নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।
- কিরে তোর লেখা কই? তোকে না বললাম বিষয় নির্বাচন করে দিতে?
- সময়ের জন্যে লেখা হয় না রে। আমার সব লেখা ঘুরেফিরে একটা কেন্দ্রে এসে স্থির হয় । তাই লিখছি না।
- এখনও পৃথিবী নিয়ে ব্যস্ত আছিস!
- পৃথিবী আমাকে আমার আপাদমস্তক গ্রাস করে ফেলেছে, কি করব বল্?
- কি খবর তোর পৃথিবীর?
- ভালো আছে। ওর মাটি ধু ধু প্রান্তর হয়ে উঠছিল। এখন আবার সবুজ হয়ে উঠছে।
- ঘাসের চাষ করছিস্ নাকি!
- ঘাস নয় ফসল। আমাকে চাষ করতে হয় নি, ওর মাটি খুব উর্বর। সে উর্বর মাটিতে একটা গাছ জন্মেছে। এখনও শিশু কিন্তু সে কি প্রাণশক্তি! তরতর করে বেড়ে উঠছে গাছটি। ঝলমলে ঝাঁকড়া সবুজ একটা গাছ!
- তোর ভূমিকা কি? মালীর কাজ করছিস্ তাহলে?
- আমার কোন ভূমিকা নেই। আমি দর্শক। পৃথিবী তার পরিবেশের জন্যে আমাকে কোনও ভূমিকা পালন করতে দেবে না।
- তাহলে তুই এত ব্যস্ত কেন পৃথিবীর কথায়?
- ওর প্রান্তরের ঠিক পাশেই বয়ে গেছে এক নদী। আগে খরস্রোতা ছিল। টলটলে পানি ছিল। পরিবেশ হত্যাকারীদের ষড়যন্ত্রে সে নদীতে এখন ঢেউ নেই, জোয়ার নেই!
- নদীতে কি পলি জমেছে? ড্রেজিং করবি?
- না। এটা বড় অদ্ভুত জানিস্, নদীর গভীরতা একদম কমে নি। নিশ্চিত হতে আমি নেমেছি। ইস্ কি অথৈ জল! কিন্তু জলেতে ভাটার টান। অথচ প্রান্তরটিকে সবুজ রাখতে, গাছটিকে ফলবান করতে নদীতে জোয়ার আনাটা খুব জরুরী।
- কীভাবে আনবি জোয়ার?
- চাঁদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। চাঁদ যেন নিজ অক্ষ প্রদক্ষিন করার সময় নদীটার ওপরে এলে টানটা একটু বাড়িয়ে দেয়।
- সূর্য যদি সহযোগীতা না করে? যদি চাঁদকে আলো দিতে অস্বীকার করে? কি করবি ? সূর্য তো অনেক শক্তিশালী। পুরো সৌরজগতটাই তার । সবাই সূর্যকে ভয় করে।
- সূর্যকে বোঝাতে হবে। এক পৃথিবী ছাড়া আর কোন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই। প্রাণ না থাকলে সূর্যের বুকে নিউক্লিয়ার বোমার মত মিনিটে এক মিলিয়ন বিস্ফোরণ ঘটে যে উত্তাপ সৃষ্টি হয়, তার মূল্যায়ন করবে কে!
- আচ্ছা, তারপর? মনে কর পৃথিবীর নদীতে জোয়ার আবার শুরু হল । কি করবি তখন তুই?
- কিছু করব না রে। একশ' আটটা নীল পদ্ম যোগার করে রেখেছি, সেগুলো নিয়ে পৃথিবীর অপেক্ষা করব।
©somewhere in net ltd.