নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।
পিছুটান, পিছুডাক ব্যাপারগুলো কারো জন্যেই ভাল না। আমি সব সময় একটা ব্যাপার মাথায় রাখি। ঠিক মাথায় রাখি না বলে নিজেকে শোনাই বলা ভাল, তা হলো "যেতে হবে অনেক দূর পেছনে তাকানোর সময় নেই।" এটা একপ্রকার কাউন্সেলিং এর মত। যখন দেখি কোন বিষয়ের খপ্পরে পড়ে পিছিয়ে যাচ্ছি, স্মৃতিকাতর হয়ে যাচ্ছি তখন নিজেকে শোনাই এটা। নিজেকেই তাগাদা দেই পেছনে না ফিরে সামনে তাকানোর জন্যে। আমি মনে করি স্বাভাবিক ভাবে একটা মানুষ নিজেই নিজের কাউন্সেলর। নিজেকে নিজে যতটা বুঝবো অন্য কেউ তা বুঝবে না। কী চাই, কী করি আমার চাইতে ভাল কে বুঝে? তাই আমি ব্যক্তিগত ভাবে কারো শান্তনা আশা করি না। তবে সব সময় এতটা শক্ত থাকতে যে পারি তা না। সেই দিকে নাই বা যাই।
শুরু করেছিলাম পেছনে তাকানো নিয়ে। আমি ঘুরে গেলে ফিরে খুব কম তাকাই, কিন্তু কিছু বিষয় এই আমাকেই এত বেশি ডাকে! কিছু স্মৃতি যা আমি মনে না করলেও নিজের অজান্তেই চলে আসে। যেমন আজকের কথাই বলি, শুরুটা একটা স্বপ্ন নিয়ে। আমরা একটা বিল্ডিংএর নিচতলায় একটা ফ্ল্যাটে থাকতাম। তেমন সুন্দর কোন বাসা সেটা ছিল না। তার চাইতে সুন্দর বাসায় ছিলাম ঐ বিল্ডিংয়েই অন্য ফ্ল্যাটে এবং এখন যেটায় থাকি সেটাও কোন অংশে খারাপ না তার পরেও মাঝে মাঝে সেই বাসাটাই আমার স্বপ্নে আসে! হ্যাঁ আমার শৈশবের একটা অংশ এবং কৈশর পার করেছি ঐ বাসায় তবে এমন না আমি খুব কল্পনা করি সেটা নিয়ে। মানুষ বলে যা মানুষ ভাবে তাই রাতে ঘুমের মাঝে দেখে, কিন্তু আমি তো ভাবি না! সেই অন্ধকার বাসা, সেই বারান্দা, বারান্দায় বেঞ্চ পাতা, ফুলের টব, রোদ না পড়ায় ধুকে ধুকে কোন মতে টিকে থাকা গাছ সব দেখতে পাই আমি! কেবল ঢাকার এই বাসা-ই না আমি আমার গ্রামের বাড়ীও দেখি।
আমি দেখতে পাই গ্রামের বাড়ীতে আমার দাদার আমলের পুরনো বাড়ীটা, যেটার অস্তিত্ব আর নেই এখন। আমাদের ঘর সেখান থাকে ভেংগে নিয়ে নতুন জায়গায় করা হয় প্রায় ১২-১৩ বছর আগে। নতুন বাড়ীটা সব দিক দিয়ে অনেক সুন্দর তার পরেও আমার কোন ঘুমের মাঝে একটা বারের জন্যে এই বাড়ীটা দেখেছি কিনা সন্দেহ আছে অথচ অসংখ্যবার পুরনো সেই বাড়ী এসেছে আমার সামনে। অতি সম্প্রতি ছোট চাচা সেই বাড়ী ভেংগে নতুন করে বাড়ী করেন। কোন-ই অস্তিত্ব নেই সেটার আর। আমার ভেতরটা হাহাকার করে সেই বাড়ীর জন্যে। সেই উঠোন, সেই জোড়া রান্নাঘর, বাড়ীর সামনে রাস্তার পরেই আকাশ ছোঁয়া জোড়া শিমুল গাছ, তার পরেই পুকুর পেরিয়ে গাছের বাগান যেখানে দিনের বেলায়ও ভুতুরে গা ছমছমে পরিবেশ থাকে। এত মোটা মোটা কড়ই গাছ যা একজন মানুষ দুই হাতে বেড় পেতো না। কোথায় গেল সেসব! কিচ্ছু নেই, কিচ্ছু না। ঢাকা থেকে বাড়ীতে গেলে রাস্তার পাশে সেই জোড়া শিমুল গাছের নিচে ঝাড়ু, টুকরী দেখলে বুঝতাম আমার দাদু এখানে এসেছেন জ্বালানী পাতা নেওয়ার জন্যে। ছোট খাটো মানুষটাকে ভাল করে খেয়াল না করলে দেখাই যেতো না যে এখানে আছে কোথাও! সেই মানুষটাও নেই। না ফেরার দেশে চলে গেছেন আজকের এই দিনে ৪ বছর আগে। আমি পেছনে তাকাতে চাই না কিন্তু এই বাড়ীটা আমাকে পেছন থেকে টেনে ধরে! সেই উঠোন, রাতে যেখানে দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি করে জ্বলা তারা দেখতাম এখনো আমার চোখে সেই দৃশ্য ভাসে। শিমুল গাছের মাথা দেখতে হলে আকাশের দিকে তাকিয়ে আমাকে প্রায় চিত হয়ে যেতে হতো! এত্ত বড় গাছ, আাকাশে তারাদের সাথে গলপ করতো সেই গাছের ডাল-পাতা!
তাহলে যে বলি পেছনে তাকানোর সময় নেই, এইযে পেছনে কতদূর তাকালাম, প্রায়-ই তাকাই, কত সময় নষ্ট করি!
পেছনে তাকানোর অভ্যাস না থাকলে এই ব্লগেই ত আসতাম না! তাও যেখানে আমার নামে মিথ্যা বদনাম উঠেছে তা জানার পরেও সেখানে আসার প্রশ্নই আসে না। স্বাভাবিক ভাবে ভাবলে না আসাটাই উচিত ছিল। আমি সব সময় বলে এসেছি এই ব্লগ থেকে আমি অনেক পেয়েছি। বড় আপু-ভাইয়াসম অনেক মানুষ, যারা আমাকে যথেষ্ট আদর ভালবাসাই দিয়েছেন, পরামর্শ, উপদেশ দিয়েছেন প্রয়োজনে। পাওয়াটা এত বড় ছিল যে যেটুকু ক্ষতি হয়েছে সেটা কখনো উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করিনি। তবে ইদানিং নতুন করে ভাবতে হয়েছে। আমি কারো সাথে কোন প্রকার দন্দ্ব-বিবাদে জড়াইনি আমার জানা মতে কোন শত্রু ছিল না। কিন্তু আমার নামেই এমন কিছু কথা উঠেছে, চলে এসেছে যা আমার কাছে অত্যাশ্চর্য লেগেছে!
আমি জামায়াত শিবির করি ! আমি ব্লগের-ই কারো সাথে প্রেম করি! এমনকি আমি দিল্লিকা লাড্ডু খেয়ে ফেলেছি মানে আমি বিয়ে করেছি !
আমিতো কোন সেলিব্রেটি না যে আমার নামে গুজব উঠবে! গুজব তো সেলিব্রেটিদের নামে উঠে! আমি ভেবেই পাইনি কেন এসব উঠেছে আমার নামে!
যেই নীলু(পছন্দের এই নামটাও ব্লগ থেকেই পাওয়া) ভাবত এখানে কেবল-ই তার ভাই-বেরাদার, আপু-সিস্টারতুল্য মানুষ আছে তারাই এসব কথা ছড়িয়েছেন!
যারা এসব বলেছেন, ছড়িয়েছেন কিসের ভিত্তিতে ছড়িয়েছেন জানিনা, কোন রাজনৈতিক ক্যাচালের পোষ্টে কমেন্ট করিনি, ব্যক্তিগত ভাবে কারো পক্ষ নেইনি। কারো কোন ক্ষতি করেছি বলে মনে পড়েনা। তবে আমার নামে কিসের ভিত্তিতে এসব উঠল ভেবেই পাইনি। সম্মানিত ভাই-বেরাদার, কী লাভ হয়েছে আপনাদের এসব ছড়িয়ে? আমার তো তেমন ক্ষতিও হয়নি, তবে একটা মানুষের নামে মিথ্যা ছড়ানো ঠিক না এই টুকু জ্ঞান আপনাদের নেই এটা আমার মানতে কষ্ট হচ্ছে!
পেছনে ফিরতে না চাইলেও মাঝে মাঝে ফিরতে হয়। ব্লগে আমার পেছনের ভাল সময়টাই মনে করবো। তবে যারা আমার পেছনে এসব কথা রটিয়েছেন আমার মনে হয় না সামনে এসে বলার মুখ আছে আপনাদের। ভাল থাকবেন আপনারা। চোগলখোরী করবেন না।
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: ফিরি না খুব একটা...তার পরেও মাঝে মাঝে...
ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৩
কানিজ রিনা বলেছেন: আপনি সত্যি হলে মিথ্যায় কোনও এসে যায়
না। যে মিথ্যায় কাঁদায় সে একদিন নিজেও
কাঁদবে।
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: এসে যায় না ঠিক। তবে আমার ধারনায়-ই ছিলনা এরকম কিছু আমার নামে উঠতে পারে! তাই বেশ অবাক হয়েছিলাম।
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪০
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: আর হ্যাপী! না আছে সেই দিন , না আছে সেই বয়স।
আপনার পদচারনাও আছে এই পাড়ায় এখনো?
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫১
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন: লেখালেখি বন্ধ আর পোষ্টও করি না। মাঝেমধ্যে ভূত জাগে তাই ড্রাফটে রাখা লেখাগুলো পড়তে আসি। আজকেও সেইরকম কিছুই করতে এসে দেখি আপনার পোষ্ট! ভাবলাম রান্নাবান্না বিষয়ক কিছু কিন্তু দেখি জগাখিচুড়ি
২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০
নীল-দর্পণ বলেছেন: জগাখিচুড়ি মজা না?
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফিরে আসার শুভেচ্ছা
২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১
নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩২
ক্লে ডল বলেছেন: ওয়েলকাম!!
পিছু তাকালে ত সামনে চলার সময় নষ্ট হয়ে যাবে।
২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২
নীল-দর্পণ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
থ্যাংক্যু আপু
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৯
শুকনা মরিচ বলেছেন: অনেকদিন ব্লগে আসিনি । মনে হচ্ছে কতো কিছু হয়ে গেছে ?
তুমি কেমন আছো নীলু ? তোমাকে তো নীলু নামেই ডাকতাম তাইনা ?
নাকি নীল বলতাম ?
২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: মরিচ আপাআআ কেমন আছেন? বাবু ভাল আছে নিশ্চই আপনার? আদর দেবেন ওকে।
আমাকে নীলু-ই ডাকতেন। আমারও আজকাল নিয়মিত আসা হয়না ব্লগে। কী সুন্দর দিন ছিল! জাবর কেটেই যেতে হবে বাকী জীবন, সেই দিন আর ফিরে আবে না
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
বিজন রয় বলেছেন: ভাল আছেন?
নতুন পোস্ট দিন এবার।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: জ্বি আলহামদুীল্লাহ ভাল আছি।
আপনিও ভাল আছেন নিশ্চই?
নতুন পোষ্ট...দিবো হয়ত, মাথায় আসুক টপিক ।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্যে।
৯| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম অনুচ্ছেদটা খুবই প্রেরণাদায়ক! এখান থেকে অনেকেই নিজের কিছু সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পারেন। তার পরের অনুচ্ছেদে গ্রামের বাড়ির বর্ণনাটাও ভালোই লাগছিল, বিশেষ করে অত্যুচ্চ জোড়া শিমুল গাছের বর্ণনাটা। কিন্তু তারপরের অনুচ্ছেদগুলো পড়ে খারাপ লাগলো।
ভালো মন্দের মিশেলেই আমাদের সমাজ। এ পোস্টের পরেও গত পাঁচ বছর ধরে সুখে দুঃখে ব্লগিং করে চলেছেন, এটাই প্রমাণ করে আপনি জয়ী হয়েছেন। তাই পেছনে ফিরে তাকাবার প্রয়োজন নেই। এগিয়ে চলুন!!!
১৬ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:২৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনি যে খুঁজে খুঁজে আগের লেখাগুলো পড়েন এবং সব সময় খুব বিস্তারিত মন্তব্য করেন এটা খুবই ভালো লাগে। মনযোগ দিয়ে পড়েন এটাই তার প্রমান। লেখকের জন্যে পরবর্তী লেখায় খুব প্রেরণাদায়ক।
ছোট্ট টুনটুনি আর বাবুই পাখি দুটোকে নিয়ে নিশ্চই সুন্দর সময় কাটছে। আল্লাহ ভালো রাখুক, সুস্থ রাখুক আপনাকে ও আপনার পরিবারকে
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: পেছনে ফেরার দরকার নাই সামনে চলতে থাকেন।