নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।
আজ বইমেলায় দ্বিতীয় শিশু প্রহর ছিল। এক স্টলের সামনে, মা বাচ্চার জন্যে বই কিনলেন। স্টলের ভেতর থেকে এক মেয়ে হৈ হৈ করছে এই বইয়ের লেখিকা অটোগ্রাফ দিবে, ভেতর থেকে একটা কলম দেন হ্যানো ত্যানো বলে। বই নেওয়ার পরে মা মেয়েকে বলছেন, "তুমি এই বইয়ে লেখিকার নাম জানতে চাও? জিজ্ঞেস করো উনাকে" । বাচ্চার দেখলাম কোন আগ্রহ নাই বা আনইজি ফিল করছে। মায়ের উচ্ছাস তাকে ছুঁতে পারেনি। বইয়ের লেখক, লেখিকাকে সামনে পেলে যে আনন্দ বা অনুভূতি তা বোঝার বয়স এখনো হয়নি মেয়ের।
আমি সাধারনত বই মেলায় শনিবার সকালে যাই, ঐদিন থাকে সপ্তাহের দ্বিতীয় শিশু প্রহর। অনেক বাবা মা তাদের বাচ্চাদের সাথে করে আসেন, ঘুরে ঘুরে বই কিনে দেন। দেখতে খুব ভাল লাগে।
**********************
এক স্টলের সামনে দাড়িয়ে আছি। এক মেয়ে (আমার বয়সী বা একটু বেশী হবে), ফোকগীতি বা লোকগীতি এই ধরনের একটি বই নাড়ছে। দূরে স্টলে দাড়ানো মাকে ডাকল। হয়ত শুনতে পায়নি, বাবা বলছেন, "খুকুর মা খুকু ডাকে তোমাকে" । ভদ্র লোক স্ত্রীকে যেভাবে ডাকলেন, এত ভাল লাগল শুনতে, এখনো আমার কানে বাজছে!
ভদ্রমহিলা কাছে আসতে মেয়ে হাতের বইটি দেখালে চেহারায় উজ্জল, আকর্ণ হাসি ফুটে উঠল। মেয়ে বলল এজন্যেই তোমাকে ডেকেছি।
মা কারো নাম করে বললেন সে মনে হয় বইটি তাকে গিফট করেছে। মেয়ে আবারো বলল ভাল করে মনে করতে। না থাকলে যাতে কিনে নেয়। আমি স্টলে দাড়াইনি, চলার মাঝেই পুরো ব্যাপারটি দেখে মনে গেঁথে গেছে। যা বুঝলাম পুরো পরিবার এসেছে মেলায়, এবং যা বুঝলাম বাবা মা শুধু ছেলে মেয়ের বায়না রাখার জন্যে বা ঘোরার জন্যেই আসেননি। তারাও পড়ুয়া। খুব ভাল লেগেছে দেখে।
***********************
এবার মেলায় যাওয়ার তেমন ইচ্ছে ছিলনা আর গেলেও হয়ত শেষ দিকে যেতাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকের নিউজফিডে ২জনের মেলায় ঘোরার ছবি, কাহিনী দেখে মনটা কেমন কেমন জানি করল। তার পরে কলেজে গিয়ে দেখি যেই কাজে গিয়েছি তা হবে না। একা মেলায় যাবো, যাবো কী যাবোনা ভাবতে ভাবতে বাসার জন্যে রওনা দিয়েও এক রিক্সা ডেকে টিএসসির জন্যে উঠে পড়লাম।
উপলব্ধি: একা ঘোরার জন্যে বইমেলা চমৎকার একটি জায়গা । নিস্বঃঙতা বা বিরক্তি আসবেনা ঘুরতে ঘুরতে। আর যদি ব্যাগে পর্যাপ্ত টাকা থাকে তাহলে ত কথাই নাই।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা
ধন্যবাদ ভাই
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
সুমন কর বলেছেন: যাক ভালো, তবুও ঘুরে এসেছেন....
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: হ্যাঁ, তাও শেষ মুহুর্তে গিয়েছিলাম।
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৯
ভারসাম্য বলেছেন: আপনার ব্যাগে টাকা ছিল না? খালি ঘোরাঘুরির কথা, বই কেনার কথা নাই! টাকা মনে হয় সব অখাদ্য-কুখাদ্য বানাবার পেছনেই ঢালছেন।
এরপর গেলে আর ব্যাগে টাকা না থাকলে বলবেন।
লেখাটা অবশ্য অনেক ভাল লেগেছে, তবে আরও লম্বা করা যেত। শুভকামনা।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: হাহা অখাদ্য কুখাদ্য ! খারাপ বলেননি। আমার মান ইজ্জত যেইটুকু বাকী ছিল ঐ হতচ্ছড়া বাক্সটা সব ডুবিয়ে দিচ্ছে। চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে না ডোবে।
টাকা না থাকলে কাকে বলবো?
বই কিনেছি, তবে আশা করছি এখনো কেনা বাকী, তাই মেলা শেষে একবারেই বইয়ের কথা বলবো।
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৬
সায়েম মুন বলেছেন: শুধু অন্যের কাহিনী দেখলেন। কিছু বই টই কিনলেন না বা বাদাম টাদাম খেলেন না! বুঝেছি লেখক/ সাহিত্যিক হকারদের ভাতে মারবেন আপনি।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০
নীল-দর্পণ বলেছেন: আহা মুন ভাইয়া আপনার যা কথা ! নিজে বাদাম কিনে খেলে পুষ্টি কম পাওয়া যায়। অন্য কেউ খাওয়ালে ভাল। আহা এই গেবনে আর কেউ বাদাম কিনে, ছিলে দিল না
বই কিনছি কয়েকটা কিন্তু আরো একদিন মেলায় যাওয়ার ইচ্ছা আছে তাই একসাথেই পোষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে
৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:০৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: মনে পড়ে, ২০১১ সালে সম্ভবতঃ, আমি কাকলী প্রকাশনীর স্টলের ভেতরে ছিলাম, হঠাৎ নেকাব ওয়ালী লম্বা এক মেয়ে এসে শামসীরের "শেকলে বাধা ময়না" বইটা চাইল আর সেটা ছিলেন আপনি !
দেশের বাইরে থাকায় বেশ কয়েক বছর বই মেলায় যেতে পারি না ...
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা আমি কিন্তু চিনি নাই আপনাকে।
দোয়া করি সামনের বছর যাতে সুযোগ হয় মেলায় আসার
৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪২
আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন: নিলু আমার মনে হচ্ছে আমি কত বছর যাই না... শেষ ২০১৩ তে গিয়েছিলাম।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: পরেরবার মেলা সামনে করে আসবেন ভাইয়া
৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৯
রিকতা মুখাজীর্র্ বলেছেন: আমি ভারতীয় তাই বাংলাদেশের বইমেলাই যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও হয়ে ওঠেনি,তবে একা একা বইমেলা আমারও ভালো লাগে,আশা করি ওখানকার বইমেলা আরো ভালো হ্য় যাবো কোনোসময় সুঅগ এলে,এই লেখা টা খুব ভালো লাগল।
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: অবশ্যই কোন এক ফেব্রুয়ারিতে চলে আসবেন আমাদের বই মেলায়। ভাল লাগবে আশা করি।
ভাল থাকবেন অনেক অনেক
৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১১
জুন বলেছেন: ২০১৭ তেও কি তাই করলেন নীল-দর্পন
ভালোলাগলো লেখাটি গত বছরের হলেও।
+
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: নাহ ২০১৭তে ২দিন গিয়েছিলাম। মেলার উদ্দেশ্যেই।
একদিন বান্ধবী ছিল সাথে আর একদিন মামাত বোন। বোনকে নিয়ে গিয়ে ত সেই মজার কাহিনী। খোলার আগেই চলে গেছি। পরে লম্বাআআআ লাইন দিয়ে ঢুকতে পারলাম। এইবার বোনকে বলি বই পছন্দ করতে তার কোন বই পছন্দ হয়না। শেষমেষ দেখি আরণ্যক হাতে নিয়ে বলে এটা নিবে ! (ক্লাস টেনে পড়ে) ওর বয়সে এসব বই চিনতাম কিনা আল্লাহ জানেন! বললাম এই বই আমাদের বাসায় আছে।
পরে জিজ্ঞেস করে শুনি ওদের স্কুল থেকে বলেছে এই বই কিনে স্কুলের লাইব্রেরীতে দিতে।
শেষে ঘুরেটুরে ওর জন্যে ভুতের বই, আরো ছোট দুই বোনের জন্যে ছবি, গল্পের বই কিনে মজা করে খেয়ে দেয়ে বাসায় আসি।
বাসায় এসে আরেক মজা। গেট থেকেই আমাদের দেখে কেজি পড়ুয়া বোনটা চিৎকার দিয়ে বলে "আমার জন্যে বই আনলি না কেনওওও" (ওকে যাওয়ার সময় বলিনি যে মেলায় যাচ্ছি, তাই রাগ) । তপ্ত রাগে ঘি ঢেলে দিয়ে আমার সাথে যাওয়া বোনটা বলে "সাদিয়া টিভি খুলে দেখ আমাদের আজকে টিভিতে দেখাবে" শুনে ত শুরু হল একপ্রকার হাউমাউ করে কান্না।
ভেবেছিলাম মেলায়-ই যাওয়া হবেনা, শেষে ত গেলাম-ই সাথে এত্তগুলা মজা।
লিখেই ফেললাম মেলার কাহিনী।
৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাসার পথে হাঁটা দিয়ে বই মেলায় চলে যাওয়া এবং তার পরের ঘটনাগুলো আর তার বর্ণনা চমৎকার হয়েছে। কয়েকটা মন্তব্যও বেশ হয়েছে।
পোস্টে চতুর্থ প্লাস। + +
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যের ফলে আমিও ৮বছর আগের মেলায় চলে গেলাম, এখন যেতে না পারি তো কী হয়েছ! আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭
রাজ বিদ বলেছেন: রীতিমত অনুভূতির একটা প্যাকেজ।
অপেক্ষায় আছি এই প্যাকেজের।।