নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ উৎক্ষেপণের ১ বছর পূর্ণ হলও গত ১২ই মে, ২০১৯। এক বছর পূর্বে একটা লেখায় মন্তব্য করেছিলাম "বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটির জন্য শুভ কামনা রইল। আশাকরি বাংলাদেশ সরকারের বঙ্গবন্ধু-১ বাংলাদেশ সরকারের টেলিটক মোবাইল ও দোয়েল ল্যাপটপ প্রজেক্টের মতো মানুষের হাঁসির পাত্র হবে না। " বছর শেষের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু-১ এর পরিণতি টেলিটক মোবাইল ও দোয়েল ল্যাপটপ প্রজেক্টের মতোই হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ এর ১৫ বছর জীবনী কালের ১ বছর ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেলেও গত ১ বছরে এই স্যাটেলাইট থেকে প্রায় ১ টাকাও আয় হয় নাই। অথচ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ এর জন্য খরচ-কৃত ৩ হাজার কোটি টাকা উঠাতে হলে প্রতিদিন আয় করতে হবে ৫৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ গত ১ বছরে আয় করতে হতো ২০০ কোটি টাকা। যেহেতু প্রথম বছরে কোন আয় হয় নাই তাই আগামী ১৪ বছরে প্রতিবছর ২১৪ কোটি টাকা করে আয় করতে হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ তরঙ্গ বিক্রি করে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ এর কার্যক্রম চালানোর জন্য যে লোকবল দরকার তাদের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ হিসাবে ধরা হয় নাই। ঐ হিসাব ধরলে এই স্যাটেলাইট এর খরচ ৩ হাজার কোটি টাকার অধিক হয়ে যাবে।
এই সপ্তাহে পত্রিকায় প্রকাশ যে উৎক্ষেপণের ১ বছর পরে সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ এর ফ্যাসিলিটি ব্যবহার নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন গুলোর সাথে চুক্তি হয়েছে; যেই চুক্তিতে প্রথম ৩ মাস বিনে পয়সায় তরঙ্গ ব্যবহার করবে ও ৩ মাস পর থেকে ফি প্রদান করবে। তবে কি পরিমাণ ফি প্রদান করবে তা কোন মাধ্যমেই প্রকাশিত না।
গতবছর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ উৎক্ষেপনের সময় আমার লেখা পোষ্টে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলাম যে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট শুধুমাত্র একটি যোগাযোগ উপগ্রহ ও এই উপগ্রহ দিয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কিত কোন তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। যোগাযোগ উপগ্রহে পেলোড (কার্যকরি যন্ত্র) হিসাবে যে যন্ত্র থাকে তার নাম ট্রান্সপোন্ডার (transponder: An instrument used on communications satellites that receives a signal from a station on Earth at one frequency, amplifies it, and shifts it to a new frequency.)। ট্রান্সপোন্ডার শুধুমাত্র পৃথিবী পৃষ্ঠে অবস্থিত; বা অন্য কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাঠানো কোন সিগনাল প্রথমে গ্রহণ করে এর পরে তা বিবর্ধিত করে ও সব শেষে তা আবারও পৃথিবী পৃষ্ঠে অবস্থিত কোন স্টেশনে বা অন্য কৃত্রিম উপগ্রহে পাঠিয়ে দেয়। এটাই হলও যোগাযোগ উপগ্রহের একমাত্র কাজ। পক্ষান্তরে আবহাওয়া উপগ্রহগুলোতে পেলোড হিসাবে রেডিও-মিটার (রেডিয়েশন মাপার যন্ত্র), স্কেটারোমিটার (পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত বিভিন্ন গ্যাস যেমন কার্বনডাই অক্সাইড, ওজোন, নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি), লাইটিং ইমেজার ইত্যাদি নামক বিভিন্ন প্রকার মনিটরিং যন্ত্র ও ক্যামেরা থাকে।
ঘুর্নিঝড় ফণি এর কল্যানে সকলে বুঝতে পেরেছে যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ দিয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কিত কোন তথ্য সংগ্রহ করা যায় না। বিবিসি এর সাংবাদ পড়ে দেখতে পারেন: ঘূর্ণিঝড় ফণী: পূর্বাভাস প্রদানে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ভূমিকা ছিল কি?
আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপি ও সংসদরা ও তাদের দলের ফেসবুক কর্মীরা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট দিয়ে কি কি করা যাবে সেই লিস্টি ফেরি করে বেড়ান প্রতিনিয়ত। বিভিন্ন পত্রিকার পা-চাটা সংবাদিকরাও পিছিয়ে ছিলো না এই ব্যাপারে। তারাও সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও সংসদদের উদৃতি দিয়ে পত্রিকার পাতা ভর্তি করেন বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট দিয়া কি কি করা যাবে। সেই লিস্টে দেখা যায় বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট দিয়ে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাষ করা যাবে; কৃষকদের বন্যার পূর্বাভাষ দেওয়া যাবে; মাটির নিচে কি প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেটাও জানা যাবে; বঙ্গোপসাগর পথহারা দেওয়া যাবে; দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করা যাবে।
আমি মন্তব্য করেছিলাম যে আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপি ও সংসদরা ও তাদের দলের ফেসবুক কর্মীরা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটকে প্রায় গুলিস্তান মোড়ে বিক্রিত সর্বরোগের মহৌষধ বানিয়ে ফেলেছে। ঢাকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসের জানালা দিয়ে কিছু কাগজ ছুড়ে দেওয়া হয় যেই সকল কাগজে লিখা থাকে: "চিকন স্বাস্থ্য মোটা করিবার ও টাঁক মাথায় চুল গজাইবার ১০০ ভাগ গ্যারান্টি; বিফলে মূল্য ফেরত"।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট দিয়ে কোন-কোন কাজ করা যাবে না সেই লিষ্ট টা যদি আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপি ও সংসদরা উল্লেখ করতো তাতে করে আরও ভালো হত। দেশের মানুষ তাহলে মনে করে নিতো এই কয়টা কাজ ব্যতীত পৃথিবীর সকল কাজ করা যাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট দিয়া।
গতবছর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ নিয়ে আমার লেখা "বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট যেন টেলিটক মোবাইল কিংবা দোয়েল (দুষ্ট লোকে কয় কাউয়া) ল্যাপটপের মতো পরিনতি বরণ না করে।" হতে কিছু অংশ এখানে তুলে দিলাম আবারও। সকলে মিলিয়ে দেখেন আমি কি বলেছিলাম ও গত ১ বছরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ আমাদের কি কি সেবা দিলো ও এই স্যাটেলাইট কত টাকা আয় করলো????
"সরকারের দেওয়া তথ্য মতে বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটিতে ৪০ ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ২০ বাংলাদেশ ব্যবহার করবে অন্য ২০ টি ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দেওয়া হবে টাকার বিনিময়ে। প্রশ্ন করতে পারেন ট্রান্সপন্ডার কি? ট্রান্সপন্ডার হলও কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহে স্থাপিত একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা ভূ-পৃষ্ট থেকে প্রেরকের পাঠানো তড়িৎ সিগলান গ্রহণ করে তা বিবর্ধিত করে আবারও সেই সিগনাল প্রাপকের কাছে পাঠাতে পারে (Transponder: a device for receiving a radio signal and automatically transmitting a different signal.)। সরকারের তথ্য মতে বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটি ক্রয় করা, সেটি উৎক্ষেপণ করা ও কক্ষপথে স্পেস কেনা বাদ সর্বমোট প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। একটা কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহের অপারেশনাল লাইফ টাইম হয়ে থাকে ৫ থেকে ১৫ বছর। সরকারের কর্তা ব্যাক্তিদের তথ্য মতে বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটির জীবন কাল হবে ১৫ বছর। তবে অনেক সময় বিভিন্ন কারণে কৃত্রিম উপগ্রহ পূর্বে নির্ধারিত পুরো জীবনকাল পূরণ করতে পারে না বিভিন্ন কারণে জ্বালানি নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে।
সরকারের নিতি-নির্ধারকরা বলছিল ২০ টি ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দিয়ে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলার আয় করবে। কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে যাদের সামান্যতম ধারণা আছে তারা সরকারের নিতি-নির্ধারকদের দাবি শুনে মুচকি-মুচকি হাঁসেছিল হাজার কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখানো গান্জাঁখুরি গল্প শুনে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত নিজে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ বানিয়ে নিজেদের রকেটের মাধ্যমে তা পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করে থাকে। যেহেতু ভারত নিজেই ভূ-উপগ্রহ বানিয় ও তা কক্ষপথে স্থাপন করে তাই এই কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহগুলো বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম খরচ হয়। এখানে উল্লেখ্য যে ভারত মঙ্গলগ্রহে একটি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পাঠিয়েছে আমেরিকার ১০ ভাগের এক ভাগ খরচে। ২০১৭ সালে ভারত একটি মাত্র রকেটে করে এক সাথে ১০৪ টি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করেছে। তার মাধ্যে একটা মাত্র কোম্পানি একই সাথে ৮৮ টি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করেছে। ভারতের সরকারি ও বেসরকারি অনেক কোম্পানির কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ আছে যেগুলো অনেক কম খরচে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের কর্তা ব্যাক্তিরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ এর ২০ টি ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দিয়ে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলার আয় করবে বলে আশার বানি শুনিয়েছিল বা এখনো শুনাচ্ছে তারা ভারতীয় সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানি গুলোর সাথে প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে নিজেদের পণ্য বিক্রয় করতে পারবে কি না? একই কথা প্রযোজ্য সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেও। বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে অপেক্ষাকৃত কম দামে ক্রেতার কাছে ২০ টি ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দিতে পারবে কি না?"
বছর শেষের ফলাফলে অনুমান করা যাচ্ছে যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ ও টেলিটক মোবাইল ও দোয়েল ল্যাপটপ প্রজেক্টের মতো মানুষের হাঁসির পাত্র হতে যাচ্ছে।
গত ১ বছরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ এর অর্জন নিয়ে বিবিসি বাংলা বিভাগ ও জার্মানির ডয়েচভেলে সংবাদ মাধ্যম বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশ করেছে। নিচে কয়েকটির লিংক দিলাম সকলের পাঠের জন্য।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে এক বছরে প্রাপ্তি কতোটা
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট: এক বছরে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট: বাণিজ্যিকভাবে কতটা সফল হবে?
২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:০৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ঢাকার আগারগাও এর কম্পিউটার সিটি থেকে কম্পিউটার কিনে যদি কেউ নিজেকে কম্পিউটার বৈজ্ঞানিক ভাবা শুরু করে দেয় তবে ............... তাহলে জনৈক এমপি এর মতো বলতে হয় মাননীয় স্পীকার আমিতো ............. ?????? হয়ে গেলাম
২| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের মতোন দরিদ্র দেশে এরকম বিলাসিতা করা ঠিক না।
দেশে নাই চাকরি। প্রতিটা রাস্তায় ভিক্ষুক।
২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৫৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
গ্রাম বাংলায় একটা প্রবাদ আছে "ভিক্ষার চাল, কাড়া কিংবা অ-কাড়া"। ধর্ষকদের কাছে যেমন স্কুল পড়ুয়া কিশোরী কিংবা ৪ সন্তানের জননী কেউই বাদ যায় না তেমনী, দূর্নিতীবাজরা সরকাররা দেশের মানুষ গরিব নাকি বড়লোক তা দেখে দূর্নিতী করেনা।
৩| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:০২
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনারা এইসব আজেবাজে কথা বলেন দেখেই তো ব্লগ বন্ধ হয়ে যায়.... মাস কয়েক বন্ধ থাকার পর এই যে এখন আবার ব্লগে ঢুঁ মারতে পারছি, সেটা কি এই স্যাটেলাইটের অবদান না? আপনারা ভালো কিছু চোখে দেখেন না?
২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৫৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
হে হে হে, এই যে সমু ব্লগে পোষ্টা লিখলাম এইটাও তো ঐ স্যাটেলাইটের কেরামতি
৪| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি এসব উল্টাপাল্টা কথা বলে আমাদেরকে ভোলাতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সাফল্যের কারনেই সরকার আজ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উড়ানোর চিন্তা করছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর আরেকটা বড় সাফল্য হলো, এর ফলে আমরা অনেক মহাকাশ বিজ্ঞানী সৃষ্টি করতে পারবো এবং তাদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানীও করতে পারবো।
যে কোনও সাফল্য দেখতে হলে আপনাকে আরো অপেক্ষা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর বিপক্ষে কথা বলা সবরকমের চেতনার বিপক্ষে!!!
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:০১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ছেতনার দাম ৩০০০ কোটি টাকা; বছরে আগামী ১৪ বছরে প্রতিবছরে ২১৪ কোটি টাকার ছেতনা বিক্রি করতে হবে; ছেতনার আসল ক্যাপিটেল উঠাইতে হলে। ছেতনার সুদের কথা না হয় বাদই দিলাম কিংবা ভুইলা গেলাম
৫| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: খুবই দুঃখজনক। আমাদের দেশে সকল নীতি, উন্নয়ন, আইন এগুলো কেন যেন শুধু রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে করা হয়। দেশের সাধারণ মানুষ কমই লাভবান হয় এতে। সরকার কাজ করে, প্রচার করে, বিরুধীদল বিরুধীতা করে, সবই রাজনৈতিক উদ্দেশে! বিষয়টা আসলে হতাশাজনক।
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
প্রবাদে আছে ভাবিয়া করিও কাজ; করিয়া ভাবিবার সময় নাও পাইতে পারো। পন্যের ক্রেতা কে? ক্রেতা কোন ধরণের পন্য চায়? ক্রেতার কাছে একই দামে কিংবা আরও কম দামে আরও ভালো পন্য ক্রয়ের সুবিধা আছে কি না তা বিবেচনা না করিয়া যখন পণ্য উৎপাদন শুরু করলে সে পন্য তো মৌসুমের শেষের বাঁধাকপি কিংবা মুলা যেমন গরুকে খাওয়াতে হয় তার মতো অবস্হা হবে তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।
৬| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
নজসু বলেছেন:
অনেক টাকা লস হয়ে গেলো।
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
এই প্রজেক্ট থেকে লাভ যাদের হওয়ার কথা তারা ঠিকই লাভ করেছে; ও ভবিষ্যতেও লাভ করবে। জনগনের ট্যাক্সের টাকায় দরবেশ বাবার ডিশ ব্যবসা; জনৈক মন্ত্রীর ভায়রার কন্সালটেন্সি % .............. আর কি চাই
৭| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৫১
ঢাবিয়ান বলেছেন: কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছেতো কি হয়েছে? এইটা কি আপনের টাকা? একজনের বাপের টাকা। উড়াবে, পুড়াবে যা ইচ্ছা তাই করবে ।
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার মন্তব্যে মোগেম্ব খুশ হুয়া
৮| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২০
জাহিদ অনিক বলেছেন:
অনেক বড় সিদ্ধান্ত নিতে হলে যে পরিমাণ প্রস্তিতি থাকার দরকার ছিল সেটা একদম হয় নাই। লস প্রজেক্ট হয়ে গেল।
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
পন্যের ক্রেতা কে? ক্রেতা কোন ধরণের পন্য চায়? ক্রেতার কাছে একই দামে কিংবা আরও কম দামে আরও ভালো পন্য ক্রয়ের সুবিধা আছে কি না তা বিবেচনা না করিয়া যখন পণ্য উৎপাদন শুরু করলে সে পন্য তো মৌসুমের শেষের বাঁধাকপি কিংবা মুলা যেমন গরুকে খাওয়াতে হয় তার মতো অবস্হা হবে তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।
৯| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ওটা না করলেও তাদের ক্ষমতা যেত না। কেন যে এতগুলো টাকা ...
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
জনগনের ট্যাক্সের টাকায় দরবেশ বাবার ডিশ ব্যবসা; জনৈক মন্ত্রীর ভায়রার কন্সালটেন্সি % .............. আর কি চাই ???
১০| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯
বিষক্ষয় বলেছেন: ক্যাবল ছাড়াই দেখা যাবে সালমান এফ রহমান-এর টিভি-------এটা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রত্যক্ষ সুফল : ---
https://www.narsingditimes.com/information-technology/innovation/4000?fbclid=IwAR0pip6reYx7OjmUQOdaR87i2-zifj-chXKNweD6fnxMvIeSU1P4Z7s_fT8 ----------
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
দরবেশ বাবা এগিয়ে চলো; ছেতনা আছে তোমার পিছে
১১| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জনগনের মাল (টাকা), দরিয়ামে ডাল।
আমাদের দেশের জনগণও বেকুব। যে সমস্ত ট্যাক্স খাজনার মাধ্যমে টাকা কালেকশন করে সরকার এইসব টাকা লুটপাটের নাটক করে, সেই সমস্ত ট্যাক্স খাজনা তারা দেয় কেন? না দিলে সরকার কিচ্ছু করতে পারবে না। আমি নিজে বিদ্যুৎ বিল ও পানির বিল ছাড়া আর কিছু দেই না। এই দুটো পাই বলে তার দাম হিসাবে বিল দেই। না পেলে দিতাম না।
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:২৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
জনাগনের মাল বলিয়া কিছু নাই; যা আছে সবই এতিমের মাল; যে যেমনে পারে লুটে খায়।
১২| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬
অনুভব সাহা বলেছেন:
আমাদের স্যাটুর কাজ:
*.প্রত্যন্ত এলাকায় টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবা বিস্তৃত করা,
*.যারা ভি-স্যাট ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করছেন তাদের কাজে,
*.বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচারের জন্য,
*.ডিটিএইচ সেবা অর্থাৎ বর্তমানে কেবল টিভির যে সংযোগ আছে সেটির মান উন্নয়ন করা।
বালিশ খেলোয়ার দিয়ে যে লাভ করা যাবে না সে তো আগেই জানা। (লাভ না হলেও নিজস্ব একটা স্যাটু থাকা দরকার)
হাজার কোটি টাকা আয়ের আরেকটা গান্জাঁখুরি গল্প শুনুন... এ নিয়ে তেল বাবার সাথে ফেবুতে গন্ডগোলও হল।
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:২৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বলদের কাছে সবুজ ধান গাছ ও সবুজ ঘাসের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। এই কারণেই পোষ্ট লিখেছি যে "আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপি ও সংসদরা ও তাদের দলের ফেসবুক কর্মীরা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটকে প্রায় গুলিস্তান মোড়ে বিক্রিত সর্বরোগের মহৌষধ: "চিকন স্বাস্থ্য মোটা করিবার ও টাঁক মাথায় চুল গজাইবার ১০০ ভাগ গ্যারান্টি; বিফলে মূল্য ফেরত"।"
১৩| ২১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা! আপানেরে কে কইলো যে লাভের মূক দেখতেই এই প্রজেক্ট!
বরং পড়ুন কমিশনের যে খেলা তাতেই না বাংলাদেশ আমেরিকার চেয়ে বেশী ৬ জি গতিতে কোটিপতি তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে!
কমিশন বাজির জন্যই তো দেশকে অচল করে মেট্রো রেল প্রজেক্ট বসছে! অথচ এর হাজার ভাগের এক ভাগ খরচা করে ঢাকাকে গতিমীল করার কত আইিডয়া ছিল! ছে! তাতে লাভ কই? কমিশন চাই আগে কমিশন!
ট্রানজিট দিলে সিঙ্গাপুর হবে খোয়াব দেখিয়েছিল না! খোয়াব ভাংগলে বাঙালী কিসু কয়না, বুইঝাইতো বাঙালীর পশ্চাত দেশে আনক্লিন স্যাটু দেয়া হচ্ছে! ১-২ সিকুয়াল
মিথ্যাবাদী, আর স্বৈরাচারীর কাছে ন্যায়, ণীতি আর সত্য আশা করা বাতুলতা নয়!!!!!!???
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৩০
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
এই প্রজেক্ট থেকে লাভ যাদের হওয়ার কথা তারা ঠিকই লাভ করেছে; ও ভবিষ্যতেও লাভ করবে। জনগনের ট্যাক্সের টাকায় দরবেশ বাবার ডিশ ব্যবসা; জনৈক মন্ত্রীর ভায়রা ভাই এর কন্সালটেন্সি % .............. আর কি চাই ???
১৪| ২১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সব মানুষ দিয়ে যেমন সব কাজ হয় না তেমনি একটা সেটেলাইট দিয়ে সব ধরনের কাজ করানো অসম্ভব।
বাংলাদেশে লস প্রজেক্টের বস্তা। কত প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ে !
রুপপুর পারমাণবিক প্রকল্পটা কি হয় দেখা যাক। সেটেলাইট তো সেই খেলা দেখাচ্ছে !
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৩২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
"আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপি ও সংসদরা ও সামু ব্লগের হাম্মাদের কাছে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট হলো গুলিস্তান মোড়ে বিক্রিত সর্বরোগের মহৌষধ: যে ঔষধ সারাতে পারে না এমন কোন রোগ পৃথিবীতে নাই।
১৫| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি এখনি এতটা আশাহত হইতে চাই না।
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমিও না; ক্রিকেটে শেষ বলে ৬ মেড়ে যেমন খালা জেতানোর ইতিহাস রয়েছে; তেমনি করে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট ১৫ তম বছরে গিয়া একিবারে ৩০০০ কোটি টাকা আয় করিবে।
১৬| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:০১
করুণাধারা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন, আহা! আপানেরে কে কইলো যে লাভের মূক দেখতেই এই প্রজেক্ট!
বরং পড়ুন কমিশনের যে খেলা তাতেই না বাংলাদেশ আমেরিকার চেয়ে বেশী ৬ জি গতিতে কোটিপতি তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে!
কমিশন বাজির জন্যই তো দেশকে অচল করে মেট্রো রেল প্রজেক্ট বসছে! অথচ এর হাজার ভাগের এক ভাগ খরচা করে ঢাকাকে গতিমীল করার কত আইিডয়া ছিল! ছে! তাতে লাভ কই? কমিশন চাই আগে কমিশন! আসল কথা সেটাই, কমিশন। উন্নয়ন কথাটিকে "কমিশন" কথা দ্বারা প্রতিস্থাপন করলে দেখবেন, সবকিছু সহজবোধ্য হয়ে গেছে!
পোস্ট ভালো লাগলো।
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ। তোরা যে যা বলিশ ভাই; দরবেশ বাবার ডিশ ব্যবসা; আর ভায়রা ভাই এর কমিশন চাই ..........
১৭| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:১০
ল বলেছেন: বছর শেষে অশ্বডিম্ব প্রাপ্তির গল্প!!!!
তাহলে মরহুম এমপি সা: কা:চৌ: মতো বলতে হয় মাননীয় স্পীকার আমিতো ............. হয়ে গেলাম
করুণাধারা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন, আহা! আপানেরে কে কইলো যে লাভের মূক দেখতেই এই প্রজেক্ট!
বরং পড়ুন কমিশনের যে খেলা তাতেই না বাংলাদেশ আমেরিকার চেয়ে বেশী ৬ জি গতিতে কোটিপতি তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে!
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
পন্বচগড়ের এক এমপি বলেছিলো মাননীয় স্পীকার আমিতো চো....... হয়ে গেলাম।
১৮| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:২৭
বেঙ্গল রিপন বলেছেন: বাপে না পুতে চোঙ্গা চোঙ্গা মুতে
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বড় মজা পাইছি আপনার মন্তব্য পড়ে
১৯| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৯
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
দঃখের কোন কিছু খুইজা পাইলাম না ভাই। এই প্রজেক্ট যাদের লক্ষ রেখে নেওয়া হয়েছিল তারা ঠিকই এই প্রজেক্ট থেকে নিজেদের লাভের অংশ বুঝিয়া পাইয়াছে।
২০| ২২ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বিলাসিতা
শুনলাম আবারও দ্বিতীয় স্যাটেলাইট পাঠানো হবে
ভালো ভালো খুব ভালো ডিসিশন
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৪১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
এক স্যাটেলাইট দিয়া আর কয়জনকে খুশি করা যায়? বেসরকারি ব্যাংক, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সবাইকে একটা করে স্যাটেলাইট দেওয়া সময়ের দাবি। দরবেশ বাবা একাই খাবে আর অন্যরা খাবে না তা হবে না তা হবে না
২১| ২২ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩
নীল আকাশ বলেছেন:
সারা দেশে সব জায়গায় ছবি তোলার দোকানে এটা ব্যবহার করলে দাম ঊঠবে না?
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৪২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
এই স্যাটেলাইট দিয়া আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাইলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭
আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: স্যাটেলাইট প্রোজেক্ট হাতে নেয়ার সময়ই আমার এক বন্ধুকে বলেছিলাম এটি দিয়ে খুব বেশি টাকা পয়সা আয় সম্ভব নয়। তবে এটি আমাদের জন্য একটি আশীর্বাদ কারন এটির মাধ্যমে আমাদের মহাকাশ গবেষণায় প্রথম পদক্ষেপ।