নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের উত্তপ্ত তাওয়ায় রুটি সেঁকছে সুবিধাভোগীরা

০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৮

গত ১৫ বছর যাবৎ অনেকেই রাজনৈতিক নেতা ও সচিবদের লেজ ধরে সরকারের কাছ থেকে নানা সুবিধা নিয়েছে। যেমন- নানারকম পুরস্কার নিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের নানা প্রকল্পের কাজ বাগিয়েছে, সিনেমার অনুদান নিয়েছে, তথ্যচিত্রের কাজ পেয়েছে ইত্যাদি। এসবই পেয়েছে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে। ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি ব্যতিত এসব পাওয়া যায় না। এই সুবিধাভোগীরা এখন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের গতিপথ দেখে ভোল পাল্টে রাজপথে নেমে পড়েছে।

আচ্ছা, সরকার কি হঠাৎ করে গত বিশ দিনে ভয়ানক স্বৈরশাসক হয়ে উঠেছে? মোটেও না।

২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ বদলে যেতে শুরু করে। আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠে মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক। একের পর এক ব্লগার হত্যা করে ইসলামী জঙ্গিরা, সরকার ব্লগারদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, উল্টো ব্লগারদের কটাক্ষ করে। অনেক ব্লগার দেশ ছাড়ে, অনেকে আত্মগোপনে চলে যায়। সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (পরবর্তীতে সাইবার নিরাপত্তা আইন) করে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের গ্রেফতার করতে থাকে। হেফাজতে ইসলামের সাথে আপোস করে, তাদেরকে জমি দিয়ে ঠান্ডা করে সরকার। পাঠ্যবই থেকে হিন্দু এবং মুক্তচিন্তার লেখকদের লেখা বাদ দেয় হেফাজতের দাবী মেনে। সারাদেশে ৫৬০ টি মডেল মসজি তৈরি করে বিভিন্ন ধর্মের সাধারণ মানুষের টাকায়। ব্যাঙের ছাতার মতো মাদ্রাসা গজিয়ে উঠতে দেয় এবং কওমীদের মাস্টার্সের সমমানের সনদ দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি করে। সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে ব্যর্থ হয় সরকার, বরং সংকুচিত হতে থাকে স্থানীয় রাজনীতিক ও প্রশাসনের সহযাগিতার অভাবে। দেশের বিভিন্ন এলাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তালেবান শাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে, যেখানে কোনো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হয় না।

এছাড়াও লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে নানা স্তরে, সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়েছে। সরকার কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এছাড়া ছিল রাজনীতিক এবং পুলিশের দৌরাত্ম্য। সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বার বার ব্যর্থ হয়েছে।

এত কিছু ঘটেছে, এর ভেতরই সুবিধাভোগীরা নানা সুবিধা নিয়েছে। সরকারের ভুল না ধরিয়ে, তৈলমর্দন করে সরকারকে আরও বে-পরোয়া করে তুলেছে। অনেক আওয়ামী বুদ্ধিজীবীকে বলতে শুনেছি, ‘সরকার এখন আমাদের কথাও শোনে না।’

এইসব সুবিধাভোগীরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের উত্তপ্ত তাওয়ায় এখন রুটি সেঁকতে শুরু করেছে, ফেসবুকে মহামানবের মতো বাণী দিচ্ছে। এছাড়াও বামাতী, জামায়াতী, জঙ্গি, জিহাদী কবি-লেখককেরও আন্দোলনের উত্তপ্ত তাওয়ায় এখন রুটি সেঁকে নিচ্ছে। জামায়াতী-জঙ্গি ও জিহাদী কবি-লেখকরা চাইছে ইসলামী শাসন।

যদি এই সরকারের পতন হয়, পরবর্তীতে যে সরকার-ই আসুক, সেই সরকারকেও তৈলমর্দন করে মাখন খাবে এই সুবিধাভোগীরা। সরকারকে করবে বিপথগামী। যেমন বর্তমান সরকারের ঘি, মধু, মাখন এমনকি সরকারের ছাল-বাঁকল-মাংস খেয়ে, এখন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের উত্তপ্ত তাওয়ায় রুটি সেঁকছে সুবিধাভোগীরা।


ঢাকা।
৩ আগস্ট, ২০২৪

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৪৫

নিমো বলেছেন: সাত বছর পরে অনেকের মনে হচ্ছে কনসার্ট করা ঠিক হয় নাই, অমিতাভ রেজা তার অনুদানের লক্ষ লক্ষ টাকা কিন্তু ফেরত দেন নাই, ফারুকি সহ আরও অনেকেই অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে বসে আছেন। আরও অগনিত ফল খাবার সময় হলেই দেখা পাওয়া যাবে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০৫

মিশু মিলন বলেছেন: হুম ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


এদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় এরা রাজনৈতিক দলের নেতা।

তবে এটা ঠিক কোটা আন্দোলনের আড়ালে সরকার বিরোধীরা সরকার পতনের জন্য প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে এবং দল নিরপেক্ষ ছাত্র আন্দোলনের নামের আড়ালে মূলত তাদের লোকজনেরাই আন্দোলন করছে। সমন্বয়ক পদের নামে যে ছেলেগুলো নেতৃত্ব দিতেছে তাদের কথাবার্তা ঠিক বিএনপির কথাবার্তার মতই। মন্ত্রীদের পদত্যাগ চাওয়া তাদের কাজ না। তাদের কথাবার্তায় শুরু থেকেই মনে হয়েছে তারা রাজনৈতিক দল।

দুর্ভাগ্য সাধারণ জনগণের। এই সমস্ত আন্দোলন নামের নৈরাজ্যে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদেরই। মারা যেতে হয় তাদেরই।

এটাও ঠিক যে সরকার পক্ষ এটা সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করতে পারেনি।
পারলে এটাকে ২০১৮ সালেই এই সব কোটা ইস্যু শেষ করে দেওয়া যতো । এবছরও প্রথমদিকে শেষ করে দেওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু উভয় পক্ষের বেশি বাড়াবাড়ির কারণে দেশের ও দশের ক্ষতি হয়ে গেছে যেটার পূরণ হবার নয়
। মাঝখান থেকে দেশে কিছু নতুন নতুন নেতা পাওয়া যাচ্ছে । নেতায় নেতায় ভরে যাবে বাংলাদেশ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:৪৬

মিশু মিলন বলেছেন: আন্দোলনের পিছনে দেশের ভেতরের এবং বাইরের শক্তি অবশ্যই আছে। আছে অর্থ ।সমন্বয়কদের অনেকেই শিবিরের। আবার এটাও ঠিক যে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে। আজকের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এর দায় সরকারের। অহমিকার কারণে সরকার শুরুতে ওদের সাথে আলোচনায় বসতে চায়নি। দমন-পীড়ন করে আন্দোলন দমাতে চেয়েছে। সময় মতো আলোচনা করে যেটার সমাধান করা যেত, সেটা এখন বিস্ফোরক আকার ধারণ করেছে। আজকে সরকার গণভবনের দরজা খুলে দিচ্ছে, ১৫ তারিখের আগে দিলে আজকে এই পরিস্থিতি হতো না। আর ছাত্রদের আন্দোলনে কখনো গুলি করতে হয় না, গুলি করে ছাত্রদের সহজে দমানো যায় না। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। অনেক ভুলের মাশুল দিচ্ছে সরকার। দুর্ভেোগ পোহাচ্ছি আমরা জনতা।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে সংকুচিত করে সরকর বাংলাদেশকে একশ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।আরো ফল ভোগকরতে হবে সরকার কে।কেবল মাত্র শুরু।মৌলবাদিরা ক্ষমতা দখল করলে দেশ হয়ে যাবে আফগান।যে শ্লোগান তার অনেক আগে দিয়েছে।আমরা হবো তালেবান বাংলা হবে আফগান।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:৪৮

মিশু মিলন বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। সরকার রীতিমতো মৌলবাদের আবাদ করেছে। যার ফল ভোগ করতে শুরু করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.