নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্ সালামু আলাইকুম্

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)

নীল-দর্পণ

নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।

নীল-দর্পণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাচ্চা শয়তানের পা মালিশে সেহরি-ই খাওয়া হলোনা :(

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৯

প্রতি রোজাতেই সেহরিতে আমাদের একদিন হুড়মুড় লাগে। সেদিন যে যে যেভাবে পারি ফল, পানি খেয়ে রোজা থাকতে হয়। এবার গত কাল বা পরশু দিন ভাবছিলাম আমাদেরতো এবার এখনো হুড়মুড় লাগলোনা। কিন্তু সেটা যে এত তাড়াতাড়িই ফলে যাবে কে ভেবেছিলো! আম্মার ফোনে এলার্ম দেওয়া থাকলেও আমি ঘুমানোর সময় আমার ফোনেও দেই যদিও আগে ওঠেন আম্মা-ই। তো গতকালও এলার্ম দিয়ে ঘুমিয়েছি। যথারিতী বেজেছে ৩টায় এবং আমি আবারো ঘুমিয়েছি ! অন্য সময় এলার্ম বন্ধ করে তাকিয়ে দেখি অন্য ঘরের লাইট জ্বলছে, তারমানে আম্মা উঠেছেন। আমি আবার চোখ বন্ধ করে থাকি ডাকের অপেক্ষায় । এটা রোজা ছাড়াও ফজর নামাজের সময় হয়। আগে টের পেলেও আম্মার ডাকের অপেক্ষায় থাকি। :P তো গতকাল দেখলাম লাইট অফ। তার মানে কেউ ওঠনি। আমি যদি উঠে ডাকি তাহলে আর এই ঘটনা হয়না। কিন্তু আমিতো ঘুমিয়ে পড়েছি আবার। |-)

আম্মা ৪.২০ মিনিট এ এসে বলেন, কীরে কী অবস্থা হইব ৪ টা ২০ বাইজা গেলো। আমি ফোন হাতে নিয়ে সময় দেখে বললাম কী আর হইবো নামাজ পইড়া ঘুমায় থাকো। বলেই আবার চোখ বন্ধ করেছি। আবার আম্মা এসে বলেন তোর ভাইতো বললো ২০ মিনিট সময় আছে তাড়াতাড়ি ওঠ। বুঝলাম তাড়াতাড়ায় মা-ছেলের মাথা গেছে। না উঠলে যা জানি খাওয়াই শুরু করে। উঠে গিয়ে এবার ভাইয়াকে বললাম বাজে চারটা বিশ বিশ মিনিট সময় থাকে কেমনে!
আসলে তাড়াহুড়া করে উঠে ৩.২০ মনে করেছে। =p~ :P । এই বার হুশ হলো।
আমাদের এত্ত হুড়মুড় এর মধ্যে আব্বা একটু নড়াচড়া দিয়ে আবার সুন্দর করে ঘুমাচ্ছিলেন। তিনি হয়ত ভেবেছেন যাক আজকের মত সেহরি খাওয়া থেকে বাঁচলাম। B-) আব্বা সেহরিতে খেতে চাননা।

শয়তানের বাচ্চা অর্থাৎ বাচ্চা শয়তান পা এমন করে টিপেছে আর মালিশ করেছে যে আরামে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম! :| কী আর করা, নামাজ পড়ে আবার ঘুম দিলাম।

গত বছরও এরকম হয়েছে সেইদিনও আম্মা সেহরির জন্যে শাক দিয়ে মাছ রান্না করেছেন। আজও তাই হয়েছিলো। টবে লাগানো মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু ও পুঁইশাক দিয়ে মাছ রান্না করেছিলেন। আর শাক দিয়ে মাছের ঝোল আমার সবারই খুব পছন্দ। কিন্তু ঐ যে কপালে না থাকলে খাবো কী করে। :(

আজকে দেখি ফ্রেন্ডে বাসায় ইফতারের দাওয়াত পেলাম। বললাম সুন্থ থাকলে যাবো। :P যাক দিন মনে হয়না খারাপ যাবেনা, আল্লাহ ভরসা। :)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কি আর করবেন, আগামী কাল সেহরিতে শাক দিয়ে মাছ খেয়েন... :)

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২০

নীল-দর্পণ বলেছেন: তাই খেতে হবে :)

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

রানা আমান বলেছেন: আমিও আজ সেহরীর সময় উঠতে পাবিনি ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২২

নীল-দর্পণ বলেছেন: কেমন গিয়েছে দিন? কষ্ট হয় না কিন্তু একদমই। আল্লাহ ই সাহায্য করেন :)

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

প্রামানিক বলেছেন: কষ্ট হবে তবে আল্লাহ চাইলে রোজা থাকতে অসুবিধা হবে না। ধন্যবাদ

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: কষ্ট হয়নি। এরকম হলে সারাদিন আরো ভাল যায় আল্লাহর রহমতে :)

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আহারে! আমি তো এই যন্ত্রনায় রাতের বেলা একবারে খেয়ে শুয়ে পড়ি। ভোররাতে কোন মতে পানি আর খেজুর খাই।

শাক দিয়া মাছের ঝোল আমারও খুব প্রিয় খাবার। তা কোন শাক দিয়া কোন মাছ?? :P :P

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমরা সন্ধ্যা রাতে খাইনা তেমন ভোররাতে খাওয়ার জন্যে ।

টবে লাগানো মিষ্টি কুমড়া শাক, পুইশাক, মিষ্টি আলু শাক। সব শাক একসাথে করে তেলাপিয়া মাছ দিয়ে :)

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: রমজান এলে যে কোন একদিন বা একাধিক দিন সেহেরীর সময় ঘুম না ভাঙ্গাটা যেন রমজানের একটা অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কমবেশি সবার বাসাতেই এই অভিজ্ঞতা হবে প্রতি রমজানে। :)

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন :P । তবে আমাদের হয় যে খেজুর, ফল কোনরকমে খেতে পারি। আজই একদম না খাওয়া। তাও ভালই গিয়েছে দিন :)

গত কালই আমরা বলছিলাম যে আইসল্যান্ডের মানুষ ২২ ঘন্টা রোজা রাখে। কীভাবে যে রাখে ওরা। আজই আল্লাহ দেখিয়ে দিলো কীভাবে রাখে :D

৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা!

১১ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: :P

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

রাবার বলেছেন: বাচ্চা শয়তান =p~

১১ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: হা, বাচ্চা যে এই জন্যে ছোট ছোট হাত দিয়ে মালিশ করেছে তাই আরাম বেশী পেয়ে ঘুমিয়েছি :P

৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হে হে হে

১১ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: হি হি হি :P

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: রমজান এলে যে কোন একদিন বা একাধিক দিন সেহেরীর সময় ঘুম না ভাঙ্গাটা যেন রমজানের একটা অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কমবেশি সবার বাসাতেই এই অভিজ্ঞতা হবে প্রতি রমজানে - একদম ঠিক কথা। তবে সৌভাগ্যবশতঃ এবারের রোজায় আমাদের একরাতেও সেহরি মিস যায় নি। দুই একদিন অবশ্য নাকে মুখে খেতে হয়েছে।

বাচ্চা শয়তানের মনে হয় পা টেপার জন্য বুড়োবুড়িকে মনে ধরেনি! :) :)

২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমাদেরও ঝামেলা হয়নি এবার, তবে ভাইয়া ভাবীর প্রায় দিনই তাড়াহুড়া লেগেছে আমর ভাতিজি ঘুম থেকে জেগে যেতো এবং ওর সাথে শুয়ে থাকতে হবে না ঘুমানো পর্যন্ত এই কারনে।

বাচ্চা শয়তানের মনে হয় পা টেপার জন্য বুড়োবুড়িকে মনে ধরেনি! :) হাহাহা যা বলেছেন =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.