নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ – হযরত আলী (রাঃ)
পর্দা প্রথা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথা বা হুকুম।আর এই পর্দাপালন করার ব্যাপারে নারীদেরকে যেমন বিশেষ তাগাদা হয়েছে ঠিক তেমনি আমাদের পুরুষদেরকেও বলা হয়েছে।পুরুষদের জন্যই আল্লাহপাক সর্ব প্রথম পবিত্র কোরআনে পর্দা সম্পৃক্ত আয়াত নাজিল করেন ।আল্লাহ্ পাক সুরা নিসার ৩০ নং আয়াতে বলেন,
"মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে।"
ঠিক পরের আয়াতে অর্থাৎ সুরা নিসার ৩১ নং আয়াতে আল্লাহতালা নারীর পর্দার ব্যাপারে বলেছেন,
قل للمؤمنت يغضنن من ابصارهن ويحفظن فروجهن ولا يبدين زينتهن الا ما ظهر منها
তরজমা : (হে নবী!) মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে। (সূরা নূর : ৩১)
আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা আরো বলেছেনঃ
"হে নবী ! আপনি আপনার স্ত্রীগণ ও কন্যাদেরকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না।" (সুরা আহযাবঃ ৫৯)
উপরের আয়াত গুলতে আমরা নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য পর্দার কথা জানলাম কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনদের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেছে থাকা হুজুরেরা শুধু নারীর শরীর ঢাকা নিয়েই ব্যস্থ,নারীর শব্দের ডেসিবল পরিমাপ করা,মেয়েদের পোশাকের আয়তন কত হবে,,নারী কতটুকু হাঁটাচলা করবে তার দৈর্ঘ্য প্রস্থের হিসেব মেলাতেই দিন শেষ।
আচ্ছা জান্নাতে কি শুধু নারীরাই প্রবেশ করবে নাকি ২/৪টা পুরুষও সাথে যাবে!!!?? তাহলে সব আয়োজন কেন নারীর জন্য?? সব নিরাপত্তা ব্যূহ কেন নারীর দেহকে কেন্দ্র করে??
কোন নারী যদি সুন্দর সাজুগুজু করে বাইরে বাহির হয় তখনি আপনার ইমান দণ্ড খাড়া হয়ে যায়,আপনি তার প্রতি পরপুরুষের আসক্তির অভিযোগ তুলে তাকে জাহান্নামের নিম্নদেশে পাঠিয়ে দেন,তাকে বেগানা নারী বানিয়ে ফেলেন, তার সুন্দর চোখকে বানিয়ে ফেলেন শয়তানের নষ্ট তীর,তার শরীরকে বানিয়ে ফেলন হাবিয়া দোজকের জ্বালানী ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর যখন কোন পুরুষ গায়ে পেরফিউম,চুল স্পাইক,আঁটসাঁট জিন্স,টি-শার্ট,চোখে সানগ্লাস এবং পশ্চাদদেশ অর্ধনগ্ন রেখে রাস্তায় বের হয় তখন কি তার দিকে কোন খারাপ নারী আসক্তি, কুরুচিপূর্ণ ও অন্তর্ভেদী দৃষ্টি নিয়ে তাকায় না???নাকি এই চাহিদাটা এক পার্শ্বীয়??তাহলে এই জন্য কি তাহাকে বেগানা পুরুষ কিংবা জাহান্নামের অধিবাসী সাব্যস্ত করা হয়েছে??তার জন্য কি কিছু নিষিদ্ধ করা হয়েছে,তাকে কি অবরোধ বাসি করে রাখা হয়েছে?তার জন্য কি কোন অতিরিক্ত কাপড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে? নাকি শুধুমাত্র পুরুষ মানুষ কোন নারীর দিকে তাকালেই দোষ,নারী পুরুষের দিকে তাকালে কোন দোষ নেই? অথচ আল্লাহ্ সুবানাহুতায়ালা বলেছেনঃ
"হে নবী ! আপনি আপনার স্ত্রীগণ ও কন্যাদেরকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না।" (সুরা আহযাবঃ ৫৯)
নিজের চোখকেও হেফাজত করুন অন্যকে করতে সহজুগিতা করুন।আপনি যদি কোন বেগানা নারীর দিকে তাকান তাহলে মৃত্যুর পর আপনার উপর কঠিন আজাব হবে এই ভয়ে আপনি নারীকে কালো কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে চান,যাতে করে আপনার চোখ ঐদিক না যায়। কিন্তু কোন নারী যদি আপনার দিকে তাকায় সেই ভয়ে আপনি আপনার জন্য কি করলেন?
রোজ কেয়ামতের দিন পুরুষ এবং মহিলা সবারই কিন্তু সমান বিচার হবে।ঐদিন আহকামুল হাকিমিন আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন বিচার করবেন যেখানে বিন্দু মাত্র অবিচারের আশঙ্কা থাকবে না। আপনি শুধু নারীর জন্য মরুদেশীয় কালো কাপড় আমদানি করবেন,আর নিজের জন্য আমেরিকান জিন্স,ইতালিয়ান জুতা,পারফিউম,আইফোন আমদানি করবেন তা কিন্তু চলবে না।বাপু সময় থাকতে নিজের জন্যও ২/৪ টে মরুভূমির কালো বস্তা আমদানি করুন না হয় যে সমীকরণ মিলবে না!!!!
©somewhere in net ltd.