নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্ সালামু আলাইকুম্

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)

নীল-দর্পণ

নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।

নীল-দর্পণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রফুল্লনীলোৎপলদলতুল্য

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

কৃষ্ণকান্তের উইল যারা পড়েছেন তারা ভাল বুঝতে পারবেন আমি কোথা থেকে বা কী লিখেছি। বঙ্কিম চন্দ্রের উপন্যস পড়ার আগে আমাকে একজন বলেছিলেন উনার রচনা খুব কঠিন, পড়তে পারবোনা আমি। যে বলেছিলেন সে খুব পড়ুয়া কিন্তু কথাটায় তেমন ভয় পাইনি। ভেবেছিলাম একজনের কাছে যা কঠিন-নিরস আরেক জনের কাছে তা সজহ-সরসও হতে পারে, অসম্ভ কিছু না। কিন্তু পড়া শুরু করে বুঝতে পারলাম কথাটা আসলে বারো আনাই সত্যি ছিল। সাধু ভাষায় লেখা বলে খুব কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু তাও হাল ছাড়িনি। হয়ত কোথাও একেবারেই বুঝিনি তাও পড়েছি, কোন কোন জায়গায় স্কিপ করে গেছি। সংকল্প ছিল পড়ব-ই। যাই হোক, যেটুকু নিয়ে এখানে বলবো সেটুকু হলো চতুর্দশ পরিচ্ছেদ

উপন্যাসের একটি চরিত্র ছিল রোহিণী। বাল্য বিধবা, যাকে এক সময় লোভে ফেলে কৃষ্ণকান্তে'র জেষ্ঠ্য ছেলে হরলাল তার-ই বাবার করা উইল চুরি করে আসল উইলের জায়গায় জাল উইল রাখতে রাজী করায়। রোহিণী উইল চুরি করলেও হরলালের হাতে দেয়নি। এক সময় বিবেকের কাছে পরাজিত হয়ে ঠিক করে যেমনি করে জাল উইল রেখে আসল উইল চুরি করেছিল তেমনি করেই আবার আসল উইল ফেরত দেবে। কিন্তু ফেরত দিতে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে যায়। এক পর্যায়ে ঠিক হয় রোহিণীকে শাস্তি দিয়ে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কৃষ্ণকান্তের ভাতিজা গোবিন্দলাল চাচার অনুমতিক্রমে রোহিণীর সঙ্গে কথা বলে তাকে কলকাতা যাওয়ার জন্যে রাজী করায়।

হতভাগিনী রোহিণী কলকাতা চলে গেলেতো কাহিনী-ই শেষ হয়ে যেতো। যাক সে আর হয়নি, কেননা রোহিণী গোবিন্দলালের প্রেমে পরে যায়। তাই কলকাতা যাওয়ার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে। গোবিন্দলাল বুঝেছিল রোহিণীর ভালবাসা তাই চেয়েছিল তাকে কলকাতা পাঠানোর, কিন্তু যাবেনা শুনে সে একটু দুঃখ-ই পায়। এই মুহুর্তে তার কিশোরী স্ত্রী ভোমরা উপস্থিত হয়ে (আমি এই কথোপকথোন টুকু দারুন উপভোগ করি। কী সহজ-সরল!) বলে,
"ভাবছ কি?"
গোবিন্দ: বল দেখি?
ভোমরা : আমার কালো রূপ।
গোবিন্দ: ইঃ-
ভোমরা ঘোরতর কোপাবিষ্ট হইয়া বলিল, "সে কি? আমায় ভাবছ না? আমি ছাড়া পৃথিবীতে তোমার অন্য চিন্তা আছে?"
গোবিন্দ: আছে না ত কি? সর্ব্বে সর্ব্বময়ী আর কি! আমি অন্য মানুষ ভাবতেছি।


কী সহজ সরল মেয়ে! কী দৃঢ় বিশ্বাস! ভোমরার জায়গায় নিজেকে দাড় করিয়ে ভেবে দেখলাম ঐ মুহুর্তে রাইগ্যা-টাইগ্যা ফায়ার হইয়া না গেলেও বিশ্বাসের ভিত একটু হলেও নড়ে যেতো! কিন্তু কম বয়সী মেয়েটার মনে ঘুনাক্ষরেও তা না এসে আরো বেশী আহ্লাদ করে স্বামীর গলা জড়িয়ে ধরে জানতে চায় অন্য কাকে ভাবছে। গোবিন্দলালের উত্তর ছিল

গোবিন্দ: কি হবে তোমায় বলিয়া?
ভ্রমর: বল না !
গোবিন্দ: তুমি রাগ করিবে।
করি করবো- বল না।
গোবিন্দ: যাও দেখগিয়া সকলের খাওয়া হল কি না।
ভ্রমর: দেখবো, এখন বল-না কে মানুষ?
গোবিন্দ: সিয়াকুল কাঁটা! রোহিণীকে ভাব্‌ছিলাম।
ভ্রমর: কেন রোহিণীকে ভাবছিলে?
গোবিন্দ: তা কি জানি?
ভ্রমর: জান-বল না।
গোবিন্দ: মানুষ কি মানুষকে ভাবে না?
ভ্রমর: না। যে যাকে ভালবাসে, সে তাকেই ভাবে, আমি তোমাকে ভাবি- তুমি আমাকে ভাব।
গোবিন্দ: তবে আমি রোহিণীকে ভালবাসি।
ভ্রমর: মিছে কথা-তুমি আমাকে ভালবাস-আর কাকেও তোমার ভালবাস্‌তে নাই- কেন রোহিণীকে ভাব্‌ছিলে বল না?

(পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিলো আমি যেনো ঠিক চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি শ্যাম বর্ণের সরলা-চপলা একটি কিশোরীকে যার কিনা সিঁথিতে মোটা সিঁদুর, হাতে সাদা-লাল মোটা শাঁখা-পলা, মাথার ঘোমটা অর্ধেক পর্যন্ত টানা, স্বামীর কাঁধের উপর নিজের দু'হাত তুলে দিয়ে মুখোমুখি হয়ে ভালবাসার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে জেরা করছে স্বামীকে) ।

গোবিন্দলাল কথা ঘোরানোর চেষ্টা করে,

গোঃ বিধবাকে মাছ খাইতে নাই, তবু তারিণীর মা মাছ খায় কেন?
ভ্রঃ তার পোড়ার মুখ, যা করতে নাই তাই করে।
গোঃ আমারও পোড়ার মুখ, যা কর্‌তে নাই তাই করি। রোহিণীকে ভালবাসি।

ধা করিয়া গোবিন্দ লালের গাল ভোমরা এক ঠোনা মারিল। বড় রাগ করিয়া বলিল, "আমি শ্রীমতী ভোমরা দাসী-আমার সাক্ষাতে মিছে কথা?"


হাসতে হাসতে শেষ মেয়েটির রাগ দেখে ।

গোবিন্দলাল হার মানিল। ভ্রমরের স্কন্ধে হস্ত আরোপিত করিয়া, প্রফুল্লনীলোৎপলদলতুল্য মধুরিমাময় তাহার মুখমন্ডল স্বকরপল্লবে গ্রহন করিয়া মৃদু অথচ গভীর, কাতর কন্ঠে গোবিন্দলাল বলিল, "মিছে কথাই ভোমরা। আমি রোহিণীকে ভালবাসিনা। রোহিণী আমায় ভালবাসে।"

এবার ভোমরার মাঝে নারী জাতির স্বভাব সুলভ অধিকার বোধটি চলে আসে। যাগগে সে আলোচনায় না যাই।

প্রফুল্লনীলোৎপলদলতুল্য শব্দটি আমি কয়েকবার পড়েও ঠিক ঠাক উচ্চারন করতে পারিনি অর্থ বোঝাতো দূরের কথা। পরে কয়েকবার আওড়ে শেষে উচ্চারন করতে পেরেছি। এটা পড়েছি গতকাল আর পুরো শব্দটির অর্থ বের করতে পেরেছি আজ!! আল্লাহ মাফ কর এরকম ঊপন্যাস পড়তে গিয়ে আমার দাঁত সব ঝরঝর করে পরে যাবে, চুল ফুরফুর করে উড়ে যাবে ! যায় যাক কৃষ্ণকান্তের উইল আমি পড়ে শেষ করবই ইনশাআল্লাহ। B-)

***************************************
মিছে কথাই ভোমরা। কথাটা বলতে কত্তগুলো উপমা বঙ্কিম বাবু এনেছেন। আমার মতন পাঠকের কথা উনার মাথায় ছিলনা। থাকলে নিশ্চই এরকম শব্দ ব্যবহার করতেন না। :|

** কোপাবিষ্ট
** সিয়াকুল কাঁটা
** স্বকরপল্লব

সিয়া= কালো,কৃষ্ণবর্ণ, লেখার কালি। কুল মানে বরই। মানে কি দাড়ায় বরই এর কালো কাঁটা?

**************************************

নোটিশ বোর্ডটি মন দিয়ে দেখুন: বরাবরের মতই বলছি, আমি ভাল পাঠক নই। হঠাৎ হঠাৎ কোন বই বা বইয়ের অংশ খুব ভাল লাগলে/খারাপ লাগলে একটু নিজের মতন বিশ্লেষণ (ঠিক বিশ্লেষণ ও বলা যায়না একে) করি। এতে আমার ভুল-ত্রুটি বিজ্ঞ জনেরা নিজ নিজ গুণে ক্ষমা করবেন। :)

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! চমৎকার।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২২

নীল-দর্পণ বলেছেন: সত্যিই, অনেক ভাল লেগেছে অধ্যায়টি

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রফুল্লনীলোৎপলদলতুল্য- ব্লগার নীল-দর্পন হাসিয়া উঠিলে যে দৃশ্য তৈরি হয় ;)


ধ্রুপদি সাহিত্যের আলোচনা ব্লগে হয় না বললেই চলে । যাক মজা করার উছিলায় হলেও আপনি এরকম একটা দাঁতভাঙ্গা উপন্যাস নিয়ে কিছু লিখেছেন!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা..... নীল-দর্পণ হাসিয়া উঠিলে যে কী দৃশ্য তৈরী হয়... :P

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯

ইমরুল_কায়েস বলেছেন: প্রফুল্ল= তরুণ, নীল=নীল, উৎপল= জলপদ্ম, দল= পাপড়ি, তুল্য= মত। অর্থাৎ নীল জলপদ্মের তরুণ পাপড়ির ন্যায়।


একান্তই নিজের ব্যাখ্যা, কোন আভিধানিক ব্যাখ্যা নয়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যা খারাপ হয়নি। আমি যা করেছিলাম তার কাছাকাছি হয়েছে এবং আমারটার চাইতে ভাল হয়েছে। আসল ব্যাখ্যাও এরকম ই হবে।

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর ব্যাখ্যার জন্যে :)

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

অন্তরন্তর বলেছেন:

অফলাইনে সামুতে ছিলাম কিন্তু আপনার এই বিদ্গুটে
হেডলাইন লিখা দেখে কমেন্ট করতে বাধ্য হলাম।
এত কঠিন এবং দাঁতপরা(এখনও পরে নাই, তবে নড়বড়ে
হয়ে গেছে নিশ্চিত) হেডলাইন দেখে আপনার পোস্ট কেও
পড়বে কিনা জানিনা তবে আমি সাহস করে পড়েই ফেললাম।
বঙ্কিম বাবুর লিখা আসলেই কঠিন কিন্তু বুঝতে পারলে
তা অনন্য।
আপনি কৃষ্ণকান্তের উইল পড়ে শেষ করে আর একটা পোস্ট
দিবেন আশা করি। খুব সুন্দর একটা পোস্ট।
শুভ কামনা। ইমরুল কায়েস ভাইয়ের নিজস্ব ব্যাখ্যা পছন্দ
হয়েছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২২

নীল-দর্পণ বলেছেন: বিদঘুটে দিয়েছিলাম যাতে মানুষ একটু আকৃষ্ট হয়ে পড়ে ;) কিন্তু আপনি দেখি নিরাশার কথা শোনালেন :|

দেখি পড়া শেষ করে কি অবস্থা দাড়ায়।
ধন্যবাদ আপনাকে যে শুধু বিদঘুটে হেডলাইন দেখে সাহস করে লগিন করেই ফেলেছেন :)

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বেশ লাগলো আপনার উপস্থাপনা... সবচেয়ে বড় কথা আমার প্রিয় সাহিত্যিক কে নিয়ে :)
তাঁকে নিয়ে লেখাতেই দেখতে এলাম আপনার ব্লগ। অনুসারিও হয়ে গেলাম। আরো কিছু আশা করছি এমনই আমার প্রিয় সাহিত্যিক কে নিয়েই...
ভালোলাগা এবং শুভকামনা নিরন্তর...

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :)

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: এরকম আরো আরোর অপেক্ষায় রইলাম কিন্তু আমি ভুলে যাবেন না!
আর বঙ্কিম কে নিয়ে হলেই ভালো হয় সবচাইতে ;)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩০

নীল-দর্পণ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ এর যশোহা বৃক্ষের দেশে বইটি পড়ে লিখেছিলাম এরকম একটি পোষ্ট যশোহা বৃক্ষের দেশে । পোষ্ট টি পরে দেখতে পারেন :)

চেষ্টা করবো এরকম আরো আরো লিখতে। দোয়া করবেন :)

ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: খাইছে! আমি জীবনেও বঙ্কিম পড়ি নাই। তুমি দেহি ভালোই সাহিত্য সমঝদার হয়া যাইতাছো!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: আরে নাহ্‌ হামা ভাই কি যে বলেন ! এইচএসসিতে "কমলা কান্তের জবানবন্দী" পড়ার পর বঙ্কিম এর "কৃষ্ণকান্তের উইল" পড়ার খুব ইচ্ছা ছিল। সেটাই পূরন করছি। আমার ছোট মাথায় ওসব ঢুকতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাও কিসের টানে যেনো পড়ছি!

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দারুন পোস্ট, চমৎকার +++++

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া :#>

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: যৌবনকালে একবার দুর্গেশ নন্দিনী "অনুবাদ" পড়িবার খায়েশ হইয়াছিলো বটে কিন্তু দন্তপাটির সুস্থতা বিবেচনা করিয়া সে লালসা ত্যাগ করিয়াছিলাম । তাই আপনার প্রতি অনিঃশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করিতে তব পিছপা হইবো না । আপনার দন্তপাটি ও মস্তিষ্কের সকল সুস্থ কোষের প্রতি শুভকামনা রহিল ।

পুনশ্চ ঃ আমি এই খুতিখানাও পড়িয়া দেখিবার সাহস অর্জন করিতে পারি নাই ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: যৌবনকালে :| এখন কি তবে বৃদ্ধকালাতিবাহিত হচ্ছে? ;)

আমি কৃষ্ণকান্তের উইল পড়া শেষ হইলে দূর্গেশনন্দিনী পড়িবার দুঃসাহস করিব একবার 8-| 8-|
দেখা যাক ভাগ্যে কি রহিয়াছে :-B

ধন্যবাদ আপনাকে। আমার মস্তিষ্কের অসুস্থ কোষের প্রতি শুভকামনা জানাইলেননা যে...কেবলই সুস্থ কোষের প্রতি :||

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খাইছে রে! দাঁড়ান, আমি দাঁত খুইজা আসি। 'বঙ্কিম' পইড়া অবেলায় দাঁত পইড়া গেসে গা! :|


যাহা হউক, পরে আসিয়া আবার এই পোষ্ট খানা পড়বার ইচ্ছা পোষন করিতেছি। B-)


১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: হাহাহা....আচ্ছা দাঁত লাগাইয়া কিন্তু পড়িয়া ফেলিবেন শীঘ্রই ;)

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বুঝতে পারি নি আমিও।। কিন্তু আমার স্ত্রীর ভলবাসা স্পর্শ করেছে আমাকেও।। এখন বুঝি তার ভালবাসা।।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: আজীবন ভালবাসার মহাসাগরে হাবুডুবু খেতে থাকুন আপনারা। ;) অনেক অনেক শুভকামনা :)

১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১১

ভারসাম্য বলেছেন: পড়েছিলাম মনে পড়ছে। খুব সম্ভবতঃ ইন্টারমিডিয়েট পড়াকালীন সময়ে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কার্যক্রমে বইটি ছিল। তাও প্রায় কুড়ি বছর আগে। ;)

+++

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: :-B কুড়ি বছর আগে! আমি কোথায়-কি অবস্থায় ছিলাম ভেবে নিই দাড়ান
এই ফাঁকে আপনি

** কোপাবিষ্ট
** সিয়াকুল কাঁটা
'র অর্থ জানান ;)

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

যুবাইরআজাদ বলেছেন: সম্ববত ক্লাস নাইনে থাকিতে এই পুস্তকখানা পাঠ করিয়াছিলাম, কি বুঝিয়াছিলাম তাহা কহিতে পারিবনা তবে পাঠে একান্ত নেশা থাকায় সমাপ্ত পর্যন্ত পাঠ করিয়াছিলাম বলিয়াই মনে পড়িতেছে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: অভিনন্দন আপনাকে। আমিও কি বুঝিতেছি বলিতে পারিবনা :P

১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: বইখানা পড়া হয় নাই আপনার পোস্ট দেইখা পড়বার মন চায়তাছে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: পড়িয়া ফেলুন ;)

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০১

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: বিষয়টা হচ্ছে, যৌবনকালে পদার্পণ করে দেখলাম তেমন মজা পাচ্ছিই না । তাই আবার কৈশোরকালে ফিরে এলাম আর কি ! :P

আপনার দুর্গেশ নন্দিনী পড়িবার অভিপ্রায়ই বলে দেয় আপনার মস্তিষ্কের অসুস্থ কোষগুলার আর আশা নেই । তাই প্রার্থনা করি, যেগুলা ভালো আছে সেগুলাই ভালো থাক । :> তবে দুর্গেশ নন্দিনী শেষ করার পরে আপনার দাঁত যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে সেগুলোকে যাদুঘরে রাখার জোর দাবি আমরা জানাতেই পারি :-B

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

নীল-দর্পণ বলেছেন:

হাসতে হাসতে শেষ আপনার কমেন্ট পড়ে =p~

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: আপনাকে এবং বঙ্কিমকে মাইনাস :P :P :P এই প্রফুল্ল... উচ্চারন করতে গিয়ে আমার দাত ভেঙ্গে গিয়েছে :(

বাচ্চাকালে কৃষ্ণকান্তের উইল পড়েছিলাম। তখন অনেক কিছুই বুঝি নাই :(

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: সত্যিই তো দুটো দাঁত মাত্র দেখা যাচ্ছে (প্রোফাইলে) :-B :P

১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৩১

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: কোথায় যেন একটা শব্দ পড়েছিলাম " জম্বুকুঞ্জছায়ান্ধকার " তোমার শীরোনাম দেখি তার চেয়েও বড়। শিরোনামের মানে কি নীলু? মানে জেনে তারপর পড়বো/

কেমন আছো? কোন খবর নেই কেন?
পোস্ট দেখি ভালোই দিয়েছো কয়েকটা পড়া হয়নি,মাথা ব্যথা ,পরে এসে মন দিয়ে পড়বো।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩১

নীল-দর্পণ বলেছেন: ইমরুল_কায়েস বলেছেন: প্রফুল্ল= তরুণ, নীল=নীল, উৎপল= জলপদ্ম, দল= পাপড়ি, তুল্য= মত। অর্থাৎ নীল জলপদ্মের তরুণ পাপড়ির ন্যায়। অর্থ মোটামুটি এরকম। :)

আমি কয়দিন ধরে ভাবছিলাম আপনার কোন সাড়া-শব্দ নাই !
মাথা ব্যথা কমেছে? ভাইয়া কেমন আছেন :)

১৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: বঙ্কিম উপন্যাসসমগ্র পড়েছি অনেক আগে । আমার কিন্তু ভালো লাগসে , বঙ্কিমের রসবোধ ভালো । আর সাধু ভাষা আমার বেশ ভালো লাগে । তবে ঘটনা হল এত সব কঠিন শব্দের মর্মার্থ অবশ্য বুঝতে পারতাম না ।

কৃষ্ণকান্তের উইল এর শেষ পর্যন্ত যে কি হয়েছিল , এখন মনে করার ট্রাই করছি । মনে পড়ছে না । মনে হচ্ছে গোবিন্দ আর রোহিণী দুজনেই কলকাতা গিয়েছিল । তারপর খুব করুণ দশা হয়েছিল তাদের , তারপর ... ধ্যাত্তরি আমার মেমরি খুব খারাপ । :(

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ৭:০৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: গোবিন্দ-রোহিণী দুজনে বাড়ী ছেড়েছিল। পরে কৃষ্ণকান্ত রোহিণীকে নিয়ে দূরে একজায়গায় ঘর বাঁধে এবং এক পর্যায়ে রোহিণীকে গুলি করে মেরে ফেলে চলে যায়। জেল হয় তার পরে ভোমর মারা গেলে কৃষ্ণকান্ত সন্ন্যাসি হয়ে যায়। কাহিনী মোটামুটি এই :)

১৯| ০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ৭:২০

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: এই লেখা পড়ে শেষ করতে গেলে যে আমার কয়টা দন্ত নাই হবে আল্লাহ্ মালুম !!!!!
।সেই স্পর্ধা না করি! !


।আপনার দেশের বাড়ি কি টাঙ্গাইলে ???

০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৯:০৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমার লেখা তো দন্ত পড়ে যাবার মতন নয়! :|| এটা বরং জলবৎ তরলং :D

না আমার দেশের বাড়ী মাদারীপুর। কেন মনে হল টাংগাইল ? :)

২০| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: নরবরে দন্ত নাম দেখিয়াই কাহিল 8-|

জলবৎ তরলং !!! তাহলে ত আরও মুশকিল , আমি জল ভয় পাই , কখন কোন দিকে যায় বোঝা দায় ..

প্রতিবেশী জানিয়া আনন্দ লাগছে :)
কি জন্য যেন তখন মনে এসেছিলো , মেনশন করার মত কিছু না । ডোন্ট অরি

০২ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১:১২

নীল-দর্পণ বলেছেন: হাহাহা....ভাল বলেছেন তো হল কখন কোন দিক দিয়ে যায় বোঝা দায় :P

প্রতিবেশী মানে...শরিয়তপুর/ফরিদপুর? নাকি আরো দক্ষিনে ? যাগগে উল্লেখ করতে না চাইলেও সমস্যা নেই :)

২১| ১৭ ই মে, ২০১৪ ভোর ৪:৫৭

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: মন্তব্য দেখিয়া কি মনে হয়? ?? :)

আমি মধ্য স্থানের বাসিন্দা :)

১৭ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:১৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.