নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপরাধ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছি পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে এবং ব্লগে টুকটাক লেখার চেষ্টা করছি।

মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১

সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ – হযরত আলী (রাঃ)

মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদর্শ গৃহিণী হওয়া!

১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:১৫



মেয়েটির একটা ইন্টারভিউ দেখলাম, তাতে মেয়েটি খুব সাবলীলভাবে এবং নির্দ্বিধায়- অকপটে স্বীকার করেছে সে আদর্শ একজন গৃহিণী হতে চায়৷ আজকের দুনিয়ায় দাঁড়িয়ে এটা সত্যিই বিরল যে কেউ এখনও গৃহিণী হতে চায়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির পৃথিবীতে কেউ ঘরের কাজকে সম্মানের সঙ্গে আপন করতে চায়। এটা সত্যিই প্রশংসনীয় একটা ব্যাপার৷

আজকের সমগ্র পৃথিবী আমাদের শেখাচ্ছে ঘরের কাজ নারীরা করা মানে পশ্চাদপদতা- প্রাচীনত্ব- মধ্যযুগীয় বর্বরতার সমতুল্য - নারীর উন্নয়নবিমুখতা- প্রগতিবিরুদ্ধ/প্রগতীবিমুখতা। নারীর ঘরের কাজকে নারীর উন্নয়নের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। আমাদের সমস্ত সিনেমা-নাটক-বিজ্ঞাপন-পাঠ্যবই-উন্নয়ন সংস্থাগুলো আমাদের দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা এটাই শেখাচ্ছে নারীর ঘরের কাজ মানেই নারীকে ছোট করা, নারীর উন্নয়নের পথকে রুদ্ধ করা, নারীর সন্মানকে খাটো করা ইত্যাদি।

সংসার সুখের হয় নারী-পুরুষ উভয়ের অংশগ্রহণে, দু'জন দু'জনের প্রতি পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকলে। ঘরের-বাইরের কাজ না, যেকোনো কাজই যেকেউ করতে পারে। কাজের কোন লিঙ্গ নেই, সব কাজই সবার জন্য। তবে আজকের দুনিয়ায় দাঁড়িয়ে কোন নারী যদি অকপটে স্বীকার করতে পারে সে আদর্শ গৃহিণী হতে চায় তাহলে এটা আমার কাছে একটা রেভ্যুলেশনারী ব্যাপার-স্যাপার। বলতে পারেন আমার মস্তিষ্কে পুরুষতন্ত্র!! হ্যাঁ তাতেই আমি খুশি। একজন পুরুষ যেমন ঘরের কাজ করলে তার ইজ্জত সন্মান যায় না, তেমনি একজন নারীও ঘরের কাজ করলে তার ইজ্জত সন্মান যায় না।

আসলে সবসময় নিয়মনীতি-প্রথা-কাস্টমস-নর্মস- ভ্যালুজ-দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি ব্রেক করা মানেই যে বিল্পবীয় ব্যাপার এমনও না অনেক সময় এটা সমাজের যে চিরন্তন ঐক্য-সম্প্রতি এবং শান্তি-শৃঙ্খলা রয়েছে সেটাকে ভেঙে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে। এদেশের অধিকাংশ প্রগতিশীল এবং নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করা লোকগুলো ভয়ঙ্কর রকমের ভন্ড, টাউট ও বাটপার শ্রেনীর হয় এবং একই সঙ্গে অন্ধ ও বটে। সবকিছু অন্ধ অনুকরণ করে এরা। নারীরা কেন হাজার-হাজার বছর ধরে ঘরের কাজ করে এটার তো একটা নিশ্চয়ই মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখাও রয়েছে। নারীরা বরাবরই ঘরে থাকতে বেশি পছন্দ করে, ঘর নারীকে যেভাবে কাছে টেনেছে ঠিক তেমনিভাবে পুরুষকে বাহির কাছে টেনেছে। তারা যেহেতু শারিরীকভাবে পুরুষের থেকে ভিন্ন তাই তাদের কাজের ধরনও পুরুষের থেকে আলাদা হবে এটা ভ্যারি ন্যাচারাল এবং এটাই ইকুইটি আর নায্যতা। সবসময়ই পুরুষরা সমস্ত যুদ্ধ-বিগ্রহ-শারীরীক পরিশ্রমের কাজগুলো করে আসছে এবং এতেই সমাজের ভারসাম্য রক্ষা হয়েছে। আর এটাই ইকোসিস্টেম। এভাবেই সমাজ টিকে আছে। নারী যেভাবে পরম মমতায় সংসার টিকিয়ে রাখে, বাচ্চা মানুষ করে, ঘরের সমস্ত কাজ করে এটা পুরুষ পারে না। এটাই সহজাত সৌন্দর্য, এটাই শক্তি, এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। এই সুন্দর ব্যবস্থাটা নারী-পুরুষ উভয়ে উভয়ের সম্পূরক শক্তি হিসেবে বাঁচিয়ে রেখেছে। একজন অপরজনের সহায়ক শক্তি হিসেবে টিকে আছে। কেউ কারো শত্রু নয় বরং এই পৃথিবীর জটিল-কঠিন-বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে একজন অপরজনের পরম বন্ধু হিসেবে মমতায় জড়িয়ে পাশে থাকে। আর এটাকে পুরুষতন্ত্র বলে না রে, বোকাদোচা! এটাকে নারীর প্রতি বৈষম্য বলে না! এটা হলো সৌন্দর্যতা-নান্দনিকতা-ভারসাম্যতা-নায্যতা। নারী তার মেধা-মননশীলতা-প্রজ্ঞা-বিচক্ষন্নতা দিয়ে এগিয়ে যাবে তেমনিভাবে পুরুষও এগিয়ে যাবে।

এরপরও যদি কোন নারী সর্বোচ্চ জ্ঞানের আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করে, সবকিছু করার পাশাপাশি নিজের ঘরকে আপন করে বুকে টেনে নেয় তাহলে তার জন্য অনেক অনেক বেশি সন্মান। যে নারী ঘর-সংসার-রান্নাঘর-বাচ্চা সামলানোটাকে ঘৃণা-অবজ্ঞার-কম গুরুত্বের চোখে দেখবে সে নারী সারাজীবন একধরনের মনঃকষ্টে ভুগবে। তথাকথিত প্রগতিশীলতার নামে নারীর প্রতি এমনসব অপ্রয়োজনীয় বোঝা চাপিয়ে দিবে, তার চাপে সে সব ভুলে যাবে। যে তথাকতিথ শান্তির জন্য সে ঘর-সংসার-বাচ্চা সামলানোকে এতোদিন ঘৃণা করেছে একটা সময় পর সে সবচেয়ে বেশি এই জিনিসগুলোকে ফিল করবে, সবচেয়ে বেশি সে ঘর-সংসার চাইবে। মুখে যতোই প্রগতিশীলতার কতা বলুক একটা সময় পর সে সবচেয়ে বেশি আফসোস করবে সংসারী না হওয়ার জন্য। না হয় Utmost Happiness ব্যাপারটা পাবে না। আমার খুব ক্লোজ একজন, জিনি বিশাল সব সার্টিফিকেটধারী। দীর্ঘদিন এমএনসিতে চাকরি করেছে। তারপর ছেড়ে দিয়ে উদ্যেগক্তা হয়েছে। দশঘাটে জল পান করতো, বেশ আরামেই দিন যাচ্ছিলো, এখন চামড়া যখন ঢিলা হওয়া শুরু হইসে। এবার শেষ বয়সে কিভাবে কাটাবে, কে দেখবে এসব নিয়ে বিষন্নতায় ভুগছে। কারন টাকা পয়সা যা যেসব নিরাপত্তা দিতে পারেনা, সংসার ঘর ঐ নিরাপত্তা দিতে পারে। এবং এই যে বাবা-মায়ের প্রতি আমাদের একধরনের অদ্ভুত টান-শ্রদ্ধা-ভালোবাসা-মায়া-মহব্বত কাজ করে এবং শেষ বয়সে বাবা-মাকে আমরা আমাদের বাচ্চাদের মতোই আদর-যত্ন করি যেভাবে ছোটবেলায় আমাদের বাবা-মা আমাদেরকে কেয়ার নিয়েছিলো এটা শুধুমাত্র ট্রেডিশনাল সমাজ ব্যবস্থায় সম্ভব। এটা শুধুমাত্র ঘর-সংসার-বাচ্চা সামলানো সমাজ ব্যবস্থাতেই সম্ভব। ঘর-সংসার-বাচ্চা সামলানো সমাজ ব্যবস্থার ভেতর যে ভ্যালুজ-নর্মস-কাস্টমস রয়েছে ঐটার বাইপ্রোডাক্টই হলো আমরা আমাদের বাবা-মা কে বৃদ্ধ বয়সে কখনো ছেড়ে যাইনা, তাদেরকে বাচ্চাদের মতোই কেয়ার করি। একটা সময় পর যখন শরীর হাত পা ভেঙে বিছানায় পড়ে তখন প্রস্রাব-পায়খানা করে বিছানায় ঐটাও পরম মমতায় আমাদের সন্তানরা পরিষ্কার-পরিছন্ন করে। কখনো একটুও ঘৃনা করে না এসব পরিষ্কার করতে বরং পরম আদর-মমতায় আগলে রাখে। এটাই হলো ট্রেডিশনাল সমাজের বাইপ্রোডাক্ট। অপরদিকটায় আছে বৃদ্ধাশ্রম আর অবহেলা এবং ছেড়ে যাওয়া। ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য ।

১২ মে, ২০২৩
ঢাকা।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার পাওনা অনেক কষ্ট করে লিখেছেন বলে।
শেষের প্যারাটা একটু ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিলে সুবিধা হোত।

২| ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:১৭

কলাবাগান১ বলেছেন: "দশঘাটে জল পান করতো, বেশ আরামেই দিন যাচ্ছিলো, এখন চামড়া যখন ঢিলা হওয়া শুরু হইসে" কথা বার্তার যে ছিড়ি, তাতে বুঝা যায় স্ট্রং মহিলা রা আপনাদের মত লোকদের কেন ঘৃনা করে.. Incel দের কথা বার্তা অবশ্য এরকম ই হয়।

একটা জাতির ৫০% যদি দেশের ইকোনমিক কাজে যোগদান না করে, তখন তার দেশের জিডিপি অর্ধেক হয়ে যায়, পাশের দেশ যেখানে ১০০% জনগন সেই দেশের ইকনোমিক এক্টিভিটি তে জড়িত থাকে (সমান সংখ্যক পপুলেশন দুই দেশেই)।
তখন ৫০% ইকনোমিক এক্টিভিটির সরকার টাকার অভাবে রাস্তা ঘাট সংস্কার করতে পারে না, দোষটা কিন্তু সরকার এর উপর ই পড়ে।

কিছু ব্লগার নিজেদের খুব প্রগতিশীল মনে করে, কম বয়সে জীবন টাকে উপভোগ করেছে বিদেশে থেকে কিন্তু একটু বয়স হওয়ার পর এই সমস্ত MISOGYNIST লিখায় ও কোন প্রতিবাদ করতে দেখা যায় বরং উসকে দেয়

৩| ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:৩৫

কলাবাগান১ বলেছেন: নাজমুল হক শান্ত রকস!!!! বর্তমান এ আমার ফেভারিট প্লেয়ার

৪| ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ৩:১০

কলাবাগান১ বলেছেন: টোটাল জিডিপি না...

৫| ১৩ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫৩

রাসেল বলেছেন: I think, its a good topic and a almost full writings about the rules to be played by ladies and & gents for the society. But our intellectual person will deny because they considering the impact or are misguided. Thanks

৬| ১৩ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:২১

শায়মা বলেছেন: আমার ক্লাসে অনেক বাচ্চারাই বলে বড় হয়ে আমি রান্না করতে চাই। মা হতে চাই। আমি মনে মনে হাসি। শুধু রান্না করলে আর মা হলে সমাজের কোথাও দাম নেই বরং রান্না এবং মা হবার পাশাপাশি আত্ম নির্রভরশীল হওয়াটাই অনেক জরুরী। নইলে হয়ত মেয়েদেরকে আবার সতিদাহ প্রথায়ও ফিরে যেতে হতে পারে।

গৃহিনী তো সেই মেয়েটাও যে বাড়ির বাইরে কাজ করে। ঘরে এবং বাইরে দুইদিকেই তার অবদান থাকে।

৭| ১৩ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০০

নাহল তরকারি বলেছেন: কাজ শেষে সবাই কে সেই ঘরেই আসতে হয়।

৮| ১৩ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: লক্ষ্য থাকতে হবে, অনেক উপরে। অনেক বড়।
নাররা দিন দিন এত সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে কেন?

৯| ১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:২০

মিরোরডডল বলেছেন:



আদর্শ একজন গৃহিণী হতে চায়৷

এ চাওয়াতে দোষের কিছু নেই, চাইতেই পারে।
এটা তার চয়েজ সে কিভাবে তার জীবনটা বেছে নিবে।

এখন যদি তাকে জোর করা হয় বাইরে কাজ করতে হবে, এটা যেমন ঠিক না তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কাজ করতে বাধ্য করা, ঠিক একইভাবে যদি সে বাইরে কাজ করতে চায়, তাকে বাঁধা দেবে বাইরে কাজ করা যাবে না, সেটাও ঠিক না। আমরা চাই কেউ যেনো কাউকে নিয়ন্ত্রণ না করে, একে অপরকে যেনো সাপোর্ট করে তাদের পছন্দের কাজটা বেছে নিতে।

সংসার সুখের হয় নারী-পুরুষ উভয়ের অংশগ্রহণে, দু'জন দু'জনের প্রতি পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকলে।

অবশ্যই তাই।
অনেক পরিবারে পুরুষ বাইরে কাজ করে আর নারী সংসার সামলায়, এভাবেই তারা অনেক হ্যাপি। অনেক পরিবারে দুজনেই সকাল সন্ধ্যা বাইরেও কাজ করছে, আবার দুজনে বাড়ি ফিরে একে অন্যকে ঘরের কাজে সহযোগিতা করছে এবং তারা এভাবেই হ্যাপি। দুজনের মাঝে সমঝোতা থাকলে, রেস্পেক্টফুল হলে, নো ম্যাটার নারী বাইরে কাজ করে নাকি শুধুই সাংসারিক কাজ করে, এটা তাদের সুখের পথের অন্তরায় হয়না।

নারীরা বরাবরই ঘরে থাকতে বেশি পছন্দ করে, ঘর নারীকে যেভাবে কাছে টেনেছে ঠিক তেমনিভাবে পুরুষকে বাহির কাছে টেনেছে।

এ জায়গায় আমরা ভুল করে ফেলি। ধরেই নেই সবাই এক কিন্তু তা না। মানুষের মাঝে ভিন্নতা আছে। সমাজে অনেক ক্যারিয়ার উইম্যান আছে যারা বাইরের কর্মজীবন পছন্দ করে। তাদেরকে সেই কমন ফর্মুলায় ফেলে জোর করে আটকে রাখা ঠিক না। আবার এমন অনেক পুরুষও আছে ল্যাজি বাম, একদম কাজকর্ম করতে পছন্দ করেনা, মোর দেন হ্যাপি যে বউ ইনকাম করুক।
তাই বলছি, there's no blanket rules to follow.
We all are human beings; we have our own choice.
As a partner, we will cooperate each other to fulfil our dreams.

শারিরীকভাবে পুরুষের থেকে ভিন্ন

ইয়েস, ইউ আর রাইট। শুধু শারিরীকভাবেই ভিন্ন কিন্তু মেধা মনন চিন্তা চেতনায় কেউ কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই।

কেউ কারো শত্রু নয়
Right, we are friends. that’s why we will not dominate and let no one dominate us.

কাজের কোন লিঙ্গ নেই, সব কাজই সবার জন্য।
এক্সাক্টলি!
ঘরে বাইরে সবকাজ সমানভাবে রেস্পেক্টফুল, যে যেটা বেছে নেয়।
কেউ কারো ওপর এটা তোমার কাজ, এটা আমার কাজ বলে চাপিয়ে দিবোনা।

ঘরে থাকলেই হাজব্যান্ড বাচ্চার যত্ন হবে বাইরে গেলে হবে না, এই ধারণা ভুল।
আজকের মেয়েরা ঘরে বাইরে একসাথে সব সুন্দরভাবে ম্যানেজ করে নিচ্ছে ।

আমার বোনদেরকেই দেখেছি শুধু হাজব্যান্ড আর বাবুই না, সকাল সন্ধা অফিস করে এসে শশুর শাশুড়ি দেবর ননদসহ বড় সংসার কি সুন্দর করে হ্যান্ডেল করছে।
যে রাঁধে সে চুল ও বাঁধে।

আগের দিনে বিষয়টা অন্যরকম ছিলো, একজনের রোজগারে অনেকগুলো মুখের পরিবার স্বাচ্ছন্দে চলতো। দিন বদলে গেছে। জীবন এখন ব্যয়বহুল কঠিন। দুজনেই আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হলে একজনের ওপর প্রেশার পরে না। এখানেতো ছেলেমেয়েরা ১৫/১৬ বছর থেকেই রোজগার করতে শুরু করে। পড়ালেখার পাশাপাশি নিজের পকেট মানি নিজেরাই করে নিচ্ছে যেনো পরিবারের ওপর নির্ভর করতে না হয়। রোজগার করলে অর্থকে মূল্যায়নও করতে শেখে। কাজে ইনভল্ভ হলে দায়িত্ববোধ বেড়ে যায়।

এডুকেশন যেমন নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য মাস্ট, একইভাবে আর্থিক স্বনির্ভরতাও মাস্ট।
কেউ যদি নিজে থেকে না চায়, that’s a different story, no one should insist.
But we must always encourage everyone to show the positive side of self-reliance.

১০| ১৪ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫

নতুন বলেছেন: আজকের সমগ্র পৃথিবী আমাদের শেখাচ্ছে ঘরের কাজ নারীরা করা মানে পশ্চাদপদতা- প্রাচীনত্ব- মধ্যযুগীয় বর্বরতার সমতুল্য - নারীর উন্নয়নবিমুখতা- প্রগতিবিরুদ্ধ/প্রগতীবিমুখতা। নারীর ঘরের কাজকে নারীর উন্নয়নের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। আমাদের সমস্ত সিনেমা-নাটক-বিজ্ঞাপন-পাঠ্যবই-উন্নয়ন সংস্থাগুলো আমাদের দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা এটাই শেখাচ্ছে নারীর ঘরের কাজ মানেই নারীকে ছোট করা, নারীর উন্নয়নের পথকে রুদ্ধ করা, নারীর সন্মানকে খাটো করা ইত্যাদি।

সংসার সুখের হয় নারী-পুরুষ উভয়ের অংশগ্রহণে, দু'জন দু'জনের প্রতি পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকলে। ঘরের-বাইরের কাজ না, যেকোনো কাজই যেকেউ করতে পারে। কাজের কোন লিঙ্গ নেই, সব কাজই সবার জন্য। তবে আজকের দুনিয়ায় দাঁড়িয়ে কোন নারী যদি অকপটে স্বীকার করতে পারে সে আদর্শ গৃহিণী হতে চায় তাহলে এটা আমার কাছে একটা রেভ্যুলেশনারী ব্যাপার-স্যাপার। বলতে পারেন আমার মস্তিষ্কে পুরুষতন্ত্র!! হ্যাঁ তাতেই আমি খুশি। একজন পুরুষ যেমন ঘরের কাজ করলে তার ইজ্জত সন্মান যায় না, তেমনি একজন নারীও ঘরের কাজ করলে তার ইজ্জত সন্মান যায় না।


আমাদের নানী/দাদীরা সংসার নিয়েই সুখী ছিলো। তাহলে বর্তমানে কেন নারীরকে বাইরের কাজে উতসাহিত করা হচ্ছে?

কারন পরুষ ঘরের কাজ করে বলে নারীকে ছোট করে দেখে, পুরুষের আয়ে নারী ঘরে বসে খায় বলে ছোট করে।

তাই নারী যেহেতু শিক্ষিত হচ্ছে তাই তারা কেন পুরুষের চোখে ছোট হয়ে থাকবে?

আমাদের সমাজে কতজন পুরুষ রান্না করতে পারে? কতজন পুরুষ থালাবাটি ধোয়া/ ঘর ঝাড়ু দেওয়া বা অন্য কোন কাজে স্ত্রীকে সাহাজ্য করে???

কতজন পুরুষ স্ত্রীকে মাসিক হাত খরচ দেয়? যেটা সে কিভাবে খরচ করে সেটা নিয়ে কোন প্রশ্ন করে না???

পুরুষ যখন স্ত্রীর ঘরের কাজকে মুল্যায়ন করবে তখন এই জাতীয় প্রশ্নগুলি আসবেনা।

পরিবারে নারী পুরুষ সন্তান সবার অংশগ্রহন দরকার, সবার সমান সম্মান থাকতে হবে, ভালোবাসা থাকতে হবে। তখন এই সমস্যা থাকবেনা।

১১| ১৪ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:



নতুন বলেছেন:
পরিবারে নারী পুরুষ সন্তান সবার অংশগ্রহন দরকার, সবার সমান সম্মান থাকতে হবে, ভালোবাসা থাকতে হবে। তখন এই সমস্যা থাকবেনা।


ভেরি ওয়েল সেইড নতুন।
আমাদের সমাজে এমন হাজার হাজার অসহায় মেয়েরা আছে যারা শুধুমাত্র কোন উপায় নাই বলে দিনের পর দিন বছরের পর বছর হাজব্যান্ডের নানারকম অত্যাচার সহ্য করে সংসার কন্টিনিউ করে যাচ্ছে। গ্রাম বাংলার কথা বলছি না কিন্তু, এরা আমাদের
শহুরে শিক্ষিত সমাজের অংশ। তারা ডিজার্ভ করে একটা সন্মানজনক বেটার লাইফ। আর্থিক স্বনির্ভরতা তাদেরকে এই অসহায় অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারতো। ইভেন তাদের হাজব্যান্ডরাও হয়তো তখন তাদেরকে এভাবে ট্রিট করতো না। কিন্তু যখন জানে তার আর পথ নেই, তখন যাচ্ছেতাইভাবে তাদের ট্রিট করে, যেটা খুব ডিজরেস্পেক্টফুল।

সময়ের কাজ সময়ে না করলে তখন হঠাৎ মিডল এইজে এসে একটা মেয়ে এই কম্পিটিটিভ ওয়ার্ল্ডে চাইলেও নতুন কিছু আর শুরু করতে পারেনা। উপায়হীন হয়ে এই অসহায় জীবন তাদের মেনে নিতে হয়। যেটা কখনোই কাম্য না।
তাই আত্মনির্ভরশীলতা কোন বিকল্প নেই।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.