নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
ঘৃণ্য রাজাকার ছারছীনা শরীফের পীর মাওলানা শাহ মুহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ আজ পটল মোবারক তুলেছে। ওর মুখে থু থু মোবারক। এই রাজাকারের বাচ্চা রাজাকারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পিরোজপুর-১ আসনের বর্তমান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন মহারাজ (স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হলেও তিনি আওয়ামী লীগ নেতা), সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএমএ আউয়াল, সাবেক সংসদ সদস্য ও আ্ওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, নেছারবাদ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক, পৌর মেয়র মো. গোলাম কবির।
আওয়ামী লীগ নেতারা গলার রগ ফুলিয়ে ভাষণ দেন যে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি এই দেশে রাজাকারদের প্রতিষ্ঠা করেছে। রাজাকারদের প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের অবদানও কি কম? রাজাকারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলে সেই রাজাকারকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয় না? সেই রাজাকারকে সম্মান জানানো হয় না? আ্ওয়ামী লীগে তো মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রাজনীতিক অনেক আছেন, তারা কি তাদের দলের নেতাদের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাবেন?
মাওলানা শাহ মুহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ’র পিতা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার এবং শান্তি কমিটির প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। এই ঘৃণ্য রাজাকারের সহযোগিতায় পাকিস্তানি বাহিনী পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিসহ আশপাশের গ্রামে হত্যাযজ্ঞ, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন চালায়। ১৯৮০ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সমাজসেবায় এবং ১৯৮৫ সালে রাষ্ট্রপতি এরশাদ শিক্ষায় এই রাজাকারকে স্বাধীনতা পদক দেন। একজন স্বাধীনতাবিরোধী-গণহত্যার দোসর দু-বার স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন, ভাবা যায়!
এককালের কুখ্যাত খুনি, লুণ্ঠনকারী ও গণহত্যাকারী সুলতান মাহমুদ, বখতিয়ার খিলজী, তিতুমীর, হযরত শাহজালালরা সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে। সম্মানের উচ্চ আসনে তারা অধিষ্ঠিত। এরা কেউ সম্মানজনকভাবে সাহিত্যে স্থান পেয়েছে, কারো নামে কলেজ, কারো নামে বিমানবন্দর ও বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। অথচ এরা ছিলেন আধুনিক শিক্ষার বিরোধী! পশ্চিমবঙ্গে তিতুমীরের নামে ভাতা দেওয়া হয়। না, সেখানকার কোনো ইতিহাস সচেতন বুদ্ধিজীবী এর প্রতিবাদ করেননি।
আমাদের অনেক রাজাকার এরই মধ্যে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে, সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে, বাকি রাজাকাররাও প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাবে। বখতিয়ার, তিতুমীর, শাহজালালদের মতোই একদিন হয়ত পাঠ্যবইয়ে মুসলিম বীর হিসেবে স্থান করে নেবে গোলাম আযম, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, নিযামী, মুজাহিদ, মীর কাশিমরা। আর মুক্তিযোদ্ধারা হয়ত চিহ্নিত হবেন ইসলামবিরোধী কাফের হিসেবে!
আবারও রাজাকার শাহ মুহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ’র প্রতি একরাশ ঘৃণা। থু……..
ঢাকা
১৭ জুলাই, ২০২৪
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০৬
মিশু মিলন বলেছেন: জানতাম না আপনি মুক্তিযোদ্ধা। আপনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
আপনি আপনার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নিয়ে লিখুন। বই প্রকাশ করুন।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
লোকাল এরিয়ার লোকজনও সাক্ষী দিয়েছেন ওনার অপকর্ম সম্পর্কে এবং উনি যে একজন রাজাকার ছিলেন।
তাহলে একজন রাজাকারের মৃত্যুতে কি করে শোক প্রকাশ করে!!!!!
শুধু তাই না, এই রাজাকার আবার পদকও পেয়েছে।
বুঝিনা কি করে সম্ভব এগুলো।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩০
মিশু মিলন বলেছেন: এইটা পদক পায়নি, পেয়েছে ওর বাবা।
আওয়ামী লীগের বহু নেতা আছে যারা মৌলবাদী-রাজাকারপ্রেমী। যাদের আশ্রায়-প্রশ্রয়ে সর্বত্র বেড়েছে সাম্প্রদায়িকতা। বেড়েছে জঙ্গিবাদ। ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে দেশ।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
মন্তব্যের মাধ্যমে কামালের ছোটো ছোটো ঘটনাগুলো মাঝে মাঝে জানা যায়।
উনি লেখেন না এবং লিখবেন না কিন্তু আমরা সবাই চাই উনি লিখুক।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩২
মিশু মিলন বলেছেন: উনাদের লেখা দরকার। নইলে অনেক ইতিহাস হারিয়ে যাবে।
আবারও কামাল ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ- আপনি লিখুন।
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২২
আলামিন১০৪ বলেছেন: সে যে রাজাকার ছিল, তার তথ্য যুক্ত করুন
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩১
মিশু মিলন বলেছেন: গুগল সার্চ দিন।
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এনার পিতা আরও বড় রাজাকার ছিল। বংশানুক্রমে পীরগিরি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এই পরিবারের পীরেরা। ওনার পিতাকে ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে শিক্ষায় অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়েছিল। ১৯৭২ সালে ওনার পিতা ছারছিনার পীর আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহকে গ্রেফতার করা হয় রাজাকার হিসাবে। পরবর্তীতে ছেড়ে দেয়া হয়। উনি শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ১৯৭১ সালে। ওনার আস্তানাতে রাজাকার, আলবদরদের প্রশিক্ষণ দেয়া হত। পাকিস্তান আর্মি এদের সাহায্যে মা, বোনদের ধর্ষণে লিপ্ত ছিল।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩৫
মিশু মিলন বলেছেন: হ্যাঁ, এইটার বাবাই তো আসল নাটের গুরু।
দু-বার পেয়েছে স্বাধীনতা পুরস্কার। এইটা পদক পায়নি, পেয়েছে ওর বাবা।
১৯৮০ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সমাজসেবায় এবং ১৯৮৫ সালে রাষ্ট্রপতি এরশাদ শিক্ষায় এই রাজাকারকে স্বাধীনতা পদক দেন।
ধন্যবাদ।
৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩৩
আলামিন১০৪ বলেছেন: লেখক বলেছেন: গুগল সার্চ দিন
গুগুলে কিছু পা্ই নি, আপনি লিংক দিন যদি জানা খাকে
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৪৭
মিশু মিলন বলেছেন: Click This Link
মোহাম্মদ সালেহ'র পুত্র মাওলানা শাহ মুহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ। তখন ছিলেন সদ্য তরুণ। পিতার সকল অপকর্মের দোসর তিনি।
৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:১৭
আলামিন১০৪ বলেছেন: লেখক বলেছেন: Click This Link মোহাম্মদ সালেহ'র পুত্র মাওলানা শাহ মুহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ। তখন ছিলেন সদ্য তরুণ। পিতার সকল অপকর্মের দোসর তিনি।
আপনার লিংকে পুত্রের কোন অপকর্মের তথ্য পাওয়া যায়নি। পিতা খুন করলে তার শাস্তি পুত্রকে দেওয়া যায় না।
আপনার এই পোস্ট প্রত্যাহার করুন, অথবা তথ্য প্রমাণ দিন। অন্যথায় মডুরামের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩১
মিশু মিলন বলেছেন: আপনি পিরোজপুরের সাংবাদিক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ফোন দিয়ে কথা বলুন, সব জানতে পারবেন। যেমন আমি জেনেছি। রাজাকারের যুবক পুত্র তখন বসে বসে আঙুল চোষেনি। পিতার অপকর্ম এত ব্যাপক যে পুত্রের অপকর্ম নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা সব জানেন।
৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: এককালের কুখ্যাত খুনি, লুণ্ঠনকারী ও গণহত্যাকারী সুলতান মাহমুদ, বখতিয়ার খিলজী, তিতুমীর, হযরত শাহজালালরা সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে।
পোস্ট লিখলেন রাজাকার নিয়ে। আর ধুম করে উনাদের ঢুকিয়ে দিলেন। হযরত শাহাজালাল নিয়ে এত চুলকানি কেন? উনি সিলেট অঞ্চলে ইসলামের প্রচার আর প্রসার ঘটিয়েছেন তাই?
বখতিয়ার খিলজি, তিতুমীর এরা তো রাজনীতিবিদ ছিলেন।
আমার কাছে কারও ধর্মীয় পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু কেউ যদি ধর্মীয় কারণে কাউকে ছোট করে কুরুচিপূর্ণ কথা বলে সেটাও কাম্য নয়।
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:১৬
মিশু মিলন বলেছেন: শাহজালালের তথ্য পাবেন:
জিহাদ: জবরদস্তিমুলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের উত্তরাধিকার
লেখক- এম. এ. খান
অনুবাদ: শামসুজ্জোহা মানিক
পৃষ্ঠা: ১৫৩-১৫৪
৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫৪
আলামিন১০৪ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি পিরোজপুরের সাংবাদিক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ফোন দিয়ে কথা বলুন, সব জানতে পারবেন। যেমন আমি জেনেছি। রাজাকারের যুবক পুত্র তখন বসে বসে আঙুল চোষেনি। পিতার অপকর্ম এত ব্যাপক যে পুত্রের অপকর্ম নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা সব জানে
যেহেতু লিখাটি আপনি লিখেছেন তাই তথ্য/রেফারেন্স দেওয়ার দায়িত্ব আপনার, আমার নয়। আপনি যে মুক্তিযোদ্ধার কথা বলছেন তাঁর নাম উল্লেখ করুন। অন্যথায়, মডারেটরকে অনুরোধ করছি, ব্ল্রগের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে।
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:২০
মিশু মিলন বলেছেন: রেফারেন্স ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করা। ফলে কারো তথ্য ফাঁস করা অনুচিত। আপনার অতি আগ্রহ থাকলে পিরোজপুরের মুক্তিযোদ্ধা আর প্রবীণ সাংবাদিকদের কাছ থেকে তথ্য নিন।
আপনার রাজাকার প্রীতি খুবই গভীর।
১০| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তিতুমির আর হজরত শাহজালাল (র) নিয়ে আপনার বক্তব্যের সাথে একমত হতে পারলাম না। যে অভিযোগ ওনাদের নিয়ে করেছেন সেটার পক্ষে কোন প্রমাণ উল্লেখ করুন।
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:০৪
মিশু মিলন বলেছেন: দেবতনু ভট্টাচার্য’র ফেুসবুক ওয়াল থেকে। (নিচে তথ্যসূত্র পাবেন)
কালীপুজো-দীপাবলির রেশ মেটার আগেই চলে আসে ভাইফোঁটা। ১৮৩১ সালের ভাইফোঁটার দিন ছিল ৬ ই নভেম্বর। অধুনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাদুড়িয়ার পুঁড়োর বাজারে ৫০০ জেহাদী নিয়ে তিতুমীরের প্রধান সেনাপতি গোলাম মাসুম এলাকার সম্ভ্রান্ত বাসিন্দা মহেশ চন্দ্র ঘোষের একটা গরু ছিনিয়ে নিয়ে মন্দিরের সামনে কেটে বিগ্রহে গো-রক্ত মাখায়। গরুটিকে চার টুকরো করে পুঁড়োর বাজারের চার কোণে টাঙ্গিয়ে দেয়।
দীপাবলি-ভাইফোঁটায় মেতে থাকা বাঙালির এই ধরণের আক্রমণের অভিজ্ঞতা সেই অঞ্চলে আগে ছিল না। কিন্তু আরও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় বাকি ছিল। আরবে শিক্ষাপ্রাপ্ত তিতুমীর বাঙালির সংস্কৃতিকে শেষ করতে ছিল বদ্ধপরিকর।
পরের দিন ইচ্ছামতীর অপর পারে পৌঁছায় জেহাদীরা। দুটি ষাঁড় মেরে ভোজ হয়। তারপর তাদের আক্রমণে লাউঘাট্টি বাজারে নিহত হন জমিদার তনয় দেবনাথ রায়। ফকির মিস্কিন শাহ এই জয়কে আল্লাহর জয় বলে ঘোষণা করে। তিতুমীর ঘোষণা করে, সে দার-উল-ইসলামের ঈমাম, তাকেই খাজনা দিতে হবে। জোর করে তোলা আদায় শুরু হয়।
◆ তিতুমীর :: জেহাদী থেকে মহাপুরুষ
-----------------------------------------------------
বাংলায় বাম-জেহাদীদের পছন্দমত মহাপুরুষের আকাল পড়েছে বহুদিন ধরেই। তারা তাদের বশংবদ ঐতিহাসিক-বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধি-পরামর্শে আদ্যপান্ত জেহাদী তিতুমিঞাকে স্বাধীনতা সংগ্রামী বানিয়ে বাচ্চাদের মগজে পাকাপোক্তভাবেই তা ঢুকিয়ে দিয়েছে। তিতুমীরকে মহাপুরুষ বানাবার তোড়জোড়ও চলছে।
রাজ্যের সরকার পোষিত গ্রন্থাগারগুলিকে ১০০০.০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয় প্রতি বছর ২৭ শে জানুয়ারী তিতুমীরের জন্মদিন পালনের জন্য।
তিতুমীর ইংরেজ তাড়াতে বাঁশের কেল্লা বানিয়ে লড়তে যায়নি। যেটা করতে চেয়েছিল, সেটা হল ওয়াহাবি আন্দোলনের আদর্শে, ইংরেজ ও হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে, এই নাপাক (অপবিত্র) বাংলার দার-উল-হারবকে সহি পাকস্থান (পবিত্র স্থান) দার-উল-ইসলামে পরিণত করতে।
এই জেহাদেই তার মৃত্যু। সুতরাং তাকে তো 'শহীদ' বলতেই হবে!
আর তাই তার স্মৃতিতে 'বাঁশের কেল্লা' নামে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে জামাত গোষ্ঠীর একটি পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়, যার পাঠক সংখ্যাও যথেষ্ট ঈর্ষণীয়।
◆ কে এই তিতুমীর?
----------------------------
সম্রাট আকবরের মৃত্যুর পর সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে শায়খ আহম্মদ শিরহিন্দি নামের এক ইসলামি কট্টরপন্থীর উদ্ভাস ঘটে, যিনি নিজেকে ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’ বলে দাবি করেছিলেন। ভারতে আগত ইসলাম বহু ক্ষেত্রে হিন্দু ধর্মের সঙ্গে মিশে তার আদি রূপ ধরে রাখতে পারেনি। বহু হিন্দুয়ানি সংস্কৃতিকেও গ্রহণ করে নিতে হয়েছিল ইসলামকে। ফলে মরু-আরবের ইসলাম ও গঙ্গা-ভারতের ইসলামের মধ্যে একটা বড় ধরণের ফারাক তৈরি হয়। প্রচণ্ড হিন্দু বিদ্বেষী শায়খ আহম্মদ শিরহিন্দি ভারতের এই ইসলামকে ইসলাম বলে স্বীকার করতেন না।
তার মৃত্যুর পর, মোঘল সাম্রাজ্যের পতনকালে উদ্ভাস ঘটল আরেক কট্টরপন্থীর, তার নাম শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভি। হিন্দুদের দমন করে দেহলভি ভারতকে পরিণত করতে চাইলো ‘দারুল ইসলামে', কিন্তু তার আশা পূরণ হলো না। তার মৃত্যুর পর এই দায়িত্ব গ্রহণ করলো সায়িদ আহমদ নামের আরেক কট্টরপন্থী। জেহাদি সংগঠন গঠন করে হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্বজুড়ে আল্লার রাজত্ব কায়েম করার তত্ত্বে পরম বিশ্বাসী ছিলেন এই ইসলামি পণ্ডিত। সে ‘তরিকায়ে মুহম্মদিয়া’ নামে একটি আন্দোলন শুরু করলো, যা ইতিহাসে 'ভারতীয় ওয়াহাবি আন্দোলন' নামে পরিচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার, উপমহাদেশে ‘দারুল ইসলাম’ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বালাকোটের যুদ্ধে মর্মান্তিকভাবে তার মৃত্যু হয়।
এই সায়িদ আহমদ বেরলবি যখন হজ্বযাত্রার উদ্দেশে কলকাতায় আসেন, তখন বহু বঙ্গবাসী তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এসব শিষ্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন বারাসাতের মীর নিসার আলি ওরফে তিতুমীর। পেশাদার কুস্তিগীর ছিল তিতুমীর। যৌবনে নদীয়ায় এক হিন্দু জমিদারের অধীনে লাঠিয়ালদের সর্দারি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয় এবং বিচারে কারাদণ্ড ভোগ করে। কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষে যশোহর জেল থেকে বেরিয়ে সে ‘তরিকায়ে মুহম্মদিয়া’-য় যোগ দেয়।
তিতুমীরের উদ্ভাসের আগে ঊনিশ শতকের প্রারম্ভে বাংলাদেশে একটি মিশ্র সামাজিক এবং ধর্মীয় সংস্কৃতি বিরাজ করত। হিন্দু-মুসলমানের জীবনযাত্রার মধ্যে কিছু কিছু বৈসাদৃশ্য থাকলেও তার উগ্রতা অপেক্ষাকৃত কম ছিল বহু ক্ষেত্রে। গ্রামীণ মুসলমানদের মধ্যে জেহাদি তত্ত্ব তখনো প্রবলভাবে প্রবেশ করেনি। ফলে তাদের আচার-আচরণ ছিল সম্পূর্ণ মানবিক। বঙ্গদেশের মুসলমানরা চেহারায় ও বেশভূষায় হিন্দুদের থেকে পৃথক ছিল না। খাটো ধুতি, কাঁধে গামছা এই ছিল গ্রামের সাধারণ মুসলমানদের পোষাক। দাড়ি রাখা বা না রাখার বাছবিচার ছিল না। নামও ছিল তাদের হিন্দুঘেঁষা। যেমন পুরুষদের নাম দায়েম, কায়েম, সাজন, দানেশ, শেহেজান, শিহান, মধু এবং মেয়েদের নাম বাতাসী, কুড়ানী, শারী, শোভানী ইত্যাদি। এই মুসলমানরা নামাজ পড়ত ঠিকই, তবে একটিও আরবি শব্দের অর্থ না জেনেই।
তিতুমীর তার এলাকায় ওয়াহাবিদের নিয়ে দল গঠন করে স্থানীয় মুসলমানদের বাধ্য করে নাম পরিবর্তন করতে, আরবিয়দের মতো জোব্বা পরতে, দাড়ি রাখতে। ধুতির বদলে 'তাহ্বান্দ' নামে এক ধরনের বস্ত্র পরিধান শুরু করে। স্থানীয় মুসলমানরা মহরমের দিনে স্থানীয় দরগাতে ‘নজর’ দিত। তিতুমীরের অনুসারীরা এসবের বিরোধিতা করত। তারাগুনিয়া গ্রামে একবার তিতুমীরের অনুসারীরা মহরম অনুষ্ঠানে বাধা দেয় এবং দরগায় লাথি মারে। এ ঘটনায় স্থানীয় মুসলমানরা নালিশ করল জমিদারের কাছে। এই শুরু হলো জমিদারের সঙ্গে তিতুমীরের বিবাদ, শুরু হলো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষ থামাতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হলো ইংরেজ সরকার। মামলা হলো তিতুমীর ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। ফলে হিন্দুদের মতো ইংরেজ সরকারও তিতুমীরের বিরোধী পক্ষ হয়ে গেল। তিতুমীরের শত্রু ছিল পুঁড়োর জমিদার কৃষ্ণদেব রায়, গোবরডাঙার কালীপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, তারাগোনিয়ার রাজনারায়ণ, নাগপুরের গৌরীপ্রসাদ চৌধুরী এবং গোবরা-গোবিন্দপুরের দেবনাথ রায়।
১) সেপ্টেম্বর মাস, ১৮৩১ সাল: বারাসাত জেলার বাদুড়িয়ার অন্তর্গত নারকেলবেড়িয়া গ্রাম। পঞ্চাশ বিঘা নিস্কর জমির মালিক মৈজুদ্দিন বিশ্বাসের জমিতে অজস্র বাঁশ দিয়ে বুরুজ তৈরী হল।
২) ২৩/১০/১৮৩১: এক বিরাট ওয়াজে জিহাদ ঘোষণা হল। প্রাথমিক লক্ষ্য বৃটিশ শাসন ও হিন্দু জমিদারদের উচ্ছেদ, কারণ শরিয়ৎ বিপন্ন। ২৩/১০/১৮৩১ থেকে ০৬/১১/১৮৩১ পর্যন্ত মৌলবীরা কেল্লাতেই আটকে থেকে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করল।
৩) ২৮/১০/১৮৩১: বসিরহাটের দারোগা বারাসতের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জানালেন জমিদার কৃষ্ণদেবের ওখানে তিতুমীরের অনুগামীরা গোহত্যা করতে চলেছে।
৪) ০৬/১১/১৮৩১: পুঁড়োর বাজারে ৫০০ জন জেহাদী তিতুমীরের প্রধান সেনাপতি গোলাম মাসুমের নেতৃত্বে মহেশ চন্দ্র ঘোষের একটা গরু ছিনিয়ে নিয়ে মন্দিরের সামনে কেটে বিগ্রহে গো-রক্ত মাখায়। গরুটিকে চার টুকরো করে পুঁড়োর বাজারের চার কোণে টাঙ্গিয়ে দিল।
৫) ০৭/১১/১৮৩১: ইচ্ছামতীর অপর পারে পৌঁছাল জেহাদীরা। দুটি ষাঁড় মেরে ভোজ হল। তারপর তাদের আক্রমণে লাউঘাট্টি বাজারে নিহত হলেন জমিদার তনয় দেবনাথ রায়। ফকির মিস্কিন শাহ এই জয়কে 'আল্লাহর জয়' বলে ঘোষণা করল। তিতুমীর ঘোষণা করল সে দার-উল-ইসলামের ঈমাম, তাকেই খাজনা দিতে হবে। জোর করে তোলা আদায় শুরু হল।
৬) ১৪/১১/১৮৩১: শেরপুর গ্রামে ইয়ার মহম্মদের বাড়ি আক্রমণ করল তিতু বাহিনী। ইয়ার মহম্মদের বিধবা কন্যা মুক্তবকে জোর করে নিকাহ করল তিতুর অনুগামী মহীবুল্লা। কনিষ্ঠা কন্যা কুমারী খুরমাকে অপহরণ ও নিকাহ করল কালু মিঞা।
৭) ১৬/১১/১৮৩১: ইন্ডিয়া গেজেট লিখল, রামচন্দ্রপুর গ্রামে হিন্দুদের মুখে জোর করে গোমাংস গুঁজে দেওয়া হচ্ছে।
এবার আলেকজান্ডার সাহেব তিতুর বিরুদ্ধে যাত্রা করলেন। বসিরহাট থানার দারোগা রামরাম চক্রবর্তীকে অপহরণ করল গোলাম মাসুম। বাঁশের কেল্লার মধ্যে হত্যা করা হল তাকে ইসলাম গ্রহণে অনিচ্ছুক হওয়ায়।
প্রথম দফার যুদ্ধে আলেকজান্ডার পরাজিত হয়ে পালালেন।
৮) ১৯/১১/১৮৩১: আলেকজান্ডার, সাদারল্যান্ড ও ম্যাকডোনাল্ডের নেতৃত্বে বাঁশের কেল্লা আক্রমণ করল ইংরেজ সৈন্য। এক ইংরেজ সৈন্য মেক্কানকে হত্যা করে তার দেহ বল্লমে গেঁথে সামনে রেখে গোলাম মাসুমের নেতৃত্বে প্রতিরোধ করল তিতু বাহিনী।
যুদ্ধ ..... যুদ্ধ ..... যুদ্ধ ......
তিতু সমেত জনা পঞ্চাশ জেহাদী নিহত, আহত জনা ত্রিশ, ২৫০ জন প্রায় ইংরেজদের হাতে বন্দী। ইংরেজ পক্ষে হতাহত ১৭।
জেহাদীদের বিচারের পর গোলাম মাসুমের মৃত্যুদন্ড হল, একুশ জনের যাবজ্জীবন কারাবাস, নয় জনের সাত বছরের, নয় জনের ছয় বছরের, ষোল জনের পাঁচ বছরের, চৌত্রিশ জনের তিন বছরের, বাইশ জনের দুই বছরের কারাদন্ড। বাকিদের নির্দোষ বলে ছেড়ে দেওয়া হল। ফটিক নামক এক হিন্দুকেও কেল্লা থেকে ধরা হয়েছিল, মানসিক ভারসাম্যহীন বলে সে মুক্তি পেল।
গোলাম মাসুমকে জনসমক্ষে বাঁশের কেল্লার সামনে ফাঁসি দেওয়া হল।
এই ভাবে বাংলার বুকে শরিয়ত চালু করার চক্রান্ত নির্মূল করা হল। অথচ বিশেষ বিশেষ ঐতিহাসিকদের বদান্যতায় এই জেহাদী জঙ্গী তিতুমীর আজ বীরের মর্যাদা পায়!
ভাইফোঁটার দিন আমরা যেন না ভুলি সেই রক্তাক্ত ইতিকথা।
এই লেখার তথ্যসূত্র যাচাই করে নিতে পারেন:
১। নবরূপে তিতুমীর
লেখক-রুদ্রপ্রতাম চট্টোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা: ৬২
২। নোটস অন ইনডিয়ান হিস্ট্রি
লেখক- কার্ল মার্কস
পৃষ্ঠা: ১২৯
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:১৪
মিশু মিলন বলেছেন: শাহজালালের তথ্য পাবেন:
জিহাদ: জবরদস্তিমুলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের উত্তরাধিকার
লেখক- এম. এ. খান
অনুবাদ: শামসুজ্জোহা মানিক
পৃষ্ঠা: ১৫৩-১৫৪
১১| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৪৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: মন্তব্যটি সাড়ে চুয়াত্তর কে বলা আপনার ইতিহাস বিষয়ক প্রতিমন্তব্যে বিষয়ে:
জীবনে অনেক ইতিহাসবিদের নাম শুনেছি- আর, সি মজুমদার থেকে রনজিত গুহ, দীপেশ চক্রবর্তী পর্যন্ত বেশ কিছু ইতিহাসবিদের লেখা পড়েছি, কিন্তু দেবতনু ভট্টাচার্য বলে যে একজন লেখক আছেন এটা জানা ছিলো না।
এই নতুন ইতিহাসবিদ সম্পর্কে জানার জন্য যখন গুগল সার্চ দিলাম তখন যেটা আসলো সেটা নিম্নরুপ:
আপনিও কি এই ইতিহাসবিদের মত বিজেপির বাংলাদেশ শাখার সভাপতি সদস্য? এই ধরনের বিজেপি-ইতিহাস লিখে ব্লগের মন্তব্যে বাহ্যে করার জন্য আপনাকে আপাতত মৃদু ভাষায় ভর্ৎসনা করে গেলাম।
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৫৭
মিশু মিলন বলেছেন: এই লেখাটা দেবতনুও কপি করে নিজের ওয়ালে দিয়েছেন। কেউ একজন শেয়ার দেওয়ায় আমার চোখে পড়েছিল। একই লেখার আরও কয়েকটি শেয়ার আমার চোখে পড়েছে। ধরেই নিলাম দেবতনু বিজেপি করেন, কিন্তু বিজেপি করলে কি সত্য ইতিহাস বলা যাবে না? বললে মিথ্যে হয়ে যাবে? আর এই লেখার তথ্যসূত্র তো নিচের বই দুটো, সেটা আপনার চোখে পড়লো না? কার্ল মার্কস আর রুদ্রপ্রতাম চট্টোপাধ্যায় বিজেপি করতেন? এই দুজনের বিজেপি করার তথ্য থাকলে আমাকে দিন।
১। নবরূপে তিতুমীর
লেখক-রুদ্রপ্রতাম চট্টোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা: ৬২
২। নোটস অন ইনডিয়ান হিস্ট্রি
লেখক- কার্ল মার্কস
পৃষ্ঠা: ১২৯
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:০০
মিশু মিলন বলেছেন: আপনার ভসর্ৎনা করায় আমার কিছুই আসে যায় না। আগে এই প্রশ্নের উত্তর দিন- কার্ল মার্কস আর রুদ্রপ্রতাম চট্টোপাধ্যায় বিজেপি করতেন? নাকি আপনিও ছাগু, তাই তথ্যের খণ্ডিত অংশ চোখে পড়ে?
তথ্যসূত্র এড়িয়ে যাওয়া তো ছাগুদের স্বভাব।
১২| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:৩৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আগে এই প্রশ্নের উত্তর দিন- কার্ল মার্কস আর রুদ্রপ্রতাম চট্টোপাধ্যায় বিজেপি করতেন?[/sb
তিতুমীর সম্পর্কে বিজেপির একজন ধর্মান্ধ বর্বরের লেখা ফেসবুক থেকে কপি করে ব্লগে দিয়ে এখন কার্ল মার্কসের নাম মুখে নিতে লজ্জা করলো না?
মার্কসের লেখা পড়ে বোঝা দূরে থাক, অন্তত মার্কসিজম সম্পর্কে কিছু সাধারণ ধারণা থাকলেও তো বোঝার কথা যে "Notes on Indian History" গরিব শ্রমিক বা কৃষকদের উপর জমিদার বা শাসক শ্রেণির অত্যাচার নিয়ে মার্কসের নোট থাকবে। তিতুমীর কি গরিব কৃষকের প্রতিনিধি না জমিদার শ্রেণির প্রতিনিধি?
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫১
মিশু মিলন বলেছেন: দূর হ ছাগুর বাচ্চা।
তিতুমীর না গরিবের প্রতিনিধি, না জমিদারের প্রতিনিধি। তিতুমীর মুসলমানের জঙ্গি প্রতিনিধি। ওয়াহাবি, জিহাদী। তার লড়াই ছিল ইসলাম প্রতিষ্ঠার। গরিবের প্রতিনিধি ভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর আক্রমণ করে না। তোর ধর্মীয় বিশ্বাসের গোবর মাথায় এসব ঢুকবে না। অযথা তর্ক না বাড়িয়ে দূর হ ছাগু। ইসলামের জঙ্গিদের জঙ্গি যেদিন জঙ্গি বলে স্বীকার করবি, সেদিন আমার ব্লগে এসে নীতি কথা মারাইতে আসিস।
১৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি
আমি শুনেছি উনি নাকি বাংলাদেশের সম্মানজনক স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেছিলেন ।
উনার ভাগ্য বড়ই সুপ্রসন্ন ছিল সব সময়।
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫২
মিশু মিলন বলেছেন: এর বাবা সালেহ পেয়েছিল স্বাধীনতা পুরস্কার।
১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:২৫
রানার ব্লগ বলেছেন: জানেন না চোরে চোরে মাশতুত ভাই।
১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:২৮
ধুলো মেঘ বলেছেন: আপনার ও আপনাকে যারা জন্ম দিয়েছে - তাদের মুখেও একরাশ ঘৃণা মিশ্রিত থু থু। তিতুমীর, বখতিয়ার খিলজী, হযরত শাহ জালালদের সম্পর্কে যারা আজেবাজে কথা বলতে পারে - তারা কোন মানুষের জাত নয়।
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:০৩
মিশু মিলন বলেছেন: হা হা হা!
তিতুমীর, বখতিয়ার খিলজী, হযরত শাহ জালাল এই পাষণ্ড খুনিরা এই বঙ্গের মানুষের ওপর, অর্থাৎ আমাদের পূর্ব-পুরুষের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। এদের যারা মহামানব ভাবে, তাদের জন্ম ঘৃণার-কলঙ্কের। থু থু সেই জন্মে ও জন্মদানকারীদের। যারা নিজের পূর্বপুরুষের নিপীড়নকারীদের ঘৃণা করতে শেখেনি। তারা এক ঘৃণ্য কীটসম, অমানুষ।
১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৩৬
এক্সম্যান বলেছেন: তিতুমীর সম্পর্কে মন্তব্যখানি পড়লাম, এটা টিপিক্যাল একজন ইসলাম বিদ্দেশিদের লেখা বলেই মনে হচ্ছে। হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারের ব্যাপারে হাজারো প্রমান ইতিহাসে আছে যেহেতু তিতুমীর হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারের বিরোদ্ধে ছিলেন সো তাকে কালপ্রিট বানাতেই হবে। হিন্দু জমিদাররা যে মুসলিম বা লোয়ার কাস্ট হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের স্টিমরোলার চালাতেন এব্যাপারে ঐসব লেখকের লেখায় মনে হয় না কিছু পাওয়া যাবে। পাওয়া গেলে একটু শেয়ার দিয়েন।
যেমন
২) ২৩/১০/১৮৩১: এক বিরাট ওয়াজে জিহাদ ঘোষণা হল। প্রাথমিক লক্ষ্য বৃটিশ শাসন ও হিন্দু জমিদারদের উচ্ছেদ, কারণ শরিয়ৎ বিপন্ন।
আমি অনেক লেখকের লেখা পড়েছি কিন্তু শরিয়ৎ বিপন্নের কারনে বৃটিশ শাসন ও হিন্দু জমিদারদের উচ্ছেদের কথা এবারই প্রথম শুনলাম। বিষয়টা হাস্যকর, পুরো ব্রিটিশ বিরোধী / ভারত ছারো আন্দোলনটাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার অপকৌশল, সাথে ইসলাম বিদ্দেশ বোনাস। অবস্য আরএসএস কখনই ভারতের স্বাধীনতা চায়নি।
বখতিয়ারের ব্যাপারেও অনেক মিথ্যা ছরানো হয়েছে, যার অন্যতম হলো নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধংশ। অথচ বেশীরভাগ ভারতীয় ঐতিহাসিকের মতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় (বৌদ্ধদের ছিল) ধংশ করেছিল সেন বংশ।
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:০৪
মিশু মিলন বলেছেন: তিতুমীর, বখতিয়ার খিলজী, হযরত শাহ জালাল এই পাষণ্ড খুনিরা এই বঙ্গের মানুষের ওপর, অর্থাৎ আমাদের পূর্ব-পুরুষের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। এদের যারা মহামানব ভাবে, তাদের জন্ম ঘৃণার-কলঙ্কের। থু থু সেই জন্মে ও জন্মদানকারীদের। যারা নিজের পূর্বপুরুষের নিপীড়নকারীদের ঘৃণা করতে শেখেনি। তারা এক ঘৃণ্য কীটসম, অমানুষ।
১৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
শ্রাবণধারা বলেছেন: ভাই, আপনার পড়ালেখা কোন ক্লাস পর্যন্ত? মার্কসের যে বইয়ের রেফারেন্স আপনি দিয়েছেন, আমি জানি সেই বই ইংরেজিতে রিডিং পড়া দূরে থাক, বাংলায় পড়ার মত লেখাপড়াও আপনার নেই।
লেখক বলেছেন: দূর হ ছাগুর বাচ্চা।
তোর ধর্মীয় বিশ্বাসের গোবর মাথায় এসব ঢুকবে না। অযথা তর্ক না বাড়িয়ে দূর হ ছাগু। ইসলামের জঙ্গিদের জঙ্গি যেদিন জঙ্গি বলে স্বীকার করবি, সেদিন আমার ব্লগে এসে নীতি কথা মারাইতে আসিস।
আপনার ভাষা আপনার শিক্ষাদীক্ষাকে প্রকাশ করে দিয়েছে।
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪৯
মিশু মিলন বলেছেন: তিতুমীর সম্পর্কে বিজেপির একজন ধর্মান্ধ বর্বরের লেখা ফেসবুক থেকে কপি করে ব্লগে দিয়ে এখন কার্ল মার্কসের নাম মুখে নিতে লজ্জা করলো না?
তথ্যসূত্র উল্লেখ করার পরও যে গোবর মাথা এই ধরনের আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে, সেই ছাগুর সাথে সুললিত ভাষা ব্যবহার করার মতো মেরুদণ্ডহীন আমি নই। ধর্মান্ধ ছাগুর সাথে আমি কখনও ইনিয়ে-বিনিয়ে কথা বলি না।
আর আমার লেখাপড়া? পরিবারের চাপে কিছু সার্টিফিকেট অর্জন করলেও, প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া আমার কাছে খুব বেশি গুরুত্ব পায়নি কখনো। কোনো ঐশী কিতাবের কাছেও আমার মাথা বন্ধক দেওয়া নেই। পৃথিবীর এই পাঠশালায় আমি প্রতিদিন পড়ি, প্রতিদিন শিখি...
১৮| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার এই ছাই পড়া নিশ্বচয় আপনার কোন উপকারে আসবে না। নিজেকে যেমন তালগাছ মনে করেন। একজনকে দুষ প্রকাশ করতে গিয়ে অন্যদের টেনে নিয়ে আসলেন। আপনি যেমন তেমন চিন্তা আপনার মাথায় ঘুরপাক খাবে এটাই স্বাভাবিক।
২৩ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫১
মিশু মিলন বলেছেন: পরেরবার আমার পোস্টে মন্তব্য করার আগে বাংলাটা ভালো করে শিখে আসবেন।
১৯| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৪০
এক্সম্যান বলেছেন: লেখক বলেছেন: তিতুমীর, বখতিয়ার খিলজী, হযরত শাহ জালাল এই পাষণ্ড খুনিরা এই বঙ্গের মানুষের ওপর, অর্থাৎ আমাদের পূর্ব-পুরুষের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। এদের যারা মহামানব ভাবে, তাদের জন্ম ঘৃণার-কলঙ্কের। থু থু সেই জন্মে ও জন্মদানকারীদের। যারা নিজের পূর্বপুরুষের নিপীড়নকারীদের ঘৃণা করতে শেখেনি। তারা এক ঘৃণ্য কীটসম, অমানুষ।
কারও জন্ম নিয়ে আপনার বিশ্লেষন চাই নাই, প্রমান করেন শরিয়ৎ বিপন্ন হওয়ার ভয়েই বৃটিশ শাসন ও হিন্দু জমিদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।
২) ২৩/১০/১৮৩১: এক বিরাট ওয়াজে জিহাদ ঘোষণা হল। প্রাথমিক লক্ষ্য বৃটিশ শাসন ও হিন্দু জমিদারদের উচ্ছেদ, কারণ শরিয়ৎ বিপন্ন।
ছাগু-শিবির বাল-ছাল বকে লাভ নাই। আর ঐসকল আরএসএস বাল-ছালকে সোর্স হিসেবে হিন্দুরাও বিলিভ করেনা।
এই বংগে আমাদের পুর্বপুরুষের উপর সবচাইতে বেশি অত্যাচার করেছে পাষণ্ড, খুনি, ধর্ষক হিন্দু রাজা-মহারাজা-জমিদাররা, আর যারা তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলে তাদের শুধু জন্মে না মাথাতেও ১০০% সমস্যা আছে।
২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১৩
মিশু মিলন বলেছেন: আমি কোনো হিন্দু জমিদারের পক্ষ নিয়ে কথা বলিনি হে ছাগু জঙ্গি। যে অত্যাচারী, সে হিন্দু হলেও অতাাচারী, তিতুমীর হলেও অত্যাচারী।
এই লেখার তথ্যসূত্র যাচাই করে নিতে পারেন:
১। নবরূপে তিতুমীর
লেখক-রুদ্রপ্রতাম চট্টোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা: ৬২
২। নোটস অন ইনডিয়ান হিস্ট্রি
লেখক- কার্ল মার্কস
পৃষ্ঠা: ১২৯
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:১৪০
লেখক বলেছেন: শাহজালালের তথ্য পাবেন:
জিহাদ: জবরদস্তিমুলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের উত্তরাধিকার
লেখক- এম. এ. খান
অনুবাদ: শামসুজ্জোহা মানিক
পৃষ্ঠা: ১৫৩-১৫৪
এগুলো কোনো আরএএস এর সোর্স নয়। কিন্তু জঙ্গি মাথায় এসব ঢুকবে না জানি। তাই জঙ্গিদের সাথে এসব নিয়ে কথা বলতেও এখন আর রুচি হয় না।
২০| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৬
এক্সম্যান বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি কোনো হিন্দু জমিদারের পক্ষ নিয়ে কথা বলিনি হে ছাগু জঙ্গি। যে অত্যাচারী, সে হিন্দু হলেও অতাাচারী, তিতুমীর হলেও অত্যাচারী।
এই লেখার তথ্যসূত্র যাচাই করে নিতে পারেন:
১। নবরূপে তিতুমীর
লেখক-রুদ্রপ্রতাম চট্টোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা: ৬২
২। নোটস অন ইনডিয়ান হিস্ট্রি
লেখক- কার্ল মার্কস
পৃষ্ঠা: ১২৯
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:১৪০
লেখক বলেছেন: শাহজালালের তথ্য পাবেন:
জিহাদ: জবরদস্তিমুলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের উত্তরাধিকার
লেখক- এম. এ. খান
অনুবাদ: শামসুজ্জোহা মানিক
পৃষ্ঠা: ১৫৩-১৫৪
এগুলো কোনো আরএএস এর সোর্স নয়। কিন্তু জঙ্গি মাথায় এসব ঢুকবে না জানি। তাই জঙ্গিদের সাথে এসব নিয়ে কথা বলতেও এখন আর রুচি হয় না।
আপনি হলেন ভারতের দালাল, আরএসএস এর অখন্ড ভারত বাস্তবায়নের সৈনিক। সুযোগ পাইলেই যে মুসলমান নিধনে নেমে পরবেন তা বোঝা যায়। আর এখানে আলোচনা করতে কে বলছে আপনাকে? ভারতীয় ব্লগে লেখেন।
২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩২
মিশু মিলন বলেছেন: হে জঙ্গি, আমি কোথায় কোন ব্লগে লিখবো, সেই সিদ্ধঅন্ত আমি নেব।
ইসলামের সত্য ইতিহাস যারা বলে, এই দেশের মুমিন-ছাগু-জঙ্গিরা তাদেরকে ভারত আর আরএসএস এর দালাল বলে, এটা নতুন কিছু নয়। এক্ত্তরেও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ভারত দালাল বলেছিল ছাগু-রাজাকাররা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: ৭১রে আমি তখন পিয়ারা বাগানে।অনেকের সাথে মুক্ত অঞ্চল গঠন করে স্বাধীনতা যুদ্ধ করছি।পাক আর্মি গানবোট দিয়ে ঘেরাউকরে মর্টারের ঘোলা বর্ষণ করে আমাদের কোন ক্ষতি করতে না পেরে প্লেন দিয়ে আক্রম করে।তাতেও কোন সুবিধা করতে না পেরে শর্শিনা মাদ্রাসা থেকে হাজার হাজার ছাত্র ও রাজাকার এবং পাক আর্মির সমর্থনে পেয়ারা বাগান কাটতে শুরু করে।সে এক এলাহি কান্ড।