নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ – হযরত আলী (রাঃ)
কওমি শিক্ষা সমস্যা ও আমার ব্যক্তিগত কিছু অভিমত:১ম পর্ব
★★★★*★★★*★★★*★★★★*★★★*★★★
ভারতীয় উপমহাদেশসহ পুরো বিশ্বের হক্কানী আলেম ও খাটি দ্বীনদার মুমিন তৈরির খালেছ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এ দেশের কওমি মাদরাসাগুলোো।অবশ্য আমার বেড়ে উঠাও এইরকম একটি কওমি পরিবারে তাই কওমি মাদরাসা স্বার্থসম্পৃক্ত যেকোন বিষয়ই আমাকে ভাবায়।বাড়িতে ঘুমানো কিংবা ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে চোখে পরে জামিয়া রহমানিয়া কিংবা জামিয়া আরাবিয়াসহ নানা মাদ্রাসার দরদমাখা ক্যালেন্ডারগুলো আর যখন দেখি কিছু সামান্য ভুলের কারনে এই প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু মানুষের ব্যক্তিস্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করছে তখন খুব কষ্ট পাই।আমার কাছে কিছু ভুল মনে হয়েছে যেগুলো কারনে আজকে এই প্রতিষ্ঠানকে খুড়িয়ে চলতে হচ্ছে নিচে আমার চোখে ধরাপড়া কিছু অসংগতি দেওয়া হল:
১। আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় যেটা এই অসংগতির পিছনে দায়ী বলে মনে হচ্ছে তা হল কিছু ব্যক্তিকেন্দ্রিক অঞ্চলভিত্তিক সমন্বয়হীন ১২-১৩ টা কওমি শিক্ষাবোর্ড। এই বোর্ডগুলো কিছু ব্যক্তিকেন্দ্রিক আদর্শের ভিত্তিতে বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে উঠেছে ফলে দেখা যাচ্ছে একক প্রভাববিস্তারকারীসম্পন্ন বোর্ডের অভাবে শিক্ষার মানের তারতম্য হচ্ছ,এক এক অঞ্চলের শিক্ষার্থী এক এক রকম মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে।(যদিও বেফাক নামের একটি কেন্দ্রিয় বোর্ড রয়েছে ঐটা কিছু রাজনৈতিক দলের স্বার্থ সংরক্ষন ও গোলামির মাধ্যমে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে
রেখেছে)
২। এক এক মাদ্রাসায় এক এক রকম সিলেবাস যেমন প্রাইভেট মাদ্রসাগুলো একরকম পাব্লিক মাদ্রাসাগুলো একরকম এর ফলে শিক্ষার মান নির্ধারণে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
৩। সাধারন বিষয়গুলোর প্রতি কম গুরুত্ব দেওয়া, যার ফলে শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
৩। শিক্ষকদের মানোন্নয়ন এর জন্য অথবা পাঠদানের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষন সুবিধার অভাব।
৪।ব্যক্তিমালিকানাধীন মাদ্রসার আধিক্যেতা। বেফাক(কওমি মাদ্রসা বোর্ড) এর সঠিক নীতিমালার অভাবে যে যার মত করে যেখানে সেখানে মানহীন ব্যক্তি পুঁজি বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাদ্রাসা গড়ে তুলছে।এর ফলে হাজার বছরের সুনাম কুরানো কওমি মাদ্রাসাগুলোর সুনামখুন্ন হচ্ছে,আবার অনেক সময় দেখা যাচ্ছে এইসব ব্যক্তি কেন্দ্রিক মাদ্রাসাগুলো অনেকধরনের অপরাধমুলক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে কারন এই মাদ্রাসাগুলো মুনাফাখোরদের প্রত্যক্ষ ততত্ত্বাবধানে গড়ে উঠে ফলে তারা মুনাফার জন্য যেকোন কিছু বিসর্জন দিতে রাজি।
৫। সরকারীকরণ নিয়ে কওমি আলেমদের মধ্যে দুইভাগ কেউ প ক্ষে কেউ বিপক্ষে সবারই লক্ষ একটা কিভাবে নিজের স্বার্থ রক্ষা হয়। কেউ চায় ক্ষমতাসীনদের অনুগ্রহ আর কেউ চায় লাল গোলাপির অনুগ্রহ এই সব উচ্ছিষ্টভোজী আলেমরা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে ধংসের দ্বারপ্রান্তে এনে ঠেকিয়েছে।
৬। হীন রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য মাদরাসার ছাত্রদের ও শিক্ষকদের ব্যবহা।দেখা গেছে এরশাদের মন্ত্রীসভায় ও কিছু ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য আলেমনামধারী গিয়েছিল। এরাই ফতোয়া দেয় নারী নেতৃত্ব হারাম আবার লালগোলাপির মন্ত্রীসভতে ঠিকই মন্ত্রীত্ব নেয়। এরা কোমলমতি শিশুদের ব্যবহার করে রথি মহারথী বনে যাচ্ছে আর নিদেনপক্ষে এইসব নিষ্পাপ শিক্ষার্থীদের জীবন ধংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
৭। সরকারী নিয়ন্ত্রন এর অভাব।সরকার কিছু কাঠমোল্লার আন্দোলনকে অজুহাত বানিয়ে মুখে কুলুপ এটে বসে আছে অন্যদিকে একটু সঠিক সরকারি সিদ্ধান্তের অভাবে লাখ লাখ জীবনের স্বপ্নগুলো অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে। সরকার কি এই ঠুনকো অজুহাতকে পুজি বানিয়ে নিজের দায় থেকে পার পেয়ে যাবে?????? রাষ্ঠ্রের কি তার জনগনের প্রতি এতুটুকু দায়বদ্ধতা নেই?? রাষ্ঠ্র থেকেও কি শক্তিশালী কিছু রাষ্ঠ্রের ভিতর রয়েছে???
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আবারো লেখব ইনশাআল্লাহ
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৫০
রাকু হাসান বলেছেন: এত ভাল লেখা কোন মন্তব্য নেই । তাহলে কি ভালর কদর কমে গেল ।
আপনি যদি ব্লগে লিখতেন আবার খুশি হতাম খুব ।