নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।
বারান্দায় দাড়িয়ে আছি। শেষ বিকেলে গলির মাথায় পাড়ার বাচ্চাদের হৈ হৈ, কলকাকলি দেখতে খুব ভাল লাগে। বাচ্চাদের হৈ হৈ এবং পাখির কিচিরমিচির মন দিয়ে শুনতে পারলে খুব ভাল লাগে যদিও নিজেকে তখন খুব একা লাগে কেন যেনো! কোথা থেকে যেনো হুট করে একটা গন্ধ নাকে আসল। খুব পরিচিত লাগছে কিন্তু বুঝতে পারছিনা কিসের। স্মৃতির পাতা হাতড়াতে হাতড়াতে হঠাত মনে হল এতো আমার সেই ছোট্ট বেলার পুতুলের বাক্সের গন্ধ!
বাসায় জুতা অথবা মিষ্টি আনা হলে ভাল বাক্সটা রেখে দিতাম পুতুলের ঘর বানাতে। বান্ধবীদের মত আমার বাক্স অত সম্র্বদ্ধ ছিল না। আমার যেখানে ছিল এক বা দুইটা পুতুল আর দুই চারটা শাড়ী ওদের সেখানে ছিল একাধিক পুতুল। জামাই-বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে ছিল ওদের বাক্সের সংসার। ওদের সংসারে খাট-পালংক, সবুজ পান্না-চুনি কী না ছিল। এক জনের কাছে সবুজ রংয়ের একটা কাচের পাথড় ছিল। আমার যে কী দুখ ছিল আমার ওরকম সবুজ পান্না ছিলনা বলে!
একটা মেয়ে পুতুল নিয়েই আমার সংসার ছিল। ফলে আমার বান্ধবী আমাকে এও বলত "তোমার পুতুল কি বিয়ে করবেনা? সারা জীবন হিমু হয়ে থাকবে!" এই হিমু কাহিনীটা অনেক পরে জেনেছি। তখন জানতাম বিয়ে না করলে বুঝি তাকে হিমু বলে!
-----------------------
কোন মানে হয়না এত বছর পর এসব মনে পড়ে নস্টালজিক হওয়ার!
★★★★★★★★★★
বারান্দায় রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছি। রেলিং ধরে দাড়ালে মনে হয় জেলখানায় আছি। এই কংক্রিটের শহরটা জেলখানার চাইতে ভাল কিছু মনেও হয়না। এক-দেড় হাত চওড়া বারান্দাটার উত্তর-পশ্চিম কোনাটা আমার খুব পছন্দ। শীত আসি আসি করছে এমন এক বিকেলে দাঁড়িয়ে আছি। নাকে এল খড়-কুটোয় মিশ্রিত এক গন্ধ। এই শহরে কোথা থেকে আসে এই গন্ধ! নাকি কেবলই আমার অবচেতন মনের কল্পনা!
★★★★★★★★
আমার বিছানার সাথে পশ্চিমের খোলা জানালার পাশে বসলে কিছুদিন পরেই নাকে আসবে বসন্তের ফসলের মাঠের ঘ্রান।
শীতের খড়-কুটোর গন্ধ, বসন্তের ফসলী মাঠের গন্ধ, চৈত্রের কালবৈশাখী বা প্রথম ব্রষ্টির গন্ধ আমাকে আমার শহুরে বন্দী জীবনে গ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয়। জন্মের পর থেকে এই শহরে বড় হলেও কেন শহুরে জীবন এত অসহ্য!!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩১
নীল-দর্পণ বলেছেন: নাগরিক এই জীবন কবে শেষ হবে, আদৌ হবে কিনা কে জানে....
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: প্রথমেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
এক জনের কাছে সবুজ রংয়ের একটা কাচের পাথড় ছিল। আমার যে কী দুখ ছিল আমার ওরকম সবুজ পান্না ছিলনা বলে!
এরকম কষ্ট কম বেশি কিন্তু সবারই ছিল। আমার সবসময়ই নিজের গায়ের জামা থেকে অন্যের গায়েরটা পছন্দ হতো।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
নীল-দর্পণ বলেছেন: আর বইলেন্না ভাই। সেই সবুজ পান্নাটা এখনো চোখের সামনে ভাসে
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫
ফেলুদার তোপসে বলেছেন: চেষ্টা করলেও অনেক কিছুই সরিয়ে রাখা যায়না, বিভিন্ন ঘটনায় ভরা একের পর এক দিন, অনেক কিছুই জমে উঠেছে আবার অনেক কিছুই গলে গলে যাচ্ছে।
খুব ভালো লাগল লেখাটা।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩
জুন বলেছেন: নীল-দর্পন এমনি পুরনো কিছু গন্ধ শব্দ আমাকেও মাঝে মাঝে আনমনা করে তোলে । মাটির সোঁদা গন্ধ , বাতাসে মর মর করে শব্দ তুলে ঝরা পাতার এদিক ওদিক ছোটাছুটি , কিম্বা উচু উচু তাল গাছের পাতায় বয়ে যাওয়া বাতাসের শর শর শব্দ , মাটির পথে চলতে গেলে দু পাশের ঝোপ থেকে ভেসে আসা বুনো লতার গন্ধ । সত্যি মন কেমন করে যায়।
অনেক অনেক ভালোলাগলো আপনার স্মৃতিচারণ ।
+
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমার সৌভাগ্য যে এখনো আমি বছরে দু-চারবার গ্রামে যেতে পারি
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে
৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জন্মের পর থেকে এই শহরে বড় হলেও কেন শহুরে জীবন এত অসহ্য!! সত্য বলেছেন।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল। ভালো কাটুক প্রতিটি ক্ষণ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: দেরীতে হলেও আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা
৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭
লালপরী বলেছেন: ২০১৬ সালের শুভেচ্ছা আপু
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনাকেও অনেকগুলো লাল গোলাপের শুভেচ্ছা লালপরী আপু
৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল-দর্পণ ,
খন্ড খন্ড সময়ের গন্ধ বিলাস । এই পোড়ার শহুরে জীবনে একচিলতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে এক চিলতে গন্ধহীন আকাশই দেখা যায় শুধু । চোখে সয়ে যায় , মনের চোখে তৃষ্ণা লেগেই থাকে ।
ঋতুর কথা উঠলো যখন , তখন আপনার কেন অনেকেরই আপনার মতো মনখানা উদাস হয়ে যায় গাঁও-গেরামের কথা মনে করে ।
প্রাসঙ্গিক বলে নীচের পোষ্টখানা দেখতে বলি । এক চিলতে নয়, দিগন্তের দেখা পাবেন ---
পালাবদলের দিন .....শীত তুমি কি, বড় জানতে ইচ্ছে করে
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: সত্যিই মন কেমন যেনো করে মাঝে মাঝে!
৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
আজমান আন্দালিব বলেছেন: বন্দী জীবন ...উচাটন মন...এই নিয়েইতো জীবন।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: বন্দী জীবন ...উচাটন মন...এই নিয়েইতো জীবন। খুব ভাল বলেছেন
৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২২
সুমন কর বলেছেন: জন্মের পর থেকে এই শহরে বড় হলেও কেন শহুরে জীবন এত অসহ্য!! -- তাই মনে হয় !!
লেখা ভালো লাগল।
নতুন ইংরেজি বছরের শুভেচ্ছা রইলো।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্যেও
১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পুরানো সেই দিনের কথা, সে কী ভোলা যায় ?
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: সত্যিই ভোলা যায় না।
আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা
১১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৮
রুদ্র জাহেদ বলেছেন:
শীতের খড়-কুটোর গন্ধ, বসন্তের ফসলী মাঠের গন্ধ, চৈত্রের কালবৈশাখী বা প্রথম
ব্রষ্টির গন্ধ আমাকে আমার শহুরে বন্দী জীবনে গ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয়।
জন্মের পর থেকে এই শহরে বড় হলেও কেন শহুরে জীবন এত অসহ্য!!
সত্যি শহুরে জীবন অসহ্য! লেখা বেশ ভালো লাগল
নতুন বছরের শুভেচ্ছা
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২
নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৬
গাধা মানব বলেছেন: গ্রামের সোদা মাটির গন্ধের কোন তুলনাই হয় না।
অনেক ভাল লাগল লিখা।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: সত্যিই, সোঁদা মাটির গন্ধ...আহহহ....
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কি সুন্দর করে লিখেছেন মন ছুয়ে গেল
শুভ কামনা
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্যেও ।
ভাল থাকবেন অনেক
১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
পুটু বলেছেন:
লিখাগুলো অতীতকে মনে করিয়ে দেয়। আগের দিনগুলো কত সুন্দর ছিল। এত অর্থ নিয়ে ভাবনায় বিভোর থাকতে হত না। বাবার হোটেল কি যে মজার তার অভাব সময়ে বলে দিল।
লিখাগুলো ভাল , লিখার মালা গেঁথেছেন সুন্দর।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, আগের দিনগুলো অনেক সুন্দর ছিল।
অনেক ধন্যবাদ
১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটা পড়ে আপনার ঘ্রাণশক্তি খুবই প্রখর বলে মনে হচ্ছে!
এই সব শীতের বিকেলে আমিও মাঝে মাঝে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রাস্তার উপর ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ব্যাডমিন্টন খেলা দেখি। সন্ধ্যার প্রাক্কালে পাখিদের নীড়ে ফিরে আসা দেখি।
পোস্টে নবম প্লাস। + +
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫২
নীল-দর্পণ বলেছেন: ঘ্রাণশক্তি প্রবল কিনা জানি না তবে আমি খুব স্মৃতিকাতর। আমার গ্রামে কাটানো সময়গুলো অসাধারন ছিল তা এখন বুঝি, খুব মিস করি সে সময়কে। বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা পদ্মাসেতু চালু হবার পরে একদিনের কথা, আমাদের এক রুমের জানলা খোলার সাথে সাথে এক ঝটকায় একটা ঘ্রাণ নাকে এলো, কিছু সময় বুঝতে পারিনি কীসের ঘ্রাণ। পরে মনে হল আগে লঞ্চ, ফেরিতে চড়ে নদী পাড় হতে গেলে নদীর মাঝে পেতাম এই ঘ্রাণ!
প্রতিটা স্মৃতি আমার কাছে তো উজ্জল হয়ে থাকেই বাড়তি হিসেবে আমি সেই সময়ের ঘ্রাণ পাই!
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৯
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন:
শীতের খড়-কুটোর গন্ধ, বসন্তের ফসলী মাঠের গন্ধ, চৈত্রের কালবৈশাখী বা প্রথম ব্রষ্টির গন্ধ আমাকে আমার শহুরে বন্দী জীবনে গ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয়।
আমাকেও মনে করিয়ে দেয়। নাগরিক জীবনের ব্যাস্ততা শুধু সময় দেয়না।