নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ – হযরত আলী (রাঃ)
১৯৭৪/৭৫ সালে যুদ্ধোত্তর মুজিবল্যান্ডে(ওটা তখন মুজিবল্যান্ড হয়ে গেছিলো বাংলাদেশ থেকে) আধুনিক পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়াবহতম দুর্ভিক্ষ চলছিলো। শুধুমাত্র ১৯৭৪ সালের শরৎকালে ১ লাখের উপরে মানুষ মারা যায়, অপরদিকে ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৫ সালের শেষপর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ মানুষ খাদ্যাভাব ও অপুষ্টির কারনে মারা যায়!! আসলে আমুলীক ও জাস্টিস লীগের লোকজন প্রচার করতে চায় যুদ্ধোত্তর ওই সময়ে খাদ্যদ্রব্যের অভাব ছিলো, উৎপাদন কমে গেছিলো, সরবরাহ লাইনে ঘাটতি, ও বিদেশ থেকে সাহায্য এবং আমদানী কমে গেছ!! ব্যাপারটা হলো নির্লজ্জ মিথ্যাচার। অনেকটা ৩০ লাখ শহীদের গাঁজাখুরি মিথ্যাচারের মতো।
আসল সত্যি হচ্ছে ওই দুর্ভিক্ষে আরবান মিডল ক্লাসের কেউ মারা যায়নি। ওইসময় বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত খাদ্যসহায়তা আসতো এবং দেশেও উৎপাদন হতো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মুজিব চাইসে শহুরে আরবান ক্লাসরে ঠান্ডা রাখতে, তাদেরকে একদমই চ্যাতাইতে চায় নাই, এবার গ্রামণ জনগোষ্ঠীকে অভুক্ত রেখে হলেও। কারন আরবান মিডলক্লাসের কিচেনে এলোমেলো হলে সারা দুনিয়ার নিয়ম হচ্ছে সরকার ফেলে দেয় কিংবা বিপ্লব তৈরি হয়। মুজিব চায় নাই শহুরে বিশেষ করে ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনার মতো বড় বড় শহর গুলোর মিডলক্লাসরে খেপায়া দিতে, এজন্য ৯০% অশহুরে/গ্রামীন জনগোষ্ঠীকে ঠকিয়ে সরকারি চাকরিজীবী ও আরবানক্লাসের ১০% জনগোষ্ঠীর জন্য মোট ত্রানের ৯০% ডিসবার্সড হতো। সমস্ত আন্দোলন সংগ্রাম আরবান মিডল ক্লাস লিড দিয়া এগিয়ে নেয়। তাই তাদের মাঝে কনসেশন প্রাইসে ফুড বিক্রি করে পাশাপাশি লেঠেল(পুলিশ এবং রক্ষী) এবং ডিফেন্স ফোর্সকে ফুড র্যশনিংয়ের মাধ্যমে দুর্ভিক্ষের আচঁ থেকে দূরে রাখসে।
মুজিব এর পরিবারের লোকজন সবচেয়ে জঘন্য যে কাজটা করসে সেটা হলো ত্রানের খাদ্য ভারতে পাচার করে দিতো। স্থল সীমান্তের পাশাপাশি বাংলাদেশ নেভির জাহাজে করে ভারতে পাচার করতো বিদেশ থেকে পাঠানো দান-খয়রাতের খাদ্যদ্রব্য, ওদিকে তার দেশের মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে!! কলকাতায় তখন নক্সাল আন্দোলন চলছে, জিনিসপত্রের দাম উর্ধ্বমুখী। অপরদিকে এপাশে মানুষ না খেতে পেরে চিল শকুনের মতো বেঘোরে মরে পরে থাকতো রাস্তা-ঘাটে৷ কেউ ২ দিন কেউ ৪ দিন না খেয়ে থাকতো। অপরদিকে আমুলীকের নেতারা ওই ত্রানের খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে, গুদামজাত করে আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি করতো। একেকজন ফুলেফেঁপে তালগাছ হয়েছে।
মুজিবের সময় প্রচুর দানখয়রাত আসতো বিদেশ থেকে বিশেষ করে PL-480 অ্যাক্টের আওতায় আমেরিকার সারপ্লাস ফুডগ্রেইন আসতো ঢাকায়, এর পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন, জাপান থেকেও আসতো৷ মুজিবের বাজেটের ১৮% হতো এই খাদ্যপন্য কনসেশন প্রাইসে বিক্রি লব্ধ অর্থ থেকে। এটার পরোক্ষ প্রভাবে দেশে উৎপাদন কমে যায়, কারন মানুষজন যখন বিদেশি ত্রান-সাহায্যের ফুডগ্রেইন কমদামে পাওয়া শুরু করে তখন দেশের কৃষকরা ক্ষতির কারনে উৎপাদন কমিয়ে দেয়। আবার যখন ৭৫ এট ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে শহীদ করে তার ঠিক পরের বছর ফুডগ্রেইন উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ১৪%।
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯
বাউন্ডেলে বলেছেন: ৩০ লাখ শহীদ নয় ? কত ?
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:০৬
রাসেল বলেছেন: ১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালে দেশের শাসন ব্যবস্থা কেমন ছিল জানাবেন কি ?