নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ – হযরত আলী (রাঃ)
অরুন্ধতী রায়ের লেখা প্রথম বই "The God Of small things" পড়ে অনেক ভাল লেগেছিল।আর এই বইটি শেষ করার পর তো অন্য রকম এক অনুভুতি তৈরি হয়েছে লেখিকার প্রতি।সেই অনুভূতির মাঝ থেকে একটু প্রকাশ করতে চাচ্ছিঃ
"শেষ সীমানায় পা পরার পড়ে আমরা আর যাব কথায়?
শেষ আকাশে ডানা মেলার পরে পাখীরা আর উড়বে কোথায়?
বাতাসে শেষ বারের মত নিঃশ্বাস টানার পড়ে এই আরণ্যকুল যাবে কোথায়?
পৃথিবী যখন সীমিত হয়ে যায়।"
মাহমুদ দারবিশ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গনতান্ত্রিক দেশ হচ্ছে ভারত।আমি এই কথাটিকে আংশিক সত্য বলে মনে করি।পুরু ভারতে আজকে সর্বত্র সমানভাবে গনতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজমান নয়।সারা ভারত আজ হিন্দুত্ববাদীদের নখদর্পণে।ভারতের শাসন ব্যবস্থা মুসলিমদের জন্য এক রকম আর হিন্দুদের জন্য অন্যরকম।"চীনারা যেমন খেলাধুলা পছন্দ করে বলে অলম্পিকের আয়োজন করেছিল,ভারত তেমনি গণতন্ত্র পছন্দ করে বলে নির্বাচনের আয়োজন করেছিল।দুটো ঘটনাই অনেক স্পন্সরদের আকর্ষণ করে,কারন দুটোইত টেলিভিশনে প্রদর্শন এর উপযোগী দর্শকগ্রাহী খেলা মাত্র"। পাঠ্যসূচীতে আজকে মিথ্যায় পরিপূর্ণ,মুসলিম বিদ্বেষী ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে।ছোট বেলা থেকেই তাদেরকে চরম মিথ্যা সাম্প্রদায়িক জ্ঞান চর্চা করানো হচ্ছে,ছোট ছোট বাচ্চাদের মাথায় মুসলিম বিদ্বেষী চিন্তার বীজ বপন করে দেওয়া হচ্ছে আর এর ফসল হিসাবে পরিণত বয়সে এক এক জন মুদী হয়ে উঠছে,এক এক জন আর আর এস কর্মী বনে যাচ্ছে।সংখ্যালঘুরা আজ শিক্ষা,চিকিৎসা,আইনের শাসন ও চাকরির অধিকারের মত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিশেষ করে মুসলিমদেরকে ।পুরু ভারতজুড়ে চলছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলিম নিধন কর্মযজ্ঞ, এই নিধনযজ্ঞের বীজ কংগ্রেস গোপনে বপন করে গেছে আর এর ফসল বিজেপি মহাসমারোহে ঘরে তুলছে।নিধনযজ্ঞে বিজেপি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে আর কংগ্রেস পিছন থেকে আগুন জ্বালছে।বাহঃ কি চমৎকার!! সবাই মিলেমিশে মুসলিম নিধন কর্মসূচী এগিয়ে নিচ্ছে।
পুরু কাশ্মীরই হচ্ছে এখন কারাগার।কাশ্মীর উপত্যকা আজকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।কাশ্মীর উপত্যকা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সেনা অধ্যুষিত এলাকা এখানে প্রায় মিলিটারি এবং প্যারা মিলিটারির সংখ্যা ৭০০০০০ লাখের ও বেশি অর্থাৎ প্রতি ১৪ জনে একজন সেনাবাহিনী এছাড়া এখানে প্রায় ১২.৫ মিলিয়ন পুলিশ রয়েছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০,০০০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গুম করা হয়েছে।
কারো জানার অধিকার নেই কেন তাকে গ্রেফতার করেছে!! কতদিন বিনাবিচারে কারাগারে থাকতে হবে সে টা জানে না!! সে জানে শুধু এটুকুই যে,কিছুক্ষণ পর তার উপর নেমে আসবে নির্যাতনের স্টিম রোলার। ভারতের সেনাবাহিনী বেছে বেছে ডাক্তার,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্রদের,তাদের বাড়ি থেকে উঠিয়ে গুম করে দেওয়া দেয় কিংবা হত্যা করে দেয় যেমনটা আমাদের দেশে ফাকিস্তান করেছিল ১৪ ডিসেম্বর,১৯৭১ সালে যাতে করে কাশ্মীর আর তার মাথাতুলে দাড়াতে না পারে, সুস্থ সবল দেহ নিয়ে আর এগুতে পারে,সর্বোপরি তারা তাদের স্বাধিকারের কথা ভুলে যায়। এই উপত্যকা থেকে মানবতা বিলীন হয়ে গেছে সেনাবাহিনীর বুটের নিচে পিষ্ট হয়ে।প্রতিদিন এখানে মা-বোনদেরকে ইজ্জলুণ্ঠন করা হয়,যুবকদের ঘর থেকে ধরে নিয়ে নিরবিচারে হত্যা করা হয়,ছেলে বুড়ুদের উপর চলে পাশবিক নির্যাতন।কিন্তু কেউ জানে তার অপরাধ কি!!!!!
এখানেও প্রতিদিন একটি সূর্য উঠে নতুন স্বপ্ন নিয়ে কিন্তু সেই স্বপ্ন প্রভাতেই ডুবে যায়,যখন তাদের উর্বর ফসলের জমিকে ধ্বংস করে দিয়ে সেখানে সেনাছাউনি বানানো হয়......তখনি তাদের স্বপ্নগুলো নিবে যায়,যখন তাদের ঘর বাড়ি গুলোকে ঐ নির্লজ্জ বেহায়া নিষ্ঠুর সেনাবাহিনী এসে বুলড্রেজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে যায়.........তখনি তাদের স্বপ্নগুলো মরে যায়,যখন তাদের কর্মক্ষম পরুষগুলোকে বাড়ি ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে ওই পাপিষ্ঠ জানোয়ারগুলো...............তখনি তাদের স্বপ্নগুলো উবে যায়,যখন পবিত্রতার প্রতীক নারী তার প্রিয়তমার প্রতি এবং পুষ্পসম শিশুগুলি তাদের বাবার ফিরার পথটির পানে চেয়ে থাকে কিন্তু আর ফিরা হয় না...........................
"যুগ যুগ ধরে কাশ্মীরের মানুষ দখলদার বাহিনীর অধীনে বসবাস করে আসছে, যেখানে সৈন্যরা যেকোনো সময় যার-তার ঘরে অনুপ্রবেশ করতে পারে,তাদেরকে কোন কারন ছাড়া যেকোনো সময় গ্রেফতার করতে পারে এবং বিনা বিচারে তাদের উপর বর্বরোচিত এবং কাপুরুষচিত নির্যাতন চালাতে পারে,যখন খুশি যেভাবে খুশি কাশ্মীরের মা বোনদের ধর্ষণ করার মেন্ডেট ভারতের সংবিধান তাদেরকে দিয়েছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!"
ভারত সরকার তার নিজস্ব পৃষ্ঠপোষকতায় অনেকগুলি জঙ্গি সংগঠন গড়ে তুলেছে যেগুলো কাশ্মীরকে অস্থিতিশীল করে রাখে,আর এই আজুহাতে কাশ্মিরে ভারতের সেনাবাহিনী নিরীহ স্বাধীনতাকামী মুসলিমদের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে দাবিয়ে রাখতে চাচ্ছে।
১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৬
মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ বলেছেন: হার্ডকপি আমি পড়েছি।বইটি অঙ্কুর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩১
মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ বলেছেন: Click This Link
সফট কপি লিঙ্ক
২| ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২
জে.এস. সাব্বির বলেছেন: ব্যাপারটা সাংঘাতিক ! কতটুকু সত্য তার ধারণা নেই ।কিন্তু কোন ধরণের বুক রিভিউ-আর আদ্যোপান্তো কিছুই বুঝলাম না
১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:২০
মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ বলেছেন: আমি এখানে পুরু বইয়ের রিভিউটা দিতে পারি না,জাস্ট কাশ্মীরের অংসটুকু আমি দিয়েছি্ পুরুটা দেওয়ার ইচ্ছাও আমার নেই।
৩| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৯
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ,লেখককে, অরুন্ধতী রায়ের বইটির কথা কিছু প্রকাশ করার জন্য! কিন্তু আরো বিস্তারিত চাই! পারলে পুরো বইটার অনুবাদ করে প্রকাশ করুন।
২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৫
মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি ১ বলেছেন: আপনার উদ্দীপনামূলক মন্তব্যর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বইটি বাংলায় ইতোমধ্যে অনুবাদ হয়েছে।
এই লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।
http://www.amarboi.com/2015/03/field-notes-on-democracy-arundhati-roy-bangla-translation.html
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৯
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: লেখক-বন্ধুকে অশেষ ধন্যবাদ, বইটির ডাউনলোড লিঙ্ক দেওয়ার জন্য!
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮
*পড়ুয়া* বলেছেন: বেশ লিখেছেন বইটা সম্পর্কে। পড়ার আগ্রহ হচ্ছে। এটার কি হার্ডকপি পাওয়া যাবে? না সফটকপি? হার্ডকপি না পেলে সফটকপির লিংক দিলে ভাল হয়।