নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ – হযরত আলী (রাঃ)
একটা সময় এদেশের অর্থনীতি ছিলো পুরোপুরি কৃষিভিত্তিক, জিডিপির পুরোটাই প্রায় কৃষি থেকে আসত। তখন এদেশের শ্রমবাজার বলতে কৃষক, ক্ষেতমজুর,বর্গাচাষীই ছিলো আজকের মত শিল্প শ্রমিক কিংবা গার্মেন্টস শ্রমিক ছিলো না। আর এদের নিয়ন্ত্রক ছিলো জমিদার, জোতদার যাদের কুকর্মে সন্তুষ্ট হয়ে ইংরেজরা তাদেরকে আদর স্নেহ করে মাঝে মাঝে স্যার,নাইটহুড, নওয়াব, খানবাহাদুর, রায়বাহাদুর উপাধিও দিত কারন শোষণ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এদের খুব দরকার।
এবার আসি মূল কথায় তখনকার দিনে এসব শ্রমিক মজুরদের সারাদিন খাটিয়ে সন্ধা হলে কিছু পয়সা দিত যা দিয়ে বাজার থেকে মোটা চাল কেনার পর কিছু থাকলে ঐটা দিয়ে অন্যান্য আনুসঙ্গিক জিনিসপাতি কিনে চাষাভূষারা রাতের বেলায় বাড়ি ফিরত। আর চাষাদের বউরা তাদের রাতের বেলা রান্না করে খাওয়াতো এবং কিছু পরেরদিন খাওয়ার জন্য রেখে দিত কারন সকাল ভোরে উঠে যখন কাজে যাবে তখন তো কিছু খেয়ে যেতে হবে। আর তখনকার দিনে যেহেতু ফ্রিজ ছিলো না তাই ভাতে পানি দিয়ে সংরক্ষণ করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না, যেটাকে আমরা পান্তা ভাত বলে উৎসব করি!!! আর সকালে ফজরের আগে উঠে একজন মজুর পোড়া মরিচ, পেঁয়াজ দিয়ে খাওয়াদাওয়া করে যখন কাজে যেতেন তখন সেটা উৎসব ছিলো না কিংবা আবহমান বাঙালীর সংস্কৃতিও ছিলোনা। পান্তা খাওয়াকে বাঙালির সংস্কৃতি না বলে শোষণের চিহ্ন বলা উত্তম
এবার আসি মূল কথায় তখনকার দিনে এসব শ্রমিক মজুরদের সারাদিন খাটিয়ে সন্ধা হলে কিছু পয়সা দিত যা দিয়ে বাজার থেকে মোটা চাল কেনার পর কিছু থাকলে ঐটা দিয়ে অন্যান্য আনুসঙ্গিক জিনিসপাতি কিনে চাষাভূষারা রাতের বেলায় বাড়ি ফিরত। আর চাষাদের বউরা তাদের রাতের বেলা রান্না করে খাওয়াতো এবং কিছু পরেরদিন খাওয়ার জন্য রেখে দিত কারন সকাল ভোরে উঠে যখন কাজে যাবে তখন তো কিছু খেয়ে যেতে হবে। আর তখনকার দিনে যেহেতু ফ্রিজ ছিলো না তাই ভাতে পানি দিয়ে সংরক্ষণ করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না, যেটাকে আমরা পান্তা ভাত বলে উৎসব করি!!! আর সকালে ফজরের আগে উঠে একজন মজুর পোড়া মরিচ, পেঁয়াজ দি
ইলিশের ব্যাপারটা আসছে অনেক পরে, বিষয়টা পুরোপুরি বানিজ্যিক হিসেবনিকেশ দ্বারা চালিত। পহেলা বৈশাখে কোন গরিবকে কিংবা মধ্যবিত্তকে কোনদিন ইলিশ কিনে খেতে দেখেছেন?? আমি বলব না!! কারন পহেলা বৈশাখে ইলিশের বাজার আগুন থাকে যেখানে মধ্যবিত্তদের এক্সেস অসম্ভব তাছাড়া ব্যাংক ডাকাতি কিংবা লুটপাটের টাকা যখন ইলিশের বাজারে অনুপ্রবেশ করে তখন বিষয়টা আর সাধারণের সংস্কৃতির নাগালের বাইরে চলে যায়। ইলিশের সংস্কৃতি এলিটদের সংস্কৃতি এটা কোনভাবেই বাঙালির সংস্কৃতি না। আমার বাড়ি মেঘনার কোলঘেষেই, আমি জানি ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে মার্চ কিংবা এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা চলে যেটাকে আমরা বলি অভিযান !! কারণ এসময় নদীতে প্রায় অধিকাংশ ইলিশের সাইজ ২৩ সে.মি. এর নিচে থাকে যা ঝটকা বলে পরিচিত আর এখন যেহেতু সংরক্ষণ এর সুযোগ আছে তাই ফ্রিজিং করে পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত খাওয়া যায় কিন্তু যে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি বলে পান্তা ইলিশ খাওয়ানো হচ্ছে ঐ আবহমান বাংলায় ত কোন ফ্রিজ ছিলো না তখন পহেলা বৈশাখে বাঙালি এতো ইলিশ কই পেতো!!!?
সকাল বেলা যারা পান্তা ইলিশ দিয়ে দিন শুরু করে তাদের অনেকেরই সন্ধা হলে লালপানি লাগে পান্তা ইলিশ হজম করতে!!!! কারণ সারাবছর বাঙালি সংস্কৃতির বাইরে থেকে হঠাৎ করে একদিন বাঙালি সংস্কৃতি পালন করলে ডাইজেস্ট সমস্যা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়!!!সারাদিন বাঙালি সংস্কৃতি পালন করে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে সন্ধা বেলা রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য ৫ স্টার হোটেলে লালনীল বাতির নিচে আইটেম গানের তালে শরীরটা না দোলাতে পারলে পহেলা বৈশাখ বড্ড বেশি পানসে হয়ে যায়,ওহ্ ডিজগাস্টিং ব্লাডি বেঙ্গলি কালচার ! একটু পর যখন নাচতে নাচতে ক্লান্ত তখন একটু ভোদকা, শ্যাম্পেইন, রেডওয়াইন, কিংবা হোইস্কি হলে সংস্কৃতিটা আরেকটু ভালোমতো পালন করা যায়!!!
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫
মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ বলেছেন: লাগতে পারে তবে এটা বৈশাখের অংশ নয়।
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪
অন্তরা রহমান বলেছেন: বাঙ্গালী যতরকম কালচার গত বছর দশেকে কালচার করছে তার মধ্যে সবচাইতে অর্থহীন ও শিকড়হীন সংস্কৃতি হচ্ছে এই পান্তা-ইলিশ খাওয়া। পহেলা বৈশাখের স্বকীয়তাই নষ্ট করে দেয় জিনিসটা।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪
মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ বলেছেন: আমাদের অনেক আবহমান সংস্কৃতি রয়েছে যেগুলো প্রমোট না করে আজকাল পান্তা ভাত আর ইলিশকে প্রমোট করা হচ্ছে কারন এটার বাজার রয়েছে অনেক বড়!!
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮
বিবেকহীন জ্ঞানি বলেছেন: কষ্ট হলেও আমরা এখন ভালোই এই উৎসবটি পালন করে আসছি।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯
মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ বলেছেন: হ পালন তো করছি!!
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পহেলা বৈশাখের সকালে ইলিশ-টিলিশ পাবো বলে মনে হয় না। পান্তা ভাতের সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা ও পেঁয়াজ দিয়ে সমাধা করার ইচ্ছা আছে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫
মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ বলেছেন: আমরা যারা মধ্যবিত্ত আছি আমাদের পহেলা বৈশাখ বলতে লঙ্কা, আর পেয়াজ
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭
নাসির ইয়ামান বলেছেন: পৃথিবীর ইতিহাসে যতো রাজা-রাজ্য, সুলতান-মুলক,সম্রাট-সাম্রাজ্য,জাতি-জাতির জনক/জননী,নবাব-রাজমহল,সরকার-দরবার অতীত হয়ে গেছে ও এখনাবধি যা আছে,সকল সময়েই দেখা যাবে কতিপয় দরবারী চাটুকার,মোসাহেব ও তোষামোদকারী ওদের উদোর পিণ্ডি হাসিলের স্বার্থে নানারকম অনুষ্ঠান ও আয়োজন হৈচৈ ক'রে করে থাকে। এতে করে যেমন রাজা-বাদশাহর করূণা লাভ করা যায় ,তেমনি পেট-পূজাটাও ভালো চলে!
এখনকার পহেলা বৈশাখপালন ও মীলাদ উদযাপন অতীতের আবহমানকালেরই আধুনিক ভার্সন!
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩
মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ বলেছেন: অনেক মূল্যবান মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আসলে এরা পা চেটেপুটে বেঁচে আছি, কখনো বিদ্যা বিক্রি করে আগের যাদেরকে সভাকবি কিংবা রাজকবি বলত এখন তাদেরকে স্বাধীনতা পুরষ্কার কিংবা একুশে পদক দেওয়া হয় চাটুকারিতার বদৌল।
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্য বড্ড তেতো ভায়া!
তাই জানলেও অনেকে বলতে চায় না।
বৈশাখে নবান্নের যে উৎসব , তাই কর্পোরেট কোম্পানীর প্রেসক্রিপশনে বর্তমান রুপ লাভ করেছে।
বানিজ্যে বসতি বলে কথা!
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৭
মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ বলেছেন: কর্পোরেট যুগে সবকিছুর পিছনে কর্পোরেট স্বার্থ বিবেচনা করা হয়!
৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: পান্তা ইলিশ এই খাদ্যটা খেয়ে দেখিনি কোনদিন। খাওয়ার ইচ্ছেই কখনও হয়নি। এই খাবারের চাইতে অনেক বেশি ঐতিহ্যবাহী ও মজাদার খাবার হচ্ছে আমাদের ভর্তা ।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২০
মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ বলেছেন: বাহ্ আপনি ঢাবিয়ান!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: দীর্ঘদিন ধরে এটা চলে এসেছে।
ব্যাপারটা আমার কাছে ভালোই লাগে।
পান্তা ইলিশ মাছ ভাজা।