণ

নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।

নীল-দর্পণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসায় সিক্ত বন্ধু দিবস

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

বন্ধু! ছোট্ট একটা শব্দ তবে এর সংজ্ঞাটা মনে হয় কঠিন। সময়, পরিস্থিতি ভেদে এর সংজ্ঞা বদলায়। সময়ের পরিক্রমায় সহজ থেকে জটিল এবং একটি সময়ে প্রয়োজন তথা স্বার্থে গিয়ে ঠেকে এর পরিচিতি। যাইহোক বন্ধুত্বের পরিচিতি নয় এর একটি রূপ নিয়ে আজ কথা বলবো।

কিছু দিন আগে এক স্কুলে জয়েন করেছি। আমার সাবজেক্ট মূলত ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীতে হলেও ৩য় শ্রেণীর দুইটি শাখায় ক্লাস নিতে হয় যার একটিতে আবার আমি ক্লাস টিচার। বাচ্চাদের সাথে আমার বোঝাপড়া কেন যেন খুব একটা হয় না। আমি ছোটবেলা থেকেই দেখেছি কোন বাচ্চা আমার কোলে আসতে চাইত না তেমন, এমনকি ঘুমের বাচ্চা আমি কোলে নিলেও সেই বাচ্চা কেঁদে উঠতো! এসব কারনে ৩য় শ্রেণীতে ক্লাস দেওয়ার মনে মনে একটু ভয়ে ছিলাম। কিন্তু প্রথম দিন ক্লাসে ঢুকতেই আমার ধারনা বদলে দিয়েছে এই ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাগুলো। এত আন্তরিক ভাবে আমাকে গ্রহন করেছে যেটা আমার ভাবনার বাইরে ছিল। আমরা ভাবি বাচ্চারা আর কী বুঝে! তাই আমরা সাধারনত এদের কোন বিষয়ে এড়িয়ে চলি, ছোট করে দেখি। এটা যে খুব বড় একটা ভুল আমরা করি সেটা আমি এই স্কুলে জয়েন করে বুঝেছি। প্রথম দিন ক্লাসে ঢুকতেই সবাই সালাম দিয়ে বসে বলছিল "মিস আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে" । চিন্তা করছিলাম প্রথম দিনেই এরা এই কথা বলছে ! মনে মনে হাসছিলাম এবং বলছিলাম টিচারকে কনভিন্স করার টেকনিক শিখে গেছে এই বাচ্চারা ! এটাকে কেবল-ই কমপ্লিমেন্ট ভেবেছিলাম। কিন্তু আস্তে আস্তে দেখলাম যেদিন তাড়াহুড়ায় হিজাবটা বাঁধা একটু কম ভাল হয় বা আমাকে একটু কম ফ্রেশ লাগে সেইদিন তেমন কিছু বলছে না। পরের দিন ভাল, পরিপাটি হয়ে গেলে আবার সেই হাসিমুখে "মিস আপনাকে আজকে খুব সুন্দর লাগছে", এটা থেকে বুঝলাম ওরা আসলেই শিক্ষকদের খেয়াল করে। শিক্ষদের পরিপাটি, সুন্দর করে নিজেদের উপস্থাপনের জন্যে বলা হয় এই কারনেই, যাতে শিক্ষার্থীর মন ভাল হয়ে যায়, প্রফুল্ল থাকে শিক্ষদের দেখে।

গত বৃৃহস্পতিবার ক্লাসে এক বাচ্চা জিজ্ঞেস করছে মিস ফ্রেন্ডশিপ ডে কবে? আমি তো অবাক এই ভেবে যে এরা এখনি এসব ডে নিয়ে চিন্তা করছে ! আগস্টের দ্বিতীয় রবিবার কিনা এটা তখন নিশ্চিত ছিলাম না বা অন্য কাজে ছিলাম দেখে জানিনা বলেছিলাম। আমার থেকে সঠিক জবাব না পেয়ে বেশ দুঃখে সুরেই বলছিল "আমাদের তো গিফট কিনতে হবে, তাহলে কিভাবে কিনবো"! ওরা ভেবেছিল শনিবার। আমি শনিবার ক্লাসে ঢুকতেই সবাই সমস্বরে বলে ওঠে "হ্যাপি ফ্রেন্ডশিপ ডে মিস" । আমি তো টাশকি খেয়ে গেলাম এদের কান্ড দেখে। কিন্তু টাশকির আরো বাকী ছিল সেটা তখনো বুঝি নি! নাম ডাকার মাঝে দেখি বাচ্চাগুলো একগাদা চকলেট আর দুটো কলম রেখেছে আমার টেবিলে। এগুলো নাকি আমার গিফট! বিস্ময়ের চরমে পৌছে গেলাম যখন শুনলাম ওরা আমার ক্লাসে সোমবারে কেক কাটবে। সবাই মিলে নাকি চাঁদা তুলে কেক আনবে! পরে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে নিষেধ করলাম এবং বললাম ফ্রেন্ডশিপ ডে তো রবিবার।

যাহোক ক্লাস শেষ করে অফ পিরিয়ডে টিচার্স রুমে ঢুকবো এমন সময় নোটিশ আসলো আমার এখন নার্সারিতে ক্লাস নিতে হবে কারন নার্সারির ম্যাডাম সহ বেশ কয়েকজন ম্যাডাম ছুটিতে গেছেন। সুতরাং অ্যাবসেন্ট ক্লাস করাতে হচ্ছে অফ পিরিয়ডে। সেখানে ঢোকার আগে ঘুনাক্ষরেও কল্পনা করিনি আরো বিস্ময় অপেক্ষা করছে আমার জন্যে ! নার্সারির গুটলু গুটলু বাচ্চা, যাদের ক্লাস আমি এর আগে নেইনি এবং হয়ত ওরাও আমাকে দেখেনি, তারাই আমি ক্লাসে ঢুকতেই সালাম দিয়ে বলছে "মিস আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে"। আমি মনে মনে বললাম "কিরে বাবা এদের কী ট্রেইনিং দেওয়া হয় নতুন টিচার আসলেই তাকে এই কথা বলার জন্যে!" মনের কথা মনে রেখেই এদের বাড়ীর কাজ দেখে কিছু লিখতে দিলাম। এর মাঝে এক পিচ্চি বলছে আমি কি রোজ-ই ওদের এই ক্লাস নিবো কিনা। ওদের এই ক্লাসের টিচার নাকি ওদের ধমক দেয় এবং মারে তাই আমি যাতে ক্লাসটা নিই সেটা বলছিলো! কিছু একটা বলে বুঝিয়ে শুনিয়ে দিলাম। লেখা শেষ হলে তৃতীয় শ্রেণী থেকে দেওয়া চকলেট থেকে কিছু দিলাম ওদের। ছোট্ট একটা চকলেট কিন্তু সেটাই এই বাচ্চাদের যে কী খুশি করে দিল সেটা টাকা দিয়ে কেনা যাবে না।
এদের দেখে মনে হয় আমি তো এই জীবনটাই চেয়ে এসেছি, এই কারনেই এই প্রফেশনটাকে ভালবাসি।

শনিবারের কাহিনী শেষ, সোমবার নিয়ে একটু ভয়ে আছি যে ওরা ক্লাসে কেক নিয়ে চলে আসে কিনা। কিন্তু রবিবার কিছু হবে না এটা ধরেই রেখেছিলাম। কিন্তু ভাবনা আর বাস্তবতা যে একটা হয়না সব সময় সেটার আরো একবার প্রমান পেলাম ক্লাসে গিয়ে। আজও একগাদা চকলেট, চুইংগাম আর একটা কলম দিয়েছে। কখনো ভাবি আমি কী আসলেই এত ভালবাসার যোগ্য? আবারো শুকরিয়া করি যে আমি তো এটাই চেয়ে আসছি, এটাই চাই এবং জীবনের প্রথম কর্মক্ষেত্রে ঢুকেই পেয়ে গেছি সেটা।


আমি ঘটাও করে সব দিবস পালন করার পক্ষপাতী না বরং কিছু কিছু আমার অতিরন্জিত লাগে। তবে বন্ধু দিবস নিয়ে বাচ্চাদের এই হৈ হৈ আমার বেশ ভাল লেগেছে । আমার মনে হয় সব সময়-ই আমরা ক্লাসে বলি বা শেখাই যে ঝগড়া-মারামারি করবে না বন্ধুদের সাথে, তবে পাশাপাশি বছরে একটা দিন যদি কেক কেটে বা অন্য ভাবে আনন্দ করে উদযাপন করা হয় এবং এই দিনে তাদের মাঝে মিলেমিশে থাকার মেসেজটা দেওয়া হয় তবে আরো বেশি কার্যকরী হবে।

বাচ্চাদের দেওয়া ভালবাসা (অনেক গুলো খেয়ে ফেলেছি, তার পরেও এত গুলো আছে এখনো!)


ভালবাসায় সিক্ত বন্ধু দিবস আমার খুব ভাল কেটেছে। সবাইকে বন্ধু দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: অনেক দিন পর পোস্ট দেওয়া শুরু করলেন।

আমার বন্ধু হবেন?

আপনাকে বন্ধু দিবসের অনেক শুভেচ্ছা।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১

নীল-দর্পণ বলেছেন: কি যে বলেন! বন্ধু কি বলে কয়ে হয়? একসাথে ব্লগিং করতে করতে বন্ধু তো হয়েই আছি।
পুরনোদের দেখলে খুব ভাল লাগে। ভাল আছেন নিশ্চই? :)

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নীল-দর্পণ আপনাকে বন্ধু দিবসের অনেক শুভেচ্ছা।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেএএএএক দিন পর....
কবি এবং কবি পত্নী'র জন্যেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা :)

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: আমি তো পুরানো না।

বন্ধু এমনি এমনিই হয়।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: দুই বছরের বুড়ো আপনি ;) । ব্যাপারনা অনেক অনেক গপ্পো হবে (যদিও ব্লগে একটু কম আসা হয় বেশ কিছু দইন যাবত)

আপনার নামটা দেখে মনে হয়েছে অনেক পুরনো, আরো দেখেছি।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে আপনি হলেন ৮ বছর ৭ মাস, আর আমি হলাম ২ বছর ৭ মাস। তাহলে? আপনি ৬ বছর বড় আমার চেয়ে। এখন আমি যদি বুড়ো হই তো আপনি কী?

হা হা হা .............. দুই বছর থেকে আমাকে দেখে থাকবেন।

ব্লগে নিয়মিত হন, আমি তো কথা বলার লোক পাই না।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি অবসর প্রাপ্ত =p~

চেষ্টা করবো নিয়মিত হতে আবার। একটা সময় কত্ত বকবক যে করতাম ব্লগে এসে। রাত দিন পড়ে থাকতাম আর আবজাব লিখতাম। এখন সেই আবজাব লেখাও লিখতে পারিনা।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: হ্যাপি ফেন্ডশীপ ডে।
ভাল থাকুন।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা বন্ধু দিবসের।
ভাল থাকবেন আপনিও :)

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কোন দেশে পড়াচ্ছেন?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: বাংলাদেশে পড়াচ্ছি !
কেন বলুনতো?

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৫

কূকরা বলেছেন: পাঁদগাজীর আরেকটা অবান্তর পাঁদ, হালায় আজাইরা প্রশ্ন না কইরা (পড়েন আজাইরা পাঁদ না মাইরা) থাকতে পারে না।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: আহা থাক এমন কইরেন না। দেখি উনি কী উত্তর দেন। উনাকে তো জিজ্ঞেস করলাম ।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

ওমেরা বলেছেন: বন্ধু দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনাকেও অনকে শুভেচ্ছা আপু :)

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভেচ্ছা :)

১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

জুন বলেছেন: নীল-দর্পণ আপনাকেও বন্ধু দিবসের পুরনো শুভেচ্ছা :) তবে বন্ধু কখনো পুরান হয় না আর আমিও এইসব দিবস টিবসে বিশ্বাস করিনা :)
আসলে আমি আপনি দুজন বিশেষ করে আপনি বেশি অনিয়মিত বলে লেখাগুলো চোখেই পড়ে না । দুঃখিত :(
+

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: দুঃখিত হবার কিছু হয়নি তো! বন্ধু যে পুরনো হয়না সেটার প্রমানতো আপনার এই কমেন্ট। অনেক দিন পর পর এলেও আগের সেই টানটা, পুরনো মানুষদের খোজ করা...ভাল লাগে অনেক।
:)

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:৫৭

সোহানী বলেছেন: ওয়াও...... আমার কিন্তু বাচ্চাদের সাথে দারুন মিলে যায়। আর আমি কিন্তু ওদের সাথে ঠিক বাচ্চাদের মতো খেলি তাই ওরা মনে হয় ওদের সমানই মনে করে...হাহাহাহা আমার হাজবেন্ড বলে তোমার বাচ্চাদের স্কুলের টিচার হবার দরকার ছিল।

খুবই ভালো লাগলো বন্ধু দিবসের শেয়ারিং। অনেক দিন আপনার লিখা পাই না কেন?? বিজি????

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি বাচ্চাদের সাথে তেমন মিশতে পারিনা, তবে আমি যেই ক্লাসের ক্লাস টিচার সেই ক্লাসের বাচ্চারা কেন যেন আমাকে খুব পছন্দ করে।

বিজি ঠিক না, কেন যেন একটা ছন্দপতন হয়ে গেছে ব্লগে লেখার। চেষ্টায় আছি ফেরার। আগের মত হয়ত হবেনা।

কেমন আছেন, ভাল নিশ্চই? :)

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমি ব্লগে খুবই নতুন | আপনার লেখা পড়তে পড়তে আরো দেরি | ফ্রেন্ডশিপ ডে তো গেছেই এখন আসছে কাছে হলোইন -ফ্রেন্ডশিপডে'র পুরো বিপরীত ভুতের দিন | তবুও বিলেটেড ফ্রেন্ডশিপ ডে বন্ধু (এক্সসেপ্ট করার, না করার পুরো অধিকার শর্তহীনভাবে আপনার) |

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: কাগজ কলমে একটা দিন হলেও আসলে প্রতিদিন-ই ফ্রেন্ডশিপ ডে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল শর্তহীন বন্ধু নাইমুলইসলাম এর জন্যে ;)

ফ্রেন্ডস আর ফ্রেন্ডস , নো সরি, নো থ্যাংকস। তাই লেট রিপ্লাই এর জন্যে সরি বললাম না। :P

১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমাকে উল্টিয়ে দিলেন ! এখন কেমন করে মাথা নিচে পা উপরে দিয়ে হাটবো ভাবছি ! আর কেন যে সবাই আমার নিকটা নিয়ে শার্লক হোমস হতে চায় সেটা কিন্তু এখনো সামনেই এগিয়ে আসা হলোয়িন বা ভুতের রাতের মতোই রহস্যের হয়ে রইলো আমার কাছে !!! ধন্যবাদ |

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: মলা সলা কী এক নাম ! পড়তে গিয়ে বিরক্ট হয়ে ভাবলাম দেখি উল্টে কী হয়। দেখলাম হয়ে গেল কিছু একটা।
হাঁটলেন নাহয় একটু উল্টো হয়ে বন্ধুর জন্যে ;)

১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: চেষ্টা করে দেখতে পারি! কিন্তু ঝরে,পড়ে,মরে গেলে কিন্তু জানিনা|তারপর আপনি পুলিশি ঝামেলায় জড়িয়ে গেলে আমি কিন্তু দায়ী নই |

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০১

নীল-দর্পণ বলেছেন: আরেহ্ না না, পড়ার আগেই ধরে ফেলবোনে, পুলিশ-টুলিশ পর্যন্ত যাওয়া লাগবেনা

১৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

চানাচুর বলেছেন: বাচ্চারা আসলেই সুইট। আমার বড়বোনও একটা স্কুলে পড়ায়। শীতকালে প্রায়ই তাকে ফুল, ফুলের মালা এগুলো এনে দেয়। দুলাভাই যখন মারা গেলেন, বাসার সামনে দেখি অনেক বাচ্চাকাচ্চা। ম্যাডামের শোকে তারা ম্যাডামকে দেখতে এসেছে সান্ত্বনা দিতে! তিনটা বড় স্টুডেন্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার বোনের পাশেই ছিল। বাচ্চাদের এই সময়গুলো মানসিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্ববহন করে। ছোটবেলাকার স্কুল জীবনের সেই সুইট সুইট শিক্ষকদের বলা কথাগুলো এখনো মনে পড়ে কিন্তু অমিষ্টভাষী শিক্ষকদের কথা ভাবতেও ইচ্ছে করেনা।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

নীল-দর্পণ বলেছেন: ঠিক বলেছো। এই বয়সে বাচ্চাদের ভাল ব্যাপার গুলো ভেতর দিতে পারলে পরবর্তীতে কাজে লাগে।

ছোট বেলার কিছু শিক্ষকের কথা মনে হলে মন ভরে দোয়া আসে আর কারো কথা মনে হলে মন-মেজাজ খারাপ হয়ে যায়!

১৬| ৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৭:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: সূচনাটা সুন্দর হয়েছে।
শিক্ষকদের পরিপাটি পোষাক ছাত্রদের মনে তার সম্বন্ধে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করে, এবং ছাত্ররাও এই একটি কারণেও হয়তো বা তার প্রতি আগ্রহী হতে পারে, তার কথা শুনতে মনযোগী হতে পারে। আমার শৈশব-কৈশোর কালেও আমি পোষাকে পরিচ্ছদে পরিপাটি শিক্ষকদের প্রতি আকৃষ্ট হতাম।
এত্ত ছোট ছোট শিশুদের ভালবাসার গল্প শুনে খুব ভালো লাগল।
পোস্টে পঞ্চম ভাললাগা। + +

০১ লা জুন, ২০২২ সকাল ৯:৫২

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি নিজেও খুব খেয়াল করতাম শিক্ষকদের পোষাক এবং আচার আচরন। আমার মনে হ্য় সব শিক্ষার্থীই এমনটা করে থাকে।


ভালো লাগাটুকু সযত্নে গ্রহন করলাম। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.