নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।
আমি পুরনো দিনে ফিরে যেতে চাই না, ফিরে পেতেও চাই না তেমন কিন্তু সেই সব দিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে খুব পছন্দ করি। মাঝে মাঝেই বসে সেসব দিনের কথা ভাবি। ইচ্ছে মতন বিচরন করে আসি সেই জগতে। মাঝে মাঝেই আমি ভাবি আমার স্কুল লাইফের কিছু সহপাঠীর কথা। ভাবি..
সানি'র কথা: ধবধবে ফর্সা গায়ের রং, টকটকে লাল ঠোঁট জোড়া ছিল তার। দুপুরে আমাদের বাসায় আসলে দুজনে খেলতাম। কোথায় আছে মেয়েটা এখন, কেমন আছে। হয়ত বিয়ে হয়েছে, বাচ্চার মা হয়েছে। ওর কী মনে আছে আমার কথা....কে জানে.....
প্রেমা'র কথাও ভাবি মাঝে মাঝে, সানির মতই ছিল অনেকটা। ছোট্ট খাটো মেয়েটা। খুব সম্ভবত ক্লাশ টু-তে পড়তাম তখন। একদিন ক্লাশে হৈচৈ পড়ে গেল গন্ধে। আবিষ্কার হল টয়লেট চেপে ছিল, কোন কারনে বাথরুমে যেতে না পেরে প্রেমা ক্লাশেই বড় টয়লেট করে দিয়েছে। । ওর কী মনে আছে এখনো এসব কথা...
ইমনে'র কথা আগেও ব্লগে লিখেছিলাম। ওর দেওয়া সুতার লাল পুতুলটার মিস করি। মাঝে মাঝে মনে হয় পুতুলটা না হারালেও হতো। ইমন এখন জেন্টল ম্যান হয়ে গেছে নিশ্চই। ক্লাস ওয়ানের সেই বন্ধুর কথা নিশ্চই ওর মনে নেই এখন। না থাকাটাই স্বাভাবিক। আমার মতন বেকার ক'জনাই আছে!!
মামুন নামে একটা ছেলে ছিল, মোটুসোটু ছেলেটা আমাকে এত্ত এত্ত স্টিকার দিত। এখন কখনো দেখা হলে জিজ্ঞেস করতাম সেই কথা ওর মনে আছে কিনা। বলতাম এক পাতা স্টিকার দিতে।
তাপসী, ছোট খাটো মোটু মেয়েটা, রাগলে যাকে ভুটকী বলতাম আর ও রেগে যেতো তাও কেন যেনো অনেক খাতির ছিল ওর সাথে। অনেক দিন আগে শুনেছিলাম বিয়ে হয়েছে ওর। কেমন আছে, কেমন হয়েছে কে জানে। দু'একবার ওদের বাসায় গিয়েছিলাম এখনো সেখানে আছে কিনা, আর আমিও বাসা ঠিক খুজে পাবো না তাই মাঝে মাঝে ইচ্ছে করলেও খোজ নিতে পারিনা।
শাকেরা মেয়েটা আমার এক বছরের জুনিয়র ছিল। এক টিচারের বাসায় এক সাথে পড়তাম সেখান থেকে সখ্যতা হয়েছিল দুজনের। কত্ত দুষ্টুমি যে করতাম দুজন মিলে, ও ছিল পাজির পা ঝাড়া। দুজনে পড়তে গিয়ে একদিন বের করলাম "মুলা খেলে পাদ হয়" এটার আরবী কী সেটা জানতে হবে আমাদের। কীভাবে করি কীভাবে করি ভেবেই পাচ্ছিলাম না। টিচারকে তো আর পুরো বাক্য লিখে বলা যায় না যে এটার আরবী করে দেন। শেষে দুজনে ঠিক করে মুলা আরবী জানলাম। আবার বাকী পাদ। কী করি কী ভাবেই পাচ্ছিলাম না। শেষে দুজনে বের করলাম পাদ হয়ে বাযু সুতরাং বায়ু আরবীটা জানলেই চলবে। তাই করেছিলাম। এখনো খুব হাসি ঘটনাটা মনে করে। । শুনেছি ইন্টার পাশ করার আগেই বিয়ে হয়ে গেছে মেয়েটার। ভাল থাকুক, খুব ভাল থাকুক মেয়েটা।
আরো কত কত মানুষের কথা যে মনে পড়ে। সবাই খুব ভাল থাকুক নিজ নিজ অবস্থান থেকে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: সত্যিই নাই, না? হলে বলবেন আমার কথা
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৬
যোগী বলেছেন: আপনিও বলবেন, সানি আর প্রেমার যদি বিয়ে না হয়ে থাকে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা। কী বলবো?
আপনিতো যোগী মানুষ সুবিধার না
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩০
যোগী বলেছেন: কেও বললে যোগী আর থাকবো না ভাবছি।
অ.ট. আপনার দেশের বাড়ির ভাষাটা আমার কাছে অনেক চেনা চেনা লাগে। ব্লগে সেটা বলা ঠিক হবেনা।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: পদ্মার ওপারেই দক্ষিনবংগের এক জেলায় আমার বাড়ী
৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:১১
চানাচুর বলেছেন: হেই নিলু তুমি এখনও বেচে আছ! পুরান ব্লগাররা অধিকাংশ মরে ভূত এখন! আমি ভেবেছিলাম আমি একাই বেচে আছি কিন্তু না তুমিও আছ!
২৪ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: হাহা আমিও ত ভাবছিলাম আমিই আছি
৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১৮
যোগী বলেছেন:
ওকে, আমার আন্দাজটা ভুল ছিল
২৪ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
নীল-দর্পণ বলেছেন:
৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:২১
মুরশীদ বলেছেন: ছোটবেলার স্মৃতি ভালোলাগলো
২৪ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
নীল-দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
সুমন কর বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ এবং অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম।
জানি না আপনার বয়স কেমন, ক্লাস ওয়ান-টু'র কথা আপনার মনে আছে? আমার কিন্তু মনে নেই।
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি অনার্স শেষ করলাম।
আমার ক্লাস ওয়ান-টু'র কথা পরিষ্কার মনে আছে। বিশেষ করে ওয়ানের কথা।
সাড়ে চার বছরে আমাকে ওয়ানে ভর্তি করিয়েছিলো আমার তাগাদায়। তার পরে আম্মা বসে থাকতেন আমার সাথে ক্লাসে, কান্নাকাটি করতাম বলে। আমার মারামারিও করতাম
৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কত কত মানুষের কথা যে মনে পড়ে। সবাই খুব ভাল থাকুক নিজ নিজ অবস্থান থেকে
মনে পড়ে যায় বন্ধুদের আড্ডা মুখর প্রহর
ও বন্ধু তোদের মিস করছি ভীষণ
পোস্টে +++
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২০
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি ভীষণ মিস করি
১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
শায়মা বলেছেন: আমারও মনে পড়ে
ছোট্টবেলার সাথী আমার সুফিয়া ........
তারা জানিনা আজ কোথায় ........
যেথায় মাঝির গান আমার জুড়িয়ে যেত প্রাণ
ফিরে কি পাবো না তারে........
পদ্মানদীর তীরে আমার ছোট_ট সবুজ গ্রাম আছে মনে সেই সে গায়ের নাম .......
১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
১২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
শায়মা বলেছেন: নীলুমনি তুমি আমাকে এ কি গান মনে করালে!!!!!!!!!!!!!
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
নীল-দর্পণ বলেছেন:
১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
শায়মা বলেছেন: দুপুরবেলার পাঠশালার ঐ নামতা পড়া ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে পাখি বাসা পাড়া.........
ছোট্টবেলার সেই সে দিন গুলি হারিয়ে কোথায় গেছে আজ তারা!!!!!!!!!!!!!
১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
শায়মা বলেছেন: সেই সে আমার ছোট্টবেলার খেলার সাথী কই?
ডাংগুলি আর কানা মাছি চড়ুই ভাতি কই??????????
ছোট্টবেলার জন্য আমার কষ্ট হচ্ছে নীলমনি!!!!!!!!!!!
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমার খুব একটা কষ্ট হয়না, তবে যেটুকুর জন্যে হয় ভীষণ ভাবে হয়। খুব অসহায়, অসহ্য লাগে
১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ। + +
আপনার এ পোস্টের ইমন আর মামুনের কথা পড়ে বহুদিন আগে লেখা আমার একটি ছড়া-কবিতার কথা মনে পড়ে গেল। সেটি আমি ফেসবুকে দেয়া এক যুবকের স্ট্যাটাস পড়ে লিখেছিলাম। ছেলেটি তার প্লে-গ্রুপের সাথী ঝুমানা নামে একটি মেয়ের স্মৃতিচারণ করে তার সন্ধান জানতে চেয়ে স্ট্যাটাসটি লিখেছিল। তবে তার ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ছিল উল্টো। ইমন আর মামুন যেমন আপনাকে ভালোবেসে (?) লাল পুতুল আর স্টিকার দিত, ঝুমানাও তেমনি স্কুলবিমুখ, ছিঁচকাদুনে ছেলেটাকে মায়া করে তার রোদনভরা চোখেের জল মুছিয়ে দিত। আপনি যে সময়ে এ পোস্টটি লিখেছিলেন, যুবকটিও প্রায় কাছাকাছি সময়ে তার স্ট্যাটাসটি লিখেছিল। আমার কবিতাটিও তার পরে পরেই লিখেছিলাম। সেটা আগে এ ব্লগে প্রকাশিত হয়নি; তবে আজ সেটা পোস্ট করলামঃ
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...
২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে আসলাম, সত্যিই খুব মায়াময় কাহিনী। জানেন এখনো যদি কখনো জিগাতলা যাওয়া হয় ইমনের কথা মনে পড়ে। আমার খুব ইচ্ছা হয় ছোট বেলার সাথীরা কে কোথায় আছে জানার। আবার মনে হয় থাক আমার স্মৃতিতে তারা একরকম এখন নিশ্চই অন্যরকম হয়েছে যার সাথে পরিচিত নই, তারচেয়ে স্মৃতিটাই থাকুক অমলিন।
১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট প্রকাশের প্রায় নয় বছর পর ৪৯১তম পাঠক হিসেবে এসে প্রথম লাইকটি পোস্টে রেখে গেলাম।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৫৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য দেখেই চোখ পড়লো সত্যিই তো! আর এরকম আবজাব বাচ্চা বাচ্চা লেখা কারই বা ভালো লাগবে! ছোট ছিলাম বলেই না সবাই আদর করে পড়তো। প্রথম ভালোলাগাটা খুব যতনে গ্রহন করলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০১
যোগী বলেছেন:
নাহ আপনার কোন বন্ধুর সাথে আমার আলাপ নাই