নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
ইয়াসরিব নগরীর ইহুদীরা খুব খারাপ ও অবাধ্য ছিল
কারণ, তারা পৃথিবীর একমাত্র সত্যধর্মকে স্বীকার করেনি
তাই তাদেরকে হত্যা, উচ্ছেদ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের মাধ্যমে
ওরা ইয়াসরিব নগরীতে সত্যধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছে!
মক্কার কুরাইশরা অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল
তারা তিনশো ষাটজন দেবদেবীর মূর্তি পূজা ও পাথর প্রদক্ষিণ করত
তারাও পৃথিবীর একমাত্র সত্যধর্মকে স্বীকার করতে চায়নি
তাই তাদের মন্দিরের সমস্ত মূর্তি ধ্বংস ক’রে, তাদের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন ক’রে
ওরা মক্কাকে পবিত্র করেছে!
মিশরের বহুশ্বরবাদী পৌত্তলিক ও খ্রিষ্টানরা মৃত্যুর পর
বেহেশতে যেতে পারছিল না
তাই ওরা মিশর আক্রমণ ক’রে অবাধ্যদের হত্যা ও আত্মসমর্পণকারীদের
ধর্মান্তরকরণের মাধ্যমে তাদের মৃত্যু পরবর্তী বেহেশতগমন নিশ্চিত করে!
মধ্যপ্রাচ্যের ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের কী ভীষণ স্পর্ধা,
তারা বেহেশত থেকে পৃথিবীতে নির্বাসিত ফেরেশতা-
মালাইকা আত-তাউস’কে উপাসনা করত;
তাই ওরা শয়তানের উপাসনাকারীদেরকে হত্যা ও বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করে!
জীবিত ইয়াজিদিরা কেউ ইউরোপ-আমেরিকায় উদ্বাস্তু হয়েছে
কেউবা পৃথিবীর জাহান্নাম ইরাক-সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে শাস্তিভোগ করছে!
পারস্যের জরথুষ্ট্রবাদীরা অহুর মাজদাকে উপাসনা করত
তারা অজ্ঞান, তারা অন্ধ, তাই ওরা পারস্যে সত্যধর্মের পতাকা প্রতিষ্ঠা করেছে-
জরথুষ্ট্রবাদীদের হত্যা, উচ্ছেদ ও ধর্মান্তরকরণের মাধ্যমে!
বহু ধর্ম, বহু ঈশ্বর, বহু মত ও বহু পথের পঙ্কিলে নিমজ্জিত ছিল ভারতবর্ষ
সপ্তশ্রেণির জাহান্নামে কাতারে কাতারে ভারতীয় কাফেরদের আর্তনাদ শোনা যেত,
ঊনিশজন ফেরেশতা ভারতীয় কাফেরদের শাস্তি দিতে দিতে গলদঘর্ম হ’য়ে উঠতেন!
ওরা কাফেরদের মুক্তি ও গাজওয়াতুল হিন্দ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
ভারতবর্ষে হানা দিয়ে জিহাদ ঘোষণা করে
বহু মানুষকে ধর্মান্তরিত ক’রে তাদের সংস্কৃতি বদলে দেয়, এখনও জিহাদ চলছে।
বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিবাসীরা ভীষণ বেয়াড়া
হাজারো হামলা-নির্যাতন সত্ত্বেও তারা সত্যধর্মে ঈমান আনতে রাজি নয়;
জাহান্নামে আগুনে পুড়বে, রক্তপুঁজ পান করবে, মৃত্যুহীন শাস্তি ভোগ করবে
তবু ধর্মান্তরিত হ’য়ে বেহেশতের অনন্ত সুখ ভোগ করতে চায় না!
ভারত ও বাংলাদেশের কাফেররা বুঝতে চায় না যে তারা ভুল পথে আছে, শিরক করছে
তাই ওরা তাদেরকে সত্যধর্মের পতাকাতলে আনতে জোরজুলুম ও তাকিয়ার আশ্রয় নেয়।
হিন্দু, ইয়াজিদি, জরথুষ্ট্র, বৌদ্ধ, জৈন, ইহুদী, খ্রিষ্টান, শিখ, সাংসারেকসহ
পৃথিবীর চার সহস্রাধিক ধর্ম এবং সংস্কৃতি মিথ্যা ও অবৈজ্ঞানিক
সংগীত, নৃত্যকলা, চিত্রকলা, ভাস্কর্য, বিবাহপূর্ব প্রেম-ভালোবাসা সব মিথ্যা!
সত্য ও বৈজ্ঞানিক কেবল- ছয়দিনে পৃথিবী সৃষ্টির গল্প
চব্বিশ হাজার বার জিবরাঈলের আগমন, ওহি নাজিল
মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সত্যপুরুষের বেহেশত গমন ও সাত আসমানকাহন
অঙ্গুলি নির্দেশে চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করা, সমতল পৃথিবীর ধারনা!
তাই পৃথিবীর সকল মিথ্যা আর অবৈজ্ঞানিক ধর্ম ও সংস্কৃতি ধ্বংস ক’রে
ওরা সমগ্র পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করতে চায় একমাত্র সত্যধর্ম
ওরা বিশ্বাস করে ভিন্ন মত, ধর্ম ও সংস্কৃতি ধ্বংস ক’রে পৃথিবীকে বৈচিত্র্যহীন করার নামই-
সাম্যবাদ, ন্যায়বাদ, মানবতাবাদ, স্বাধীনতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা!
ঢাকা
১৫ অক্টোবর, ২০২৪
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩০
মিশু মিলন বলেছেন: হ্যাঁ, হেরা গুহার আসরে তেনার সাথে আমিও ছিলাম! এখনও মাঝে মাঝে বেহেশতে যাই তেনার সঙ্গে আসরে যোগ দিতে!
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৬
পুরানমানব বলেছেন: আসরে মনে হইতাছে দীর্ঘসময় অবস্থান করিয়া থাকেন এখন , লেখার পরিধি বাড়িয়াছে।