নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।
এক বছরের বেশী হয়েছে প্ল্যান করছি মাগুরা যাবো যাবো করে। কিন্তু কোন না কোন কারনে তা পিছিয়েই যায় বার বার। ছোট কাকা থাকেন চাকরী সূত্রে সেখানে। কাকী যাওয়ার জন্যে বলে বলে এক পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে গেছেন। ভাবলাম ঈদের পরে যাবো কিন্তু কপাল আমার! পরীক্ষার ডেট পরে যায়! পরীক্ষা শেষ হলো ২৯ আগস্ট। শেষে ঠিক করলাম যা আছে কপালে ৩০ তারিখ-ই যাবো। আম্মাকে বললাম লাগলে আমি একাই যাবো তাও যাবোই।
শেষে দেখলাম পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আম্মা হলেন আমার সঙ্গী।
সকালে বাসা থেকে গাবতলী যেয়ে ঘুরে টুরে উঠলাম হানিফের এক পঁচা বাসে। বাস দেখেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। সাধারনত দূরপাল্লার জার্নি করা হয়না। জীবনে সুযোগ একটু পেলাম, ভাল একটা বাসে চড়বো তা না। যাগগে কি আর করা। ১০টা বা তার পরে মনে হয় বাস ছাড়লো। ফেরী পারাপারে যাবো। ১২টার দিকে পাটুরিয়া গিয়ে পরলাম জ্যামে। বাবারে বাবা সে যে কী ম্যারাথন জ্যাম!! টেলিভিশনে খালি দেখি আর পেপারে পড়েছি জীবনে পড়িনি ওরকম জ্যামে। ৮ঘন্টা সেই পাটুরিয়ায় আটকা ছিলাম। ফেরী নাই। ছোট্ট দুইটা ফেরী দিয়ে নাকি ৬টা করে বাস পার করছে। বাস ড্রাইভার বললো রাত ৮টার আগে ফেরীর সিরিয়াল পাওয়ার সম্ভাবনা নাই। শুনে অবিশ্বাস্য লেগেছিল এই ভেবে যে এতক্ষন জ্যামে থাকে কিভাবে! যাই হোক কিভাবে থাকে তা থেকে বুঝেছি!
গাড়ী পাটুরিয়া যাওয়া আগেই গেছে আমার ক্ষিধা লেগে! কি ভয়ানক কথা। ঘাটে বাস থামার পরে সাথে নেওয়া রুটি ডিম সেদ্ধ দিয়ে আপাতত খেলাম। ভাগ্যিস আম্মা সকালে বানানো রুটি গুলো সাথে নিয়েছিলো। রুটি নিয়েছিল আসলে বাসায় থাকলে ওগুলো আব্বা/ভাইয়া কেউ হয়ত খাবে না। নষ্ট হবে সেই জন্যে। যাক খুব কাজে দিয়েছে। পরে বাসে বসে বসে খাওয়ার জন্যে কিনলাম পপকর্ণ আর তিলের খাজা। সাথে ফোনের এক্সট্রা ব্যাটারী ছিলো তাই দিয়ে ফেসবুকে পরে রইলাম। মাঝে মাঝে এদিক সেদিক উকি দিয়ে দেখছিলাম। অনেক্ষন পর পর বাসটা একটু সামনে টানলে কিযে খুশী লাগতো তা আসলে বোঝানোর মত না।
এর মাঝে দেখি এক এক করে যাত্রীরা বাস থেকে ব্যাগ বোচকা নিয়ে লন্ঞ্চ পারাপারে চলে যাচ্ছে! বাসের ড্রাইভারও পরামর্শ দিচ্ছে যার তাড়া আছে সে যেনো চলে যায়! আমরা কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। সারাদিন যেমন তেমন দুপুর গড়ালে পড়লাম মহা টেনশনে। নরমালি মাওয়া দিয়েই বর্ষার সময় লন্ঞ্চে যেতে ভয়পাই নদীর ঢেউয়ের জন্যে আর আরিচার এখানের কথা শুনেছি আরো খরস্রোতা। তার উপর ঐপাড়ে গিয়ে আবার কোন বাসে উঠবো, কখনো যাইনি এই পথে, একা দুজন মেয়ে! একে একে দেখলাম আমাদের বাসের প্রায় সব যাত্রী নেমে গেছে আমরা ৭জন মেয়ে যাত্রী ছিলাম যাদের ২জনের সাথে ২টা পিচ্চি। উনারাও কি করবে কিছু ভেবে পাচ্ছেনা। আম্মার নানান টেনশন মাথায় আসছে। ভয় আমারো লাগছিলো। মনে মনে প্রথমবারের মতন খুশী হলাম বাসা থেকে একা ছাড়েনি বলে। এখানে একটা কথা বলে রাখি, আমার খুব ইচ্ছে ছিল একা মাগুরা যাওয়ার। একা একা এই লম্বা জার্নিটা করার খুব খায়েশ ছিলো যা ঐ জ্যামে আটকা পড়ে একদম শেষ হয়ে গেছে।
বাসে বসে বসেই নেট, মেসেজ আর খাওয়া-দাওয়া চলছিলো পুরোদমে। দ্বিতীয় দফা রুটি খেলাম আলু ভাজি আর ডিম ভাজা দিয়ে। পপকর্ণ খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এক পর্যায়ে পাশের সিটের এক পিচ্চিকে সাধলাম, ভাবলাম আমার প্যাকেট থেকে একটু নেবে হয়ত পিচ্চি দেখলাম প্যাকেটটাই হাতে নিয়ে নিলো (অর্ধেকের একটু বেশী খেয়ে ছিলাম মনে হয়)। যাক বাঁচলাম ঐ খড়খড়ে খইয়ের হাত থেকে।
এর মাঝে দুবার ঝালমুড়ি খেলাম। কম ঝালে করা সর্ষের তেলের ফ্লেভারে পাটুরিয়া ঘাটের ঝালমুড়ি!! আহ...অনেক দিন মনে থাকবে। ফেরীতে নেমে আরো একবার খেতে চেয়েছিলাম পরে ভাবলাম সারাদিন খুব একটা কম খাইনি, থাক এবার ক্ষান্ত দেই ।
এর মাঝে সন্ধ্যা নেমে এলে আম্মাকে দেখলাম ভয়ে তার গলার চেন, চুরি আংটি কানের দুল সব খুলে একটা পুটুলিতে বেধে পায়ের কাছে রাখে কাপড়ের ব্যাগ খুলছে। খোলার সময় পাসের সারির সিটে বসে (বাসে সিট খালি বলে ইচ্ছে মত যেখানে সেখানে বসেছিলাম পরে) দেখছিলাম তার কাজ। ব্যাগের চেন খুলতে দেখে আর থাকতে পারলাম না। ছোটখাটো এক ধমক দিয়ে বললাম ঐব্যাগে কেন ঢোকাচ্ছে। মাথাটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল মনে হয় টেনশনে! এসব জিনিস থাকবে নিজের কাছে হাতের কাছে, তা না দূরে ব্যাগে ঢোকাচ্ছে। পড়ে ধমক খেয়ে নিজের হাত ব্যাগেই মনেহয় ঢোকালো।
রাত আট টার দিকে মনে হয় ফেরীতে উঠলাম। এর মাঝে আম্মা গরমে অস্থির হয়ে হাওয়া খাওয়ার জন্যে বাস থেকে নামে। অনেক্ষন খোজ খবর না পেয়ে ফোন দিলে বলে বাস হারিয়ে ফেলেছে ! কেমনটা লাগে! । পরে আমি বাস থেকে নেমেছি খোজার জন্যে তার আগেই দেখি নিজেই খুজে খুজে চলে এসেছে।
তা বাসে বসে বসে সারাদিন কী খেয়েছিলাম সেটার একটা তালিকা দেই
১। ডিম সেদ্ধ+রুটি
২। পপকর্ণ
৩। ঝালমুড়ি
৪। রুটি+ডিম ভাজা + আলুভাজি
৫। পেয়ারা
৬। ঝালমুড়ি
৭। কেক
মাত্র এই । তিলের খাজাটা আর খাওয়ার টাইম-ই পাইনাই ।
ওখানকার ফেরী খুব দ্রুত চলে। ফেরীতে ওঠার পরে বাস থেকে নামলাম। রাতের নদী ফেরীর আলো ছাড়া দেখার তেমন কিছু নেই তাও বেশ ভালই উপভোগ করলাম মা-মেয়ে মিলে। সকল প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে ধকল কাটিয়ে রাত সাড়ে দশটার দিকে পৌছলাম মাগুরা গিয়ে।
সেখানে যে কয়দিন ছিলাম প্রতিদিন ই বৃষ্টির কারনে বাসায় বন্দী ছিলাম। সেই দুঃখের কাহিনি আর নাইবা বলি। আর ফেরার পথে পাটুরিয়ার ফেরী বন্ধ ছিল বলে ফরিদপুর দিয়ে এসেছি। সেখানেও আবার আরেক কাহিনী হইসে, আজ নাহয় সে কথা থাক! হিসেব করে দেখলাম মাওয়া আসতে আসতেই যাবে সন্ধ্যা হয়ে তাই বাড়ীতে রাতটা থেকে পরের দিন ফিরলাম ঢাকা।
যাক তার পরেও বলবো জার্নিটা ভালই হয়েছিল।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: হাসতেসেন ভাই। যা অবস্থা হইসিলো ঐসময় ! মনে পড়লে এখনো
তবে মজাও লাগে
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন:
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২
নীল-দর্পণ বলেছেন: হাসো হাসো, ঐখানে গিয়ে যেই ফাপড়ে ছিলাম তা জার্নির কষ্টর চাইতে বেশী! মরার বৃষ্টি
আছো কেমন ছোট ভাইয়া ?
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
মদন বলেছেন: ঠিক মতো খাইতে পারেন নাই দেইখা মনটা খারাপ হইলো
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা.....আমারো মন্টা খ্রাফ ছিলো কিন্চিত
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
স্বঘোষিত মিসির আলী বলেছেন: ওহ ফুপু এতো কষ্টের বাস জার্নি এইটুকু পোষ্ট দিয়েই শেষ করে দিলেন !!
তবে অনেক সুন্দর ভাবে লিখেছেন । ++ ফুপু
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: ফুপু! আমি আবার কবে কার ফুপু হইলাম
যাক ফ্রী'র জামানা ফ্রীতে ভাতিজা পাইসি আরকি। খ্রাফ্না
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪০
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: আপনি তো অনেক বড় পেটুক !! ধুর বাসে বসে বসে আমার সাথে ফেইস বুকে খোঁচা খুচি খেলতেন দেখতেন সময় খুবই তাড়াতাড়ি চলে যেতো , এতো কষ্ট লাগতো না
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১
নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক বড় কী..মহা পেটুকও বলতে পারে )
আপ্নর সাথে ফেইসবুকে খোচাখুচি খেলতে থাকলে ফোনের এমবি শেষ হইতো, ব্যাটারির চার্জ শেষ হইতো মাগার খোচাখুচি শেষ হইতো না
৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: স্বঘোষিত মিসির আলী , আমার ভাতিজা !! বেটা বিষণ দুষ্ট :!> :!>
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫২
নীল-দর্পণ বলেছেন: একদম চাচার মতই
ঠিক বলছি না?
৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
মাহবু১৫৪ বলেছেন: খাবারের তালিকায় ঝালমুড়ি ২ বার লিখেছো
++++
কষ্টের মাঝেও ভাল লাগলো
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: রুটিও ত দুইবার লিখছি
ঝালমুড়ি, রুটি আসলে দুইবার খাইছি তাই দুইবার লিখছি
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
এ,রহিম বলেছেন: আমিতো ভাবছি শুধু আমি বেশী খাই এখন দেখি আরও আছে ....
মজা করলাম। ভালো থাকুন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি অনেক খাই। মেয়েরা সাধারনত এত খায়না
৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: বিড়ম্বনার বাস জার্নি, তয় খাবারের লিস্ট লাইক হইছে
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: খাবারের লিস্ট টা আমারো অনেক পছন্দ হইছে
১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: আমার মতন হইলে তো ভালই হইতো !! বেডা একটা ফাজিল হইছে , সারা দিন দুষ্টামির তালে থাকে ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: হইছে আপ্নের ভাতিজা না....বুচ্ছি তো
১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আসলে এত দীর্ঘ সময় জ্যামে বসে থাকাটা খুবই বিরক্তিকর একটা ব্যাপার। আমি পাটুরিয়া ফেরীঘাটে অনেক বার গিয়েছি। ঢাকা থেকে লংড্রাইভের জন্য এর চেয়ে ভালো ডেস্টিনেশন আর নেই।
আগে একটা সময় ফেরির খাবার খুব উপভোগ করতাম। একটা সময় ছিল যখন ৪০ টাকা দিয়ে ফেরীতে ফিক্সড মেনুর খাবার (ইলিশ মাছ ভাজি/ রান্না ২ পিস, গরু/ খাসী/ মুরগী ভাত ও ডাল ফ্রি) খাওয়া যেত। তখন খাবারটা অনেক ভালো ছিল। এখন ১০০ টাকা করেছে। কিন্তু খাবারের মান খুব একটা ভালো না।
পাটুরিয়াতে পেয়ারা, ডিম, আলুভাজি, ইত্যাদি সবই খেয়েছি, কিন্তু কখনও মুড়ি খাওয়া হয় নি। একদিন জনৈক মুড়িওয়ালাকে দেখেছিলাম....... থাক বাকিটা না বলি। আমি চাই না আপনার প্রেম বিনষ্ট হোক।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: কিছু বলেও লাভ নাই তেমন। আমার পছন্দের খাবার হলে পঁচা বললেও খাই আর ঐদিকে আর যাওয়ার তেমন সম্ভাবনা নাই। তাই খাওয়ার ও নাই
১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: জ্বি হেইতেই আমার ভাতিজা 'নাঈম আহমেদ'আমি আদর করে নিমাই বলে ডাকি। ফেইস বুকে দেখেননা নিমাইরে নিয়া কত স্ট্যাটাস দেই ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: ওওওও আচ্ছাআআআ
১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অনেক্ষন খোজ খবর না পেয়ে ফোন দিলে বলে বাস হারিয়ে ফেলেছে ! কেমনটা লাগে! - জোস লাগে ||
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
নীল-দর্পণ বলেছেন: আসলেই জোস
১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: আমার একবার বাসে আমার সব সম্পদ রেখে জ্যামের কারনে বাইরে চা-বিড়ি খাইতে কিছুক্ষনের জন্য বাইরে গ্যাছিলাম..........পরে এসে দেখি আমার বাস নাই.........।
ল্যাপি ছাড়াও আরে বহুত কিছু ছিলো ব্যাগে, পরে ভাগ্যিস বুদ্ধি কইরা ওইখানের ট্রাফিক কন্ট্রেলার (রাস্তার এক পাশে বসে কোন বাস কোন ফেরিতে যাবে তা ঠিক করে দেয়) আমাকে বলে দেয় অমুক ঘাটে চলে গেছে আপ্নার বাস........দৌড় লাগান এখুনি নাইলে ফেরি ছেড়ে দিবে.......। পরে খিচ্চা টানা ১৫ মিনিট দৌড় লাগায়া কোন মতে ফেরি ধরে বাস খুজে বের করছিলাম
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
নীল-দর্পণ বলেছেন: ঐদিনও হয়ত সেরকম কিছু ঘটতে পারতো আম্মার। এক ফ্রেন্ডকে বলার পরে সেও বলেছে তাড়াতাড়ি খুজে বের করতে নইলে বাস কোন ঘাটে তা আর খুজে পাবেনা। আমি একটু টেনশন ফ্রী ছিলাম কারন ঐদিন একটা ফেরী-ই চলছিল। গেলে এক ঘাটেই যাবে আর অততাড়াতাড়ি ফেরীতে পৌছার সম্ভাবনাও ছিল না
১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
শীলা শিপা বলেছেন: আহারে মেয়েটা তো দেখি ঠিকমত কিছুই খেতে পারে নাই...খাওয়া কম হয়ে গেছে
আর তুমি লন্ঞ্চে যাও নাই কেন?? লন্ঞ্চে গেলে কত মজা হয় জানো?? মিস করলা
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: সত্যিই তো, খাওয়া কম হয়ে গিয়েছিলো আট ঘন্টায় আট পদ খাওয়ার দরকার ছিলো কমপক্ষে
খুলনা-বরিশালের লন্ঞ্চ অনেক বড় সেগুলো হলে ভাবা যেতো। কিন্তু পাটুরিয়ার লন্ঞ্চ আর আমাদের মাওয়ার লন্ঞ্চ একইরকম। অত মজা লাগেনা। আর লন্ঞ্চ থেকে নেমে মাগুরার বাস কোথায় কিভাবে পাবো সেই অভিজ্ঞতা নেই। তাই সাহস পাইনি।
১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
স্বপ্ন নীল বলেছেন: ১। ডিম সেদ্ধ+রুটি
২। পপকর্ণ
৩। ঝালমুড়ি
৪। রুটি+ডিম ভাজা + আলুভাজি
৫। পেয়ারা
৬। ঝালমুড়ি
৭। কেক
কত কিছু খেলেন এতো কম সময় এ
আপনার খাবার হাত খুব ভালো দেখি..................।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা । সত্যিই অনেক ভাল
১৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
নোবিতা রিফু বলেছেন: আমার পাটুরিয়া ঘাটে ২২ঘণ্টার পর্যন্ত রেকর্ড আছে... এই কাহিনী নিয়া এটা পোস্ট দিমু নাকি ভাবছি অনেকবার... আপনি তো আরও ছাইয়ে ঘি ঢাইলা দিলেন...
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: ২২ ঘন্টা !!!
আজই লিখে ফেলেন। অন্যায় হয়ে যাবে না লিখলে !
১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
রাতুল_শাহ বলেছেন: তিলের খাজাটা আর খাওয়ার টাইম-ই পাইনাই ।
আফসোস।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: আসফোসস্
১৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
ভিয়েনাস বলেছেন: জ্যামের মধ্যে বসে থাকলে শুধু ক্ষুধা লাগে .....
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০০
নীল-দর্পণ বলেছেন: বোঝেন এবার, আমারতো জ্যামে পড়ার আগেই ক্ষুধা লেগে গিয়েছিলো
২০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার অতি পরিচিত রুট। ঢাকা-খুলনা জার্নির সুবাদে অনেকবার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি পারাপার করতে হৈসে। ফেরীতে উঠলে ঝালমুড়ি আর ডিমসেদ্ধ মাস্ট! এই দুইটা জিনিস ঐখানে অন্যরকম লাগে। ইলিশ মাছ দিয়া ভাতটাও দারুণ লাগে।
আমি প্রথমে পড়ছিলাম নীলু পড়েছিলো ঝালমুড়িঅলার প্রেমে
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০১
নীল-দর্পণ বলেছেন: নীলু পড়েছিলো ঝালমুড়িঅলার প্রেমে
২১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
মামুন রশিদ বলেছেন: এরকম খাই খাই বলেই ভোজন রসিক হিসাবে এত সুনাম, বুঝলাম
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা
২২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২১
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: বাপরে এত অনেক ভোগান্তি !
তবে এই রুটটা আমার অতি পরিচিত , আমার অনেক প্রিয় , খুলনা থেকে ঢাকা যাওয়া , আবার ঢাকা থেকে খুলনা ।জার্নিতে ফেরীর টাইমটার জন্য আর এই সব খাবারের জন্য অপেক্ষা করতাম, আর আমার ঝালমুড়ি অলয়েজ প্রিয় । ফেরীর রেস্ট রুম গুলো কিন্তু অনেক সুন্দর ।
তবে তিন চার বছর হয়ে গেসে এই রুটে আর জার্নি করা হয়না । তোমার পোস্ট পড়ে আগের কথা মনে পড়ল ।
আর জ্যাম , ভয়াবহ , যদিও আমাদের কখনো এই জ্যামে পড়তে হয়নি , বিশেষ ব্যাবস্থায় ....
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: ভোগান্তি সত্যিই অনেক হয়েছিল। ফেরার পথেও কম হয়নি!
ফেরীর রেস্ট রুমগুলো আমার খুব প্রিয়। আমাদের রুটে (মাওয়া দিয়ে) যখন ফেরীতে যাই বেশিরভাগ সময় রেস্টরুমেই বসি।
২৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
সায়েম মুন বলেছেন: নীলু পড়েছিলো ঝালমুড়িঅলার প্রেমে
কম ঝালে করা সর্ষের তেলের ফ্লেভারে পাটুরিয়া ঘাটের ঝালমুড়ি!! -------------------------আমারো এখন খেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু ঐ রুটে তো জীবনে ২ বারের বেশী যাইনি।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০
নীল-দর্পণ বলেছেন: ঝালমুড়ির প্রেম ঝালমুড়িওয়ালার নয়
আমি জীবনে এই একবার-ই গেলাম। আর যাওয়ার তেমন সম্ভাবনা আপাতত নেই।
মুড়িটা সত্যিই দারুন !
২৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যা প্রতিক্ষীত মাগুরা ভ্রমন সফল হয়েছে।সঙ্গে ঝালমুরিও খাওয়া হয়েছে। আর প্রেমও হয়েছে ঝালমুরিওয়ালার সঙ্গে ভাল
ও ভাই ঝালমুড়ি ওয়ালা দিলে বড় জ্বালা
সুন্দর পোস্ট।++
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: ও ভাই ঝালমুড়ি ওয়ালা দিলে বড় জ্বালা
ঝালমুড়িওয়ালার সঙ্গে নয় ঝালমুড়ির সঙ্গে
২৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: সহানুভূতি !
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা....ধন্যবাদ
২৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
পঁচা শামুক বলেছেন: আহারে
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
নীল-দর্পণ বলেছেন:
২৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৫
নাজমুল_হাসান_সোহাগ বলেছেন: খাবারের লিস্ট বানিয়ে ফেলছেন দেখছি। জ্যামে আটকে পড়া আসলেই অনেক ঝামেলার। তবে জ্যাম না থাকলে পাটুরিয়া ফেরিঘাট আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ফেরীর একেবারে উপরের ফ্লোরে উঠে নদীটাকে দেখা এক অন্যরকম অনুভূতি। পরেরবার গেলে ঘুরে আসতে পারেন।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: পাটুরিয়া ফেরীঘাট জ্যামে বসেই যতটুকু দেখেছি ভালই লেগেছে। মাওয়ার চাইতে সুন্দর।
ফেরীর একাবারে উপরের ফ্লোরে উঠে নদী দেখার অভিজ্ঞতা আমার আছে । ইনফ্যাক্ট পাটুরিয়ার পদ্মার চাইতে আমার মনে হয় মাওয়ার পদ্মা বেশী সুন্দর। নদীর ভেতরে প্রাকৃতিক সোন্দর্য বেশী চরের কারনে।
২৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬
নীল ভোমরা বলেছেন:
''তা বাসে বসে বসে সারাদিন কী খেয়েছিলাম সেটার একটা তালিকা দেই
১। ডিম সেদ্ধ+রুটি
২। পপকর্ণ
৩। ঝালমুড়ি
৪। রুটি+ডিম ভাজা + আলুভাজি
৫। পেয়ারা
৬। ঝালমুড়ি
৭। কেক''
শুভকামনা!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা.....ধন্যবাদ নীল ভোমরা
২৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২
নাজমুল_হাসান_সোহাগ বলেছেন: আমি অবশ্য মাওয়া দিয়ে কোনদিন পদ্মা পাড় হয়নি। হলে হয়তো নিজেই বুঝতে পারতাম পার্থক্যটা। তবে ফেরীর উপরের তলায় উঠেছেন আর নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। দেখি মাওয়া ফেরী ঘাট টা দেখবো একদিন।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: যেকোন সময় আমাদের মাওয়ায় আমন্ত্রন রইল
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: