নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।
জুনের ২১ তারিখটি ছিল একটি বিশেষ দিন । বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সিরিজ জিতেছে । আর এদিনটি ছিল বাবা দিবস । বলা যেতে পারে একসঙ্গে দুই দুইটা উৎসব । ফেসবুকের দেয়ালগুলো এই উৎসবের পোস্টে সয়লাব ছিল । ক্রিকেটে ভারতকে হারানো তো বহু কাঙ্ক্ষিত । সে আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়েছে । ফলে একটু বাড়াবাড়ি থাকতেই পারে । দেশ জিতেছে । অনেক বড় ব্যাপার তো বটেই । আমাদের বুদ্ধিদীপ্ত ছেলেমেয়েরা ভারতীয় ক্রিকেটারদের ছবি সম্পাদনা করে যার যার দেয়ালে তুলে দিয়েছে । পুরো পৃথিবীর মানুষ দেখেছে । আমোদ পেয়ে হেসেছে । আমি নিজেও হেসেছি ।
বাবা দিবস উপলক্ষে নিজ নিজ বাবার কথা বলেছে । বাবার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুক দেয়ালে টানিয়েছে । বাবাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে । কারও ছেলের জন্মদিন ছিল । আবার কেউ বাবা হয়েছেন, আবেগে আপ্লুত হয়েছেন । সে সব লেখা দেখে পড়ে আমাকেও সে আবেগ স্পর্শ করেছে । সত্যি বড় ভাল লেগেছে । মনটা ভরে গেছে ।
একুশ জুন রবিবার আরও একজন মানুষ বাবা হয়েছেন । তার নাম আবদুর রাজ্জাক । তিনি বাংলাদেশের একজন সীমান্ত রক্ষী । সীমান্ত পাহাড়া দেন । বাংলাদেশের মানুষ যেন তাদের প্রিয় বাবা ছায়ায় থাকতে পারে বা নিরাপদে ভারত বাংলাদেশ ম্যাচ দেখতে পারে, সেটা নিশ্চিত করেছেন । দীর্ঘ একুশ বছর ধরে আবদুর রাজ্জাক এই মহান কাজটি করে আসছিলেন ।
ছয় দিন হল নায়েক আবদুর রাজ্জাক তার দায়িত্ব পালন করছেন না । করতে পারছেন না । ছয় দিন আগে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) তুলে নিয়ে গেছে । ১৭ জুন বুধবার ভোরে বিজিবির ছয় সদস্যের একটি দল নায়েক আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে নাফ নদীতে টহল দিচ্ছিল । তারা বাংলাদেশের জলসীমায় মাদক চোরাচালান সন্দেহে দুটি নৌকায় তল্লাশি করছিল । এ সময় মিয়ানমারের রইগ্যাদং ক্যাম্পের বিজিপির সদস্যরা একটি ট্রলারে করে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেন । একপর্যায়ে বিজিপির সদস্যদের বহনকারী ট্রলারটি বিজিবির টহল নৌযানের কাছে এসে থামে । বিজিপির ট্রলারটিকে বাংলাদেশের জলসীমা ছেড়ে যেতে বলা হলে তারা নায়েক রাজ্জাককে জোর করে ট্রলারে তুলে নেয় । বিজিবির অন্য সদস্যরা এতে বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয় । সিপাহি বিপ্লব কুমার গুলিবিদ্ধ হন । পরে বিজিপির ট্রলারটি আবদুর রাজ্জাককে নিয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে যায় । শুধু যে তুলে নিয়ে গেছে তা নয়, এরপর বিজিপির ফেসবুকে রাজ্জাকের তিনটি ছবি তুলে দেয়া হয়েছে । তার একটিতে দেখা গেছে, রাজ্জাকের নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে । আরেকটিতে হাতকড়া পরিয়ে তাকে আসামির মতো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে । আবদুর রাজ্জাককে নির্যাতন করেছে । তার প্যান্ট খুলে লুঙ্গি পড়িয়েছে । কি স্পর্ধা !
কাল পত্রিকায় দেখলাম মায়ানমার বলছে শর্ত সাপেক্ষে ফিরিয়ে দেওয়া হবে রাজ্জাককে। আর শর্ত হলো সমুদ্রপথে মালয়েশিয়াগামী উদ্ধার হওয়া ৫৫৫ জনকে বাংলাদেশে ফেরত আনলে তবেই রাজ্জাককে ফেরত দেওয়া হবে । দুঃসাহসিকতা বলব নাকি স্পর্ধাই বলব ? মায়ানমার এই সীমাহীন সাহস পেল কোত্থেকে ?
কিছুদিন আগে এই মায়ানমারে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে বলে ফেসবুকের দেয়ালগুলোয় সত্য মিথ্যা খবর আর ছবি দিয়ে কদিন কি বিপুল প্রতিবাদের তাণ্ডব চলেছে । আবদুর রাজ্জাকও মুসলমান । তিনি মায়ানমারের নন, আমার বাংলাদেশের মানুষ । তাকে মায়ানমারে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে । অথচ এখন বাংলাদেশের ওই মুসলমানপ্রেমীরা টু শব্দটি করছে না । কেন ? নাকি তারা আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুর প্রতীক্ষায় রয়েছে ? আমাদের চিন্তা কি এতই দৈন্য ? অসুস্থ রাজনীতি কি আমাদের মানসিকতাকে কি এতই পঙ্গু করে দিয়েছে ? যে ছয়টি দিন বাংলাদেশের সীমান্তে পাহারারত অবস্থায় একজন সীমান্ত রক্ষীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় আর আমরা কিছুই বলি না ! নুন্যতম প্রতিবাদও করি না ! আমাদের কি লজ্জাবোধ হবে না কখনও ?
২| ২৩ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৬:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি যুদ্ধ শুরু করেন।
৩| ২৩ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
অঝোরে কষ্ট বলেছেন: এরকমই হয় বাংলাদেশ কে সবাই মেরে মেরে যায়। বাঙ্গালী কখনো কিছু করতে পারে না
৪| ২৩ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৮
অনুকাব্য০০৭ বলেছেন: কোন দিবস টিবস বুঝি না। ১৬ কোটি বাঙ্গালীর হাতের হাত কড়া খোলার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
৫| ২৩ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
ভয়ংকর বিশু বলেছেন: নায়েক রাজ্জাককে ফিরিয়ে এনে বদমাইশ রুহিংগাদের লাথি মেরে মায়ানমার পাঠানো হোক।
৬| ২৩ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০৯
গান পাগলা বলেছেন: কি আর কমু
আমরা বাংগালী নিজের বালটাওতো ছিরতে পারিনা, পারি খালি মাপতে।
সালা নেড়ার বাচ্চারা,১৬ কোটি মিললা মুইতা দিলে ভাইসা যাইবো আবার শর্ত চোদায়।
এইটা মিয়ানমারের একটা জতীয় নাটক,
রোহিংগা মুসলমান গুলারে মাইরা পুরাতো শেষ করবার পারে নাই, বাকি গুলোরে বাংলাদেশে পাঠানোর পায়তারা।
টাইগার টাইগার বইলা ফাল পারস সালারা হিজলার গুসটি......
মিয়ানমারের টাকলু ইন্দুর গুলারে সিদা করতে হাবলু মারকা বিজিবির দরকার আছে? আমগো মত কিছু পাগলই যথেষ্ঠ।
মশা মাছি পাদ দিলে কত কিছু করো, এই বিষয়ে একটা সাধারণ পরতিবাদ সমাবেশও কোন হালারে করতে দেখলাম না।
আপসোস আমি একটা বাংগালী।
মুখ খারাপ করছি মনের দুঃখে, তাও সরি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৫:২৪
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: অজিত দোভাল মায়ানমার সফর করে থেইন সেইনকে কুমন্ত্রণা দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় ক্ষমতাসীনরা পরিস্থিতির অ্যাডভান্টেজ নেবার চেষ্টা করছে।
আর আফসোস, দেশপ্রেমী চেতনা এখানে লাশকাটা হিমঘরে।