নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ – হযরত আলী (রাঃ)
একবার একজন "ব্যাশ্যা" জুম্মাবারে মসজিদে কিছু টাকা দান করার জন্য পাঠিয়েছে, ইমাম সাহেব তো শুনে রেগেমেগে আগুন, বেশ্যার টাকা মসজিদে!!! এত্তো বড় সাহস!! হারাম টাকা একজন "ব্যাশ্যা" কি করে মসজিদে দান করার স্পর্ধা দেখায়! হুজুর কোনভাবেই "ব্যাশ্যার" টাকা মসজিদে দান হিসেবে গ্রহণ করবে না(যদিও দূর্নীতি, ঘুষ, লুটপাটের টাকা দান হিসেবে গ্রহণ করে বিনাপ্রশ্নে)। কিন্তু সামনের কাতারের মুসুল্লিরা সমশ্বরে চিল্লায়া ইমাম সাহেবকে বলতেছে, "হুজুর আপনি নিশ্চিন্তে-নির্ধিদায় এই দান গ্রহণ করতে পারেন। কারন টাকাগুলো হালাল এবং আমাদেরই টাকা!" কি বুঝলেন মিয়া।
আপনি যখন নিজের কাজটুকু ঠিকঠাক করবেন না, তখন কখনো জয়বাংলা কখনো ৭১ এর চেতনা বেইচা কিংবা একেবারে আরও বড় কোন দুনম্বরীর ইচ্ছে থাকলে নিজেকে পাবলিকলি ধার্মিক হিসেবে প্রমাণ করবার চেষ্টা করবেন!! ব্যাস একদম টনিকের মতো কাজ করবে। ধর্ম-আল্লাহ্-রাসূল(সঃ) এসব পরম পবিত্র জিনিস। এগুলো প্রকৃত ধার্মিকের অন্তরে থাকে, শো অফের জিনিস না। একজন মানুষ কতটুকু ধার্মিক এটা তার মোয়ামালাত-মোয়াশারাত(আচরনে এবং লেনদেনে) এর উপর বুঝা যায়। সে কতটুকু ন্যায়, ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত ওটার উপর বুঝা যায়। তাছাড়া কে কতবড় ধার্মিক বা ইমানদার এটা পরিমাপের কোন যন্ত্র কিংবা প্যারামিটার নাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিগিরির সাথে ধর্মের কি সম্পর্ক!! বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা নামাজি কিংবা বেনমাজি হলে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন লাভ কিংবা ক্ষতি আছে? আমাদের কবি জসীমউদ্দিন হলের একসময়ের প্রোভোস্ট ছিলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্ট্যাডিজের অধ্যাপক মাওলানা আব্দুর রশিদ বোঃ দাঃ পরবর্তীতে সে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যাঞ্চেলর হয়। তার মতো অসৎ, দুনম্বর, দূর্নীতিবাজ, কর্মে ফাঁকিবাজ, নিয়োগ দূর্নীতিবাজ আর একটাও নাই। অথচ লম্বা দাঁড়ি, সফেদ পাঞ্জাবি, নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ ওঠায়া ফেলসে! সে লীগের সাথে মিলে হলের টাকা মাইরা খাইসে, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক লীগের লোকজন শিক্ষক হিসেবে ঢুকাইসে। সরকারের পক্ষে পাচাটামি করসে। এটা জাস্ট একটা উদাহরণ। আপনি দাঁড়ি ওয়ালা নামাজি পিএসসির ড্রাইভার আবেদ আলী চাচার গাড়ীতে বসে নামজ, সমুদ্র সৈকতে নামাজের দৃশ্য দেখসেন! অথচ সে লাখ লাখ বেকারের সাথে মোনাফেকি করছে। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আপনারা আয়করের ছাগল কান্ডে আলোচিত মতিউরকে দেখেসন, যে নাকি জীবনে কোনদিন নামাজ মিস দেয়নি!!! তার ছেলে নাকি জীবনে কোনদিন নামাজ ছুটেনি এবং কোন মেয়ের সঙ্গে কথা বলেনি!! অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার করেছে। আপনারা বাংলাদেশ নামক ধর্মীয় উপত্যকায় লাখ লাখ আবেদ আলী, আব্দুর রশীদ, মতিউর, দরবেশ বাবা চাষাবাদ হয় রোজ নিজের ভয়াবহ অপরাধ ঢাকবার জন্য। আমাদের মানবতার আম্মো "শ্যাক হাসিনা" কেও দেখেসন তাহাজ্জুদ গুজারি হতে, কিন্তু এসব কিছু কি তাদেরকে কোন নৈতিক ও ইনসাফের মানুষ হিসেবে বানাতে পেরেছে? আপনারা লাখ টাকার বিনিময়ে বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত কিছু ওয়াজি মোল্লাদের দেখেসেন। আবার আমাদের সবার প্রিয় আহমাদুল্লাহ হুজুর, শায়খ সাইফুল্লাহ হুজুরদের মতোও মানুষ দেখসেন যাদের নৈতিক অবস্থান পৃথিবীর যেকোনো মানদন্ডেই অসাধারণ। যারা যেকোনো দূর্যোগে কোটি মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
তাই আমাদের এমন একটা সিস্টেম ডেভেলপ করা উচিত যেখানে একজন ধার্মিক কিংবা অধার্মিক কারো পক্ষেই ইনসাফ বহির্ভূত কাজে চাইলেও সম্পৃক্ত হতে পারবে না। তাকে সৎ হিসেবে প্রমানের জন্য ধর্মের আশ্রয় নেওয়া লাগবে না। বরং তার সিস্টেমই তাকে সৎ হিসেবে গড়ে তুলবে। যেমনটা পশ্চিমের দেশগুলোতে ।
©somewhere in net ltd.